গুলশান থানার
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের এক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস
প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার
(২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত কারাগারে থেকে তাকে
ভার্চুয়ালি উপস্থিত দেখিয়ে পৃথক দুই ধারায় এক বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেন।
পুলিশের কাজে
বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা এ মামলার এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক
উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট
রাজেশ চৌধুরীর আদালত। মামলার অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন
মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে
বাধা দেন। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেন, তারা গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে
দেন।
এর আগে ২০১৪
সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে
চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ
গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের
সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত
৫ নভেম্বর (রোববার) সকালে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই দিনই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায়
রমনা মডেল থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি
কারাগারে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল।
রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট ৫ জন অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব:), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
যেসব দেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের নিয়ে চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে 'আমার চোখে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া সেটা আমার দেখার দরকার নেই। নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়েই চলবো। সেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং সেই বন্ধুত্ব রেখেই কিন্তু আমি এগিয়ে যাচ্ছি।
সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, এ বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করেছে আর যেন এটা না করতে পারে কেউ সেজন্য আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। সকলের নামে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয় তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।
মন্তব্য করুন
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার ১৩ মাসে ১১ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কৃষি সচিবের এই ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে তিনি পিএমও এর নির্দেশনা লঙ্গন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র বলছে, গত বছরের মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়টি সহ, ওয়াহিদা আক্তার ১১ বার বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, তিনি ছয়বার বিদেশে যান এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন।
১৯ জুন, ২০১১ এ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় "বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি এবং অনুসৃত আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি" শিরোনামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে যে একজন সচিব বছরে সর্বোচ্চ চারবার অফিসিয়াল কাজের জন্য বিদেশ ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করবেন।
সম্প্রতি বেসামরিক কর্মচারীদের মধ্যে সম্মেলন ও কর্মশালায় যোগ দিতে বা জ্ঞান-আদানপ্রদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য এই ধরনের বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে। অনেক ট্রিপের ফল খুব কমই পাওয়া যায়, কারণ যারা যান তাদের বেশিরভাগই সরাসরি সেই বিষয়গুলির সাথে যুক্ত নন যেগুলির জন্য ট্রিপগুলি সংগঠিত হয়৷
ওয়াহিদার ১১টি ট্রিপের মধ্যে দুটি সরকারের অর্থায়নে এবং নয়টি ট্রিপ আয়োজকদের অর্থায়নে হয়েছে। এই ১১ দফায় সফরে তিনি বিদেশে কমপক্ষে ৪৭ দিন কাটিয়েছেন এবং কর্মশালা, গোলটেবিল, আলোচনা, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং চুক্তি স্বাক্ষরে নিযুক্ত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর এবং দ্বিপাক্ষিক মিটিং ব্যতীত অন্যান্য ইভেন্টগুলিতে সচিবের অংশগ্রহণও পিএমওর অন্য একটি নির্দেশের লঙ্ঘন ছিল। যাতে বলা হয়েছে, কর্মশালা, গোলটেবিল এবং আলোচনার মতো ইভেন্টগুলির ক্ষেত্রে জুনিয়র বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
সাবেক সচিব আবদুল আউয়াল মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, একজন সচিবের এই ধরনের ঘন ঘন বিদেশ সফর শুধু সরকারি নির্দেশের লঙ্ঘনই নয়, জুনিয়র কর্মকর্তাদের কাছেও ভুল বার্তা দেয়। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র বিষয়ক এবং ইআরডি (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) সচিবদের ছাড়া, আমি মনে করি না অন্য কারোর এমন কাজ আছে যার জন্য বছরে তিন থেকে চারটির বেশি বিদেশ সফরের প্রয়োজন হয়।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ওয়াহিদা আক্তার বলেন, সচিবরা দেশের স্বার্থে বিদেশ ভ্রমণ করেন, আনন্দের জন্য নয়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে সচিবদের বিদেশ সফরের অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসে।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, বিদেশ সফর সংক্রান্ত ফাইল আমার কাছে না এলে আমি হস্তক্ষেপ করতে পারব না। যদি ফাইল না আসে, আমি তাদের সম্পর্কে কী জিজ্ঞাসা করব? যদি আমার সাথে কোনও আলোচনা না হয় তবে আমি বলতে পারব না কোনটা ঠিক কি না।
জনপ্রশাসন বিষয়ক গবেষক ফিরোজ মিয়া বলেন, বিদেশ সফরের জন্য মন্ত্রীর অনুমোদন লাগে। এর ব্যতিক্রম হলে অন্য সমস্যা হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী বলেন, বিদেশ সফরের জন্য মন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন। যদি না থাকে, তাহলে এটা মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে খারাপ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ সদর এলাকায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের সামনে স্থানীয়দের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যার পরপর এ ঘটনায় চারজন যুবক আহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীদের। তাঁরা জানান, গণমাধ্যমে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের বিষয়ে কথা বলায় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করেছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের সামনে দোকানে স্থানীয় কিছু লোক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ওই এলাকায় জুয়া খেলছে এবং হইচই করছে। এতে ওই পার্কের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর গোপালগঞ্জের বৌলতলী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। জুয়ার আড্ডায় থাকা মানুষজনকে সরাতে দৌড়ানি দেওয়া হয়। এ সময় একজন পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় পুলিশ লাঠিপেটা করেছে, এমন কোনো ঘটনা তাঁকে কেউ জানাননি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের বরাতে জানা যায়, পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক।
এলাকাবাসী জানান, ‘গত দুই বছরে বেনজীর আহমেদ আমাদের গ্রামের অসহায় লোকের জমি দখল করে নিয়েছে। এ নিয়ে আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। দুদক অনুসন্ধানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসার পর দুই-তিন দিন ধরে আমরা গণমাধ্যমে কথা বলি। এ কারণে আজ সন্ধ্যার পর পুলিশ এসে আমাদের লাঠিপেটা শুরু করে।’
এ বিষয়ে বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইদানীং লেখালেখি হচ্ছে এটা (সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক) রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। যেহেতু পুলিশে চাকরি করি, তাই রাষ্ট্রের সম্পত্তির কিছু হলে আমাদের ওপর চাপ আসবে, আমাদের চাকরি থাকবে না। তা ছাড়া ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অনেকের পুরোনো রাগ জমা আছে। তারা নাকি গেটম্যানকে বলছিল, “তোকে কোপায় ফেলব, দেখে নিব।”’
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বারবার নির্দেশনা দিয়েও মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি লঙ্ঘন থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে। তবুও প্রতিনিয়ত মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলছেন।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একজন প্রতিমন্ত্রী ও তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে আজ তলব করা হয়েছে। পৃথক চিঠিতে প্রতিমন্ত্রীকে আজ ২ জুন বেলা ৩টায় এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী, চশমা ও হাঁস প্রতীকের প্রার্থীকে আজ ২ জুন বিকাল ৪টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুনানিতে কমিশন যথাযথ ব্যাখ্যা না পেলে সংশ্লিষ্টদের প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের তিন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই অভিযোগে একই দিনে পৃথক তিন চিঠিতে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইদুজ্জামান, চশমা প্রতীকের রওশন ও হাঁস প্রতীকের ফেরদৌসীকে ২ জুন বিকাল ৪টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল গত শুক্রবার প্রত্যেককে আলাদা চিঠি পাঠিয়েছেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রাঙ্গাবালীর ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় উপজেলা নির্বাচনের তিন প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়েছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌসী পারভীন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ২২ নম্বর বিধি অনুযায়ী, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ পরিস্থিতিতে কেন প্রতিমন্ত্রীকে ‘দোষী সাব্যস্ত’ করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই ব্যাখ্যা দিতে আজ ২ জুন বেলা ৩টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ৮ মে, ২১ মে ও ২৯ মে তিন ধাপে উপজেলা ভোট শেষ হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ভোট হবে ৫ জুন। এরপর স্থগিত আরও ২০ উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট ৫ জন অংশ নিয়েছেন।
যেসব দেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের নিয়ে চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে 'আমার চোখে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া সেটা আমার দেখার দরকার নেই। নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়েই চলবো। সেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ সদর এলাকায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের সামনে স্থানীয়দের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যার পরপর এ ঘটনায় চারজন যুবক আহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীদের। তাঁরা জানান, গণমাধ্যমে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের বিষয়ে কথা বলায় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করেছে।