ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের সংস্কৃতি এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় জয়পুরহাটে কর্মশালা

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আমরা চাই সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের সংস্কৃতি এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় জয়পুরহাটে  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মিলিত হলেন এক কর্মশালায়। 

রোববার (১৯ নভম্বের) শহরের স্টেশন এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী এই কর্মশালা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ও ইউকেএইডের সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও যুব সংগঠনের প্রায় ৪০জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণের কর্মশালার আয়োজন করেন জয়পুরহাট মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম। 

অনুষ্ঠানের সভাপতত্বি করনে মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি খ ম আবদুর রহমান রনি। কর্মশালা পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র রিজনাল ম্যানেজার আসমা আক্তার।

কর্মশালায় রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের চ্যালেঞ্জ  মোকাবলোয় করণীয় নির্ধারণ করে আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রত্না রশিদ, মহিলা আ' লীগের সহসভাপতি নাছিমা বেগম, এনসিটিএফ এর কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি রোমান ফাহিম, বিডিক্লিনের লজিস্টিক আমিনা ইসলাম রোজা, ডিবেট ক্লাবের সভাপতি সুস্মিতা সরকার, পাশে আছি আমরা সংগঠনের সভাপতি আরাফ রাহমান, বাঁধন রক্তদানের সদস্য হাবিবা জান্নাতসহ মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের অন্য সদস্যরা।


জয়পুরহাট   কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদে মানুষের ভোগান্তিহীন যাত্রা নিশ্চিতে এমপি আওলাদ হোসেনের পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মুসলিমদের জন্য বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদ মানে আনন্দ-খুশির উৎসব। সেই আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবারের পাশে থাকতে চায় সবাই। যারা দূরে থাকেন তারাও শহর-নগর ছেড়ে শেকড়ের টানে পরিবারের কাছে ছোটে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই এই বাড়ি ফেরা কিংবা পরিবারের কাছে ফেরাটা স্বস্তির সঙ্গে হয় না। ঈদপূর্ব যাত্রায় সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে চলাচল নির্বিঘ্ন থাকে না। বিশেষ করে সড়কপথে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষদের।

তবে এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সেই সাথে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরাও নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদের ছুটিতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের আসা যাওয়া ভোগান্তিহীন করতে ওয়ারী বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন।

জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গোমতি পাম্পের সামনে যাত্রীবাহী বাসগুলো লম্বা সময় এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই মূলত দক্ষিণবঙ্গের ঢাকামুখী গাড়ীগুলো লম্বা জ্যামে আটকে থাকে এবং মানুষের ভোগান্তি হয়। আর সেজন্যই এবার যেন সেরকম পরিস্থিতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন। সেই সাথে ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তি নিরসন করতে শরীয়তপুরের বাস মালিক নেতা এবং শরীয়তপুরের এমপিদের সহযোগীতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ঈদ পরবর্তী দক্ষিণবঙ্গের ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তি নিরসনে ওয়ারী বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতেই যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়।

ড. আওলাদ হোসেন   ঢাকা   শরিয়তপুর   বাস   ঈদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৯ জুন ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ভারত সফরে সেবার দিল্লিতে তিনি আলো ছড়িয়েছেন।  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও প্রধান দুই দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সাথে যেমন সাক্ষাৎ করেছেন, তেমনই কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সাথে তার আবেগঘন সময় কেটেছে।

ভারত সফর থেকে ফিরে আসার পর আগামী ২১ জুন আবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই প্রথম কোন দেশে দ্বিপাক্ষিক সফর।

নানা কারণেই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে। দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস এবং সন্দেহের দেওয়াল গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। দুই দেশ কিছু বিষয়ে অভিন্ন নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দুই দিনের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদির জয়জয়কার ছিল। পুরো ভারত জুড়ে তার একক ইমেজ এবং প্রাধান্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত। আর এই কারণেই নরেন্দ্র মোদি যা চাইতেন, যেভাবে চাইতেন সেভাবেই সবকিছু হতো। সে সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির একক অভিপ্রায়ে চূড়ান্ত হতো বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এখন নরেন্দ্র মোদিকে একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। জোটের সকলকে সামাল দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এবার বিরোধী জোট অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা সংসদে বিজেপিকে ছাড় দেবে না।

নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি দুর্বল সরকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দ্বিপাক্ষিক সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো সেই সেগুলো নতুন করে শুরু করার নবযাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ভারত সফরকে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন গত ১৫ বছরে অসাধারণ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অস্বস্তি। যেমন তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। বাংলাদেশ এখন তিস্তার পানি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আগ্রহ দেখাবে এটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই বিকল্প প্রস্তাবে চীনের আগ্রহ সর্বজনবিদিত। ভারতকে তাই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে তারা কী করবে? এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তিস্তা নিয়ে অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সীমান্ত হত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি স্পর্শকাতর এবং বিব্রতকর বিষয়। আর এই বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই সফরে ভারত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহায়তার একটি প্যাকেজ দিতে পারে বলে কোন কোন মহল থেকে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই সম্পর্কটি আসলে নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়ার সম্পর্ক।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশে যেমন একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তেমনি ভারতেও নতুন করে নরেন্দ্র মোদি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই দু দেশের সম্পর্ককে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু দেশের সরকারই তাদের নবযাত্রার শুরুতে প্রতিবেশীই প্রথম-এই অঙ্গিকার নিয়ে নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নেবে এই সফরের মধ্য দিয়ে এটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   নরেন্দ্র মোদি   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কবি অসীম সাহা আর নেই

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা আর নেই। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

কবি অসীম সাহার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কবি, ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক মালেক মাহমুদ। তিনি পারকিনসন (হাতকাঁপা রোগ), কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

অসীম সাহা ১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর। তার বাবা অখিল বন্ধু সাহা ছিলেন অধ্যাপক।

অসীম সাহা ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৬৭ সালে মাদারীপুর নাজিমুদ্দিন মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৯ সালে স্নাতক পাস করে তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তার স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে যায় এবং তিনি ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন অসীম সাহা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

কবি অসীম সাহা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। স্থানীয়রা ২০২২ সালের জুন মাসে হয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বৃষ্টিপাত ছাড়াই ভোর ৫টা থেকে বৃদ্ধি পেতে থাকে পাহাড়ি ঢলের পানি। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে দুপুরে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শহরের কাঁচাবাজারে হাঁটুর উপরে পানি। পশ্চিমবাজার, মধ্যবাজারে বন্যার পানি উঠছে।

বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শহরে ঢুকছে পানি। হুট করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শহরবাসী। নদীর পাড়ের বাসিন্দারা ঘরে থাকার মতো অবস্থা না থাকায় ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন। অনেকে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে অব্যাহত বৃষ্টিপাত পাহাড়ি ঢলে জেলার সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসত ঘরে পানি উঠে গেছে। ছাতকেও বিপদসীমার ১৫৫ সে.মি উপর দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুরে বিপদসীমার সে.মি বা .৭৯ ফুট উপর দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশংকা করছে প্রশাসনও।

অপরদিকে পাহাড়ি ঢল নেমে আগে থেকেই প্লাবিত ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, তাহিরপুরের দেড় শতাধিক গ্রাম। নতুন করে পানি বাড়ায় বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, দিরাই সহ জেলার প্রায় সবকয়টি উপজেলাতে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রীর জন্য  মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন


সুনামগঞ্জ   পানি   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কথা রাখেননি ঢাকার দুই মেয়র, বর্জ্য অপসারণে গাফিলতির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বর্জ্য অপসারণে ৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্তূপ হয়ে আছে পশু কোরবানির বর্জ্য।  এদিকে দক্ষিণেও একই রকম পরিস্থিতি। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কোরবানির বর্জ্য।  এতে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ ও নানা রোগ জীবাণু। 

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে অনেককে। পরপর দুই দিন কোরবানির ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। যদিও দুই সিটি কর্পোরেশন কথা দিয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে সব ধরনের বর্জ্য।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬ ঘণ্টার ঘোষণা যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে মিরপুরসহ আরও কিছু এলাকায়। মূলরাস্তা পেরিয়ে অলিগলির মধ্যে ঢুকলেই চোখে পড়ছে কোরবানির বর্জ্যের স্তূপ। যেখান থেকে বের হতে শুরু করেছে দুর্গন্ধ। কোরবানির পর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য নিতে আসেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে এখনও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকায় পড়ে আছে সোমবারের কোরবানির বর্জ্য। বিশেষ করে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা, নাজিরা বাজার, দক্ষিণ কমলাপুর, খিলগাঁও, মেরাদিয়া, নন্দী পাড়ার অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়লার স্তূপ। নাগরিকরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেললেও এখনও তা অপসারণ করা হয়নি।

যদিও, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি ইতোমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছেন তারা। বাকিটুকুও আজকের মধ্যে অপসারণ করবেন তারা। নির্ধারিত সময়ের আগেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও জানানো হয়।


উত্তর সিটি কর্পোরেশন   দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন   বর্জ্য অপসারণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন