নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০১৮
স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের জীবন এখন অচল। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা দুটোই বাড়ছে। স্মার্টফোন দিয়ে এখন দৈনন্দিন জীবনের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়, যার ফলে আমরা এখন এর প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। কিন্তু স্মার্টফোন নিয়ে আমাদের মধ্যে কাজ করে কিছু ভুল ধারণা। এমন ধারণার কারণে অনেক সময়ই পড়তে হয় ঝামেলায়। জেনে নিই কী সেই ভুল ধারণা এবং সঠিকটি কী:
নেটওয়ার্ক সিগন্যাল
মোবাইলে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল কেমন তা জানতে প্রথমেই মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকাই আমরা। স্ক্রিনে কতগুলো নেটওয়ার্ক বার দেখা যাচ্ছে সেটা দেখি। কিন্তু এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নেটওয়ার্ক বার সংখ্যার সঙ্গে মোবাইল সিগন্যাল স্ট্রেনথ-এর কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ বার বেশি হলে সিগন্যাল ভালো এমনটা কিন্তু নয়। নেটওয়ার্ক বার বোঝায় মোবাইলের কতটা কাছে সিগন্যাল টাওয়ার রয়েছে। এই বার হলো হ্যান্ডসেটের শক্তিশালী সিগন্যালের চিহ্ন।
ওভারনাইট চার্জিং
সারা রাত চার্জ দিলে নাকি ফোনের ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়। এই ধারণা আমাদের বেশির ভাগেরই রয়েছে। কিন্তু স্মার্টফোন কিন্তু আসলেই অনেক স্মার্ট। স্মার্টফোনকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে ১০০% হয়ে গেলে অটোমেটিক চার্জ বন্ধ হয়ে যায়। তাই প্রযুক্তিগত সমস্যা না থাকলে ওভারনাইট বা সারারাত চার্জে কোনো ক্ষতি হয়না।
চার্জার
যে কোনো মোবাইল চার্জার দিয়েই আমরা স্মার্টফোনে চার্জ দেই। কিন্তু আমরা জানি না যে এটা একদমই ঠিক নয়। নিয়মিত অন্য চার্জার ব্যবহার করলে মোবাইল ব্যাটারির বড় ক্ষতি হয়।
এইচডি ডিসপ্লে
কোয়াড এইচডি ডিসপ্লে আর ফুল এইচডি ডিসপ্লে— এই দুটোর মধ্যে অনেকেই ভাবেন যে কোয়াড এইচডি ডিসপ্লে বেশি ভালো। ৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের মোবাইলে কোয়াড এইচডি ডিসপ্লে-র পিক্সেল ডেনসিটি ৫৩৮ পিপিআই (পিক্সেল পার ইঞ্চি) এবং ফুল এইচডি ডিসপ্লে-র ৪৪০ পিপিআই। কিন্তু বিজ্ঞান বলে, ৩২৬ পিপিআই-য়ের বেশি পিক্সেল ডেনসিটির পার্থক্য মানুষ সেভাবে বুঝতে পারেনা।
ভাইরাস
অনেকেই ভাবেন, আমার ফোন যথেষ্ট ভালোমানের। তাই কোনো ভাইরাস এতে আক্রমণ করবে না। কিন্তু এটা ভুল। যেকোনো সময়ে যেকোনো ভাইরাস ভালো-মন্দ সব ফোনেই আক্রমণ করতে পারে।
কার্যক্ষমতা
মোবাইলের কার্যক্ষমতা বোঝার জন্য আমরা নির্ভর করি এর ‘কোর’ এর ওপর। যত বেশি কোর হবে তত বেশি ক্ষমতা হবে। যেমন ডুয়াল কোরের চেয়ে কোয়াড কোর এবং তার চেয়ে অক্টাকোর বেশি ক্ষমতাশালী বলে মনে করা হয়। প্রযুক্তি অনুযায়ী এটাই ঠিক। প্রসেসরে যত বেশি কোর, তত বেশি মাল্টি টাস্কিংয়ের সুবিধা। ফলে যে কোনও অ্যাপ্লিকেশন ভালো চলার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয় সিঙ্গেল কোর বা ডুয়াল কোর প্রসেসরের জন্য। ফলে একাধিক কোর থাকলেও অ্যাপগুলি তা ব্যবহার করতে পারে না। আর তাই বেশি কোরের প্রসেসরযুক্ত অ্যানড্রয়েড ফোনের চেয়ে সিঙ্গেল কোর অ্যাপলের স্পিড বেশি।
সূত্র: আনন্দবাজার
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।