চট্টগ্রাম নগরের
কাজীর দেউড়িতে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রোডমার্চ-পরবর্তী সমাবেশের অনুমতি পেল না
বিএনপি। তবে দলীয় কার্যালয়ের সামনের নেভাল অ্যাভিনিউ সড়কে সমাবেশের অনুমতি মিলেছে তাদের।
সমাবেশে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এছাড়া
প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর
শুরু হওয়া ১৫ দিনের রোডমার্চ কর্মসূচি চট্টগ্রাম দিয়ে শেষ হবে আজ। কুমিল্লা থেকে শুরু
হয়ে ফেনী, মিরসরাই হয়ে নেভাল সড়কে এসে শেষ হবে রোডমার্চ কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা জানান,
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষ বার্তা দিতে পারেন। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণাও
আসতে পারে। অতীতের যেকোনো সমাবেশের চেয়ে এবার বিপুল লোকসমাগম হবে বলে ধারণা করছেন নেতা-কর্মীরা।
এতে কমপক্ষে ১৫ লাখ লোকের উপস্থিতি হতে পারে।
কেন্দ্রীয় নেতারা
কী বার্তা দিতে পারেন, জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান
প্রথম আলোকে বলেন, শেষবারের মতো সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হতে পারে, যাতে ক্ষমতা
ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া দলের মহাসচিব তাঁর বক্তব্যে সরকার ও নেতা-কর্মীদের নতুন বার্তা দেবেন।
এদিকে সমাবেশে উপস্থিত
হতে কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেকে বুধবার
চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছেন। নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে আগেভাগে চলে এসেছেন, যাতে
আজ বৃহস্পতিবার আসার পথে বাধার সম্মুখীন না হন। নগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা
রোডমার্চ-পরবর্তী সমাবেশকে ঘিরে উজ্জীবিত।
নগর পুলিশের উপকমিশনার
(নগর বিশেষ শাখা) মঞ্জুর মোরশেদ গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার সপ্তাহের
শেষ কর্মদিবস। শহরে যানজটসহ সব বিষয় বিবেচনা করে কাজীর দেউড়িতে না দিয়ে নেভাল অ্যাভিনিউ
সড়কে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিএনপিকে।
সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাজীর দেউড়ি চেয়ে আমরা পাইনি। তাতে তেমন অসুবিধা হবে না। নেভাল অ্যাভিনিউ সড়কের মুখে মঞ্চ তৈরি করা হবে।’
সমাবেশ রাজনীতি বিএনপির সমাবেশ আন্দোলন চট্টগ্রাম বিভাগ বিএনপি চট্টগ্রাম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ আইজিপি বেনজীর আহমেদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কাজই হচ্ছে ফটোসেশন করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোজার মাসেও আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছি আর তারা ইফতার পার্টি করেছে। বিএনপির সাথে আমাদের নীতিগতভাবেই অনেক পার্থক্য আছে।
বিএনপি বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালনে বার বার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তারা (বিএনপি) সাহায্যের নামে ফটোসেশন করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের যে বাস্তবতা জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এসব দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায়... বিএনপির কথা যদি আমি বলি, একটি বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালনে তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। তারা সাহায্যের নামে ফটোশেসন করে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা যে স্রোতের মতো এসেছে বাংলাদেশে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক সাহায্য করেছেন। তিনি আমাদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন উদারভাবে, যেটা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস রোহিঙ্গাদের সাহায্যে পাশে ছিলাম। তখন দেখা গেছে এক বা বড়জোর দু'দিন ফটোসেশনের জন্য গিয়েছে তারা।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বিভাগীয় টিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করবে। আবহাওয়া উন্নত হলে তারা সেসব এলাকায় যাবেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য সহায়তা করবেন।
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ। তিনি ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারের অনুকম্পায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। অথচ এই জামিনের জন্য বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল। আন্দোলন করে কোন লাভ হয়নি। জামিন পাওয়ার জন্য তারা আইনের আশ্রয় নিয়ে মাঝ পথে থেমে গেছে। এখন সরকারই তাকে তার বাসভবনে থেকে চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছে। রাজনীতিতে তিনি নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বেগম খালেদা জিয়ার একধরনের অনাগ্রহ তৈরী হয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, এখন বিএনপির পুরো কর্তৃত্ব তারেক জিয়ার হাতে। তারেক জিয়া যা বলছে, সেটি বিএনপির চূড়ান্ত এবং শেষ কথা বলেই বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যেই গতকাল জামায়াতের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আম এবং লিচু পাঠানো হয়েছে।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজিজ-বেনজীর কার সৃষ্টি? তাদের (সরকার) সৃষ্টি। আজিজের অবস্থান কোথায় ছিল? কোথা থেকে তাকে কোথায় টেনে তোলা হয়েছে। এখন বেনজীর আহমেদের হাজার হাজার অপকর্ম বের হচ্ছে, সবই লুটের ফিরিস্তি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে কোটালীপাড়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বলেছেন, এখন একটাই কাজ তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা। এই কথাটি তিনি খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কিছু বলেন তখন নিশ্চয়ই তার কার্যকারণ থাকে এবং ভেবে চিন্তে তিনি কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।