ইনসাইড পলিটিক্স

৭ তারিখ হতে এখনো সময় আছে, আলোচনায় আসুন: মঈন খান

প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের স্বার্থে সংঘাত পরিহার করে রাজনৈতিক সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেন, আলোচনা বা সংলাপ বিষয়ে বিএনপির সম্মতি রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে এখনো অনেক সময় আছে। বিতর্কিত নির্বাচনের অপবাদ থেকে বেরিয়ে এলে আওয়ামী লীগই লাভবান হবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে বলেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিচ্ছে না। আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এমনও হতে পারে বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়ে আবার আপনাদেরই ভোট দেবে। দেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা উপলব্ধি করে রাজনীতি করুন।

তিনি বলেন, এখনো সময় আছে, ৭ তারিখ অনেক দূরে। আপনারা ভাবুন, আলোচনায় বসুন, চিন্তা করুন, সংলাপ করুন। সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন।

মঈন খান আরও বলেন, আমরা সারা দেশে একটি তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছি, কিন্তু নির্বাচন বর্জন করিনি। আমরা জানি আজকের পরিবেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত দুরূহ। তারপরও আমরা জানি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আজকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছে এজন্য তারা প্রশংসা পাবে। এবং আজকে আমরা সরকারের চোখে এটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।

‌তিনি বলেন, আমি সরকারকে অনুরোধ করব আপনারা যেভাবে বানরের পিঠা বেচার নির্বাচনের আয়োজন করেছেন, নির্বাচনের আগেই সব সিটের ফলাফল ইতোমধ্যে নির্ধারণ করে ফেলেছেন। এখনো সময় আছে এই অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন এতে করে সুনাম আওয়ামী লীগেরই হবে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ।

ড. আবদুল মঈন খান   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি, তবে দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে’

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগ আসেনি। তবে দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে, বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৮ ‍জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার অন্ধকারে ঢিল ছুড়তে চায় না। আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগ আসেনি। তবে দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে, বিচার হবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুদকও স্বাধীন। যে যত প্রভাবশালী হোক, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা যাবে। তদন্ত শেষে মামলা করা যাবে, মানে বিচারের আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, ‘আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করেনি। তার ব্যাপারে কী করে জানব? সরকারের নজরে আসার আগে সরকার কীভাবে ব্যবস্থা নেবে? যখনই কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নজরে এসেছে, ব্যবস্থা নিয়েছি। গণমাধ্যমে আসার পর কিংবা সরকারের নজরে আসার পর সরকার কারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, এমন ঘটনা ঘটেনি।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা দিয়েছেন এবং দুদককেও স্বাধীন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, দুর্নীতি করলে তদন্ত হবে। দুদক এটি করবে।

এ সময় মিয়ানমারের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বে কোথায় আঘাত করছে তারা? বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কোনো লঙ্ঘন মিয়ানমার সরকার করেনি।

আছাদুজ্জামান মিয়া   দুর্নীতি   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকের কর্তৃত্ব কমানোর চেষ্টায় বেগম জিয়া

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বেগম জিয়া তার ফিরোজার বাসভবনে রাজনৈতিক তৎপরতার সক্রিয় হয়েছেন। গত কয়েকদিনে তাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত তৎপর দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ঈদের আগে থেকেই তিনি বিএনপির বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই বৈঠকগুলো স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্যই বিএনপির নেতারা ঘটা করে ফিরোজায় যাচ্ছেন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ করে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতারা এত উদ্বিগ্ন হলেন কেন? যে বিএনপির নেতাদেরকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়াকে দেখতে যেতে দেখা যায়নি, তারা এখন ঘনঘন ফিরোজায় যাচ্ছেন স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে! কি এমন হল যে বেগম খালেদা জিয়া তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন! 

ঈদের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন এমন এক সময়ে যখন বিএনপিকে তছনছ করে দিয়েছিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তারেক জিয়া মধ্যরাতে বিএনপিতে ‘ক্যু’ করেন এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ওলট পালট করে দেন। একইসঙ্গে তিনি ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর এবং বরিশাল মহানগরের সব আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেন। ছাত্রদলের কমিটিও বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেন। তারেক জিয়ার এই আগ্রাসী তৎপরতায় হতবাক হয়ে পড়েন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা সবাই অন্ধকারে ছিলেন। তাদের কারও পরামর্শ গ্রহণ করেননি তারেক জিয়া। এই বিষয়টিকে বিএনপির নেতারা সহজ ভাবে নেননি। আর এ কারণেই তারা এখন তারেক জিয়াকে ঠেকানোর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ধর্না দিচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

ঈদের আগের রাতে বিএনপি ত্যাগ করা এলডিপির নেতা কর্নেল অলি আহমেদ দেখা করেন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। তিনিও যথারীতি স্বাস্থ্য এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য সাক্ষাত করেছেন বলে বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে কর্নেল অলি আহমেদ হলেন তারেক জিয়ার এক অন্যতম একজন সমালোচক, যিনি তারেক জিয়ার নেতৃত্ব সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিলেন। 

ঈদের দিন স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্যদের পর যারা দেখা করেছিলেন তাদের বেশির ভাগই তারেক জিয়া বিরোধী বা তারেক জিয়ার কারণে দলের ভেতর কোণঠাসা অবস্থায় আছেন বলে মনে করা হয়। মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ কিন্তু তারেক জিয়ার চক্ষুশূল এসব নেতাদেরকে বেগম খালেদা জিয়া ডেকেছিলেন কেন তা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা হতেই পারে। কারণ এদের যোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বিএনপিতে অপাংক্তেয় ও অযোগ্য। তারেক জিয়ার সুনজরে না থাকার কারণে এরা বিএনপিতে কক্ষচ্যুত হয়েছেন বলে মনে করা হয়। 

অনেকেই মনে করেন যে তারেক জিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে তারা সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে ১৫ জন সাক্ষাৎ করেছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা তারেক এবং বেগম জিয়া দু পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেমন আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী। কিন্তু শুধুমাত্র তারেক জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং তারেক জিয়া যাদেরকে এখন খুব আস্থা রেখেছেন এ রকম কোন নেতাকেই বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে দেখা যায়নি। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল মাহমুদ টুকু, জহির উদ্দিন স্বপন, রুমিন ফারহানার মতো তারেক ঘনিষ্ঠ নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। এখান থেকেই বিএনপিতে বেগম জিয়া বনাম তারেক জিয়ার বিরোধ সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

বিএনপিতে যে অস্থিরতা চলছে সেই অস্থিরতা নিরসনে বেগম খালেদা জিয়ার সক্রিয় ভূমিকা কামনা করছেন নেতৃবৃন্দ। আর এ কারণেই তারা ঘটনাবলির পুরো চিত্র বেগম জিয়ার কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন। বেগম জিয়াও তারেকের কর্তৃত্ব কমানোর চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো ইতোমধ্যে তারেক জিয়া বিএনপি দখল করেছেন। তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ সংযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে তারেক জিয়া। বিভিন্ন জেলায় জেলায় যারা দায়িত্ব আছেন, যারা সক্রিয় তারা সবাই তারেক জিয়াপন্থি। ফলে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে বিএনপির নিয়ন্ত্রণ কতটুকু গ্রহণ করতে পারবেন তা নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন।

বিএনপি   তারেক জিয়া   খালেদা জিয়া   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার বিএনপিতে স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের তোড়জোড়

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিভিন্ন কমিটিগুলো তছনছ করে দেওয়ার পর তারেক জিয়ার এবারের মনোযোগ বিএনপির স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের দিকে। স্থায়ী কমিটিতে পাঁচটি শূন্যপদ রয়েছে। এ ছাড়া অন্তত তিনজন স্থায়ী কমিটির সদস্য এখন দায়িত্ব পালনে রীতিমতো অক্ষম। এরকম বাস্তবতায় গোটা স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন নিয়ে তারেক জিয়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলছেন। বিশেষ করে তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গেছে।

ঈদে যখন বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছিলেন, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন, ঠিক সেই সময় লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলার তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে স্কাইপে বৈঠক করেছেন। তাদের সঙ্গে আন্দোলনের বিষয় এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। 

ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন তিন দিনে তারেক জিয়া অন্তত ২০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। আর এই সমস্ত আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে বলে যারা কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন।

তারেক জিয়া কাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া যেতে পারে—এরকম একটি সম্ভাব্য তালিকা পাঠিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন। পাশাপাশি যারা স্থায়ী কমিটিতে আছে তাদের তালিকা পাঠিয়ে এদের মধ্যে কাকে কাকে রাখা উচিত এবং কাকে কাকে বাদ দেওয়া উচিত—সে বিষয়ে তৃণমূল তাদের মতামত দিয়েছে । 

তৃণমূলের পক্ষ থেকে একজন জেলার বিএনপি নেতা যিনি তারেক জিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, তিনি দাবি করেছেন, যে কোন দিন স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হতে পারে। তারেক জিয়া এই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তবে তা হবে গোপনে, যেভাবে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিগুলোতে পদোন্নতি এবং পদাবনতি করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে স্থায়ী কমিটিও পুনর্গঠন করা হবে একই কায়দায়।  

বিএনপির একাধিক সূত্র দাবি করেছে যে, স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন, দলের দীর্ঘদিন অসুস্থ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। এ ব্যাপারে তৃণমূলের সবাই তারেক জিয়াকে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এদের দুইজনকে বিএনপির কোন আলঙ্কারিক পদ দেওয়া হবে। যেমন চেয়ারপারসনের বিশেষ উপদেষ্টা বা বিএনপির সম্মানিত উপদেষ্টা ইত্যাদি। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সেই আলোচনা তারেক জিয়াই মাঝখানে থামিয়ে দিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে কারা আসতে পারে—এ ব্যাপারে তারেক জিয়া ২০ জনের একটি তালিকা বিভিন্ন নেতার কাছে দিয়েছিলেন যাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে আনা যেতে পারে। এদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জহির উদ্দিন স্বপন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুমিন ফারহানা, শামা ওবায়েদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নাম আছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত আলোচিত ও বিতর্কিত সমালোচিত এবং আন্দোলনে নির্লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত আমানউল্লাহ আমানের নামও স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা যায় কি না সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কথাও এখানে বলা হচ্ছে।

বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, তারেক জিয়া অপেক্ষাকৃত তরুণদেরকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে। দীর্ঘদিন যারা দলের জন্য সময় দিতে পারবেন এবং শ্রমও দিতে পারবেন। বয়োপ্রবীণ লোকদেরকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার পক্ষে তিনি ইঙ্গিত করেছেন বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন। এ আলাপকালে তারেক জিয়া আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো সিনিয়র নেতাদের নাম শুরুতেই নাকচ করে দিয়েছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। 

এছাড়াও স্থায়ী কমিটিতে যাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইকবাল মাহমুদ টুকুসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের কার্যক্রম নিয়ে তৃণমূলের হতাশাকেও তিনি আমলে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন নেতারা জানিয়েছেন। তবে কখন, কীভাবে  বিএনপির স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন হবে সে বিষয়টি এখন পর্যন্ত কেউই জানে না।

বিএনপি   তারেক জিয়া   স্থায়ী কমিটি   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সত্যিই কি বেগম জিয়ার সাথে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়নি?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সরকারের কৃপায় চিকিৎসার জন্য ফিরোজায় অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়া দুই দফায় বিএনপির ১৫ জন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে এবং এলডিপির নেতা কর্নেল অলি আহমেদের সাথে। সবকিছু মিলিয়ে ঈদের ছুটিতে ব্যস্ত সময় কেটেছে বেগম খালেদা জিয়ার। যদিও ঈদের দিন রাতে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্যের পক্ষ থেকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন যে, তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছেন। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। দেশের মঙ্গল কামনা করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। 

উল্লেখ্য যে, প্রথম দফায় রাত সাড়ে আটটায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির ৬ জন সদস্য বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। এই ৬ সদস্যের দলে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান। তারা রাত সাড়ে নয়টার দিকে বেরিয়ে আসেন। তারা বেরিয়ে আসার পরপরই দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুজা উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এই দুটি সাক্ষাৎ কি কেবলই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় নাকি এর ভেতর বিএনপিতে চলমান তোলপাড় নিয়ে আলোচনা হয়েছে- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম গুঞ্জন চলছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে কমিটির ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। আর এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা নিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ, হতাশা। এর প্রেক্ষাপটে ঈদের দিন দুই দফায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির নেতৃবৃন্দের এই বৈঠক নিয়ে নতুন করে আলোচনা এবং গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। যদিও বিএনপি নেতৃবৃন্দ অস্বীকার করেছেন যে, তাদের এসব বৈঠকে শুধুমাত্র ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ই যদি হবে, তাহলে দুই দফায় কেন বেগম খালেদা জিয়া নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করলেন? ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হলে সবাই এক সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। বলা হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, সেখানে বেশিক্ষণ ভিড় করা ঠিক না। তিনি বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না। এটি যদি সত্যি হয় তাহলে বিএনপির ১৫ জন নেতা একসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন না কেন? বিএনপির প্রথম দফার ৬ জন নেতা বেরিয়ে আসার পর কেন দ্বিতীয় দফায় ৯ জন নেতা সাক্ষাৎ করলেন-এই প্রশ্নের উত্তর বিএনপি নেতাদের নাই। 

ঈদের প্রধান তাৎপর্য হলো সমতা এবং ভ্রাতৃত্ব। তাই যদি হবে বিএনপিতে কি তাহলে উচু নিচু জাতপাত আছে? স্থায়ী কমিটির সদস্যরা যখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন তখন স্থায়ী কমিটির সদস্য নন এমন নেতারা দেখা করতে পারবেন না -এমন কোন নিয়ম নীতি আছে? এই প্রশ্নটি উঠেছে। 

তবে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দুই দফায় সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ডেকে পাঠান। তার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। ঈদের আগের রাতে তার সঙ্গে দেখা করেছেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত অলি আহমেদ। 

লক্ষণীয় ব্যাপার হল যে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎকারটি ছিল স্থায়ী কমিটির ৬ জন সদস্যের সঙ্গে এবং এখানে স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন না। বিশেষ করে আমীর খসরু মাহমুদ দেশে অবস্থান না করার জন্য তিনি এই বৈঠকে ছিলেন না। সালাহউদ্দিন আহমেদও বিদেশে অবস্থান করছেন। এ কারণে তিনি আসেননি। রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনিও আসতে পারেননি। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় যারা বৈঠক করেছেন তার সবাই খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে যে ধরনের ঘটনা প্রবাহ গুলো ঘটছে এ ব্যাপারে তিনি সকলের মতামত জানতে চেয়েছেন। কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন না পেয়েছেন তা নিয়ে কথা বলেছেন।

একটি সূত্র দাবি করছে যে, বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের তোড়জোড় চলছে। এই মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও হয়তো বেগম খালেদা জিয়া সকলের মতামত নিয়ে থাকতে পারেন। আবার বিএনপিতে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদগুলো পূরণের গুঞ্জন চলছে। সে ব্যাপারেও তারা আলোচনা করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক সূত্রগুলো দাবি করছে আসলে বেগম খালেদা জিয়া এ সব বৈঠকের মাধ্যমে তারেক জিয়ার ওপর একটি মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিএনপিতে বেগম জিয়ার অবস্থান যে এখনও শক্ত এটি তারেক জিয়াকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যই এই বৈঠকের নাটক বলে অনেকে মনে করছেন।


খালেদ জিয়া   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণ অধিকার পরিষদ: দুই পক্ষেরই একত্র হওয়ার চেষ্টা

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল কোটা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষই বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে পৃথকভাবে অংশ নেয়। তবে এখন দুই পক্ষই বলছে, একত্র হওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। আবারও সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার বিষয়টি সমানে আসায় এই ইস্যুকে ঘিরে দুই পক্ষের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে দলের শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া নুরুল হকের বিরোধে দলে ভাঙন দেখা দেয়। তবে গণ অধিকার পরিষদের দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মুখেও জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর দুই পক্ষ থেকেই একত্র হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একাধিকবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকও হয়েছে। কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে উঠে আসা তরুণদের অংশ একত্র হতে আগ্রহী। তবে বিভিন্ন সময় দলে যোগ দেওয়া সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবী পেশাজীবী অংশের এতে অনীহা রয়েছে।

গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যখন রাজনৈতিক দল গঠন করি, তখন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো ছিল। ভাঙনের পরেও নিজেদের উপলব্ধি ছিল-যারা শুরু থেকে ছিলাম, তারা একসঙ্গে থাকলে জনগণের কাছে ইতিবাচক বার্তা যাবে। দলে ভাঙনের পেছনে বিশেষ মহলের ইন্ধনও ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের অপর অংশের (মশিউজ্জামান-ফারুক) উচ্চতর পরিষদের সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, গণ অধিকার পরিষদের দুই পক্ষ একত্র হওয়ার চেষ্টা থেমে যায়নি। একাধিকবার আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে পরিচিতি পাওয়া নুরুল হক ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নুরুল হক তাঁর সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলের আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া।

গণ অধিকার পরিষদকে দল হিসিবে প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বয়স ছিল ত্রিশের কোঠায়। দেশের কোনো দলে এত সমবয়সী নেতৃত্ব বিরল। পরে দল সম্প্রসারণ করতে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবী পেশাজীবীদের টানা হয়। তাঁরা আহ্বায়ক কমিটিতে বিভিন্ন পদ পান।

দল গঠনের দুই বছর হওয়ার আগেই শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া নুরুল হকের বিরোধে ভাঙন দেখা দেয়। গত বছরের জুন জুলাই মাসে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতি, অনাস্থা প্রস্তাব অপসারণের ঘটনা ঘটে। গত বছরের জুলাই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে নুরুল হকের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা আহ্বায়কের পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন।

নুরুল হকের সমর্থকেরা গত বছরের ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিল করেন। তাতে নুরুল হক সভাপতি মুহাম্মদ রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অপর পক্ষ এই কাউন্সিল মানেনি। বর্তমানে এই পক্ষের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান আর ফারুক হাসান সদস্যসচিব। রেজা কিবরিয়া এই অংশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। দলে ভাঙনের বছরখানেক হতে চললেও এই পক্ষটি পুরোপুরি দল গুছিয়ে উঠতে পারেননি।

অপরদিকে দলের বিভেদে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাতছাড়া হয়েছে নুরুল হকের অনুসারীদের। পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারে দলের অস্থায়ী কার্যালয়টি বর্তমানে মশিউজ্জামান-ফারুক হাসানদের পক্ষ ব্যবহার করছে। নুরুল হকের অনুসারীরা বিজয়নগর এলাকার একটি ভবনে অস্থায়ী কার্যালয় করেছেন।


গণ অধিকার   একত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন