নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ মার্চ, ২০১৮
ঢাকায় জামাত-বিএনপি সম্পর্ক শীতল। কিন্তু লন্ডনে তা উষ্ণ। শুধু উষ্ণ বললে কম বলা হবে, লন্ডনে বিএনপি চালাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরাই। তারা যা বলছে, তারেক সেই নির্দেশই দিচ্ছেন ঢাকায়। দলের সিনিয়র নেতাদের বাধ্য করা হচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত মানতে। যুদ্ধাপরাধীদের আইন উপদেষ্টা লর্ড কারলাইলকে বেগম জিয়ার আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে সেটি স্পষ্ট হলো। শুধু লর্ড কারলাইলের নিয়োগের বিষয়টি নয়, বিএনপির সব সিদ্ধান্ত এখন নিয়ন্ত্রণ করছে যুদ্ধাপরাধীদের ৫ সন্তান। এরা লন্ডনে বসবাস করছেন। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে এখন লন্ডনে। এদের সঙ্গে আছেন পলাতক যুদ্ধাপরাধী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। মূলত এই ৬ জনই এখন তারেক জিয়ার মূল উপদেষ্টা। যুক্তরাজ্যের পাকিস্তান দূতাবাস এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের মূল টার্গেট যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এজন্য বিএনপিকে কার্যকর আন্দোলন করতে দিচ্ছে না তারেক জিয়া। লন্ডনে বসে বিভিন্ন জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। নাশকতার জন্য যেন বিএনপির দিকে কেউ সন্দেহের তীর না উঠায় এ কারণেই জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার করার উদ্যোগে নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে, লন্ডনে পলাতক, দুটি মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়াকে ফেরত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সঙ্গে তারেক জিয়ার এক গোপন সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতা অনুযায়ী তারেক যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। আর বিনিময়ে তারেক জিয়াকে ক্ষমতায় বসাবে যুদ্ধাপরাধীরা। একাধিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশে যেন বিষয়টি কেউ বুঝতে না পারে যে কারণেই বিএনপি থেকে দূরে অবস্থান নিয়েছে জামাত। যেন সাধারণ মানুষ এবং সরকারের মধ্যে এরকম ধারণা হয় যে, জামাত বিএনপির সঙ্গে আর নেই। বিএনপি কলকাঠি যেমন লন্ডন থেকে নড়ে, তেমনি জামাতও চলছে লন্ডনের নির্দেশে। আর লন্ডনের মিশন একটাই তা হলো যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা।
মূলত: এরকম নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্যই বিএনপিকে ‘ধীরে চলো’ বার্তা দেওয়া হয়েছে । যাতে সরকার মনে করে বিএনপি হতাশ হয়েছে। কয়েকজনকে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একটি সূত্র বলছে, সরকার নয় আসলে খেলছে বিএনপি । বিএনপির পাতানো ফাঁদে সরকার পা দিয়েছে । সরকার ধারণা করেছে, কিছুদিনের মধ্যে বিএনপি ভাঙ্গবে। বড় একটি অংশ নির্বাচনে যাবে। এসব কারণে সরকার আত্মতৃপ্তিতে ভুগছে। বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, এটাই হলো যুদ্ধাপরাধী এবং তারেকের কৌশল।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের স্তরে স্তরে যুদ্ধাপরাধী এবং তারেকের লোকজনও ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় কে কার ফাঁদে পা দেয়। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছে, খেলা তো শুরুই হয়নি, সামনে অপেক্ষা করুন। দেখেন কে কি করে?
Read in English- http://bit.ly/2FPRkdj
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন