ইনসাইড ইকোনমি

প্রথম মাসেই রেমিটেন্স এলো ২০০ কোটি ডলারের বেশি

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪ প্রথম মাসেই ২১০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স যোগ হয়েছে। এর আগে গত বছরের জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ডলার এসেছিল। তবে, প্রবাসী আয় বাড়লেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত আরও কমেছে। কাটেনি ডলার-সংকট।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর আগে গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলারের আয় এসেছিল। ২০২৩ সালে সব মিলিয়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে এসেছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। এর মানে, ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার ও ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে।

সেই হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। তা সত্ত্বেও প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, প্রতিবছর যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়ে থাকে, সে অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার, যা আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। এর আগে ২৫ জানুয়ারি মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। বিপিএম ৬ অনুযায়ী তা ছিল ২ হাজার ২ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৪ কোটি ডলার। আইএমএফের দেওয়া ঋণের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা, তা বর্তমানে নেই।


বাংলাদেশ   ব্যাংক   রেমিটেন্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

৪ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারালো ডিএসই

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে সূচকের পতনের মধ্যদিয়ে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা।

এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূধন কমলো প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা।

গত সপ্তহজুড়ে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্য সূচকও কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৮টির। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা বা দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কমে ৪৮ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ফলে দুই সপ্তহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।

এদিকে, ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬০ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২০৫ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৪৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪০৯ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি টানা তিন সপ্তাহ কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৩২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৬৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

ইসলামী শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকেরও টানা তিন সপ্তাহ কমেছে। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১৫ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৩০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৭০ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন কমেছে ১১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোট লেনদেন কম হারে কমার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক কর্যদিবস কম লেনদেন হয়।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, লাভেলো আইসক্রিম, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।


ডিএসই   মূলধন   শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

নিয়ম ভেঙে ‘নিয়োগ অনুমোদন’ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে ২০২১ সালের এক বিধানে বলা আছে যে, অবসরে যাওয়ার পাঁচ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওই ব্যাংকের পরামর্শক ও উপদেষ্টা হতে পারবেন না। তবে সেই বিধানকে এবার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি নিজস্ব বিধান লঙ্ঘন করে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে মোহাম্মদ শাহ আলম সারওয়ারকে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। গত ১১ মে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘বিশেষ বিবেচনায়’ এই নিয়োগ অনুমোদন করেন।

আইএফআইসি ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির এমডি শাহ আলম সারওয়ারের মেয়াদ শেষ হয় ১৩ মে। এরপর ২৬ মে থেকে তিনি ব্যাংকটির ‘কৌশলগত উপদেষ্টা’ হিসেবে যোগদান করেন। এই তথ্য তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেছেন। তিনি আগের মতো একই কক্ষে বসেই এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যাংকটিতে এখনো পূর্ণকালীন এমডি নিয়োগ হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, দুই বছরের জন্য তাকে ‘কৌশলগত উপদেষ্টা’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতি মাসে বেতন অনুমোদন করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২১ সালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো ব্যাংকের এমডি বা পরের দুই পদ পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবসরের পাঁচ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপদেষ্টা বা পরামর্শক হতে পারবেন না। এ বিধান করার আগে অবসরের এক বছর পার হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপদেষ্টা বা পর্যবেক্ষক হওয়ার সুযোগ ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএফআইসি ব্যাংক নিজেদের সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য অবসরে যাওয়া এমডিকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুমোদন চেয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা আছে, নিয়মের বাইরে বিশেষ বিবেচনায় এ ধরনের অনুমোদন দেওয়ার। সেটিই করা হয়েছে।

জানা যায়, শাহ আলম সারওয়ার ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে গত ১৩ মে পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি ছিলেন। দেশে-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করা শাহ আলম সারওয়ার ২০০৫ সালে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের এমডি হিসেবে শীর্ষ পদে কাজ শুরু করেন। এরপর একে একে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালর করেন। পাশাপাশি তিনি ২০১১-২০ সাল পর্যন্ত সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালকও ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য সমন্বয় করছে সরকার। নতুন মূল্য অনুযায়ী, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা ও ডিজেলের দাম ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নতুন মূল্যের প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়,  প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য ১০৭ টাকা থেকে ০.৭৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭.৭৫ টাকা, পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৪.৫০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বাড়িয়ে ১২৭ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সমন্বয়কৃত এ মূল্য ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে। 

এতে আরও বলা হয়, মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপী বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫.৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপী বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩.৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভারতের থেকে বাংলাদেশে লিটার প্রতি জ্বারানি তেলের দাম যথাক্রমে প্রায় ১৭.৯৫ টাকা ও ১৬.৯৬ টাকা বেশি। 


জ্বালানি তেল   দাম   অকটেন   পেট্রোল   ডিজেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একদিকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, অন্যদিকে কালো টাকা সাদা করার সিদ্ধান্ত: স্ববিরোধিতা?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ৩০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকার একদিকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ করার জন্য ক্রোক পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সেই ক্রোক পরোয়ানা বাস্তবায়ন করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতার কথা বলছেন সব মন্ত্রীরা। তারা বলছেন, যে যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন, সরকার তাকে কোন রকম ছাড় দেবে না। এই বাস্তবতায় দেশে একটি দুর্নীতি বিরোধী আবহ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এরকম আবহের মধ্যে সরকার আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর এটি স্ববিরোধিতা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা। 

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে সঠিক খাতে নিয়ে যেতে হলে এবং কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে কালো টাকার উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। 

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, অর্থপাচার, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনা এবং দুর্নীতি বন্ধ করলেই অর্থনীতিতে একটা ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে। আর সেটি যদি না করা যায় তাহলে পরে এক বেনজীর আহমেদকে ধরে হয়তো চমক দেখানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে না। আর একারণেই সকলে মনে করে যে, যারা অবৈধভাবে টাকা বা টাকার পাহাড় গড়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং তারা যেন আইনের আওতায় আসে তা নিশ্চিত করা উচিত। এজন্য অনেকে মনে করেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়াটা আত্মঘাতী এবং স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত। 

তবে সরকারের পক্ষ থেকে এর বিপরীত বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা তৈরি হয়েছে। এই টাকা গুলোকে যদি সাদা না করা যায় বা এই টাকা গুলোকে যদি মূল অর্থনৈতিক খাতের মধ্যে না নিয়ে আসা যায় তাহলে ভবিষ্যতে অর্থ পাচার আরও বাড়বে। যারা অবৈধ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তারা আর দেশে টাকা রাখবেন না। এই অর্থ বিদেশে পাচার করে দেবে। 

উল্লেখ্য, গত বছরের বাজেটে সরকার বিদেশে যারা অর্থ রেখেছেন তারা কোন রকম উৎস বলা ছাড়াই যে কোন অঙ্কের টাকা নিয়ে আসার অনুমতি প্রাপ্ত ছিলেন। বিদেশ থেকে অর্থ আনার জন্য অবাধ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং অর্থপাচারকারীদের এক ধরনের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। একজনও অর্থপাচারকারী বিদেশ থেকে টাকা ফেরত নিয়ে আসেনি। এ রকম বাস্তবতায় কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হবে সে সুযোগ কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া সরকার যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান করছে যখন একজন নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে তার অবৈধ অর্থ বৈধ করবে তখন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। ফলে তিনি একটি ছাড় পাবেন। এই ছাড় দেওয়া হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি কতটুকু সফল হয়।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান   কালো টাকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ দিনে প্রবাসী আয় ১৭৯ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলার সংকট। অস্থিতিশীল অর্থনীতির মাঝে আলো দেখাচ্ছে দেশের প্রবাসী আয়। গত দুই মাস ধরে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসীরা ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার। 

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১২৪ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক। এ সময়  ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫২ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এসেছে। 

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কো‌টি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।

প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন