ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ ৫ জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এসব জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ৫টি জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। ওইসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব জনসভা সফলভাবে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সাদরে আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রথমে হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত করেন এবং পরে জনসভায় বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি বরিশাল সফর করবেন বলে জানা গেছে। ওই দিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।

পরদিন ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যাবেন নিজ জেলা গোপালগঞ্জ, এরপর যাবেন মাদারীপুরে। ওই দিন প্রথমে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এরপর মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাংলাদেশ নীতি’

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতি বদলে যাচ্ছে। পরিবর্তিত নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল থেকে সরে আসতে পারে বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মনে করছে। তার বদলে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও কাছে পেতে চায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই দেশটি। সাম্প্রতিক কালে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ এবং বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় হ্রাসের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে পরিবর্তিত নীতি গ্রহণ করছে বলে একাধিক সূত্র মনে করছে।

গত দুই বছর আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল অনেকটাই নেতিবাচক এবং আগ্রাসী। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরব ছিল। বিশেষ করে বিগত নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওপর এক সরাসরি চাপ প্রয়োগ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত নির্বাচনের আগে এক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বাংলাদেশের নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ নানা রকম কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করারও হুমকি দিচ্ছিল।

নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব ছিল অত্যন্ত নেতিবাচক। কিন্তু ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আস্তে আস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টাতে থাকে। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডব সহিংসতার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি পরিবর্তিত এবং ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। 

তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে যে কৌশল পরিবর্তন করেছে তা বৈশ্বিক রাজনীতির একটি অংশ। এই সময় বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক পরিবর্তিত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুর কারণে বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিপত্তি এখন হুমকির মুখে। তা ছাড়া উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস হয়ে যাচ্ছে। চীনের আধিপত্য বাড়ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরী রাখা ইতিবাচক হবে না বলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। আর এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ নীতি তাদের পরিবর্তন হচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেক কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। 

কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন যে, ভারতের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পাল্টেছে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করও কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন সঙ্গে জয়শঙ্করের একাধিক বৈঠকের খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার অবস্থান বদলেছে তাদের নিজেদের ইচ্ছায়, কারো চাপে বা প্রভাবে নয় এটি মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ রকম দেশ নয় যে, ভারতের কথায় একটি কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সুস্পষ্ট কতগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এখন মার্কিন প্রভাব বলয় আলগা হতে শুরু করেছে। সৌদি আরব এখন চীনের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছে। মার্কিন প্রভাব সৌদি আরবের ওপর কমে গেছে। সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং সৌদি আরবের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্ত অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সেই সম্পর্ক আলগা হতে শুরু করেছে। 

ইসরায়েল ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মাঝে মাঝে অসহায় মনে হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো আর সবকিছু করছে না। আর এর ফলে মুসলিম বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আস্থার সঙ্কটে ভুগছে। আর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় থাকাটা দরকার। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের পৃথক অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর ছিল। এখন এই যুদ্ধ ইউক্রেন কেবল বিপযর্য নয়, পুরো ইউরোপই হুমকির মুখে। সবকিছু মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছেন কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে যদি সম্পর্কের অবনতি ঘটে তাহলে এই অঞ্চলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক ঘরে হয়ে পড়বে। সেই অবস্থা তারা চাইছে না। আর এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতি বদলে গেছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন   ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ আইসিইউতে

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, কে এম সফিউল্লাহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে আছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আজ আমাদের বিষয়টা জানানো হয়েছে। প্রায় ৯০ বছর বয়সী সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় তিনি আক্রান্ত।

সিএমএইচ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুন এ হাসপাতালের অফিসার্স কেবিনে ভর্তি হন কে এম সফিউল্লাহ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে নেয়া হয় আইসিইউতে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেওয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডাদের নিয়ে ২০০৭ সালে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠন করা হয় এবং সফিউল্লাহকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়। বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের চেয়ারম্যান।

প্রথম সেনাপ্রধান   কে এম সফিউল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসী নারীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে বগুড়ায় জোড়া খুন

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় ঈদের রাতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের নিশিন্দারা চকর পাড়া এলাকায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকার দুদুর ছেলে শরীফ ও শফিকুল ইসলামের ছেলে রোমান।

জানা গেছে, ঈদের রাত দেড়টার দিকে তারা চকরপাড়া এলাকার একটি গলিতে গোলাগুলির শব্দ শোনেন। কিছুক্ষণ পর তারা বেরিয়ে দেখেন শরীফ ও রোমানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এ সময় আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাদের আরেক বন্ধু হোসেনকে। বাসায় রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই কেউ একজন মোবাইল ফোনে শরীফকে ডেকে নেয়। পরে হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও ঘটনাস্থলেই মারা যায় শরীফ ও রোমান।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে সোমবার রাতে রিকশাযোগে নিশিন্দারা উপশহর যাওয়ার পথে মোস্তাফাবিয়া মাদ্রাসার সামনে কয়েকজন যুবক রিকশা আটকিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করে। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হত্যার মোটিভ জানতে রাত থেকেই পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট মাঠে রয়েছে।

উত্ত্যক্ত   বগুড়া   খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের পর আছাদ, পুলিশে অস্বস্তি: সরকার কী করবে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তার দুর্নীতির এবং বিস্ময়কর সম্পদের স্ফীতির গল্প হাটে মাঠে ঘাটে আলোচিত হচ্ছে সে সময় আরেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার নানা রকম দুর্নীতির কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়েও চলছে দেশে তোলপাড়। পুলিশ বাহিনী পুরো ঘটনাগুলোতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এবং এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। 

বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর গৌরব এবং সুনাম দীর্ঘদিনের। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি এবং দুর্বৃত্তায়নের দায়ভার পুরো পুলিশ নিতে পারে না এমন বক্তব্য দিচ্ছেন পুলিশের সব কর্মকর্তারা। পুলিশে এরকম বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি আছেন যাদের জীবন সৎ এবং দুর্নীতি তাদেরকে কখনোই স্পর্শ করেনি। পুলিশের যে সমস্ত প্রধানরা অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কারোই বেনজীরের মতো এমন বিপুল সম্পদ নেই। বরং অনেকে সততার এক অনবদ্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বেনজীরের আগে যিনি পুলিশ প্রধান ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী তার সততা এবং দুর্নীতির মুক্ত থাকা সকলের কাছে আলোচিত বিষয়। তিনি একজন অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন। এছাড়াও পুলিশের বর্তমান প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়েও পুলিশের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা গর্বিত। তিনি একজন নির্ভেজাল সৎ মানুষ। দুর্নীতি যাকে স্পর্শ করেনি। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নিজেকে সবসময় বিতর্ক থেকে মুক্ত রেখেছেন। 

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, অধিকাংশ পুলিশের কর্মকর্তারা সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। কিন্তু দু একজন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পুরো পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বেনজীর আহমেদের ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশে যারা সৎ এবং অনুকরণীয় তাদেরকে নিয়ে আলোচনা কম হয়। দুর্নীতিবাজদের নিয়ে আলোচনা হয়। 

বেনজীর আহমেদের বিষয়টি পুলিশকে যেমন বিব্রত করেছে তেমনি আছাদুজ্জামান মিয়ার বিভিন্ন সম্পদের বিবরণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েছেন। এই সব নেতিবাচক অবস্থাগুলো পুলিশের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এই বিষয়টিতে সরকারও একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রশ্ন এসেছে সরকার এখন এ সব বিষয় নিয়ে কি করবে? সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। সরকার কোনভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এবং দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে সরকার নির্মোহ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, প্রাচীন ভাবে বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের ব্যাপারে তারা যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তা সঠিক বলে তারা মনে করেছে। খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা করা হবে। কিন্তু বেনজীর আহমেদ দেশের বাইরে চলে গেছেন। ইতোমধ্যে তার কিছু সম্পত্তি জব্দ করা হলেও তার আসল এবং বিপুল সম্পত্তি দেশের বাইরে সুরক্ষিত বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে যে, আছাদুজ্জামান মিয়ার কি হবে? তার এই বিপুল সম্পত্তির ব্যাপারে কোন তদন্ত হবে কি না।

এ ব্যাপারে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এ বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, এর আগেও আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। সে সময় আছাদুজ্জামান মিয়ার এই অভিযোগ গুলো তদন্ত করে তার সততা দুর্নীতি দমন কমিশন পায়নি বলে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তখন সরকার কি করবে সেটা বুঝা যাবে  ঈদের ছুটির পরপরই।


বেনজীর আহমেদ   আছাদুজ্জামান মিয়া   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে আবার পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে আবার পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ মে সিলেটের সব কটি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে প্রবহমান পিয়াইন, সারি ও গোয়াইন নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে অতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে, জানমাল রক্ষার্থে ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


সিলেট   পর্যটনকেন্দ্র   বৃষ্টিপাত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন