ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে এক হাত নিলেন মান্না

প্রকাশ: ০৪:৫১ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সমসাময়িক রাজনীতিক। তারা একসঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছেন। ডাকসু নির্বাচন করেছেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির বাইরেও তাদের মধ্যে একটা চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান।

সম্প্রতি বন্ধু ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাইডেনের ওপর কি স্যাংশন দিতে পারেন? যা মনে হয় তাই বলেন। খেয়াল করবেন প্রায় অপ্রকৃতস্থ (একজনের) পাল্লায় পড়েছেন সেই দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনিও আরেক পাগল হয়েছেন— কা কা করতে থাকেন। 

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরোনা পল্টনের কালভার্ট রোডে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মান্না আরও বলেন, সে (ওবায়দুল) যাই করুক না কেন, ভদ্রলোক আমার একসময়ের বন্ধু ছিলেন, এখনো বন্ধু আছেন। একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন করেছি। কেউ জিতেছি, কেউ হেরেছে সেটা অন্য কথা। উনি (কাদের) আজকাল এমন এমন কথা বলছেন, মানুষ এখন হাসে। 

কয়েক দিন আগে কাদের বললেন ‘তলে তলে আপস’ হয়ে গেছে। মানে কী? আপস করে কি স্যাংশন র্যারেব ওপর থেকে উঠে গেছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি ওঠে গেছে। বলছেন আপস হয়ে গেছে। আবার বলছেন, আমরাও স্যাংশন দেব। এগুলো বলতে লজ্জা করে না তার।  

তিনি আরও বলেন, তারা বলল আমেরিকা ভারতকে ছাড়তে পারবে না। আর আমরা ভারতের সঙ্গে আছি। তা হলে আমার প্রশ্ন— ভারতের সঙ্গে থাকলেই যদি কাজ হয়, তা হলে বাইডেনের সঙ্গে কেন সেলফি তোলা লাগে? কেন বাইডেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে হয়— এটি আমার প্রশ্ন। 

মান্না বলেন, কেন গ্রিন কার্পেট রেখে বাম পাশ দিয়ে সেলফি তোলার জন্য বাইডেনের কাছে গেলেন। কোনো একজন সরকারপ্রধানকে কেন বাধা দিতে হলো। 

ওবায়দুল কাদের   মাহমুদুর রহমান মান্না   নাগরিক ঐক্য   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে বিদেশে দুই ডজনের বেশি বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সরকার পতনের এক দাবি আদায়ের আন্দোলন ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বরং নির্বাচনের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে দলটি। এখনও প্রতিনিয়ত সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করছেন দলের নেতারা। শিগগিরই সরকারের পতন হবে বলেও বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটি আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করবে বলেও দাবি নেতাকর্মীদের। ইতোমধ্যে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে বিএনপি। গত মে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজো কমিটি। কিন্তু বিএনপি যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সে সময় আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে বিদেশে অবস্থান করছেন দলটির দুই ডজনের বেশি কেন্দ্রীয় নেতা। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলসহ নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন এখন বিদেশে আছেন। এদের অনেকেই দেশে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বিদেশে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আবার কয়েকজন গেছেন উন্নত চিকিৎসা নিতে।

জানা যায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে পলাতক আছেন। সেখান থেকে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে এখন বিদেশে রয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। চিকিৎসার কাজে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ। চলতি বছরের মার্চে ভারতের শিলং আদালত তাকে খালাস দিলে কিছুদিন পর তিনি দিল্লি যান। সেখানে তিনি স্ত্রীসহ অবস্থান করছেন।

উপদেষ্টাদের মধ্যে বিদেশে রয়েছেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন, ড. ওসমান ফারুক ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্ক্রিয় রয়েছেন অ্যাডভোকেট হারুন আল রশিদ ও মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসানসহ আরও কয়েকজন।

২০৯ জন জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক পদ শূন্য, অনেকে নিষ্ক্রিয় আছেন। এর মধ্যে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য যারা, তাদের মধ্যে বিদেশে রয়েছেন আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মুহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নওশাদ জামির (বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকেন), তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন (বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকেন), সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন খোকন, নাজমুল আবেদীন মোহন, বেবি নাজনীন ও শাকিরুল ইসলাম শাকিল ও প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আব্দুস সালাম।

২৯৩ জন জাতীয় নির্বাহী কমিটির মধ্যে বিদেশে রয়েছেন গাজী শাহজাহান জুয়েল, শেখ সুজাত মিয়া, আলী আজগর লবী, মোশারফ হোসেন, কয়ছর এম আহমেদ, আব্দুল লতিফ সম্রাট, মির্জা খোকন, সাইদুর রহমান লিটন ও ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী। নিষ্ক্রিয় রয়েছেন রওশান আরা ফরিদ, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম দুলাল, মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, লুৎফুল লতিফ, এসএ খালেক, আহমেদ ইকবাল হাসান, খুরশিদ আলী মোল্লা, অধ্যাপক রেজাউল করিম, জামাল শরীফ হিরু, জিএম ফজলুল হক, সাইমুন বেগম, এম শামসুল আলম, এমডিএম কামালউদ্দিন চৌধুরী, খালেদা রব্বানী, শহিদুজ্জামান বেল্টু, কাজী মনিরুল হুদা, মতিয়ার রহমান তালুকদার, ফারুক আহমেদ তালুকদার, জিবা খান, নুরুল ইসলাম খান, নাছিমা আক্তার কল্পনা, এসএম শফিউজ্জামান খোকন, সেলিনা রউফ চৌধুরী, রিজিয়া পারভীন, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তাহমিনা আওরঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে অনেকে আবার বিএনপির জেলা কমিটির শীর্ষ পদে আছেন।

মালয়েশিয়া আছেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান।


বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি সমর্থন করি না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সেজন্যই বলি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আপনারা গবেষণা করুন। থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করুন।

রোববার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জামায়াতের ছাত্রশিবিরের স্টাডি সেল আছে। তাদের প্রত্যেককে লেখাপড়া করতে হয়। নিজেরা বই-পত্রিকা প্রকাশ করে। জ্ঞানের চর্চা ছাড়া সফল হতে পারবেন না।’

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পত্রিকা খুললে শুধু লুট আর লুট। তারা দেশ থেকে লুট করে বিদেশে পাচার করছে। ক্ষমতা চলে গেলেই বিদেশে চলে যাবে। যারা রাষ্ট্রের বড় দায়িত্বে, তারা লুটপাট করছে। সংসদ সদস্য চোরাচালানে জড়িত। শেয়ারবাজারে রথী-মহারথীরা লুটপাট করছে। কেউ দরবেশ, কেউ সন্ন্যাসী বেশে এসব কাজের সঙ্গে জড়িত। কোনো জবাবদিহি নেই, চিন্তা নেই। একটাই ভাবনা-ক্ষমতায় থাকতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে রক্ষী তৈরি করেছে এই সরকার।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মাথাপিছু ঋণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শর্তে যেসব ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সুস্থ মানুষের দেশপ্রেম থাকলে এগুলো করতে পারতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সব প্রতিকূলতা থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে জিয়াউর রহমানকে জানতে হবে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করলে হবে না। জেনে শুনে রাজনীতি করতে হবে। জিয়াউর রহমানকে বুঝতে হলে তার কাজের গভীরে যেতে হবে। এখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলা যায় না। সত্য বললে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নূরুল আমিন ব্যাপারী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম।

জামায়াতে ইসলামী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বেনজীর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে’

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ যদি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে দেশে ফিরে আসতেই হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেনজীর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচার হবেই, একদিন না একদিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।বেনজীর ইস্যুতে যদি অন্য কারও গাফিলতি থাকে তবে তাদেরও বিচার হবে বলে জানান তিনি।

রোববার ( জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে। এটা একটা প্রক্রিয়া। সরকার আগবাড়িয়ে কিছু করতে পারে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের কথা বলতে হলে তারেক রহমানের কথা আগে বলতে হবে। তারেক দণ্ডিত হয়ে পাচারকৃত টাকা দিয়ে বিদেশে বসে আয়েশি জীবনযাপন করছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ যে এত অন্যায় করল তখন গণমাধ্যম কী করতেছিল। সাংবাদিকরা একটা সংবাদও প্রচার করল না কেন?


বেনজীর   আইন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ১০ দফা কর্মসূচি

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২৩ জুন দেশের প্রাচীন বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর-‘প্লাটিনাম জয়ন্তীউদযাপন করবে দলটি।শনিবার ( জুন) রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসা আকাঙ্ক্ষাকে ধারন করেই আওয়ামী লীগ পথ চলেছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদেশের মানুষের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সাফল্য-সংগ্রামের পথ ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১০ দফা কর্মসূচি

. ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজ পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ।

. দলের সব সাংগঠনিক শাখায় বছরব্যাপী উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ। তৃণমূলের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ।

. রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আনন্দ র‌্যালির আয়োজন। একইসঙ্গে সকল দলীয় কার্যালয় স্থাপনায় আলোকসজ্জা, আনন্দ র‌্যালি, সভা-সমাবেশ, সেমিনার আলোচনা সভা আয়োজন।

. সারাদেশে এতিমখানা হাসপাতালে এবং কর্মজীবী, গরীব, অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।।

. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন।

. ক্রোড়পত্র, বিশেষ স্মরণিকা গ্রন্থ প্রকাশ এবং পোস্টার, ব্যানার আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপযোগী পোস্টার, ব্যানার ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রচার

. বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন।

. ডকুমেন্টারি চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ।

. দলের সর্বস্তরের প্রবীণ নেতাদের সম্মাননা প্রদান।

১০. প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যেসবুজ ধরিত্রীকর্মসূচি গ্রহণ।

বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর, ইউনিয়ন ওয়ার্ডসহ সকল শাখাসমূহে কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন ওবায়দুল কাদের।


প্লাটিনাম জয়ন্তী   আওয়ামী লীগ   কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীর মর্যাদা দাবি: ছাত্রলীগ নেতার কাছে ছাত্রলীগ নেত্রীর

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিকভাবে বিয়ের স্বীকৃতি স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করতে গিয়ে ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় কমিটির এক সহসভাপতির কাছে মারধরের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। তার ভাষ্য, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের ওই নেতা তাকে বিয়ে করেছেন এবং জোর করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। অভিযোগকারী তরুণী ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী। তবে বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শাহাদাত বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। বন্ধুত্বের বাইরে তাদের আর কোনো সম্পর্ক ছিল না; বরং অনেক দিন ধরে তাকেই মানহানিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, শাহাদাতের প্রতারণা নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এতে বলা হয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক। এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অন্যায়ের বিষয়ে তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেন। ওবায়দুল কাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী গত এপ্রিল মীমাংসার সময় নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু এর দুদিন আগে পারিবারিকভাবে সমাধানের কথা বলে শাহাদাত তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, বাসায় যাওয়ার পর সমাধানের পরিবর্তে শাহাদাত তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারে এবং গুরুতর জখম করে। নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯- কল করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। ঘটনায় তিনি মানসিক শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

অভিযোগপত্রে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকেই শাহাদাত আমার পরিবারের সবার নামে মামলা দেওয়া এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি প্রদান আমার মান-সম্মান যাতে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করার হুমকি দেয়। তাই তার এসব কার্যকলাপে আমি আতঙ্কিত। ২০১৬ সালে মুসলিম আইন অনুসারে আমাদের বিয়ে হয় এবং সব ডকুমেন্ট নিজের কাছে আটকে রাখে। পরে তা অস্বীকার করে।

বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ মে হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। এতে বলা হয়, ‘ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত আমার স্বামী। তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। পারিবারিক কলহের পর সে গত ১৮ মে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেবে বলে হুমকি প্রদান করেছে।এর আগে গত বছরের নভেম্বর একই থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে শাহবাগ থানায় করা আরেকটি জিডিতে তিনি (ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত) উল্লেখ করেন, গত এপ্রিল ওই তরুণী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে শাহাদাতকে বলেন, তার (তরুণী) কথা যদি শাহাদাত না শোনেন এবং কথামতো যদি কাজ না করেন, তাহলে তিনি তার কণ্ঠ নকল করে এআই বা অ্যাপের মাধ্যমে অপ্রীতিকর মন্তব্য ছোট ছোট অডিও ক্লিপ বানিয়ে সবার কাছে পাঠাবেন। কণ্ঠ ক্লোন করে এসব ক্লিপ বানানো হবে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নিয়ে, যাতে প্রয়োগ করা হবে খারাপ অশ্লীল শব্দ।

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘গত ২৪ মে বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সাংগঠনিক ব্যস্ততা থাকায় নিয়ে কাজ করতে পারিনি। শিগগির আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ছাত্রলীগ   সাদ্দাম   ইনান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন