আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে
আপিল শুনানি শেষ হচ্ছে আজ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ৯৯টি আবেদনের শুনানি হয়।
এতে প্রার্থিতা ফিরে পান ৪৩ জন। তবে আপিল মঞ্জুর হয়নি ৫২ জনের।
এদিন ঋণখেলাপির দায়ে ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী
লীগের আব্দুস সালামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র
ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম। বহাল আছে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান
ও পটুয়াখালী-১ আসনের রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রার্থিতাও।
এর আগে বুধবার চতুর্থ দিনে (১৩ ডিসেম্বর)
৪৫ জন, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনে ৬১ জন, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে
৫১ জন এবং রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। গত পাঁচ দিনের
শুনানিতে এ পর্যন্ত ২৬৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি চলবে আজ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চলবে। আর ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। গত ১৮ মে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট) এভারেস্টের চূড়ায় উঠে সেখানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান তিনি। শুধু বাবর আলী একা নয়, এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন একে একে আরও পাঁচজন বাংলাদেশি। তাদের এ কীর্তি দেশের জন্য গর্বের ইতিহাস। এ পর্যায়ে জানা যাক এই ছয় পর্বতযোদ্ধা সম্পর্কে।
মুসা ইব্রাহিম:
মুসা ইব্রাহিম পেশায় একজন সাংবাদিক ও পর্বতারোহী। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। ২০১০ সালের ২৩ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৫টা ১৬ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন এবং লাল-সবুজ পতাকা ওড়ান। তার হাত ধরেই পর্বতবিজয়ী দেশের তালিকায় উঠে আসে বাংলাদেশের নাম।
পর্বতবিজয়ী মুসা ইব্রাহীমের জন্ম ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাট জেলার মোগলহাটে। তিনি ঠাকুরগাঁও চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পেশাগত জীবনে মুসা ইব্রাহীম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে কাজ করেছেন।
পর্বত আরোহণ ও অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক নানান আয়োজনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়াতে তিনি ২০১১ সালে এভারেস্ট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ নামক পর্বতারোহণ ক্লাবের মহাসচিবও তিনি। এছাড়া মুসা ২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারোর চূড়া জয় করেন।
নিশাত মজুমদার:
২০১২ সালে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার। তার জন্ম ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরে। তিনি ঢাকার ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।
নিশাত ২০১২ সালের ১৯ মে শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন। তার এ বিজয়ের মাধ্যমে নারীদের শক্তি ও অর্জন হিমালয় উচ্চতায় স্থান পায় বলে প্রতীয়মান হয়। ২০০৩ সালে এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং জয় করেন নিশাত।
২০০৬ সালের মার্চে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএমটিসি আয়োজিত বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ফের কেওক্রাডং চূড়ায় ওঠেন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিএমটিসি আয়োজিত নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা) ট্র্যাকিংয়ে অংশ নেন।
এরপর ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির অর্থায়নে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) জয় করেন। এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে পরের বছরের মে মাসে হিমালয়ের সিঙ্গুচুলি পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) ওঠেন।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ভারতের উত্তর কাশীর গঙ্গোত্রী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী-১ পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ফুট) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অভিযানে অংশ নেন। নিশাত ২০০৯ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালুতে (২৭ হাজার ৮৬৫ ফুট) ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অভিযানে অংশ নেন। এছাড়া তিনি বিএমটিসি আয়োজিত হিমালয়ের চেকিগো নামের একটি শৃঙ্গেও সফল অভিযানে যান।
এম এ মুহিত:
মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সবার কাছে পর্বতজয়ী এম এ মুহিত নামে পরিচিত। ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুরে তার জন্ম। তিনি ঢাকার পোগোজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজে পড়াশোনা করেছেন। এম এ মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন।
মুহিত ২০১০ সালেই এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সে সময় ব্যর্থ হন। পরের বছর বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য হিসেবে এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে আবারও যাত্রা করেন। অবশেষে ২০১১ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে অভিযানে সফল হন।
১৯৯৭ সালে অক্টোবরে সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ১৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে পর্বতারোহণ নেশায় মগ্ন হন তিনি। সেই নেশাই পরবর্তীতে তাকে অনুপ্রেরণা দেয়। ২০০৪ সালে এভারেস্ট বেসক্যাম্প ও কালাপাথার ট্রেকিংয়ে অংশ নেন তিনি। এরপর ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৫ সালে উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেন।
এছাড়া প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন সময় হিমালয়ের চুলু ওয়েস্ট (মে ২০০৭), মেরা (সেপ্টেম্বর ২০০৭), বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলুর (মে ২০০৮), সিংগু ও লবুজে শৃঙ্গে আরোহণ করেন তিনি। এভারেস্ট জয়ের আগে মুহিত ২০০৯ সালে এভারেস্ট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ চো ওয়ো (৮,২০১ মিটার) জয় করেন। বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সাফল্য অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি দুইবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিনডংয়ে আরোহণ করেছেন।
ওয়াসফিয়া নাজরীন:
ওয়াসফিয়া নাজরীন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। ২০১২ সালের ২৬ মে শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুল ও যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এগনেস স্কট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্টুডিও আর্ট বিষয়েও তিনি স্কটল্যান্ডে কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন।
ওয়াসফিয়া নাজরীন বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার (ওশেনিয়া) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে সাতটি পর্বত জয়ের রেকর্ড করেন।
২০১১ সালে ওয়াসফিয়া বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেভেন সামিট অভিযান শুরু করেন। সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড (স্থানীয় নাম পুনাক জায়া, ১৬ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতা) চূড়া জয় করেন।
এছাড়া ২০২২ সালের ২২ জুলাই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে২-ও জয় করেন। দুঃসাহসী অভিযানের জন্য ওয়াসফিয়া নাজরীনকে ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব দেওয়া হয়।
খালেদ হোসেন:
এভারেস্টজয়ী খালেদ হোসেন বেশি পরিচিত সজল খালেদ নামে। এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মৃত্যুবরণকারী প্রথম বাংলাদেশি তিনি। ১৯৭৯ সালে তার জন্ম। গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। শিক্ষাজীবনে তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
২০১৩ সালের ১০ এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট অভিযানে বের হন। নেপালের সাউথ ফেস দিয়ে ২০ মে সকাল আনুমানিক ১০টায় এভারেস্ট জয় করেন। এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়া জয় করে নেমে আসার পথে সাউথ সামিটে (উচ্চতা প্রায় ২৮,৭৫০ ফুট) পৌঁছার পর শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। ৮ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থানকালে মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে তিনি ২০১১ সালের মে মাসে তিব্বতের নর্থ ফেস ধরে এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন। সেবার প্রায় ২৩ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠেছিলেন। কিন্তু ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় তাকে নেমে আসতে হয়। খালেদ এর আগে সিকিমের ফ্রে পর্বত (২০০৬), নেপালের মাকালু (২০০৯), হিমালয়ের বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক (২০১০), অন্নপূর্ণা রেঞ্জের সিংগুচুলি পর্বত (২০১১) জয় করেন।
পর্বতারোহণ নিয়ে এডমন্ড ভিস্টর্সেলের লেখা ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’ বইটি অনুবাদ করেছেন। চলচ্চিত্রকার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। খ্যাতিমান সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে তিনি নির্মাণ করেন ‘কাজলের দিনরাত্রি’ নামের চলচ্চিত্র।
বাবর আলী:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে চট্টগ্রামের বাবর আলী এভারেস্ট জয় করেছেন। আজ রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গে সফলভাবে আরোহণ করেন। সেখান থেকে নেমে তিনি লোৎসে পর্বত আরোহণের পথে রয়েছেন।
বাবর আলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ৩৩ বছর বয়সী এ যুবক লেখাপড়া শেষে শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে তাতে থিতু হতে পারেননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। এভারেস্ট জয়ের আগে বাবর আলী সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মিটার), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মিটার), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মিটার), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মিটার), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মিটার), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মিটার), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মিটার) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ৫৯ মিটার) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এ যুবক।
এছাড়া বাবর আলী গত বছরের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু করেন। এক মাসের চেষ্টায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়িয়ে দিয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী গিয়ে থেমেছিলেন। পথে ভারতের ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত বিভিন্ন অঞ্চল পাড়ি দেন। তারও আগে ২০১৯ সালের পরিবেশ রক্ষার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় হেঁটে ভ্রমণ করেন তিনি।
মুসা ইব্রাহিম নিশাত মজুমদার এম এ মুহিত ওয়াসফিয়া নাজরীন খালেদ হোসেন বাবর আলী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জলাবদ্ধতা ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর
বদলগাছীতে সাদিহা খানম তন্নী (২২)
নামে এক গৃহবধূর ফাঁস
লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
রোববার
(২রা জুন) দুপুরে পুলিশ
ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ
উদ্ধার করে থানায় নিয়ে
আসে। তিনি ওই উপজেলার
ভান্ডারপুর গ্রামের নুর আলম রিংকুর
স্ত্রী এবং জয়পুরহাট জেলার
আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের
মেয়ে বলে জানা যায়।
তন্নীর পরকীয়ার বিষয়টি জানার কারণে সে আত্মহত্যা করতে
পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা
করছেন।
থানা
ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী
নুর আলম সংসারে স্বচ্ছলতা
আনতে অর্থ রোজগার করতে
বিদেশে পাড়ি জমান। স্বামী
বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন পর স্ত্রী তন্নী
শ্বশুরবাড়ি না থেকে ভান্ডারপুর
বাজারে রাজুর তিন তলার একটি
ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। সেখানে
২/৩ বছরের শিশু
সন্তানকে নিয়ে থাকা শুরু
করেন। এরই মাঝে জড়িয়ে
যায় অনৈতিক কর্মকান্ডে।
স্বামী
প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী তন্নী জড়িয়ে পরে পরকীয়া প্রেমে।
এছাড়া ভাড়া নেওয়া বাসায়
ছিল পরপুরুষের নিয়মিত যাতায়াত। গত ৪ মাস
পূর্বে নুর আলম দেশে
ফিরে আসে। এরপর স্থানীয়
লোকজন ও বিভিন্ন মাধ্যমে
জানতে পারে তার স্ত্রী
অন্য কারও সাথে
পরকীয়া প্রেম করে এবং তার
স্ত্রীর ফ্লাটে বিভিন্ন পরপুরুষের যাতায়াত ছিল। এছাড়া অনলাইনে
বিভিন্ন জনের সাথে সম্পর্ক
করে। এসব জানার পর
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি
চলে। প্রায় এই বিষয়টি নিয়ে
উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। স্ত্রীর
মোবাইলটি নিতে চাইলে তা
স্বামীকে দিতে অস্বীকার করে
সাদিহা খানম তন্নী। ঘটনার
দিন নানী শাশুড়ির জানাজা
শেষে বাসায় ফিরে
এ নিয়ে আবারও মনোমালিন্য শুরু হয়।
রাত ১০টায় যে যার মতো
রাতের খাবার খেয়ে স্বামী ও
স্ত্রী আলাদা রুমে ঘুমায়। রবিবার
ভোর রাত আড়াই টার
দিকে স্বামী নুর আলমের ঘুম
ভেঙ্গে গেলে বেলকনিতে আসে।
সেখানে দেখতে পায় তন্নী বেলকুনির
গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস
দিয়ে ঝুলে আছে। ঘটনাটি
দেখে সাথে সাথে চিৎকার
ও ডাকাডাকি করলে বাসার ও
আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এবং বিষয়টি
থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশের
এসআই আতোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে
আসে এবং বাজারের গ্রীলের
কর্মচারীকে দিয়ে গ্রিল কেটে
বেলকুনিতে প্রবেশ করে।
এ
ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহতের লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট করে পোস্টমর্টেমের জন্য নওগাঁ মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে
নিহতের পিতা থানায় একটি
অপমৃত্যু মামলা করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। গত ১৮ মে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট) এভারেস্টের চূড়ায় উঠে সেখানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান তিনি। শুধু বাবর আলী একা নয়, এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন একে একে আরও পাঁচজন বাংলাদেশি। তাদের এ কীর্তি দেশের জন্য গর্বের ইতিহাস। এ পর্যায়ে জানা যাক এই ছয় পর্বতযোদ্ধা সম্পর্কে।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় এলাকায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে রাজধানী ঢাকায়ও। এসব জলাবদ্ধতা নিরসনে সক্রিয় ভাবে মাঠে কাজ করছেন ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ ড. আওলাদ হোসেন। গত কয়েকদিনে তিনি কদমতলী থানার জুরাইন, আলমবাগ, মেরাজনগর, মোহাম্মদবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষনিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
নওগাঁর বদলগাছীতে সাদিহা খানম তন্নী (২২) নামে এক গৃহবধূর ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (২রা জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি ওই উপজেলার ভান্ডারপুর গ্রামের নুর আলম রিংকুর স্ত্রী এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বলে জানা যায়। তন্নীর পরকীয়ার বিষয়টি জানার কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।