যুক্তরাষ্ট্র অর্থ পাচার প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার করেছে এবং অবৈধ উপায়ে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। উল্লেখ্য যে, গত বছর জো বাইডেন মানিলন্ডারিং, অর্থ পাচার প্রতিরোধে নতুন ডিক্রি জারি করেছিলেন। এই ডিক্রি অনুযায়ী অবৈধ অর্থ যারা পাচার করবে, তাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আবার একইসাথে আয়ের উৎস বহির্ভূত এ সমস্ত অর্থ জব্দ করা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় মেক্সিকো, কলাম্বিয়া, লিভিয়ার বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং ব্যক্তির সম্পত্তি ইতিমধ্যেই জব্দ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন অর্থপাচার নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত সজাগ এবং সরব। আর এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক এই সমন্বয়কারী বাংলাদেশ সফরে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য স্যাংশন একটি কার্যকর অস্ত্র। তবে তারপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ম্যাথিউ মিলার সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, শুধু ভিসা স্যাংশন নয়, বরং তাদের সম্পদ জব্দ করার এখতিয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আছে।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে নিয়ে গেছেন এবং যাদের যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিত্ত তৈরি হয়েছে, তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে। উল্লেখ্য যে, বছরের শুরুতেই ঢাকায় এসেছিলেন রিচার্ড নেফিউ, যিনি বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়কারী। তার সফরের পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচার করেছে, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে ১০ জন প্রভাবশালী বাংলাদেশির সম্পদ জব্দ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেকোনো সময় এই সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে। যাদের সম্পদ জব্দ হবে, তাদের মধ্যে ৬ জনই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং একজন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ। আর বাকি তিনজন সরকারি কর্মকর্তা। এই তিনজন সরকারি কর্মকর্তাই তাদের চাকরি শেষ করে অবসরে গেছেন।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এদের নামে এবং পরিবার-পরিজনের নামে যে ধরনের সম্পদ রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, বাড়ি, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ। শুধুমাত্র যে ব্যক্তি অর্থপাচারে অভিযুক্ত- তিনিই নন, বরং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ধরনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হলে আপনা-আপনিভাবে ওই ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে থাকার অধিকার হারাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র জব্দ বাংলাদেশি সম্পদ
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন সরকার পতন বিটিভি বিমানবন্দর
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য লেবার পার্টি বিএনপি তারেক জিয়া অভিবাসী লেবার সরকার কিয়ার স্টারমার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়া রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে আসলে সরকার পতনের একটি আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল এবং এই আন্দোলন দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে পরিকল্পিত হয়েছিল। সরকার পতনের জন্য সারা দেশে তাণ্ডব সৃষ্টি, নাশকতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এ কারণে ঢাকায় প্রায় পাঁচ লাখ ছাত্রশিবির, ছাত্রদল এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকর ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রধানমন্ত্রীর ফাই-ফরমাস করছেন। বাজার হাট করে দিতেন এবং জাহাঙ্গীরের (প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর) চেয়ে এক ধাপ নিচের হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হতো। সেই মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানও এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক। আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে। তবে কুমিল্লা নিবাসী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এখন দেশে নেই। তিনি বিদেশে আছেন।
যুক্তরাজ্যে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সেই দেশের আভ্যন্তরীণ নীতি, পররাষ্ট্রনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। স্টারমার সরকার অভিবাসী নীতির বিপক্ষে নয়। তবে অভিবাসীদের কিছু সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত বলে তারা মনে করছেন। স্টারমার সরকার মনে করছে যে, অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে যা খুশি তা করলে যেমন পররাষ্ট্রনীতির ওপর তার প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ কারণেই লেবার সরকার তার প্রথম দিকে যে সমস্ত নীতি এবং উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি হল অভিবাসীদের কার্যক্রম সীমিতকরণ।