ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতি কি সংলাপের উদ্যোগ নেবেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ একাধিক রাজনৈতিক দল এখন নির্বাচনের মাঠে। বিএনপি নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিলেও সেই আন্দোলনে জনগণ সারা দিচ্ছে না। বরং হরতাল ভেঙে সাধারণ মানুষ কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে উঠছে। এর ফলে নির্বাচনবিরোধী আবহ ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তারপরও এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণ করানো এবং নির্বাচনে যেন একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে নামানোর জন্য একটা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করেছেন। জাতীয় পার্টির দুইজন নেতা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইতোমধ্যেই সাক্ষাৎ করেছেন। জিএম কাদের এবং রওশন এরশাদের এই সাক্ষাতের পর প্রশ্ন উঠেছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংলাপ করবেন বা নির্বাচনে আসার জন্য রাষ্ট্রপতি কি কোন অনুরোধ জানাবেন? এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। কোন কোন মহল মনে করছে, যেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, এই মুহূর্তে সংলাপের সময় নেই, সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আবার কোন কোন মহল মনে করছে এখনো সুযোগ আছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাতেও পারে। তবে সে সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে অনেকেই মনে করছেন। 

যদি কোন রাজনৈতিক দলের নির্বাচন নিয়ে কোন রকম প্রশ্ন থাকে, কোন রকম সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির দরজা বা বঙ্গভবনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। তবে, রাষ্ট্রপতি স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্বাচন নিয়ে কোন সংলাপ বা আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন না এই পর্যায়ে এমনটিই নিশ্চিত করা গেছে। তবে কোন রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে আসার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পরামর্শ চান বা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। তাদেরকে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, তৃণমূল বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। তবে তাদের বিষয় হবে যে, আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা, বিশেষ করে সকল রাজনৈতিক দল যেন নির্বাচনে সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, নির্বাচনে যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে এ ধরনের সুপারিশ উপস্থাপন করা হলে তিনি এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রেরণ করবেন যেন নির্বাচন কমিশন এটি নিয়ে কাজ করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

নির্বাচনকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের অভিভাবক এবং একমাত্র নিরপেক্ষ ব্যক্তি। কাজেই জাতির অভিভাবক হিসেবে যে কোন ব্যক্তি বা যে কোন রাজনৈতিক দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই পারেন। তবে কোন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য কোন রকম আবেদন-নিবেদন বা কোন রকম উদ্যোগ রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হবে না বলেই জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতি   নির্বাচন   সংলাপ   দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে যা বললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। 

সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ আরাফাত বলেছেন, চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীসহ তৃতীয়পক্ষ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলছি না। তৃতীয় পক্ষ যারা এই আন্দোলনে ঢুকে এ সব কিছু শুরু করেছে।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তারা ফায়দা লুটতে পারে এবং সরকার পতন ঘটাতে পারে।’

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা সরকার এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, নিহত, হতাহত ও আহতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ, পুলিশ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে চাই না।

তথ্যমন্ত্রী জানান, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। যাতে এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আরাফাত বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) শুধু জনগণকে রক্ষা করছেন।’ 

কোটা আন্দোলন   আল জাজিরা   তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ এ আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশে কারা, কেন বিক্ষোভ করেছেন জানতে চিঠি দিল সরকার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারা, কেন এসব বিক্ষোভ করেছেন তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে, এমন খবর আমরা জেনেছি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত দিন আমরা আমাদের মিশনগুলোর মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সে প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।’

কোটা আন্দোলন   বিক্ষোভ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাইরাল হওয়া নিজের ছবি নিয়ে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ১২:৩১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের কয়েকটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সমস্ত ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। তবে এ সব নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সারজিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস বলেছেন, আপনারা যারা কিছু না জেনে ২-৩টা ছবি দেখে মন মতো অনেক কিছু বলে ফেলছেন, আপনাদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের অন্ধ ভক্তদের কোনো পার্থক্য নেই। ক্ষমতায় আসলে আপনিও তাদের মতো হবেন তাতে সন্দেহ নেই। বরং নিজের বিবেকবোধকে কাজে লাগান, দলান্ধ না হয়ে ব্যক্তিত্ব আর কাজ দিয়ে যাচাই করুন।




কোটা আন্দোলন   সারজিস আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আটক

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন   কোটা আন্দোলন   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   ডিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন করে বিদেশি চাপ আসছে সরকারের উপর?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে যে সন্ত্রাস, নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য, মিথ্যা এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে নজিরবিহীনভাবে। বিশেষ করে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে এ ঘটনাগুলোকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য, গুজব এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানারকম বানোয়াট তথ্য এবং ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আবার বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, না হলে আবার বাংলাদেশের উপর মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি বিষয়ে বিদেশি চাপ আসতে পারে বলে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের আগে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ওপর বিদেশি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয় এবং সেই চেষ্টায় বিএনপি জামায়াত অনেকটাই সফল হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। বাংলাদেশের র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়ে তারা অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল। এমনকি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু না হলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগের ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের বিচক্ষণতায় এবং কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে সেই চাপ বাস্তবে রূপ নেয়নি।

কিন্তু এখন আবার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ সহ নানা রকম অভিযোগ উত্থাপিত করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এবং চাপ আসতে পারে সে ব্যাপারে ষড়যন্ত্র চলছে।

সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য। সহিংসতা এবং বীভৎস নাশকতা ঠেকানোর জন্য সরকার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেনাবাহিনী সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী কোথাও কোন জায়গায় আগ্রাসী আচরণ করেনি।

কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে ডয়চে ভেলেতে ইউএন লোগো ব্যবহার করে ট্যাংক ব্যবহার করার প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। কিন্তু ওই ট্যাংক কখনোই কোন বিদ্রোহ দমন বা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়নি এবং ঐ সাজোয়া যানগুলোর মালিকানাও বাংলাদেশের।

কিন্তু এটিকে নিয়ে এখন জাতিসংঘ পর্যন্ত ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হল শান্তি মিশনে যেন বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি বিতর্কিত করা যায় সেই চেষ্টা। আর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিনিয়ত নানারকম মনগড়া অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এই বিষয়গুলোর ফলে সরকার নতুন করে চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুটিকে তারা বড় করে আনছে সরকারকে দুর্বল করার জন্য। বাংলাদেশের ওপর যেন বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এ কারণেই এখন সরকারের এসব ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন অনেকে।

বাংলাদেশ থেকে কিছু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দোসর, বিএনপি-জামায়াতের পেরোলে থাকা বুদ্ধিজীবীরা এসব ভুল, অসত্য এবং অতিরঞ্জিত তথ্য বিদেশে পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি এখনই নজরদারিতে আনা উচিত বলে অনেকে মনে করেন। নাহলে সরকার আরেকটি নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।


বিদেশি চাপ   আওয়ামী লীগ   সরকার   বাংলাদেশ   মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন