ইনসাইড বাংলাদেশ

আন্দোলনের নামে দুর্বৃত্তপনা করলে ছেড়ে দেবো না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা আন্দোলন করছে, করুক। আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে দুর্বৃত্তপনা করলে কিন্তু ছেড়ে দেবো না। আইনজীবী ও বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মানুষের পাশে থাকবেন। যেখানেই অন্যায় দেখবেন, অন্যায়কারী যেন সাজা পায় সে জন্য কাজ করবেন।

শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও আইনজীবী মহাসমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কেউ কারো ধর্মের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশে যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেন কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা না হয়। মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাই। আইনজীবীদের জন্য প্রতিটি জেলায় বিশেষ প্লটের ব্যবস্থা করে দেবো। সাথে সাথে আমার একটি অনুরোধ থাকবে আপনারা সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আপনাদের ফান্ড, যেটা জাতির পিতা করে দিয়েছেন, সেটাতে আমি ৩০ কোটি টাকা দেবো। আপনারাও সাধারণ আইনজীবীরা এতে কন্ট্রিবিউট করবেন।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে আমাকে আগেই গ্রেফতার করেছে। আমি কৃজ্ঞতা জানাই, যখন গ্রেফতার করেছে, আপনারা আইনজীবীরা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিনিয়ত একটার পর একটা মামলা দিয়েছে। আমাকে হয়রানি করেছে। আমি কিন্তু টলিনি। নিম্ন আদালতের পাাঁপাশি উচ্চ আদালতের আইনজীবীরাও পাশে ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়েনে করেছি। দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল, আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, দুর্নীতি করতে তো আসিনি। পরে এটা আদালতে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।

তিনি বলেন, স্মার্ট জুডিসিয়ারি করার উদ্যোগ হিসেবে ই-জুডিসিয়ারি চালু করেছি। জেলে ভার্চুয়াল কোর্ট বসানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি আইনগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি একটি দাবি আছে, আইনজীবী ভবন করে দেওয়ার। আর্থিকভাবে যত স্বচ্ছলতা আসবে, ধীরে ধীরে সব জেলায় এটা করে দিতে পারবো। তবে এখানে একটা শর্ত আছে, সেখানে আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও ফান্ড থাকতে হবে। আপনারা একটা ফাণ্ড গঠন করেন, সেখান থেকে কিছু দেন আমিও কিছু দিবো।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০১ এ বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত এসেছে ক্ষমতায়। তারা দেশের অর্থপাচার করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দেশ বানিয়েছে। সারাদেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। বেঁচে গেছি, এটা ঠিক। কিন্তু তারা দেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছে।

তিনি বলেন, খুনিদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছেন। সে সময় আমি দেশে ফিরে আসি। দেখি, ক্ষমতাসীনরা উচ্ছ্বিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোকের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন কিন্তু জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আমি গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে বেড়াই। মানুষের কষ্ট দুর্দশা দেখি। পরে ২১ বছর পর আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে জিয়াউর রহমানের সহায়তায় বেঈমান মোস্তাক ক্ষমতা দখল করে। টিকতে পারেনি। আসল চেহারা নিয়ে বেরিয়ে আসে জিয়া। ক্ষমতা দখল করে। ইনডেমনিটি জারি করে আমাদের বিচার থেকে বঞ্চিত করে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করে। নিজেই দল গঠন করে কারচুপি করে ২/৩ শতাংশ মেজোরিটি দিয়ে সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করে।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজও তিনি শুরু করেছিলেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করে দিয়ে যান। বিচার কাজে নারীদের যাওয়ার পথ সুগম করেন জাতির পিতা। তার হাত ধরে আমরা সেটা আরও সহজ করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার সুফল যেমন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আত্মনিয়োগ করেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিচার বিভাগের দিকেও নজর দিয়েছেন। মাত্র ১০ মাসে একটা সংবিধান উপহার দেন। যেটা বিশ্বের কোনো দেশ দিতে পারে নাই। তিনি আইনের শাসনে বিশ্বাস করতেন। তার হাত দিয়েই বাংলাদেশের বিচার কাঠামোর গোড়াপত্তন। তিনি ৭২ সালে বার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। ৭৩ সালে তাদের ৪৪ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেন এবং আইনজীবীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফাণ্ড গঠন করে দিয়ে যান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে ৬ দফা দিয়েছেন। যতবার তিনি এদেশের মানুষের জন্য কথা বলেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন, জেল খেটেছেন। সাজাও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু থেমে যাননি। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই্ আমাদের পথচলা।

আইনজীবী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আরো বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও আইন সচিব গোলাম সরওয়ার। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধুর আইনী দর্শন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

 


বিএনপি   জামায়াত   আইনজীবী   সমাবেশ   প্রধানমন্ত্রী   আন্দোলন   করুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব পদে তুষারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপপ্রেস সচিব পদ থেকে হাসান জাহিদ তুষারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি হওয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি প্রজ্ঞাপনটিতে সই করেছেন। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান হাসান জাহিদ তুষার। এর আগে ২০১৯ সালের ৪ মার্চ এ পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব   হাসান জাহিদ তুষার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাগাসাকিতে বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাপানের নাগাসাকি শহরের পিস পার্কে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত একটি শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (২৮ মে) এ শান্তি স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি।

স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নাগাসাকির মেয়রসহ এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত কর্তৃক নকশাকৃত ৩ মিটার উচু এ স্মৃতিস্তম্ভটি  কালো গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওর সহযোগিতায় স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর। 

অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার সময়ের সাথে মিলিয়ে বেলা ১১ টা ২ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি শান্তি-স্মৃতি (পিস মেমোরিয়াল) জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও সেখানে দর্শনার্থী বই-এ মন্তব্য লেখেন। 

দুপুরে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। মধ্যাহ্নভোজের বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার জন্য মেয়র সুজুকিকে ধন্যবাদ জানান। 

অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান, দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদ এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোঃ ইমরানুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একটি পারমাণবিক বোমামুক্ত, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের অন্বেষণে জাপানের জনগণকে ও বিশ্বে 'শান্তির সংস্কৃতি'র বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করেন। 

নাগাসাকি   শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ   গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী   র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক, কাউকে সরকার সুরক্ষা দেবে না’

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেউ অপরাধ করলে তিনি যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, কাউকে সুরক্ষা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বুধবার (২৯ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে জাতীয় কমিটির তৃতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সাবেক সেনাপ্রধান এবং পুলিশ প্রধানের অনিয়মের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এ নিয়ে সরকার বিব্রত কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্টভাবে বলেছেন, কেউ যদি আইন ভঙ্গ করেন‌, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘এখানে সরকার কোনো এম্বারাসমেন্ট (বিব্রত অবস্থা) হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আইন নিজের গতিতে চলবে। তিনি যেটা বলেছেন, লোকটা যতই ইনফ্লুয়েনশিয়াল (প্রভাবশালী) হোন না কেন, সরকার কোনোরকম প্রটেকশন কাউকে দেবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে।’

ভারতে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য খুন হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কিন্তু এটা নিয়ে খুবই শকড (ব্যথিত) হয়েছি। আপনারা জানেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার মনে হয় এটার ওপরে কমেন্ট করা ঠিক হবে না।’


সালমান এফ রহমান   সেনাপ্রধান   পুলিশ প্রধান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: শাহজাদপুরে বেলা ১২ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২০ শতাংশ

প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরমধ্যে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছন উক্ত নির্বাচনের উপজেলা কন্ট্রোল রুমের দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিল্লাল হোসেন।

 

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে।

 

তিনি আরও জানান, ১৪ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ৪ প্লাটুন বিজিবি,০৪ সেকশন আনসার ব্যাটালিয়ন, র‌্যাবের ০২ টি টীম, পুলিশের ৩৩ টি মোবাইল ও ০৩ টি স্ট্রাইকিং টীম সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছে। তাছাড়াও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। 

 

উল্লেখ্য, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাচনে পৌরসভা ১৩ টি ইউনিয়নে ,৬৩,১০০ জন ভোটার ১৬০ টি কেন্দ্রে ১৪০১ টি বুথে ভোট প্রদান করবে।'


উপজেলা নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   ভোটার উপস্থিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে ওয়ান শুটারগান সহ অস্ত্র কারবারি আটক


Thumbnail

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১০টি দেশীয় ওয়ান শুটারগানসহ আব্দুর রশিদ ব্যাপারী (৩৬) নামের এক অস্ত্র কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-৫।

আজ বুধবার (২৯ মে) ভোরে বাঘা উপজেলার আলাইপুর নাপিতপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তর নেওয়া হয়। আটক আব্দুর রশিদ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী এলাকার আইনুল ব্যাপারীর ছেলে বলে জানিয়েছে র‌্যাব-৫। সকালে র‌্যাব-৫ এর সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ এর একটি দল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাঘা উপজেলার আলাইপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই অস্ত্র কারবারিকে আটক করা হয়। পরে ওই বসতবাড়িতে তল্লাশি চালান র‍্যাব সদস্যরা।

এ সময় বড় একটি টিনের বাক্সের ভেতর কসটেপ ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১০টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছেন তিনি পেশায় প্রাইভেট গাড়ি চালক। তবে এই পেশার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে অস্ত্র-গুলি সংগ্রহ করেন এবং পরে সুবিধামত সময়ে রাজশাহীসহ নিজ এলাকার বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করে আসছিলেন। এছাড়াও অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকায় নিজ আধিপত্য বিস্তার করে মাদক ব্যবসাসহ অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজের দখলে রেখেছিলেন তিনি।

র‌্যাবের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিককালে উত্তরবঙ্গে এটিই অবৈধ অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হবে। থানায় দুপুরের মধ্যেই তার নামে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হবে বলেও র‌্যাবের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


ওয়ান শুটারগান   আগ্নেয়াস্ত্র   অস্ত্র কারবারি   আটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন