প্রকাশ: ০১:০৮ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ত্বরিত গতির সুকন্যা
-শাহানা পরভীন
তুমি সিঁদুর রঙে ভিজে, কলেজের সেই র্যাগিং ছলে,
এক পলকে দোওয়াত কালি খুঁজে ফিরে, চটাস করে হারিয়ে দিলে।
আচ্ছা করে রাঙিয়ে দিলে ওদেরই বালতি ভরা রং ঢেলে।
ভুলে ভালে ক্লাস খুঁজে দিনটি হলো কাবার,
চায়ের কাপে ঝড় তুলে, আনন্দে মাতিয়ে সাবার।
প্রতিক্রিয়ার কী দারুণ ত্বরিত কোড তোমার !
বিধাতা দিয়েছেন বঙ্গমাতার গর্ভে, তোমার জন্মকালে।
সেই শিশুকালে মানবতার ত্বরিত গতিতে বলেছিলে-“আব্বা ,
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ,
রাজবন্দীদের মুক্তি চাই।”
সেই কৈশোরে সাহসিকতার বিদ্যুৎ গতির কোডে বলেছিলে-
“আমি করবো না সই ,
যদি না বাজেট বরাদ্দ পাই ।”
ইটের ‘পরে ইটে শহীদ মিনার গেঁথে,
ঘন্টার পর ঘন্টা বন্দি থেকে,
বুকের পাঁজরে অবিরত সুর তুলে বলেছিলে,
“এই কলেজে শহীদ মিনার চাই।”
তারুণ্যে মা বাবা ভাই সব প্রিয়জনকে হারিয়ে ,
বেদনার আগুনে পুড়ে-
সমস্ত শোককে শক্তি করে,
জন্ম -জন্মভূমি, বাংলা-বাঙালির উন্নয়নের তরে-নিত্য শুভার্থী তুমি।
প্রকাশ্যে সব সত্য জ্বেলে- ভয়হীন,আত্মমর্যাদার সুইফট কোডে -অতন্দ্র প্রহরী তুমি।
পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে-
স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ বির্নিমানে-
এই প্রৌঢ়েও-
শত সাধনা- সংগ্রাম -তারুণ্যের সুইফট কোডে,
বাংলাদেশকে নিয়ে আনখমস্তক ছুটে চলো ,
তুমি বাঙালির পরম আপনজনা, মুজিব সুকন্যা,
বিশ্ব সংসারে তুমিই একজনা, শেখ হাসিনা।
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
মন্তব্য করুন
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় আনা হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ড. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
ড. মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর ফরিদপুরের মধুখালিতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।
তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে: বাংলা বানানের নিয়ম, রবীন্দ্র সাহিত্য রবীন্দ্র ভাবনা, ইতিহাস ও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও লোক সংস্কৃতি এবং বাংলার লোক সাহিত্য: সমাজ ও সংস্কৃতি প্রভৃতি।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছোটকাগজ সম্পাদনায় বিশেষ অবদান রাখায় চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ ‘হৃদয়ে চলনথ এর সম্পাদক কবি হাদিউল হৃদয়। হাদিউল হৃদয় তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি।
শুক্রবার (১২ জুলাই') সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি কণ্ঠে কবিতা সংগঠন থেকে প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনি এ পুরস্কার স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।
সাবিনা ইয়াসমিন বিনুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মল্লিকী। আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌরসভার কাউন্সিলর রোখসানা খাতুন রুপা, পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসনেয়ারা নাসরিন দোলন, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সোহাগ, প্রভাষক আব্দুল কাদের, প্রভাষক আব্দুল মতিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, হাদিউল হৃদয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের পল্লীর নিভূত অজোপাড়া পাড়িল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত্ব মুসলিম পরিবারে জন্ম। তিনি একজন সাংবাদিক ও সাহিত্য কর্মী। মূলতঃ কবিতা দিয়ে শুরু করলেও প্রবন্ধ, মুক্তগদ্য ও ছড়া লিখেন। তার লেখা লিটলম্যাগ ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার সম্পাদনা হৃদয়ে চলন ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২টি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। সম্পাদনার স্বীকৃতিস্বরূপ এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও পুরস্কার।'
মন্তব্য করুন