ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের চুক্তি কি আই ওয়াশ?

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দিল্লির জি২০ এবং পরে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে সফল দুটি সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে ফিরে এসেছেন। এ সফরে তিনি ভিয়েতনামে অনেকগুলো বিনিয়োগ চুক্তি করে এসেছেন যাতে দুই পক্ষই লাভবান হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্বেরঘোষণা দিয়েছে যেখানে চীন, রাশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের কৌশলগত অংশীদারত্ব আগে থেকেই রয়েছে। তবে এর উদ্দেশ্য কি?

কয়েক দশক আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনামের সম্পর্কে অনেক বেশি অগ্রগতি এসেছে। কিন্তু এশিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো সেই পুরোনো ফাঁদেই পড়ে রয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির ফলাফল কী? এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা এড়ানো যায় না। যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম ও বিশ্বকে ভুগতে হতে পারে এর জন্য।

কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো যেতে পারে?

৫০ বছর আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চারজন প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম সফর করলেন। যুদ্ধ-পরবর্তী সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে ২০০০ সালের নভেম্বরে বিল ক্লিনটন হ্যানয় সফর করেন।

২০ বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত ভিয়েতনামের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে শাস্তি দিতে চেয়েছিল। ক্লিনটনের সফরের মধ্য দিয়ে ২৩ বছর ধরে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যে ধারাবাহিকতা, তারই সূত্রপাত করেছিল।

বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালে প্রণীত ব্ল্যাকওয়েলেরে সেই নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এ কারণেই কৌশলগত দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ। তবে ‘কৌশলগত প্রতিযোগিতা’—এ ধরনের শব্দ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৭০ বছরের আগের সময়ে ফিরে যাচ্ছে। কমিউনিস্টদের অভিলাষ ব্যর্থ করে দিতে গিয়ে ৭০ বছর আগে আনাড়ির মতোই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সর্বশেষ সফরটি ছিল এ প্রেক্ষাপট থেকে অনেক বেশি ভিন্ন। এ সফরের উদ্দেশ্য যতটা ভিয়েতনাম, তার চেয়ে অনেক বেশি দেশটির উত্তর দিকের অতিকায় প্রতিবেশী চীন। ব্যাপারটি যদি চীনসম্পর্কিত না হতো, তাহলে বাইডেন হ্যানয় সফরে যেতেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ভিয়েতনাম ঘিরে আমেরিকার এই সর্বশেষ তৎপরতা দেখে কেউই গত ৭০ বছরের ইতিহাসকে উপেক্ষা করে থাকতে পারে না।

১৯৫০-এর দশকের সেই দিনগুলোতে ‘লাল চীনের হুমকি’, আরও বড় প্রেক্ষাপটে কমিউনিস্টভীতি থেকে উদ্দীপনা খুঁজে পেত যুক্তরাষ্ট্র। সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা জোসেফ স্টালিন সবে তখন মারা (১৯৫৩ সাল) গেছেন। বেইজিংয়ে মাও সেতুংয়ের রাজত্ব চার বছরে পড়েছে। মাও সেতুং ‘লাল প্রাচ্যের ঘোষণা দিয়েছেন।

ভবিষ্যৎটা ছিল অনিশ্চিত। কমিউনিজমের অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল। বলা হচ্ছিল, হ্যানয় থেকে জাকার্তাদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কমিউনিজমের বৃত্তে ঢুকে পড়বে। এই পরিবর্তনকে কেবল ঠেকাতে পারে ‘মুক্ত বিশ্বের ‘অগ্রসর শক্তি

সাত দশক পর বিশ্বের অগ্রসর শক্তি আমেরিকা এশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে কমিউনিজমের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ করছে না? কিন্তু সেই একই ধরনের ভাষা ব্যবহারের ঘটনা এখন মার্কিন কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এটিকে তারা বলছেন, নতুন শীতল যুদ্ধ।

এ ধরনের বিপজ্জনক ভাষা ব্যবহারের প্রকৃত মানে কী? বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান, তাতে কি হুমকি তৈরি করছে চীন? এর মানে কি বিশ্বে কেবল একটাই পরাশক্তির প্রয়োজন?

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক ও হার্ভার্ডের অধ্যাপক রবার্ট ব্ল্যাকওয়েল একটি নীতিপত্র লেখেন। এখন এশিয়ায় আমেরিকানরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ভিত্তি সেই লেখা।

লেখাটির শুরু হয়েছে এই প্রস্তাবনা দিয়ে, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই অব্যাহতভাবে মহাকৌশল অনুসরণ করে যেতে হবে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর আধিপত্য অর্জন এবং সেটা ধরে রাখার ব্যাপারে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে হবে। প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর আমেরিকা মহাদেশ, এরপর পশ্চিমা পরিসর ও শেষে বৈশ্বিক পরিসর।

ব্ল্যাকওয়েলের নীতিপত্রটিতে এ যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার ‘পদ্ধতিগত শ্রেষ্ঠত্ব সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং এশিয়ায় তারা সেটা কীভাবে করবে, তা নির্ধারণ করতে হবে।

এই নীতিপত্রে এ ধারণা বজায় রাখা হয়েছে যে চীন ‘দায়িত্বশীল অংশীজন বলে বিবেচিত হতে পারে না। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাদের নিজেদের মহাকৌশলে চীনা সমাজ ও তাদের সীমানার বাইরেও চীন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পথ খুঁজছে। প্রান্তের দেশগুলোকে বশ্যতা মানাতে , আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রকে এটা অবশ্যই নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিতে হবে যে এশিয়ায় চীন মুক্তভাবে রাজত্ব করতে পারে না।

বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালে প্রণীত ব্ল্যাকওয়েলেরে সেই নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। এ কারণেই কৌশলগত দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ। ‘কৌশলগত প্রতিযোগিতা’—এ ধরনের শব্দ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৭০ বছরের আগের সময়ে ফিরে যাচ্ছে। কমিউনিস্টদের অভিলাষ ব্যর্থ করে দিতে গিয়ে ৭০ বছর আগে আনাড়ির মতো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন কিছু প্রশ্ন নিজেদের খুব কম ক্ষেত্রেই করে। কেন যুক্তরাষ্ট্রকে একমাত্র পরাশক্তি হতে হবে? চীনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করার কাজ তাদের কে দিয়েছে? যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা কি বাস্তবসম্মত? বিশ্বের কতটা অংশ যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য দেখতে চায়? আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বহুপক্ষীয় অবস্থান এবং বহুমেরুর বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা কি বৃহত্তর অর্থে শান্তি ও স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দেয় না?

আবারও ভিয়েতনাম ও অন্যান্য দেশকে আমেরিকা পরাশক্তির রাজনীতির মধ্যে টেনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে ভালো সংবাদটা হলো তারা এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী। দুই পক্ষের টানাটানির মধ্যে নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম।

সূত্র: আল-জাজিরা; ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিতভাবে অনূদিত

(লেখক জিম লরি ও সম্প্রচারকর্মী)


জো বাইডেন   ভিয়েতনাম   ভূরাজনীতি   এশিয়া   যুক্তরাষ্ট্র   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির কী হয়েছিল। কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা। আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও।

রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল ছিল বেল ২১২, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‌‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে

সোমবার (২০ মে) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলেল ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।


রাইসি   হেলিকপ্টার   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বাংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বিশ্বনেতারা ইরানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।


ইরান প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফিরতে চান দেশে

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় - হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিরগিজস্তানের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ডা. জেরিত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্তমানে কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষকরাও স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের হতে দিচ্ছি না। তবে আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।

কিরগিজস্তানের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের সবাই মেডিকেল শিক্ষার্থী। ডা. জেরিত বলেন, ‘এখানে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে হোস্টেলে থাকতে হয়। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর কেউ চাইলে বাইরে চলে যেতে পারেন। ফলে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের হোস্টেলে অবস্থান করছেন। অন্যরা বাইরের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন।

হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হোস্টেলে মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়। পরে মিসরীয় শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের মারধর করেন। ঘটনাটি তিন-চার দিন আগের। এরপর সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগিরই বিশকেক সফর করতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ মিসরের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকারকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।


কিরগিজস্তান   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুর্কি ড্রোনে রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

এর আগেত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।


তুর্কি ড্রোন   রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার খবর বলছে, এখনো প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ফলে ঘটনাস্থলে আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে। তাই সময় যতো যাচ্ছে রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়েও ততো উদ্বেগ বাড়ছে।

খবরে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কিংবা হার্ড ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হওয়া রাইসির হেলিকপ্টারটির নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।

ইরানিদের রাইসির জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে আকাশপথে রাইসির অবস্থা শনাক্ত করার কাজও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থলপথে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।


রাইসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন