একাদশ
শ্রেণিতে ভর্তিতে তৃতীয় বা শেষ ধাপে
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল
৮টা থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা আবেদন
করতে পারছেন। শেষ ধাপে আবেদন
চলবে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত
১১টা পর্যন্ত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৫০ টাকা ফি
পরিশোধের পর এ আবেদন
করা যাবে।
এ ধাপের ফল প্রকাশ করা
হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। ২৪
ও ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয়
ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড সমন্বয় কমিটি যদি সময়সীমা না
বাড়ায়, তাহলে আর কারও আবেদন
এবং কলেজে ভর্তির সুযোগ থাকবে না।
জানা
গেছে, একাদশ শ্রেণিতে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হবে আগামী
২৬ সেপ্টেম্বর, যা চলবে ৫
অক্টোবর পর্যন্ত। চলতি বছর বিভিন্ন
কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির ফি নির্ধারণ করে
দিয়েছে সরকার। ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার
৫০০ টাকা। ভর্তি শেষে একাদশ শ্রেণিতে
ক্লাস শুরু হবে ৮
অক্টোবর। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেও
কলেজ পাননি ২২ হাজারের বেশি
শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন জিপিএ-৫ পাওয়া ২
হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীও।
দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ
৯৪ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী
আবেদন করেন। তাদের মধ্যে কলেজ পেয়েছেন ২
লাখ ৭২ হাজার ৮৭০
জন।
এ ধাপেও কলেজ না পাওয়া
শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে তাদের পুনরায়
তৃতীয় বা শেষ ধাপে
আবেদন করতে হবে। আর
প্রথম ধাপে কলেজ পাওয়াদের
মধ্যে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী
মাইগ্রেশনে নতুন কলেজ পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ
মিলিয়ে এ পর্যন্ত একাদশ
শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় রয়েছেন ১২ লাখ ৫১
হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থী।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হিসাবে এখনো সাড়ে ৩
লাখের বেশি শিক্ষার্থী একাদশে
ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত,
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়
পাস করেন প্রায় সাড়ে
১৬ লাখ শিক্ষার্থী। তার
মধ্যে কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখের কিছু
বেশি। বাকি সাড়ে ১৫
লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে একাদশে ভর্তি হওয়ার কথা। ভর্তির প্রথম
ধাপে আবেদন করেন ১৩ লাখ
৭ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে কলেজ পান ১২
লাখ ৬১ হাজার। আর
ভর্তি হবেন বলে নিশ্চিত
(নিশ্চায়ন) করেন ১০ লাখ
২৬ হাজার শিক্ষার্থী।
এছাড়া
দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেন
২ লাখ ৯৪ হাজারের
মতো শিক্ষার্থী। কলেজ পেয়েছেন ২
লাখ ৭২ হাজার। প্রথম
ধাপে নিশ্চায়ন করা এবং দ্বিতীয়
ধাপে কলেজ পেয়ে প্রাথমিক
নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা
সাড়ে ১২ লাখের মতো।
বাকি সাড়ে ৩ লাখ
শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়াতে নেই।
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ কয়েকদফা পিছানো হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
১. এইচএসসির ৮ পরীক্ষা স্থগিত: এবারের এইচএসসি পরীক্ষাদের দুর্ভাগ্যই বটে। ৩০ জুন প্রথম পরীক্ষার দিন, বৃষ্টিতে ভিজে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়েছিল। এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় চলমান এইচএসসির আগামী সপ্তাহের আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট হওয়ার তারিখ ছিল। এ নিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে
এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
নতুন করে চারটি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার আগে এসব পরীক্ষার বিষয়ে তপন কুমার সরকার জানান, আগামী ১১ আগস্টের পর এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ জানানো হয়নি।
২. মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও কলেজ বন্ধ: দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এম খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
৩. প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪. দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ: ২০১৮ সালের পর এবারের দ্বিতীয় দফায় কোটা সংস্কার আন্দোলন মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই শুরু করেছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংসতায় পর্যবসিত হয়। ফলে আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিবেশের প্রেক্ষাপটে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে ক্লাস ছেড়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন আন্দোলনে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা ‘প্রত্যয়’ স্কিম থেকে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন ও প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। এতে করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর কবে নাগাদ এই আন্দোলন শেষ হবে তার সঠিক নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না শিক্ষকরা। ফলে সেমিস্টার জটে পড়তে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন এবং অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংস রূপের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপনী কার্যক্রম দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা বিশিষ্টজনদের।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন, তাতে কোটাসংক্রান্ত জটিলতার অনেকটাই অবসান হয়েছে। আপিল বিভাগ কোটা নিয়ে সরকারের ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্রের মাধ্যমে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছিল। সম্প্রতি রায়ে আপিল বিভাগ ৯৩ শতাংশ সরকারি চাকরি মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটাভিত্তিক করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে আদালত এটাও বলেছেন যে এই কোটা কমানো-বাড়ানো বা বাতিল করার এখতিয়ার সরকারের।
আপিল বিভাগের রায়ে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ আসন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। আদালতের এই নির্দেশনার ভিত্তিতে সরকার ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আন্দোলন পরবর্তী সংঘাতের কারণে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সরকার। ইতিমধ্যে কারফিউ শিথিল করে সীমিত পরিসরে
অফিস আদালত খুলে দিয়েছে সরকার। দৈনন্দিন জীবনযাপন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় নি। তবে
আগামী মাসে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে বলে
আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবিরতা
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় চলমান এইচএসসির আগামী সপ্তাহের আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট হওয়ার তারিখ ছিল। এ নিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি জানান, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন করে চারটি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার আগে এসব পরীক্ষার বিষয়ে তপন কুমার সরকার জানান, আগামী ১১ আগস্টের পর এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ জানানো হয়নি।
এর আগে, কোটা সংস্কার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের, পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চারদিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া এসব পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।' আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব পরীক্ষা ২৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিল।
একই কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণিকার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে একই কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীন পরীক্ষা অনির্দিষ্টকাল স্থগিত
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে আরও তিন দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আন্তশিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
এ ছাড়া সব বোর্ডের অধীনে ২৮ জুলাই ও পরবর্তী পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ কয়েকদফা পিছানো হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।