ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল জোকোভিচের?

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail মেসির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল জোকোভিচের?

দুজন দুই খেলার মানুষ, তবে দুজনই জীবন্ত কিংবদন্তি। লিওনেল মেসি ফুটবলার আর নোভাক জোকোভিচ টেনিস খেলোয়াড়। খেলার মাঠে বা কোর্টে তাই এই দুই কিংবদন্তির দেখা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও মেসি ও জোকোভিচের দুবার দেখা হয়েছে।

মেসি–জোকোভিচের সর্বশেষ দেখা হয়েছে নিউইয়র্কে। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে লেখানো মেসি এখন স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে মায়ামিতে থাকেন। আর জোকোভিচ ইউএস ওপেনে খেলতে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ইউএস ওপেনের ব্যস্ততার এক ফাঁকে জোকোভিচ একটা সন্ধ্যা কাটিয়েছেন মেসির সঙ্গে। দুজনে প্রায় ১৫ মিনিট গল্প করেন। মেসির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল জোকোভিচের আর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সঙ্গে গল্প করে কেমন লাগল—এসব নিয়ে জোকোভিচ কথা বলেছেন বার্নাবে জাপাতা মিরালেসকে ৬–৪, ৬–১ ও ৬–১ গেমে হারানো ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে।

মেসির সঙ্গে গল্প করে মুগ্ধ জোকোভিচ বলেছেন, ‘আমাদের এটা দ্বিতীয় দেখা। সবকিছু নিয়ে আমরা ১৫ মিনিট কথা বলেছি। আমি আবারও তার সঙ্গে দেখা করতে চাই। খেলা নিয়ে আরও অনেক কথা বলতে চাই। মেসি ফেনোমেনন। সে দারুণ এক চ্যাম্পিয়ন, তার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আমার।’  

ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখানোর পর মেসি দলটির হয়ে এখন পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ১১টি। এরই মধ্যে জিতেছেন লিগস কাপের শিরোপা। যেটি ইন্টার মায়ামির ইতিহাসেরই প্রথম শিরোপা। মেসিকে হাতছানি দিচ্ছে আরও একটি শিরোপা, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে হিউসটন ডায়নামো এফসির বিপক্ষে খেলবে তাঁর দল ইন্টার মায়ামি।


লিওনেল মেসি   নোভাক জোকোভিচ   ফুটবল   টেনিস   জীবন্ত কিংবদন্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেমিফাইনালে খেলা সম্ভাব্য চার দলের একটি হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। তবে ২০২১ সালের আসরের রানার্সআপ দলটি সেমিফাইনাল দূরে থাক এখন পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এখন অলৌকিক কিছুর আশায় বসে আছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।

অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ জিতে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। এই হারের ফলে কিউইদের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত।

প্রথমে ব্যাট করে উইন্ডিজদের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। তাতে ১৩ রানের জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ভারতের পর চতুর্থ দল হিসেবে সুপার এইটে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


নিউজিল্যান্ড   ওয়েস্ট ইন্ডিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে 'কৌশলী' হবে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে পয়েন্ট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে ইংল্যান্ড এখন বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়।  পরের দুই ম্যাচ জিতে ৫ পয়েন্ট পেলেও সমান পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ড শেষ আটে উঠে যেতে পারে।  শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ড হারলেও, নেটরানরেট খুব খারাপ না হলে স্কটিশরা এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ডের।  আর নেট রানরেটে স্কটিশদের সহায়তা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।  এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন জশ হ্যাজলউড। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু করলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন দলটির অধিনায়ক মিচেল মার্শ।

গ্রুপ বি-তে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে সমান হার নিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ওমানের, সুযোগ নেই নামিবিয়ারও। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াইটা এখন স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৫, পরের দুই ম্যাচে জিতলে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পয়েন্টও হতে পারে পাঁচই। তখন পার্থক্য গড়ে দেবে নেট রান রেট।

রান রেটে স্কটল্যান্ড (২.১৬৪) ইংল্যান্ডের (-১.৮০০) চেয়ে এখন বেশ এগিয়ে। এর ফলে পরের দুটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে এখনকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। তেমন কিছু হলেও শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ড নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে টপকে যেতে প্রয়োজনীয় সমীকরণ জেনেই মাঠে নামবে। মানে এমন হতে পারে, স্কটল্যান্ড একটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে হারলেই পরের রাউন্ডে যাবে।

এবারের ফরম্যাট অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপের ব্যাপার নেই। মানে সুপার এইটে একটি নির্দিষ্ট দল উঠলে কোন গ্রুপে পড়বে, সেটি নিশ্চিত আগে থেকেই। এর ফলে কার্যত এ ম্যাচে কোনো প্রাপ্তি বা হারানোর কিছু নেই অস্ট্রেলিয়ার।

সে ম্যাচে শীর্ষ সারির ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সেটি বলেছেন আগেই। নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর পেসার হ্যাজলউড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে...নিজেদের দিনে তারা অন্যতম সেরা দলগুলোর একটি। টি–টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছিও। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো ভালো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও।’

হ্যাজলউড আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা মজার হবে। দল হিসেবে আমরা মনে হয় না এর আগে এমন অবস্থানে পড়েছি। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হোক বা না–হোক, আমরা আজ রাতের (অ্যান্টিগার স্থানীয় সময়) মতোই খেলার চেষ্টা করব। এটা অবশ্য আমার ওপর নয়, বাকিদের ওপর নির্ভর করছে।’

তবে এমন কিছু করলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২.১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইসিসির কোনো ইভেন্টে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কৌশল গ্রহণ করে, যেটি অন্য দলের অবস্থান বদলানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে—তাহলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। জোর করে নেট রান রেটের ওপর প্রভাব ফেললেও সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যদিও আম্পায়াররা ঠিক কী দেখে এমন অভিযোগ আনবেন, সেটি নিশ্চিত নয়।

বিশ্বকাপে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির খেলা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১১১ রানের লক্ষ্যে ২৫ ওভারে ৮৩ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ২৮ রান তুলতে তারা খেলে আরও ১৫.৪ ওভার। সুপার সিক্সে যেতে ৪৭.২ ওভারের মধ্যে জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়া ধীরগতিতে খেলেছিল মূলত নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে, যাদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে হেরেছিল তারা। সেবারের নিয়ম অনুযায়ী, সুপার সিক্সে ওঠা দলগুলোর একে অন্যের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট যুক্ত হতো। মানে নিউজিল্যান্ড উঠলে কোনো পয়েন্ট পেত না অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠলে পেত। অবশ্য পরে স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঠিকই সুপার সিক্সে যায় নিউজিল্যান্ড।


ইংল্যান্ড   অস্ট্রেলিয়া   কৌশলী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এখনও শিক্ষানবিশ বাংলাদেশের টপ-অর্ডার, ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’ নয় তো?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের টি–টোয়েন্টি ফরম্যাট মানেই চার–ছক্কার লড়াই। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে শুরু থেকেই ব্যাটাররা যেন মাতেন বাউন্ডারি ঝড়ে। আর এই কাজটি করে থাকেন প্রায় প্রতিটি দলের টপ-অর্ডার। 

কারণ টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে টপ-অর্ডারের কাজ হল, ঝুঁকি নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ঝোড়ো শুরু এনে দেওয়া, অথবা উইকেট বাঁচিয়ে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য মঞ্চ তৈরি করা। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে টাইগার টপ-অর্ডাররা কি সেটা করতে পারছেন?

অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর যাচাই-বাছাইয়ের পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরেছিল টাইগাররা। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে কতটা এগোল টিম টাইগার্স কিংবা সেই স্বপ্ন পূরণের কারিগররাই বা কেমন করছেন বিশ্ব আসরে, সেই প্রশ্ন এখন ঘোরপাক খাচ্ছে সবখানে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিং–ব্যর্থতা বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এরই মধ্যে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের দুটি ম্যাচ খেলেছে টিম টাইগার্স। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা কষ্টার্জিত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারটাও কি কম কষ্টার্জিত কিংবা কম বেদনাদায়ক! এদিন তীরে এসে যে তরী ডোবাল টাইগাররা। ম্যাচটা জিততে জিততেও হেরে গেল শান্ত-সাকিবরা। 

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা জিততে পারতো তাহলে সুপার এইটের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকতো। কিন্তু যেটা হয়নি সেটা নিয়ে আর কথা বাড়ানো মন্দ। কিন্তু যেটা হতে পারতো সেটা নিয়ে খানিকটা আলোচনা তো হতেই পারে। 

টিম টাইগার্স ক্রিকেটাররা দারুণভাবে জ্বলে উঠবে, মাতাবে বিশ্বকাপ। এমনটাই তো সমর্থকদের দাবি। কিন্তু সমর্থকদের সেই চাওয়া আর পাওয়ার হিসেব কি মেলাতে পারছে টাইগার ক্রিকেটাররা?

এবারের বিশ্বকাপে বোলাররা খানিকটা আশার আলো জ্বালাতে পারলেও ব্যাটসম্যানরা যে তেমন কিছুই করতে পারছে না। প্রথম দুই ম্যাচে মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ আর তাওহীদ হৃদয় ছাড়া আর সকলেই ছিলেন নিষ্প্রভ।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ বা বিশ্লেষণ বলতে গেলে সবার আগে আসে টপ অর্ডার লিস্ট। যেখানে শান্ত-সৌম্য-লিটন এই তিন সিনিয়রের ব্যার্থতাই আরও বেশি ভোগাচ্ছে টিম টাইগার্সদের।

বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত খেলা দুটি ম্যাচে এই তিন জনের অবদান মাত্র ৬৬ রান। বিপরীতে বল খেলেছেন ৮৯ টি। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে একেবারেই বেমানান। এর মধ্যে তো শ্রীলঙ্কার সাথে শূন্য রানে আউট হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দলেই সুযোগ হয়নি সৌম্য সরকারের।

দীর্ঘদীন ধরেই বাংলাদেশের টপ অর্ডারের অবস্থা বেশ নাজেহাল। বিশ্বকাপের আগে আমেরিকার সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কোথাও পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা। টপ অর্ডাররা সেই ধারাবাহিকতাই যেন ধরে রেখেছেন আমেরিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।

বাংলাদেশের টপ অর্ডার সমস্যা এবার আরও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। যেন ‘দশ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত’ পার করছে টাইগার টপ অর্ডার ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে দুটো লো-স্কোরিং ম্যাচের দিকে তাকালে তা আরও খানিকটা স্পষ্ট হয়ে উঠে।

চলমান বিশ্বেকাপে আমেরিকার মন্থর উইকেটে যেখানে সবচেয়ে কার্যকরী হয়ে উঠার কথা টপ অর্ডারের, সেখানেই কিনা চরম ব্যর্থ টপ অর্ডার। কাজে লাগছে না পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভার। বাকি দলগুলোর টপ অর্ডার যেখানে কার্যকরী পাওয়ার প্লেতে অপরদিকে এখনও যেন শিক্ষানবিশ সময় পার করছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। যার চরম মূল্য দিচ্ছে টিম টাইগার্স। 

বিশ্বকাপ কিংবা এর আগের দুইটা সিরিজই শুধু নয়, বছরের শুরু থেকে ছন্দে নেই বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। বিচ্ছিন্ন কিছু বড় ইনিংস দেখা গেলেও সামগ্রিকভাবে নাজুক অবস্থায় লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকাররা। 

চলমান বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত গ্রুপ পর্বে খেলা নিজেদের দুই ম্যাচে টাইগারদের এক জয়ের বিপরীতে এক হার। যেখানে নেদারল্যন্ডসের সাথে সমান দুই পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলে অবস্থান দুইয়ে। শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এখনও রাউন্ড রবিন লিগের বেশ কিছু খেলা বাকি রয়েছে। তবে সুপার এইটে উঠতে হলে টাইগারদের অবশ্যই নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারাতে হবে। 

উল্লেখ্য, জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিসেন্টে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্যই জয় পেতে হবে টাইগারদের।

তবে এবারের টুর্নামেন্টে ফর্ম বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। টাইগারদের সুপার এইটের পথেও সবচেয়ে বড় বাধা এখন নেদারল্যান্ডস। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলটির তুলনায় এগিয়ে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নেদারল্যান্ডসকে দুই বার হারিয়েছে টাইগাররা। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় এবং ২০২২ সালে হোবার্টে ডাচদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চারবারের সাক্ষাতে ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।


শিক্ষানবিশ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কিউইদের বিপক্ষে শেষ ঝড়ে ক্যারিবীয়দের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ

প্রকাশ: ০৮:৫৩ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জমে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে সুপার এইটে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে প্রতিটি দল। আজ বৃহস্পতিবার সেই সুপার এইটের সমীকরণের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে আগে ব্যাট করে রাদারফোর্ডের শেষ ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে ক্যারিবীয়রা।  

১৮ ওভার পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহটা বেশ মামুলিই লাগছিল। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপটাই হয়েছে লো-স্কোরিং ম্যাচের বিশ্বকাপ। সে তুলনায় খুব একটা মন্দও বলা চলে না ১১২ রানের সংগ্রহকে। ৩০ রানে ৫ উইকেট আর ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর উইন্ডিজের স্কোর ১০০ পেরিয়েছে সেটাই ছিল বড় কিছু। কিন্তু এরপরেই শুরু হলো শেরফেইন রাদারফোর্ডের ঝড়। 

১৯তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের ওভারে এলো ১৯ রান। সেই ওভারে ছিল তিনটি ছক্কার মার। এরপরই বিশতম ওভারে নিয়ে আসা হলো স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই ওভারে এলো আরও ১৮ রান। ৩৭ রানের দুই ওভারেই উইন্ডিজের স্কোর গিয়েছে ১৪৯ পর্যন্ত। রাদারফোর্ড ৩৯ বলে করলেন ৬৮ রান। এবারের বিশ্বকাপের সাপেক্ষে এমন স্কোরে সন্তুষ্ট হতেই পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

সুপার এইটে যেতে হলে জয় পেতেই হবে- এমনই এক সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্যে শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই জনসন চার্লসের উইকেট তুলে নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। চলতি বছরে এই নিয়ে ৮ম বার প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন বোল্ট। চতুর্থ ওভারেই নিকোলাস পুরানকে ফেরান টিম সাউদি। ১৭ রানে ফেরার আগে অবশ্য রেকর্ড করেছেন পুরান। ক্রিস গেইলকে টপকে উইন্ডিজ ক্রিকেটে ট-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এখন পুরান।

 রস্টন চেজ ফেরেন ডাক মেরে। আর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ফেরেন ৫ বলে ১ রান করে। ৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর উইন্ডিজ ইনিংসের মেরামত প্রক্রিয়া শুরু করেন রাদারফোর্ড এবং আকিল হোসেন। আকিল ফেরেন ১৫ রানে। এরপর বিশ্বস্ত আন্দ্রে রাসেল খেললেন ৭ বলে ১৪ রানের ছোট ইনিংস। ৭৭ রানে নেই ৭ উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লোকি ফার্গুসনরা নাভিশ্বাস তুলেছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের। 

রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে এরপর দলীয় রান ১০০ পার করেন রাদারফোর্ড। ১০৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন শেফার্ড। আলজারি জোসেফও এসে কাজের কাজ করতে পারেননি। ১১২ রানে ৮ম উইকেটের পতন। বাকি ছিল কেবল দুই ওভার। সেই দুই ওভারেই রাদারফোর্ড চালালেন তান্ডব। ১২ বলে তুললেন ৩৭ রান। পেলেন নিজের ফিফটি। উইন্ডিজকেও এনে দিলেন কার্যকরী সংগ্রহ।



ওয়েস্ট ইন্ডিজ   নিউজিল্যান্ড   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপার আগে হোঁচট খেল ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র সাত সাতদিন পর গড়াতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার এবারের আসর। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় এবার স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তবে, জয় দিয়ে প্রস্তুতি সারতে পারল না সেলেসাওরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ফ্লোরিডায় ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কোপা আমেরিকা শুরুর আগে এটাই ছিল ব্রাজিলের শেষ প্রীতি ম্যাচ। 

১৭ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার পাস থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। তাঁর গোলের ৯ মিনিট পরই সমতায় ফেরে যুক্তরাষ্ট্র। মিডফিল্ডার হোয়াও গোমেজ ফাউল করায় ফ্রি কিক পেয়েছিল স্বাগতিকেরা। মানবদেয়ালের নিচ দিয়ে মাটি কামড়ানো শটে ফ্রি কিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সমতাসূচক গোলটি এনে দেন এসি মিলান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। কোপা আমেরিকা শুরুর আগে এটা যুক্তরাষ্ট্রেরও শেষ ম্যাচ।

বিস্তারিত আসছে...।


কোপা   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন