‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন’ (বিএনএম) নামক নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিলেন বিএনপির সাবেক চারজন সংসদ সদস্য।
এরা হলেন- ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক
সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু
জাফর, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদিন এবং বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুর রহমান। এদের মধ্যে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চারজন সাবেক সংসদ সদস্যদের বিএনএমে যোগদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাদের পরিচয় করিয়ে দেন বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্জাহান।
জানা যায়, বছর দুয়েক আগে বিএনপির দলত্যাগী এক নেতার হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করা বিএনএমকে গত আগস্টে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে না থাকা দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ায় কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা হয়।
বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কারণে বিএনএমে যোগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছি।’ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, তাঁর এলাকায় হামলা-মামলার শিকার হয়ে বিএনপির ৪০০-৫০০ নেতা–কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে কারারুদ্ধ হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে এ মুহূর্তে এর কোনো বিকল্প ছিল না।
চার নেতার বিএনএমে যোগ দেওয়ার অনুষ্ঠানে দলটির নেতা মো. শাহ্জাহান বলেন, ‘এই বরেণ্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার অভাব, নীতি ও কৌশলের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে না পারা, দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে নীতিগত বিরোধসহ নানা কারণে তাঁরা বিএনএমে যোগ দিয়েছেন।’
বিএনএমের
চেয়ারম্যানের নামও শিগগিরই ঘোষণা
করা হবে বলে জানান
মো. শাহ্জাহান। তিনি বলেন, ‘এটুকু
বলতে পারি, আপনাদের জন্য বড় ধরনের
চমক রয়েছে। যিনি বিএনএমের চেয়ারম্যান
হবেন, তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত
পরিচিত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন
একজন রাজনীতিবিদ। পরবর্তী ঘোষণা নিয়ে তিনি নিজেই
আপনাদের সামনে হাজির হবেন।’
রাজনীতি বিএনএম বিএনপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
সাইবার যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলন তথ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গ্রেপ্তার তারেক জিয়া নাশকতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।