কালার ইনসাইড

জন্মদিনে প্রসেনজিৎকে উদ্দেশ্য করে যা লিখলেন ঋতুপর্ণা

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

টালিউডের জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। দুই দশক জুটি হিসেবে চুটিয়ে কাজ করেছে। গুঞ্জনে শোনা যেত প্রসেনজিৎ-ঋতুর গভীর প্রেমের কথাও। মাঝে দীর্ঘদিন বিরতিতে ছিলেন তারা। তাদের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের কারণেই নাকি ১৪ বছর একসঙ্গে কাজ হয়। যদিও বুম্বা কিংবা ঋতুপর্ণার কেউই এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি।

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ৬১ বছরে পা দিলেন প্রসেনজিৎ। জন্মদিনে প্রিয় মানুষটিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না ঋতুপর্ণা। সাদা-কালো ধুতি পঞ্জাবীতে বার্থ ডে বয়, পাশে লাল পাড় সাদা শাড়িতে ঋতুপর্ণা। এমন একটি পুরোনো ছবি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন  ঋতু।

ছবি শেয়ার করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লিখেলেন, ‘অসাধারণ মানুষটিকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই। যে কাজটাকেও আমাদের কাছে খোলা হাওয়ার মতো করে তোলে। আর আমাদের এই বন্ডিংটা আমার কাছে খুব মূল্যবান। আরও সাফল্য ভাগ করে নেব আমরা। শুভ জন্মদিন। তোমার জীবনের এই বিশেষ দিনটি অনেক ভালোবাসা আর খুশিতে ভরে উঠুক, এই কামনাই করি।

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার প্রেম ছিল, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। এই ব্যাপারে ঋতুপর্ণা একবার জানিয়েছিলেন, ‘২৪ ঘণ্টা একটা মানুষের সঙ্গে থাকলে, কাজ করলে, একটা ভালবাসা, নির্ভরতা তো তৈরি হয়। তবে কি এই ভালবাসা প্রেম নয়? এই উত্তর আমি দেব না, এই প্রশ্নের উত্তর রহস্যই থাক।’

একসঙ্গে প্রায় ৪৮টি ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর থেকে প্রিয় বুম্বাদার সঙ্গে ছবি করে হয়েছেন টালিউডের রানী। তারপর ফের নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তাদেরই পরিচালিত ছবি ‘প্রাক্তন’-এ কামব্যাক করে এই সুপারহিট জুটি। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ঋতপর্ণা-প্রসেনজিৎ'কে নিয়ে নতুন ছবির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। যা হবে তাদের হাফসেঞ্চুরি সিনেমা।


ঋতুপর্ণা   টলিউড অভিনেত্রী   প্রসেনজিৎ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মা হারালেন ফারাহ খান

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান এবং সাজিদ খানের মা মেনকা ইরানি ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। মেনকা ইরানি ছিলেন ডেইজি ইরানি এবং হানি ইরানির বোন। তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেলিম খানের ‘বচপন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে তিনি বেশিদিন পর্দায় ছিলেন না, কারণ খুব অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়।

মায়ের জন্মদিনে ফারাহ খান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন, "আমরা সবাই নিজেদের মাকে অনেক সময়  টেকেন ফর গ্রান্টেড নিয়ে ফেলি, বিশেষ করে আমি। গত মাসে আমি বুঝতে পেরেছি মা মেনকাকে আমি কতটা ভালোবাসি। আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সাহসী ব্যক্তি। এতগুলো অপারেশন করার পরেও তার সেন্স অফ হিউমার অটুট ছিল। শুভ জন্মদিন মা! আজ বাড়ি ফিরে আসার (হাসপাতাল থেকে) জন্য একটি ভালো দিন। আমার সঙ্গে আবার লড়াই শুরু করার জন্য তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি জানি তুমি পারবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।"

তবে, জন্মদিনের দুই সপ্তাহ পরেই মেনকা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইনস্টাগ্রামে পাপারাজ্জির অ্যাকাউন্ট ভাইরাল ভয়ানি ফারাহ খানের মায়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "ফারাহ খান এবং তার ভাই সাজিদ খান এবং তাদের আশেপাশের সবার জন্য জীবন আর একই রকম থাকবে না। তাদের মা স্বর্গীয় আবাসের জন্য যাত্রা করেছেন, এমন একটি শূন্যতা রেখে গেছেন যা কেউ পূরণ করতে পারবে না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।"


ফারাহ খান   মেনকা ইরানি   মৃত্যুবরণ   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিনকে নিয়ে যা বললেন হাসান

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গানের কাজে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাফিন আহমেদ। একটি শো শেষে তিনি আরেকটি শোর প্রস্তুতিতে ছিলেন এবং আয়োজকদের নানা পরিকল্পনাও চলছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভার্জিনিয়ার শো বাতিল করতে হয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে খবর আসে যে শাফিন আহমেদ আর বেঁচে নেই। ভার্জিনিয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা দেশের সংগীতের উজ্জ্বল তারকাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শাফিন আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুর খবর সবাইকে মর্মাহত করে। ভক্ত-শ্রোতাদের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের সহকর্মীরাও এ সংবাদে বিস্মিত হন।

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদে শোকাহত জনপ্রিয় ব্যান্ড 'আর্ক' এর হাসান। তিনি জানান, শাফিন আহমেদ ছিলেন তাঁর আদর্শ। শাফিনের চলাফেরা, কথা বলা, বাজনা বাজানো এবং গান গাওয়া সবকিছুই হাসানের কাছে প্রিয় ছিল। হাসান বলেন, ‘শাফিন ভাইকে অনুসরণ করেই আমি সুর করা শুরু করি। তিনি আমার প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। শাফিন ভাই ছিলেন একজন অনুকরণীয় সংগীত ব্যক্তিত্ব। আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের মতোই, শাফিন ভাইও আমার জন্য একজন শিক্ষাগুরু ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে সবসময়ই কিছু না কিছু শেখার ছিল। বাচ্চু ভাই ও শাফিন ভাই দুজনের কাছেই আমি ছিলাম সন্তানের মতো। শাফিন ভাইয়ের চলে যাওয়া সংগীত জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

হাসান আরও বলেন, ‘মিউজিশিয়ান হিসেবে শাফিন আহমেদ ছিলেন একজন মাস্টার। শিল্পী হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্টাইলিশ। তাঁর গাওয়ার ধরন সম্পূর্ণ ইউনিক ছিল। শুধু কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই নয়, সংগীতজ্ঞ হিসেবেও তিনি ছিলেন অনুকরণীয়। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, শাফিন ভাই নেই। এমন খবর শোনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। দেশ-বিদেশের অনেক মঞ্চে তাঁর সঙ্গে গান করেছি। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁর সঙ্গে বসার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁর স্টুডিও রেকর্ডিং কাছ থেকে দেখেছি। রেকর্ডিং, প্লেয়িং, টেকনোলজি—সব দিক থেকেই তিনি অনেক এগিয়ে ছিলেন। আমিও অনেক কিছু তাঁর কাছ থেকে শিখেছি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মারা গেছেন শাফিন আহমেদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁকে তাঁর বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত করা হবে। শাফিন আহমেদের মরদেহ এখনো ভার্জিনিয়ায় রয়েছে এবং শিগগিরই দেশে আনা হবে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে। তাঁর মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবরও সেখানে রয়েছে। ১৯৭৪ সালে মারা যান কমল দাশগুপ্ত। ফিরোজা বেগমকে বিয়ের পর তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত ও মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন তিনি। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি। 


শাফিন   হাসান   সঙ্গীতশিল্পী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুভি রিভিউ: মহারাজা

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিজয় সেতুপতির ৫০তম সিনেমা 'মহারাজা'র ট্রেইলার প্রকাশিত হয় গেল মে মাসে।  তামিল ভাষায় নির্মিত অ্যাকশন-প্যাকড এই থ্রিলারটি তখন থেকেই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।  গেল মাসে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর আয় করে নেয় ১০০ কোটিরও বেশি রুপি।  সম্প্রতি এটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।  সেখানে স্ট্রিমিংয়ের পর থেকেই ছবিটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। 
  
প্লট:  
কাহিনী শুরু হয় চেন্নাইয়ের পল্লিকারানাইয়ের একটি নাপিতের দোকানে কাজ করা মহারাজা (বিজয় সেতুপতি) নামে এক নাপিতের জীবন নিয়ে।  তার জীবন তার নিজের কাজ এবং মেয়ে জ্যোতিকে ঘিরেই  আবর্তিত।  তার সরল জীবনটা বদলে যায় যখন তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস চুরি হয়ে যায়। মহারাজা থানায় রিপোর্ট করে যে তিনজন ডাকাত তার বাড়িতে ঢুকে তাকে অজ্ঞান করে দেয়।  তবে তারা কোন সোনাদানা বা টাকাপয়সা কিছুই নেয়নি, বরং নিয়ে গেছে তার লক্ষ্মীকে।  তবে, এই লক্ষ্মী তার স্ত্রী, সন্তান কিংবা অন্যকেউ নয়।  বরং এটি একটি পুরানো ডাস্টবিন।  আর এই ডাস্টবিন ফিরে পাওয়ার জন্যই তার যে লড়াই সেটিকে ঘিরেই এগিয়েছে ছবির কাহিনী। 

পুলিশ প্রথমে মহারাজার কথা গুরুত্ব না দিলেও, মহারাজা ডাস্টবিনটি ফিরে পেতে তাদের ঘুষের প্রস্তাব দিলে তারা কিছুটা সক্রিয় হয় এবং ডাস্টবিনটি খুজে দেবে বলে আশ্বাস দেয়।  পাশাপাশি তাদের মধ্যে এমন একটি ধারণা তৈরি হয় যে, এরমধ্যে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু লুকানো ছিল।  যদিও পুলিশকে মহারাজা জানায়, ডাস্টবিনে কিছুই ছিলো না।  ডাস্টবিনটি একসময়ে অলৌকিকভাবে তার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছিল । তাই এটির প্রতি তার এমন গভীর আবেগ।  যদিও, মহারাজার কথা বিশ্বাস হয়না পুলিশের। এক পর্যায়ে ঘুষের লোভে ডাস্টবিনটি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।  যদিও, ছবিটির কাহিনী এতটা সহজ নয়।  এর ভেতরেও লুকানো রয়েছে ভিন্ন এক রহস্য।  মূলত, সিনেমাটি দুই বাবার জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।  একজন বিজয় সেতুপতি এবং আরেকজন অনুরাগ কাশ্যপ। 
 
অভিনয়:  
বিজয় সেতুপতি তার ৫০তম সিনেমায় মহারাজা চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন।  শরীরী ভাষা থেকে আবেগের ভারসাম্য সব কিছুতেই তার চরিত্রের সূক্ষ্মতা তিনি বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।  তার চরিত্রটি যেমন তার মেয়ের জন্য অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড প্রতিশোধপ্রবণ।  তিনি এই দ্বৈততা একইসাথে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

অনুরাগ কাশ্যপও তার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।  এই সিনেমাটিতে অনুরাগ কাশ্যপ ও বিজয় সেতুপতি একজন আরেকজন এর প্রতিপক্ষ হলেও বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও তার মেয়ে ও পরিবারের প্রতি অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড হিংস্র।  বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও এই দ্বৈততা বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

তবে, সিনেমাটির একটি দুর্বল দিক হলো, নির্মাতা শুধু বিজয় সেতুপতির চরিত্রের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুরাগ কাশ্যপসহ অন্যান্য জনপ্রিয় অভিনেতাদের চরিত্রগুলো সেভাবে গড়ে ওঠেনি।  সিনেমাটিতে তারা বিশেষ কোন স্থান দখল করতে পারেনি।  সিনেমাটি আরও গতি পেতো যদি অন্যান্য চরিত্রগুলোও  ভালোভাবে বিকাশ ঘটানো যেত।   
 
স্ক্রিন প্লে ও পরিচালনা  
পরিচালক নিতিলান স্বামীনাথানের গল্প বলার ভঙ্গিমা 'মহারাজা'র অন্যতম সেরা দিক। তিনি একটি সরল পথে গল্পটি বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি একটি নন-লিনিয়ার ফরম্যাটে গল্পটি বলেছেন যা সিনেমাটিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছে।  সিনেমায় কিছু বিভ্রান্তিকর মুহূর্ত থাকলেও এটি পুরো সময়জুড়ে দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম।  গল্পে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানার আগ্রহ তৈরি করতে পরিচালক সফল হয়েছেন। 

সম্পাদনা ও চিত্রগ্রহণ
নন-লিনিয়ার স্ক্রিনপ্লে ও বিভিন্ন সময়ের ফ্রেমগুলো ছবিটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।  সিনেমার একদম শেষ পর্যন্ত পরিচালক দর্শকের মস্তিষ্কের সাথে এক ধরনের খেলা খেলে গেছেন।  যদিও শেষের দিকে এসে অনেকটাই অনুমেয় ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে।  এরপরও এই সিনেমা যেভাবে এর নন লিনিয়ার স্টাইলে গল্প বলে গেছে তাতে ছবিটি শেষ পর্যন্ত দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। 

সিনেমাটিতে কোনো গান কিংবা অতিরঞ্জিত কিছু ছিলনা।  ভায়োলেন্স যা আছে তা সিনেমার গল্প অনুযায়ী মানানসই।  কিছু কিছু দুর্বলতা থাকলেও এটি দর্শকদের অনেকদিন মনে রাখার মতো একটি ছবি।


মহারাজা   সিনেমা   রিভিউ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবীনের প্রথম ছবি ‘সাবা’

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র 'সাবা' মুক্তির আগেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে। মাকসুদ হোসেনের পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন নিজেই।

৪৯তম টরন্টো উৎসব শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

'সাবা' ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে টিভিতে ১৪ বছর অভিনয়ের পর বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ারও ছবিটিতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নতুন এবং উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ বছর 'সাবা'সহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার ২০ হাজার ডলার।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো এনিয়েদি, মারেন আদে এবং এমা সেলিগম্যান।


মেহজাবীন চৌধুরী   সিনেমা   টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। গত ১১ বছর ধরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি এবং এ সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জুয়েলের স্ত্রী সংগীতা গণমাধ্যমকে জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই জুয়েলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করেন এবং বর্তমানে তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’

সংগীতা আরও জানান, জুয়েলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্লাটিলেট সংখ্যা কমে গেছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন জুয়েল দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে ক্যানসার ফুসফুস ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক দুই মাসে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।

জুয়েলের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসার পর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন। প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।


জুয়েল   ক্যানসার   চিকিৎসাধীন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন