ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ধর্ষণ মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

নওগাঁয় পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুই আসামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালত।

 

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।

 

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের শ্রী কাজল মালী এবং পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার ওসমানের ছেলে হ্যাপি। তাদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে প্রত্যেকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আসামী হ্যাপি পলাতক রয়েছেন। আসামী শ্রী কাজল মালীর পক্ষে অ্যাডভোকেট সোমেন্দ্র নাথ কুন্ডু এবং রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন। অপরদিকে- আসামী হ্যাপির মামলায় রাষ্টপক্ষের বিশেষ কৌশলী ছিলেন মোঃ মকবুল হোসেন।

 

আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায়- গত ২০২০ সালের ২৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী তার বাড়ির পিছনে শুকনো পাতা ঝাড়– দিতে যান। এসময় একই গ্রামের শ্রী কাজল মালী পিছন দিক থেকে জাপটে ধরে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেয়। পরে তার শয়ন ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ১লা এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালতে আসামী ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

 

২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন সমাপ্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবন করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ধার্য্য হলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার প্রকাশ্যে আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া আসামীর ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। আসামী পূর্ব থেকেই জেল হাজতে থাকায় তাকে সাজা পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

 

অপরদিকে- গত ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি পোরশা থানার এক মাদ্রাসা ছাত্রী তার নানীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাশিতাড়া এলাকার জনৈক হারুন শাহের আমবাগানে নিয়ে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তার নানাকে খবর দেয়। পরে নানা এসে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। ছাত্রীর নানা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার ওসমানের ছেলে হ্যাপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

আদালতে চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে যুক্তিতর্ক শ্রবন করা হয়। আসামী পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এস.এম সারোয়ার হোসেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জনাকীর্ণ আদালতে সোমবার সকালে পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার। রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন আদালতের বিচারক। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।


নওগাঁ   পত্নীতলা   ধর্ষণ   কারাদণ্ড   যাবজ্জীবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাসে বাড়তি ভাড়া, গরুর ট্রাকেই বাড়ি ফিরছে মানুষ

প্রকাশ: ০৯:৪৬ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সড়কে শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন খোলা ট্রাক বা পিকআপে চড়ে। পুলিশের কড়া নির্দেশনা থাকলেও থেমে নেই ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় প্রবেশ করছে গরু। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে সেই ট্রাকে করেই বাড়ি ফিরছেন তারা যাত্রীরা।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় একের পর এক গরু ভর্তি ট্রাক প্রবেশ করছে ঢাকায়। বিভিন্ন গরুর হাটে ট্রাকভর্তি গরু নামিয়ে ফেরার সময় ওই ট্রাকেই উঠে বাড়ি ফিরছেন নারী-পুরুষ-শিশু সবাই।

দুপুরে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে চাপ বাড়তে থাকে যাত্রীদের। বিশেষ করে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের চাপ দেখা যায়। বাসভাড়া বেশি হওয়ায় খরচ বাঁচাতে বাসের ছাদে বা ট্রাকে করেই বাড়ি ফিরছেন উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও বাড়ি যেতে পারবে ভেবে আনন্দের হাসি দেখা গেছে তাদের চোখে-মুখে।

এদিকে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলো সিটপ্রতি ৩০০-৪০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

ট্রাকে করে গাইবান্ধা যাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিক সুমাইয়া বেগম। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই গ্রামে ঈদ করতে যাচ্ছি। বাসের টিকিট পাইনি। টিকিট ছাড়া যেসব বাস ছাড়ে সেগুলোর ভাড়া ডাবল। এজন্যই ট্রাকে করে বাড়ি যাচ্ছি। কষ্ট হলেও সবার সঙ্গে ঈদ করতে পারবো।’

আব্দুল জলিল নামের আরেকজন বলেন, ‘কাউন্টারে দুদিন আগে থেকেই টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও গাড়ি পাচ্ছি না। যে গাড়ি পাচ্ছি ভাড়া চাচ্ছে ডাবল। বাধ্য হয়ে ট্রাকে করেই বাড়ি যাচ্ছি।

যাত্রী নিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিলেন ট্রাকচালক ইমন। তিনি বলেন, ‘এলাকা থেকে গরু নিয়ে ঢাকায় আসছিলাম। হাটে গরু নামিয়ে দিয়ে এখন ফেরার পথে যা পাই তাই নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। এতে আমাদের বাড়তি কিছু টাকা আসে।

এদিকে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তৎপরতা থাকলেও ট্রাকে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের তেমন কোনো নজরদারি দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সাভারে সড়ক পরিদর্শন শেষে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছিলেন, খোলা ট্রাকে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহনে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।


ভাড়া   গরুর ট্রাক   গরুর হাট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বোট ক্লাবের সভাপতির পদ ছাড়লেন বেনজীর

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতির পদ ছেড়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে আম্বার গ্রুপের কর্ণধার রুবেল আজিজকে। জানা যায়, র‌্যাবের ডিজি থাকাকালীন সময়ে বেনজীর আহমেদ বোট ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এরপর বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেও সরকারি চাকরির নীতিমালা অমান্য করে তিনি বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনা থাকলেও বেনজীরের প্রভাবের কারণে কেউ কিছু বলার সাহস দেখায়নি।

বোট ক্লাবের সঙ্গে বেনজীরের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে একজন সুপরিচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে বোট ক্লাবে অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে। বিপুল অর্থ দিয়ে কীভাবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এই ধরনের ক্লাবের সদস্য হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে জাতীয় সংসদেও। বিশেষ করে একটি বাণিজ্যিক ক্লাবের সভাপতি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আইজিপি থাকতে পারেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছিল তখন।

সাবেক এই পুলিশ প্রধানের ক্লাব নেশার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে কোন কোন মহলে। ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, উত্তরা ক্লাবের মতো অভিজাত সব ক্লাবেরই সদস্য তিনি। এসব ক্লাবের সদস্য হতে গিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। অবসরে যাওয়ার কিছুদিন আগে মাস খানেকের ব্যবধানে তিনি চারটি অভিজাত ক্লাবের সদস্য হন বলে জানা গেছে। বোট ক্লাব দিয়েই তার এই ক্লাব নেশা শুরু হয়েছিল বলে জানা গেছে।

সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বোট ক্লাবের দখল নেন। নিজের মতো করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অনেক কাজ করেছেন। ক্লাবের সদস্যরা বেনজীরের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতেন। ক্লাবের ফান্ডে থাকা অর্থও বেনজীর আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, সাম্প্রিতক সময়ে একটি দৈনিকে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। এরপর থেকে একের পর এক দুর্নীতি আর বিপুল সম্পত্তির তথ্য বেরিয়ে আসে সাবেক এই পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে তিন দফায় আদালত তার সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন। এদিকে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক। শিগগির তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।


বোট ক্লাব   বেনজীর আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে পানিতে ডুবে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শ্রীপুরে পুকুরের পাড় ভেঙে পানিতে ডুবে নাসির ও জাহিদ নামের দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মোড়লপাড়া গ্রামের জনৈক কাইয়ুমের পুকুরের পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃত নাসির (১০) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মোড়লপাড়া গ্রামের মো. কাইয়ুমের ছেলে এবং নিহত জাহিদ (১০) কাওরাইদ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। তারা দুজনই কাওরাইদ স্টেশন মহল্লার দারুল উলুম মাদ্রাসায় হেফ্জ বিভাগে পড়ত।

শিশু নাসিরের চাচা যুবলীগ নেতা রতন মন্ডল জানান, নাসির ও জাহিদ এই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়ত। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় ঈদের ছুটি দেওয়া হলে দুজনই বাড়িতে চলে আসে। সকালে নাসিরের বাড়িতে বেড়াতে আসে জাহিদ। নাসিরের বাড়ির পাশে নতুন কাটা পুকুরের পাড়ে বসে খেলা করছিল। এ সময় পাড় ভেঙে দুজনই পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় নাসিরের কোনো খোঁজ না পেয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন তার মা। পরে বাড়ির পাশের পুকুরে তাদের জুতা ভাসতে দেখে মা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তাদের উদ্ধার করে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুস সামাদ জানান, মৃত দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।


মৃত্যু   পানিতে ডুবে   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এ কোন অধঃপতন

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিসিএস তথ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা তিনি বিসিএস ক্যাডারের চাকরি ছেড়ে সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেছেন। এ নিয়ে প্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। তার এই স্বেচ্ছায় পদাবনতি এবং স্বেচ্ছায় ক্যাডারদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে সাব রেজিস্টার হওয়াটাকে অনেকে দুর্নীতির জাতীয়করণ বলছেন এবং আমাদের মানসিকতার এক ধরনের অধঃপতন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এই বিষয়টিকে। 

উল্লেখ্য যে, গত ১৩ জুন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বেতার-১ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মোহাম্মদ গোলাম আজম উপসচিব স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা জানাব আদনান ফেরদৌস সহকারী বেতার প্রকৌশলী গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা, ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে নন ক্যাডার সাব রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ লাভ করেছেন। উক্ত পদে যোগদানের জন্য তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ৫.৬. ২০২৪ তারিখ অপরাহ্ণে বর্তমান পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হল। 

বিসিএস তথ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা গেজেটেড অফিসার। তিনি সরকারি চাকরির সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একটি জায়গায় নিজেকে উত্তীর্ণ করেছিলেন এবং সেখানে তিনি চাকরিও করেছিলেন। কিন্তু তথ্য ক্যাডারে তার আগ্রহ নেই। তিনি ক্যাডার সার্ভিস থেকে নন ক্যাডার সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিয়েছেন। 

কেন একজন ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তা সাব রেজিস্ট্রারের মতো নিম্ন পদে যোগ দিলেন। এর কারণ খুবই স্পষ্ট। তথ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তার উপরি আয় বা দুর্নীতি করার সুযোগ অনেক সীমিত এবং কম। অন্যদিকে সাব রেজিস্ট্রারদের দুর্নীতির খবর সকলেই জানেন। একজন সাব রেজিস্ট্রার কী পরিমাণ দুর্নীতিবাজ হয়ে উঠতে পারে তার বিভিন্ন নজির রয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও সাব রেজিস্ট্রারদের দুর্নীতি নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। এরকম বাস্তবতায় এই আদনান ফেরদৌস যে উপরি আয়ের লোভেই সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। কারণ তথ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ আছে। তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ইন ক্যাডার হতে পারেন। অর্থাৎ প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারেন। সেখান থেকে তিনি উপসচিব, যুগ্মসচিব হয়ে সচিবও হতে পারেন। এরকম উদাহরণ অনেক রয়েছে। 

সাবেক তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার সচিব হয়েছিলেন। নাজমুল হুদা তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তা থেকে সচিব হয়েছেন। এ রকম উদাহরণ অনেক দেওয়া যায়। কিন্তু একজন সাব রেজিস্ট্রারের পদোন্নতির পথ খুবই সীমিত। তিনি জেলা রেজিস্ট্রার হতে পারেন এবং এর পরে তার যে পদোন্নতি গুলো সেগুলো খুবই সঙ্কীর্ণ। আর সবচেয়ে বড় কথা হল যে, মর্যাদার দিক থেকে একজন তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তার মর্যাদা সাব রেজিস্ট্রারের অনেক বেশি। এত কিছুর পরেও এই তরুণ সাব রেজিস্ট্রারের পদে নিম্নগামী হলেন তার প্রধান কারণ অবশ্যই বাড়তি আয়ের লোভ। তরুণদের মধ্যে যে নীতি নৈতিকতা এবং মর্যাদাবোধ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এবং লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই একটি ঘটনা তার প্রমাণ।

এরকম বহু উদাহরণ আছে যেখানে একজন সাব রেজিস্ট্রার বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। এরকম কর্মকর্তারা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে একজন ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তা সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে স্বেচ্ছায় পদাবনতি নেবেন এটি বিস্ময়কর বটে। এর ফলে আমাদের সমাজের যে চিন্তা চেতনা এবং মানসিকতা দুর্নীতিগ্রস্ত তার একটি দৃষ্টান্ত সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে।

বিসিএস   তথ্য ক্যাডার   দুর্নীতি   সাব রেজিস্টার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টা ছিনতাই মামলার আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে মারপিট ও টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে আইজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজিজুর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের কামড়াবন্দ গ্রামের আশু মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে তাহিরপুর থানায় আজিজুর সহ আরও দুই অভিযুক্তকে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। 

মামলার বাদী একই উপজেলার একই গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার আজিজুরকে থানা পুলিশ সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে। 

এরপূর্বে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাদাঘাট কলেজ রোড থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার ও জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গেল বুধবার (১২ জুন) দিবাগত রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত আজিজুর ও তার কয়েক সহযোগী সংঘবদ্ধ হয়ে বাদাঘাট বাজারে তারই অফিসে জোর পূর্বক ব্যবসায়ী হারুনকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে বেধরকভাবে মারপিট করে। একই সময়ে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে হারুনের পকেটে থাকা ৩২ হাজার টাকা অভিযুক্তরা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

আহত অবস্থায় ওই রাতেই হারুনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে তাহিরপুর থানার মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই আহমেদুল আরেফিন জানান, ওই মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলমান রয়েছে।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন