নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৮
বলা হয়ে থাকে বিমান দুর্ঘটনার ৮০ শতাংশই ঘটে পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। কথাটির সত্যতা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। বিভিন্ন কারণেই বিমান দুর্ঘটনাতে পরতে পারে। এমন অনেক নজির রয়েছে যখন শুধুমাত্র পাইলটের পারদর্শিতার কারণেই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন শত শত যাত্রী।
১৯৮২ সালের ২৪ জুন। ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হিথ্রো থেকে অকল্যান্ড যাচ্ছিল। তখন মাউন্ট গালুংগং এর সক্রিয় আগ্নেয়গিরি তার অবস্থান জানান দিচ্ছিল। বিমানটি জাকার্তার কাছে এসে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কুণ্ডলীর কবলে পড়ে। বিমানের চারটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়! বিমানের ক্যাপটেন এরিক মুডি মাইক্রোফোনে বললেন, ‘ ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ আমি আপনাদের ক্যাপটেন বলছি। আমাদের একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। চারটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে পড়েছে। আমরা এগুলোকে চালু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তখন যাত্রীরা তাদের প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে বার্তা লিখতে শুরু করলেন। আর ক্যাপটেন মুডি হিসেব করে দেখলেন তাঁরা ৯১ মাইল পর্যন্ত খাড়া ভাবে নামতে পারবেন। ১৩ হাজার ৫০০ ফিট খাড়াভাবে নামার পড় ইঞ্জিনগুলো আবার কাজ করতে শুরু করে। এ যাত্রায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল জুন। ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে থাকা সকল যাত্রী।
১৯৯০ সালের ১০জুন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ৫৩৯০ মালাগার উদ্দেশ্যে ৮১জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করল। পাইলটরা তখনো জানতো না বিমানের সামনের উইন্ডস্ক্রিন প্যানেলটি ত্রুটিপূর্ণ। ১৭ হাজার ফিট উপড়ে উড়ন্ত বিমানেই খুলে এলো উইন্ডস্ক্রিন। পাইলট উইন্ডস্ক্রিন দিয়ে অর্ধেক বেরিয়ে এলেন। আর তাঁর বাকি অর্ধেক ভেতরে। কেবিন ক্রুরা তাকে প্রাণপণে টেনে ধরেছেন। এসময় ৩০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে বিমানে বাতাস ধুকতে শুরু করে। কোপাইলট আটকিসন বাতাসের শব্দে কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনা শুনতে পারছিলেন না। নিজ পারদর্শিতায় বিমান রানওয়েতে সাউথহ্যাম্পটনে অবতরণ করলেন। পাইলট ততক্ষণে বাতাসের শীতল স্পর্শে অনেকটাই জমে গেছেন আর একটি হাত ভেঙ্গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের হাডসন নদীতে অবতরণের ঘটনাটি বেশ পরিচিত। ২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি। ইউএস এয়ারওয়েসের ১৫৪৯ ফ্লাইটটিতে এক ঝাঁক কানাডার হাঁস উড়ে এসে আছড়ে পরে। এতেই বিকল হয়ে যায় বিমান। বিমানটিতে তখন ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। ওই বিমানের পাইলট সুলেনবারজার বলেছিলেন পানিতে কীভাবে অবতরণ করতে হয় শুধু শ্রেণীকক্ষেই পাঠ্য পুস্তকে পরেছিলেন। হাডসন নদীতে সফল ভাবে বিমানটি অবতরণ করতে সক্ষম হন পাইলট সুলেনবারজার। তিনি সকল যাত্রীকে প্লেন থেকে নিরাপদে বের করে নিজে উদ্ধারকারী জাহাজে উঠে আসেন।
১৯৭২ সালের ১২ জুন। মার্কিন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৬ লস এঞ্জেলস থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। ডেট্রয়েটে বিরতির পর আবার উড্ডয়ন করলে আকাশেই এই ফ্লাইটের কার্গোর সামনের দরজা উড়ন্ত অবস্থায় ভেঙ্গে পড়ে। বিমনাটি এসময় মাত্র ১৪ হাজার ফিট লিমিটের নিচে নেমে আসে। এতে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় বিমানের ক্যাপটেইন ব্রাইস ম্যাককোমমিক ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে পেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর বিমানের যাত্রীরা সিটবেল্ট বেঁধে অক্সিজেন মাস্ক পড়েন। এর পর তিনি ডেট্রয়েটে অবতরণ করতে সফল হন।
১৯৮৩ সালের ২৩ জুলাই কানাডার ফ্লাইট ১৪৩ গিমিলি গ্লাইডার এর ফুয়েল শেষ হয়ে যায়। পাইলট এত জোরেই ল্যান্ড করেন যে বিমানের টায়র দুটি একরকম উড়ে যায়। তাঁর পরও শুধু মাত্র বৈমানিকের দক্ষতায় সেবার গ্লাইডারের আরোহীরা সবাই বেঁচে যান।
এছাড়া আলোহা ফ্লাইট ২৪৩, ক্যাটপ্যাসিফিক ফ্লাইট ৭৮০ও শুধুমাত্র বৈমানিকের পারদর্শিতা ও সঠিক সিদ্ধান্তে সফল অবতরণ করে। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর সুপারজাম্বো কুন্তাস ফ্লাইট ৪৬৯ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে। এসময় ফ্লাইটে দুটো ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়। এসময় বিমানের একটি পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হলে জ্বালানির ট্যাংকে আগুন ধরে যায়। এই অবস্থায় জাম্বোজেট এ-৩৮০ সঙ্গে ৪৬৯ জন যাত্রী নিয়ে সফল অবতরণ করেন বৈমানিক রিচার্ড চ্যাম্পিয়ন ডে ক্রিস্পেগনি। অবতরণের সময় বিমানের চারটি চাকাই উড়ে গিয়েছিল।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আল-জাজিরার
মন্তব্য করুন
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পাকিস্তানে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১৯ মে) আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে একদল কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মিশরীয় শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রাও রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে খসড়া কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই চুক্তিটি এখন প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বড় ধরনের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি ও বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন ও রিয়াদ। এই চুত্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন ও সৌদি সরকার।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।