ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ থেকে শুরু ২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের কার্যক্রম

প্রকাশ: ০৯:৪৫ এএম, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০২৪ সালের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে। নিবন্ধন চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্প্রতি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজের নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ নভেম্বর থেকে নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। 

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। এছাড়াও বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।

সরকারি হজ প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। প্রাক-নিবন্ধনের সময় নেওয়া ২৯ হাজার টাকা বাদে প্যাকেজের বাকি টাকা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। হজযাত্রীরা নিবন্ধনের আগে হজ প্যাকেজ সম্পর্কে অবহিত হয়ে নিবন্ধন করবেন। নিবন্ধনের পর প্যাকেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়া নিবন্ধনের পর হজে যেতে ব্যর্থ হলে ইতোমধ্যে ব্যয় করা অর্থ কর্তনের পর অবশিষ্ট অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

কোনো কারণে হজের খরচ বাড়লে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধ করতে হবে। সৌদি আরবে হুইল চেয়ার ব্যবহারের প্রয়োজন হলে নিজ উদ্যোগে হুইল চেয়ার সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে হবে। বিমান টিকিট পরিবর্তন প্রয়োজন হলে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজ দায়িত্বে টিকিট পরিবর্তন করতে হবে। সব হজযাত্রীর জন্য বিমানের ইকোনমি ক্লাসের টিকিট সরবরাহ করা হবে।


হজ নিবন্ধন   ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ শতাংশ ভবন ধসবে

প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর অদূরে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর ফল্টে যদি দিনের বেলায় দশমিক মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়বে।

শনিবার ( জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলাবিষয়ক এক সেমিনারে তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, ঢাকায় কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৬টি ভবন আছে। এগুলোর মধ্যে লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি পাকা বা কংক্রিটের ভবন। আধা পাকা ভবন আছে লাখ ৭৭ হাজার ৬২০টি। টাঙ্গাইলের মধুপুরে দিনের বেলা দশমিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানীর ঢাকায় লাখ ৬৫ (৪০.২৮ শতাংশ) হাজার ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় এই ভূমিকম্প হলে মারা যাবে লাখ ১০ হাজার মানুষ, আহত হবে লাখ ২৯ হাজার। ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত পুনর্নির্মাণে সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা।

হেলালী বলেন, সিলেটের ডাউকি চ্যুতি রেখায় দশমিক মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে ঢাকার কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫টি (.৯১ শতাংশ) ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় ভূমিকম্পটি হলে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। আহত হবে ২৮ হাজার মানুষ। এই মাত্রার ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত পুনর্নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা  সালমান এফ রহমান বলেন, ১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব কাজটি করতে হবে। সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এলাকা চিহ্নিত করছে। ঢাকা শহরকে ভূমিকম্প সহনশীল করে তুলতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দ্রুত নগরায়ণ, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মাঝে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবাই একত্রে কাজ করেই রাজধানীকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম। ছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা   ভূমিকম্প   ভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির পূর্বাভাসে সিলেটে ফের বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সিলেটের কোথাও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে শনিবার (১ জুন) সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট মহানগরীর বেশ কিছু বাসা-বাড়িতে নতুন করে ঢুকছে পানি। সিলেট বিভাগে আগামী তিন দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাসে নতুন করে বন্যার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না বলে আশা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৭ উপজেলা ও সিলেট নগরী বন্যাকবলিত হয়। শনিবার (১ জুন) নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নগরীর কিছু এলাকা। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলো দ্রুত প্লাবিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নতুন করে বেড়েছে সিলেট পয়েন্টের পানি। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে সিলেট নগরীতে আবারও বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে অমলসিদ পয়েন্টে ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।


বৃষ্টি   পূর্বাভাস   সিলেট   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল ২ শতাধিক ঘর

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩ এ লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট। তবে তার আগেই পুড়ে ছাই হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক বসতি।

শনিবার (০১ জুন) দুপুরের দিকে ক্যাম্পটির ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ৮ এপিবিএন-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলো কেউ খোলা আকাশের নিচে থাকবে না। যতদিন ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরগুলো তৈরি হচ্ছে না ততদিন তারা আশপাশে তাদের নিকটাত্মীয় স্বজন ও বিভিন্ন সংস্থার সেল্টারগুলোতে অবস্থান করবে। খাবার নিয়ে এখনো কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। আশা করি হবেও না।

উল্লেখ্য, ২৪ মে একই ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভস্মীভূত হয় ৩ শতাধিক বসতঘরসহ নানা স্থাপনা।


রোহিঙ্গা   ক্যাম্প   ঘর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মালয়েশিয়া কেলেঙ্কারি: দায়ীরা কি শাস্তি পাবে?

প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত ৩০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তারা কেউ কেউ চার থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করেছেন। অনেকে জমিজমা বিক্রি করেছেন। নিঃস্ব হয়ে সবকিছু হারালেন এই সমস্ত নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তাদের কান্না শুক্রবার বিমানবন্দরকে ভারী করে তুলেছিল।

প্রশ্ন হল যে, এই ৩০ হাজার কর্মী যে মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না, সমস্ত জীবনের সঞ্চিত সমস্ত টাকা ধার দেনা করে টাকা গচ্ছিত রেখেও কিছু কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির গাফিলতির কারণে যাদের জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসলো তারা কী করবেন? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো, এর জন্য যারা দায়ী তাদের কি বিচার হবে?

বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, মালয়েশিয়ায় এই বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হল সরকারের ভেতরে থাকা প্রভাবশালী একটি চক্র, যারা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করত। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ৪টি রিক্রুটিং এজেন্সি- তারা মালয়েশিয়ায় এই শ্রমবাজারকে একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। সরকারি রেটের বাইরে তারা ইচ্ছেমতো শ্রমিক পাঠানোর জন্য ফি ধার্য করত এবং হিসেব করে দেখা গেছে যে দেড় বছরে তারা সাড়ে ৪ লাখ লোককে বিদেশে পাঠিয়েছেন এবং ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন।

যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনা সেনা কর্মকর্তা, ওয়ান ইলেভেনের সময়ে আলোচিত মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তার রিক্রুটিং এজেন্সির নাম ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল। আছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। তার রিক্রুটিং এজেন্সির নাম স্নিগ্ধা ওভারসিস। আছেন আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ। তার রিক্রুটিং এজেন্সির নাম আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়াও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রীর অরবিটালস এন্টারপ্রাইস এবং লোটাস কামালের মেয়ের আর একটি রিক্রুটিং এজেন্সি অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল। এরাই মূলত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করত, ইচ্ছামতোভাবে মূল্য হাকাতো এবং এদের কারণেই মালয়েশিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন।

এখন প্রশ্ন হল যে, যে সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এর সঙ্গে জড়িত, তারা প্রত্যেকে প্রভাবশালী। এরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্য অথবা আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মীয়স্বজন। সরকার কি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন?

সাম্প্রতিক সময়ে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আর এখান থেকে অনেকে মনে করেন যে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এই সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে। কারণ মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ব্যয় ৭৯ হাজার টাকা। কিন্তু বাস্তবে এই কয়টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারণে এই টাকা অনেক বেড়ে গেছে।

২০২৩ সালের মে থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় ৩৫৭ জন মালয়েশিয়া প্রবাসীর সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি জরিপ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভেরিটে ইনকর্পোরেটেডসহ পাঁচটি সংস্থা। এতে বলা হয়, মালয়েশিয়া যেতে গড়ে একজন বাংলাদেশি কর্মী খরচ করেছেন ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৯৬ শতাংশ কর্মীকে অন্তত একটি উৎস থেকে ঋণ নিতে হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শেষ দিনে যারা অপেক্ষমান ছিলেন তারা ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে যে, সরকারের ছত্রছায়া থেকে যারা গরিব মানুষকে এভাবে ঠকালেন এবং মালয়েশিয়া শ্রমবাজারকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিলেন তাদের শাস্তির কি হবে?


মালয়েশিয়া কেলেঙ্কারি   মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টা, কলেজ ছাত্র আহত

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি লক্ষ্যচ্যুত হয়ে আল আমিন নামে এক কলেজ ছাত্রের পায়ে বিদ্ধ হয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ মে) গভীর রাতে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউপির চক মকিমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ কলেজ ছাত্র ওই গ্রামের জমসের আলীর ছেলে যমুনা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারিক জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শওকত আলীকে অনুসরণ করছিল - জন দুর্বৃত্ত। শওকত আলী বিষয়টা টের পেয়ে স্থানীয় শাহাদত মেকারের দোকানে আশ্রয় নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।

এসময় শওকত আলী সাইডে সরে গেলে তাদের ছোড়া গুলি ছুটে গিয়ে পাশেই শাহাদত মিস্ত্রির দোকানের বেঞ্চে বসে থাকা কলেজছাত্র আল-আমিনের পায়ে লাগে। গুলিটি পা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি রাবার বুলেট ব্যবহৃত গুলির অংশ উদ্ধার করা হয়।


সিরাজগঞ্জ   আওয়ামী লীগ   কলেজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন