সরকারের পদত্যাগ
ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ঢাকায় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তরার
আবদুল্লাহপুরে ও যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে দুটি সমাবেশ করবে বিএনপি।
গত সোমবার গুলশানে
বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের পদত্যাগ,
সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা
জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর
ও দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা ফখরুল
ইসলাম ওইদিন ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ১৫ দিনের মধ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর ও ২১ সেপ্টেম্বর
ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা-কেরাণীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে ও ভৈরব-ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে
কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ঢাকায় আজকের
সমাবেশের পর আগামীকাল রোডমার্চের কর্মসূচি রয়েছে। বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালীতে
এ রোডমার্চ হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম
সেলিমা রহমান।
আজ যাত্রাবাড়ীর
সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মির্জা আব্বাস ও ড. আব্দুল মঈন খান। আর উত্তরার
সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা
ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়াও করা হবে।
পরিবর্তিত
কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ অক্টোবর ফরিদপুরে
রোডমার্চ অথবা সমাবেশের নতুন
কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই
সঙ্গে পূর্বঘোষিত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায়
পেশাজীবী সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে ৪ অক্টোবর
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
সাইবার যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলন তথ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গ্রেপ্তার তারেক জিয়া নাশকতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।