ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরানের কারাজীবন: প্রথম মুখ দেখলেন আয়নায়

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত ৫ আগস্ট থেকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে আছেন। তাঁর আইনি দলকে তিনি বলেছেন, কারাগারের পরিবেশের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। প্রায় এক মাসের কারাজীবনে তিনি সম্প্রতি প্রথম আয়নায় নিজের মুখ দেখেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, সালমান সাফদারের নেতৃত্বাধীন আইনি দলের সঙ্গে কারাগারে কথা বলেছেন ইমরান। তখনই তিনি এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর আইনি দলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বেশ কিছু কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য ভাগাভাগি করেছেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচা-সংক্রান্ত (তোশাখানা) দুর্নীতি মামলায় ৫ আগস্ট ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত। সাজা ঘোষণার পরই ইমরানকে তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাবের কুখ্যাত অ্যাটক কারাগারে পাঠানো হয়।

তোশাখানা মামলায় ইমরানকে দেওয়া সাজা ২৯ আগস্ট স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সাজা স্থগিত হলেও ইমরানের মুক্তি মেলেনি। কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় তাঁকে এখন কারাগারে থাকতে হচ্ছে।

তোশাখানা মামলায় সাজা স্থগিত হওয়ার পর বন্দী হিসেবে কারাগারে ইমরানের পাওয়া মর্যাদায় পরিবর্তন এসেছে। এখন কারাগারে তাঁকে বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগ-সুবিধায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, কারাগারে লেখালিখির জন্য তিনি প্রথমবারের মতো একটি পেনসিল ও কাগজ পেয়েছেন। পেনসিল-কাগজ পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি। হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পিটিআইয়ের প্রধান ইতিমধ্যে কারাগারে বসে বিভিন্ন ইসলামিক বই পড়ছেন। এখন তিনি রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর লেখা বই পড়তে চান। এ জন্য তিনি তাঁর আইনি দলকে এ ধরনের বই কারাগারে পাঠাতে বলেছেন।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, ইমরান তাঁর কারাবাসকালের মধ্যে সম্প্রতি প্রথমবার নিজেকে আয়নায় দেখেছেন। কারাগারে আসার পর তিনি প্রথমবারের মতো শেভও করেছেন।

জানা গেছে, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যানকে তাঁর কারাকক্ষে একটি টিভি সেট দেওয়া হয়েছে। এই টিভি সেটে শুধু রাষ্ট্রীয় পিটিভি চ্যানেল দেখা যায়। তবে ইমরান সাধারণত তা দেখেন না।


পাকিস্তান   ইমরান খান   আয়না   কারাজীবন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির এনডিএর লোকজন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন: রাহুল

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের লোকজন বিরোধীদল কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা রাহুল গান্ধী। 

মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এই দাবি করেন তিনি।

কংগ্রেসের এই নেতার দাবি, একটি ছোটখাটো ঝামেলাও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটকে (এনডিএ)। যে জোট আঞ্চলিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করে সরকার গঠন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিবিরেও ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে জানিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, নতুন জোট সরকারকে খুবই দেখেশুনে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে মোদি সরকারের ক্ষেত্রে যা সহজ ছিল, এবারের পরিস্থিতি তেমন নয়।

রাহুল মনে করেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। কারণ, এই ভোটের মধ্য দিয়ে মোদির রাজনীতি ও তাঁর ভাবমূর্তি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের রাজনৈতিক আবহ উন্মুক্ত হয়ে গেছে। বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা এমনই ভঙ্গুর যে সামান্য গোলমালেই সরকারের পতন ঘটতে পারে।

সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছেন, এবারের ভোটে বিজেপির বিভাজন নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছে। মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়িয়ে ক্রোধের জন্ম দিয়ে রাজনৈতিক লাভ করা যায়, বিজেপির এই ধারণা দেশের মানুষ নস্যাৎ করে দিয়েছে।

এবারের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলমান সম্প্রদায়কে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলেছেন। বলেছেন, দরিদ্র ও প্রান্তবাসী মানুষজনের সংরক্ষণ ব্যবস্থা কেড়ে নিয়ে কংগ্রেস তা মুসলমানদের দেবে। অথচ দেখা গেছে, কংগ্রেস প্রান্তিক দরিদ্র মানুষের ভোট পেয়েছে। তাদের মনে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট এই বিষয় গেঁথে দিতে পেরেছে যে চার শ আসন পেয়ে গেলে বিজেপি সংবিধান বদলে দেবে। গরিবদের সুরাহা কেড়ে নেবে।

রাহুল বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যে প্রচারকাজ করেছে, এবার তা ব্যর্থ। তাঁর কথায়, যে দলটা ১০ বছর ধরে শুধু অযোধ্যা অযোধ্যা করে গেছে, তারা সেই অযোধ্যাতেই হেরে গেল! কারণ, ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোর মধ্য দিয়ে রাজত্ব করার যে মৌলিক কাঠামো বিজেপি অবলম্বন করে এসেছে, তা চুরচুর করে ভেঙে পড়েছে।

উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ লোকসভা আসনে অযোধ্যার অবস্থান। বিজেপি প্রার্থী লাল্লু সিং সেই আসনে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) দলিত প্রার্থী অবধেশ প্রসাদের কাছে হেরেছেন প্রায় ৫৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে। শুধু তা–ই নয়, অযোধ্যার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ৮টি লোকসভা আসনেও এবার বিজেপি হেরেছে।

বিরোধী জোটের ভালো ফলের কৃতিত্বের পেছনে ভারত জোড়ো যাত্রা ও ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার অবদান রয়েছে বলে রাহুল মনে করেন। তিনি বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা, গণমাধ্যম, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সব দরজা বিরোধীদের কাছে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই তাঁরা সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রাহুল বলেন, এবারের ভোটে অনেক ধারণা কাজে এসেছে, যেগুলো তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন। চলতে চলতে শিখেছেন। মানুষই তাঁদের শিখিয়ে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ২৩৪ টি আসন পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়িতে কংগ্রেস পেয়েছে মোট ৯৯ টি আসন। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ শিবির পেয়েছে ২৯৩ টি আসন। গেরুয়া শিবির এককভাবে পেয়েছে ২৪০ টি সিট। ফলে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি বিজেপি। রাহুল এদিন আরও বলেন, এনডিএ শিবিরের পক্ষ থেকে অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাই ভবিষ্যতে কী হবে তা এখন থেকেই বলা যাচ্ছে না।

ভারত   নরেন্দ্র মোদি   ভারতীয় জনতা পার্টি   বিজেপি   এনডিএ জোট   কংগ্রেস   রাহুল গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইরানে একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাশতের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

ইরানের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে রাশত শহরের ঘায়েম হাসপাতালে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের কারণ শনাক্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে আইআরআইবি।

রাশতের গিলান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ তাগি আশোবি বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অগ্নি দুর্ঘটনায় ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশতের ওই হাসপাতালে রোগীদের জন্য ২৫০ শয্যা রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে ১৪২ জন রোগী ছিলেন।

ইরান   হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চার পুরুষের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে তরুণের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চার পুরুষের কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুর ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা।

জানা গেছে, একটি হোটেলের কক্ষে আটকে চার পুরুষ মিলে যৌন নিপীড়ন চালায় ওই তরুণের ওপর। সেই ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করা হয়। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে অপরাধীরা।

মূলত, নিপীড়নকারীদের মধ্যে একজনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল সেই তরুণের। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় নানা নাটকীয়তার পর একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই, গত শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেন ভুক্তভোগী তরুণ। শনিবার সকালে তার মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। 

পুলিশ সুপার (উত্তর) জিতেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তব সোমবার জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী তরুণ তার ভাইয়ের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মাসখানেক সোশ্যাল মিডিয়ায় করণ নামে একজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন আদিত্য নামে ওই তরুণ। একদিন আদিত্যকে চিলুয়াতালে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান করণ। 

গত বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সি ওই তরুণকে চিলুয়াতালের রেল বিহারের একটি হোটেলে নিয়ে যান করণ। সেখানে তার সঙ্গে যোগ দেয় আরও তিন সহযোগী।

অভিযোগ, হোটেলের ওই কক্ষে আদিত্যের ওপর যৌন নিপীড়ন চালান চার যুবক। তরুণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বেল্ট দিয়ে পেটানো হয়। এ নির্যাতনের দৃশ্য তারা ভিডিও করে রাখেন এবং সেটি গোপন রাখার বিনিময়ে টাকা দাবি করেন।

অভিযোগ উঠেছে, এ সময় নির্যাতনকারীরা আদিত্যের মোবাইল ফোন থেকে ইউপিআই ব্যবহার করে টাকা স্থানন্তর করেন এবং বিয়ার কেনেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রথমে শাহপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চিলুয়াতাল এবং শাহপুরের মধ্যে এখতিয়ার সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি।

অবশেষে শুক্রবার ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়। এতে আসামি করা হয় করণ ওরফে আশুতোষ মিশ্র (২৬), দেবেশ রাজনন্দ (২৪), অঙ্গদ কুমার (২১) এবং মোহন প্রজাপতিকে (২০)। এদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোহন এখনো পলাতক। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।


যৌন নিপীড়ন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সমলিঙ্গের বিয়ের অনুমোদন দিলো থাইল্যান্ড

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে থাইল্যান্ড। দেশটির পার্লামেন্টে আয়োজিত ভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে।  মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি। 

থাই পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেট ১৩০ বনাম চার ভোটে এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ১৮ জন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত থাকেন।

পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে থাইল্যান্ডের বৈবাহিক সম্পর্কের আইনে পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে, একজন থাই পুরুষ অপর এক পুরুষকে এবং থাই নারী অপর নারীকে বিয়ে করতে পারবেন।

তবে তার আগে এই আইন দেশটির রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছে পাঠানো হবে। তিনি এতে সম্মতি দিলে রাজার কার্যালয় থেকে একটি আনুষ্ঠানিক গ্যাজেট প্রকাশ করা হবে। গ্যাজেট প্রকাশের ১২০ দিন পর এই আইন চালু হবে।

এর আগে এশিয়ার অপর দুই দেশ তাইওয়ান ও নেপাল সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে।

সমলিঙ্গ বিয়ে   থাইল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হঠাৎ কেন উত্তর কোরিয়া সফরে পুতিন?


Thumbnail

দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর উত্তর কোরিয়ায় ঐতিহাসিক ও বিরল সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সবশেষ ২০০০ সালে তিনি যখন সেখানে গিয়েছিলেন তখন বতর্মান নেতা কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ক্ষমতায় ছিলেন।

চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পুতিনের এবারের সফরটি নানা কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্লেষকরা বলছেন দুই দেশের সম্পর্ক আগের যেকোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী এবং দৃঢ় অবস্থায় রয়েছে, মূলত এ বিষয়টি বোঝাতেই পিয়ংইয়ং সফরে গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো বাড়াতেও সফরে দুই নেতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। আর এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অত্যাধুনিক অস্ত্রের আদান-প্রদান এবং পরমাণু অস্ত্রের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।  

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে টিকে থাকতে এবং জয়ী হতে হলে রাশিয়ার প্রয়োজন বিপুল পরিমান অস্ত্র। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার প্রয়োজন কারিগরি সহযোগিতা। আর তাই পুতিনের এবারের পিয়ংইয়ং সফরে এ বিষয়ে দু্ই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র চুক্তি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দেয় ওয়াশিংটন। প্রায় একই ধরনের অনুমতি দেয় পশ্চিমা আরও কয়েকটি রাষ্ট্র। যদিও, এক্ষেত্রে কেবল রাশিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করেই হামলা চালানো যাবে বলে কিয়েভকে জানায় তারা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেনা অভিযান জোরদারের পাশাপাশি নিজেদের অস্ত্রের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ করার তাগিদ অনুভব করে মস্কো। এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার তৈরি আর কি ধরনের অস্ত্র ভবিষ্যতে রাশিয়ায় সরবরাহ করা হবে তা পুতিনের এ সফরে চূড়ান্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

তবে, এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন, রাশিয়ায় অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের বিনিময়ে এবার কেবল  জ্বালানি ও খাবারের নিশ্চয়তায় সন্তুষ্ট থাকবে না পিয়ংইয়ং। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হওয়ায় এক্ষেত্রে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইতে পারে উত্তর কোরিয়া। এছাড়াও, পারমাণবিক সাবমেরিন ও স্যাটেলাইট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষায়ও মস্কোর কাছে সাহায্য চাইতে পারে দেশটি। 

যদিও, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বিনিময় বা এ সংক্রান্ত যেকোন ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর তাই, পুতিন-কিম বৈঠকে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার সারমর্ম গোপন রাখা হতে পারে বলেও ধরাণা অনেকের।

রাশিয়া   উত্তর কোরিয়া   পারমাণবিক অস্ত্র   ভ্লাদিমির পুতিন   কিম জং উন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন