ভারত এবং কানাডার
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্য সবক্ষেত্রেই ভারতের সঙ্গে কানাডার
গভীর সম্পর্ক। প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় বসবাস করেন কানাডায়। সম্প্রতি খালিস্তান আন্দোলনকে
কেন্দ্র করে শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে করে মন্তব্য
করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর পর থেকেই দুই
দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। চরম অবনতি হয়েছে তাদের কুটনৈতিক
সম্পর্কের।
কানাডার মোট জনসংখ্যা
৩ কোটি ৭০ লাখ। তার মধ্যে অন্তত ১৪ লাখ ভারতীয়। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির সূত্রে ভারত
থেকে তারা কানাডায় গেছেন। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়ের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৭
শতাংশ।
আর এই কানাডায় প্রবাসী
ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই শিখ ধর্মাবলম্বী। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ রয়েছেন। যা দেশটির
মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। ভারতে শিখদের অনুপাত কানাডার চেয়ে কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার
বিচারে শিখদের সংখ্যা মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
কানাডায় ট্রুডোর
সরকার গঠনে শিখদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার হাউজ অব কমন্সে ১৮ জন শিখ সংসদ সদস্য
রয়েছেন। শিখরা কানাডার রাজনীতিতেও যথেষ্ট সক্রিয়। তাই ট্রুডো বা কানাডার কোনো রাজনৈতিক
দলই শিখদের চটাতে চান না।
বাণিজ্যের বিচারেও
ভারত-কানাডা সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে এই দুই দেশ একে
অপরের ওপর নির্ভরশীল। ২০২২ সালে কানাডা-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের পরিমাণ
ছিল সবচেয়ে বেশি।
কানাডা থেকে মূলত
সার, কয়লা, কোক, ব্রিকেটের মতো উপাদান আমদানি করে ভারত। ভারত থেকে কানাডায় যায় ভোগ্যপণ্য,
যানবাহন, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও পোশাক।
কানাডা সরকারের পরিসংখ্যান
বলছে, ২০২২ সালে ভারত ও কানাডার মধ্যে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার (আমেরিকান) মূল্যের বাণিজ্যিক
আদান-প্রদান হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
কানাডা থেকে ভারতে
বিনিয়োগও কম হয় না। ভারতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তালিকায় ১৭ নম্বরে আছে জাস্টিন ট্রুডোর
দেশ। ২০০০ সাল থেকে ভারতের বাজারে ৩৬০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ কানাডা থেকে আসে।
শিক্ষাখাতেও কানাডার
সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ নিবিড়। ভারতের অনেক ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় যান।
মেধাবী ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কদর আছে কানাডায়।
কানাডায় পড়তে যাওয়া
বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ২০১৮ সাল থেকে ভারত কানাডায়
বিদেশি শিক্ষার্থী সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎসে পরিণত হয়েছে।
কানাডিয়ান ব্যুরো
অব ইন্টারন্যাশানাল এডুকেশনের, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কানাডায় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর
সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার, যা কানাডার মোট বিদেশি শিক্ষাথীর ৪০ শতাংশ।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ হলো
গত ২০ বছরের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ভারত থেকে প্রচুর সংখ্যাক শিখ ধর্মাবলম্বী
মানুষ কানাডায় গেছেন ও সেখানেই থিতু হয়েছেন। মূলত উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানই তাদের
উদ্দেশ্য।
কানাডার সঙ্গে ভারত
সরকারের সম্পর্ক দুই দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থেই ছিল মজবুত। কিন্তু হঠাৎ গত কয়েক দিনে
সেই সম্পর্কে কালোমেঘের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে। কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অনেক অবনতি
হয়েছে।
কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থি
শিখ আন্দোলনকারী হরদীপ সিংহ নিজ্জারকে হত্যা করা হয় গত জুন মাসে। তিনি ছিলেন খালিস্তানপন্থি
সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কেটিএফের প্রধান।
দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ৪৬ বছরের নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরে গুলি করে হত্যা করেন। কানাডা সরকারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘হাত’ রয়েছে। পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে তেমনই দাবি করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ট্রু়ডো।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে
ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ট্রুডো সরকার। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নিজ্জর
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যোগ থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে তার কাছে।
এ বিষয়ে জি-২০ সম্মেলনে তার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা হয়েছে বলেও
জানান ট্রুডো।
ভারতের পক্ষ থেকে
কানাডার অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কূটনীতিককে বহিষ্কারের বিষয়েও কড়া সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি।
কানাডার ঢিলের বদলে
পাটকেল ছুড়তেও দেরি করেনি ভারত। ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক সিনিয়র কূটনীতিককে বহিষ্কার
করে পাঁচ দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত কয়েক বছর ধরেই
কানাডা ও ভারতের সম্পর্কের অবনতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। ২০২০ সালে ভারতে কৃষক আন্দোলন
চলাকালীন সরকারবিরোধী সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে বার্তা দিয়েছিলেন ট্রুডো। কৃষি আইনের
বিরুদ্ধে চলা আন্দোলন নিয়ে কানাডায় ভারতীয়দের কাছে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন তিনি, যা
দিল্লি ভালো চোখে দেখেনি।
কানাডা খালিস্তানপন্থিদের
সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ভারতের। এনআইএ-র পক্ষ থেকে বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী
ও দুষ্কৃতী নেটওয়ার্কে জড়িত ৪৩ জনের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে ভারতে
‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই
কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। কানাডায় খালিস্তানপন্থি বিক্ষোভকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
করে গত মার্চ মাসে ভারত সরকার কানাডার হাইকমিশনারকে তলবও করেছিল।
মূলত, খালিস্তান সমস্যাই ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতির আসল কারণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ভারত কানাডা সম্পর্ক ব্যবসা ছাত্রছাত্রী খালিস্তান নিজ্জার হত্যাকাণ্ড
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দিমিত্রি বুলগাকভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগের পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে পদচ্যুত করা হয় এবং পরবর্তীতে তদন্ত শুরু হয়। এফএসবির এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানান।
দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতির ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় ধরনের কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির অভিযোগে রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও পাঁচজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুলগাকভ তাদের মধ্যে সর্বশেষ।
বুলগাকভের গ্রেপ্তারের পর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন এবং সেনাবাহিনীতে তার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য তিনি বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'হিরো অব রাশিয়া'ও রয়েছে।
রাশিয়া দুর্নীতি উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
চীন ও রাশিয়ার চারটি যুদ্ধবিমানকে
ধাওয়া দিয়েছে আমেরিকা ও কানাডার যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের
আলাস্কার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড
(এনওআরএডি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার ধাওয়া
দিয়ে চীন ও রাশিয়ার সামরিক বিমানগুলোকে আলস্কার আকাশসীমার পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এনওআরএডি বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান
দুটি টিইউ-৯৫ মডেলের ছিল। চীনা যুদ্ধবিমান দুটি ছিল পিআরসি এইচ-৬ মডেলের। শনাক্ত করার
পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যুদ্ধবিমান গিয়ে সেগুলোকে ধাওয়া দেয়।
তবে চীন ও রাশিয়া যুদ্ধবিমানগুলো
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি এবং সেগুলোকে হুমকি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়নি
বলে জানিয়েছে এনওআরএডি।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়া ও চীনের এসব যুদ্ধবিমান ওই এলাকায় যৌথ টহল দিতে
গিয়েছিল। আলাস্কা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে
টহল দিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলো।
অন্যদিকে চীনের প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আলাস্কার উপকূল সংলগ্ন বেরিং সাগরে রাশিয়ার সঙ্গে
কৌশলগত যৌথ টহলে যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছিল। সামরিক সম্পৃক্ততার বার্ষিক পরিকল্পনা মেনে
টহল দেওয়া হয়েছে।
চীন রাশিয়া যুদ্ধবিমান আমেরিকা কানাডা
মন্তব্য করুন
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।
এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:
১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া
২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি
৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি
৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড
৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া
৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ
৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ
৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার
৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ
১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা
১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া
১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি
১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট
এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক। যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি রাখেন। তার সেই দক্ষতা রয়েছে।’
গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির শতাধিক শক্তিশালী নেতা কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেন।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করেন ওবামা। কিন্তু সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি।
এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে ডেমোক্রেটিক দলের অধিকাংশ নেতার সমর্থন পেয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কমলাকে আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী মাসে দলের সম্মেলন রয়েছে। এই সম্মেলনে কে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে ওবামা বলেন, কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তারা অধিক উত্তেজিত নয়। তবে কমলার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তারা (বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা) সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য করুন
তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।
সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।
গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য় মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।
গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে।
এই তাপপ্রবাহের জন্য় খাদ্য-সুরক্ষা ব্য়বস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা যেন আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য় শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে।
২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে।
পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে এদিন জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাপপ্রবাহ জাতিসংঘ আন্তোনিও গুতেরেস
মন্তব্য করুন
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি
তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।