নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০১৮
বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে সমঝোতা না হলে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপি চায় সরকার। বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় সরকার পক্ষ থেকে এরকম সংকেত দেওয়া হয়েছে। সরকার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ‘মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে আরেকটা বিএনপি সরকার যেকোনো সময় গঠন করতে পারে। কিন্তু সরকার সেটা চায়না।’ আপিল বিভাগ কর্তৃক বেগম জিয়ার জামিন স্থগিত হবার পর দ্রুত সমঝোতার জন্য সরকার বিএনপিকে আলটিমেটাম দিয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই বিএনপি বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলে দলটির ভাঙন প্রক্রিয়া শুরু হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেবে। জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং নজরুল ইসলাম খান ছাড়া সবাই মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দেবেন। কার্যনির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে বরকতউল্লাহ বুলু, মীর নাসির, এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী ছাড়া বাদ বাকিরা বিএনপির মহাসচিবের প্রতি আস্থাশীল। যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন এবং হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ছাড়া সবাই মির্জা ফখরুলের পক্ষে। একটি সূত্র বলছে, কার্যনির্বাহী কমিটির ৮০ ভাগ সদস্যই মির্জা ফখরুলের পক্ষে। চলতি মাসের মধ্যে যদি বেগম জিয়ার বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্যারোল আবেদন না করা হয় তাহলে আলাদা বিএনপি গঠন ত্বরান্বিত হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীরা এটাকে আলাদা বিএনপি বলতে রাজী নন। বরং তারা মনে করেন এটাই আসল বিএনপি। এখানে শুধু বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে বাদ দেওয়া হবে। অবশ্য এই দুজনকে দল থেকে বাদ দিলে কয়েকজন দলে বিদ্রোহ করতে পারেন। নতুন বিএনপি গঠনের প্রক্রিয়াকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি চেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার আবেদন করবেন। এরকম আবেদন করলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর প্যারোলের ব্যবস্থা করবে। প্যারোলে মুক্তি পেলে বেগম জিয়া আগামী নির্বাচন করবেন না। কিন্তু ৩১ মার্চের মধ্যে এরকম ঘোষণা না হলে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র নেতারা গঠনতন্ত্রের ৭ধারা পুনরুজ্জীবিত করবেন। দলের বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে দলীয় পদ হারাবেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহাবুব উদ্দিন খোকন অথবা মেজর ( অব. ) হাফিজ উদ্দিন হবেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। নতুন নেতৃত্বে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেবেন।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, এরকম দুটি ঘোষণার যেকোনো একটি ঘোষণা আসার পরপরই নির্বাচনী মহাসড়কে প্রবেশ করবে দেশ। কেটে যাবে সব অনিশ্চয়তা ও সংশয়।
Read In English: http://bit.ly/2FLhKgd
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি, তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংকট চলছে সেটা সমাধান হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপর হতে পারে জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনারা ভোটের নির্ভুল তথ্য আগামীকাল (বুধবার) পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল।
ভোটের অনিয়মের বিষয়ে সিইসি বলেন, কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন তখন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। আর বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা বেশ গুরুতর আঘাত। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। তবে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তাদের এই মৃত্যু ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সিইসি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
মন্তব্য করুন
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা
মন্তব্য করুন
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ইব্রাহিম রাইসি বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের
তৃতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেশের ১১১ টি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আগামী
২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১১১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
এতে বলা হয়, ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন ১১১ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।
বর্ণিতাবস্থায়, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি, তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অনির্ধারিত দুটি বিষয় আলোচনায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দ্রব্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই, তারপরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কেন?
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট থেকে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞাদেশ জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাবেক সেনাপ্রধান অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা হারাবেন। আসুন, দেখে নেয়া যাক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের কারণে তিনি কি কি হারাবেন।