নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০১৮
২৮ অক্টোবরের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কয়েকটি দাতা ও বন্ধুরাষ্ট্র। এর ফলে সংসদ ভেঙে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরোধী দলের দাবি পূরণ হবে। এর ফলে, নির্বাচনের খুব একটা পরিবর্তন হবে না। বর্তমান সংবিধানের ১২৩ (৩) ‘ক’ অনুযায়ী ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।’ দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসেবে, ২৮ অক্টোবরের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া না হলে, নির্বাচনের সময় বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সংবিধানের ১২৩ (৩) ‘খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে’ …. সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। তাই ২৭ অক্টোবরও যদি প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন, সেক্ষেত্রে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পার্থক্য হবে এটুকুই যে, তখন বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে না। এরকম ভাবে সংসদ ভেঙে দিলেও সংবিধানের ৫৭ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, মেয়াদ অবসানের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেবেন। রাষ্ট্রপতি তখন তাঁকে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত তাঁকেই দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার অনুরোধ করবেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি ছোট নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার মাধ্যমে রুটিন কাজ পরিচালনা করবেন। আওয়ামী লীগের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘দুটো অপশনের মধ্যে পার্থক্য একটাই তাহলো মেয়াদপূর্ণ হলে বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে। আর মেয়াদের আগে হলে সংসদ বাতিল হবে।’ বিএনপি একজন নেতা বলেছেন, ‘আমরা নূন্যতম মুখ রক্ষার সম্মান চাই। প্রধানমন্ত্রী ২৮ অক্টোবরের আগে সংসদ ভেঙে দিলে আমাদের মুখরক্ষা হয়। আমরা কিছু অর্জন করেছি, এটি দেখিয়ে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে মাঠে যেতে পারি।’ তবে, এই প্রস্তাব আওয়ামী লীগ খুব সহজে মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘অতীতে বারবার সংসদ ভাঙার সুযোগ নিয়েও অনির্বাচিত সরকারগুলো ক্ষমতা দখল করেছে, যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো ওয়ান ইলেভেন। একদিন আগেও সংসদ ভেঙে দিলে, অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা আসার সুযোগ থাকে।’ তাঁর মতে, ‘অসাংবিধানিক ধারা বন্ধের জন্যই এই রক্ষাকবচ নেওয়া হয়েছে।’ অবশ্য আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়া যদি নির্বাচনের অযোগ্য হন এবং বিএনপির একটি বড় অংশ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে বৃহত্তর সমঝোতার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা মেয়াদ অবসানের একদিন আগে হলেও সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। ওই সূত্রমতে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী এমনটা করলেও করতে পারেন।
আওয়ামী লীগ চায় বিজয়ের মাসে ডিসেম্বরে নির্বাচন। সংসদ ভাঙুক আর নাই ভাঙুক-দুই অবস্থানেই নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। আওয়ামী লীগের মুখ্য অবস্থান হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই নির্বাচনকালীন সরকার। সংসদ ভেঙ্গে দিলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হবে। তাই এ বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করার আগে আওয়ামী লীগ বিএনপি পরিণতি দেখে নিতে চায়। খালেদা জিয়া বিহীন বিএনপি হলেই কেবল এই প্রস্তাব আওয়ামী লীগ বিবেচনায় নিতে পারে বেলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
Read In English: https://bit.ly/2pIUzcq
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ইতোপূর্বে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের অব্যাহত নজরদারী ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্বশূণ্য হয়ে যায়।
কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ভারতে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আগামী
৩ দিন বেনাপোল ও পেট্রাপোল চেকপোস্ট বন্ধ থাকবে। এ সময়ে কোন পাসপোর্টধারী যাত্রী দু'দেশের
মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন না। এছাড়া বাংলাদেশে সরকারি ছুটির কারণে দু'দেশের মধ্যে
আজ ১৭ মে থেকে আগামী ২১ মে পর্যন্ত ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।
ভারতে নির্বাচনের কারণে এই প্রথমবার
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে গুরুতর অসুস্থ
মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রী সাধারণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন।
ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের সহকারী
পরিচালক গৌতম বাবু জানান, আগামী ২০ মে বনগাঁ লোকসভা আসনের নির্বাচনের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল
ইমিগ্রেশন দিয়ে সীমিত আকারে যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টার
পর থেকে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে। সেক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ যাত্রী
এবং বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের জন্য শুধুমাত্র ইমিগ্রেশন খোলা থাকবে।
এদিকে, পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক
চক্রবর্তী টেলিফোনে জানান, পশ্চিম বাংলার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ আসনের লোকসভার নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ মে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন করার জন্য জেলা প্রশাসন
থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ কারণে প্রথমবারের মত আগামী ১৮ মে থেকে ২০
মে পর্য্যন্ত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধসহ সব ধরনের পণ্যের
আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। উল্লেখিত সময়ে ভারতীয় কোন পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ
করবেনা, এমনকি বাংলাদেশি কোন পণ্যবাহী ট্রাক ভারতেও প্রবেশ করতে পারবে না।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত
হোসেন বলেন, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে পেট্রাপোল বন্দর আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে
বলে পেট্রাপোল কাস্টমস থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি।
বেনাপোল বন্দর আমদানি-রপ্তানি লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শাহাদাত হোসেন ও কাদের মির্জা দুজনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কাদের মির্জা ভাইকে অস্বীকার করে বক্তব্য দেন।
তার বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন। নিজের স্বার্থের জন্য ভাইকে অস্বীকার করে প্রকশ্যে দেয়া কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে স্থানীভাবে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজকে ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারে না, একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। আজকে আমাদের ভাই নয় এই কুলাঙ্গা শাহাদাইচ্ছা (শাহদাত)। তার কারণে আজকে ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়, কি জানি আবার জিজ্ঞাসা করে। শেখ হাসিনার কাছে আজকে জবাব দিতে পারে না।’
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ছোট ভাই শাহদাতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘একটা শালিস তার জন্য করতে পারি না পৌরসভাতে। শালিসে রায় দিলে, যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ হয়। শালিস বাস্তবায়ন করতে পারে না এই ছেলের কারণে। এই ছেলেকে ঘৃণা ভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারা যান, তার আত্মার শান্তি পাবে না। হেতের কে ভোট দিবে? আপনার দিবেন কেউ? না।’
প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ জুন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন দলের নেতারা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে গণভবনে নেতারা তাকে ফুলেল ভালোবাসা জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকন্যা
শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে
দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফেরেন।
এরপর থেকে শেখ হাসিনা গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতে
গড়া বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস গণভবন ফুলেল শুভেচ্ছা শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শাহাদাত হোসেন ও কাদের মির্জা দুজনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।