মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের এক অজানা আশঙ্কা দানা বেঁধেছে সবার মনে। ইরাক-সিরিয়ায় থাকা ইরানের স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘোষণা আসার পর থেকেই এই সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। যার জের ধরে ইরাক ও সিরিয়ায় প্রায় ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই লক্ষ্যবস্তুগুলোর সঙ্গে ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) এবং বাহিনীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার চালানো এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এরপরই গত শবিবার রাতে ইয়েমেনে হুতি গোষ্ঠীর ৩৬টি স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক জাহাজ এবং লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর ওপর হুতিদের ক্রমাগত আক্রমণের জবাবে ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ৩৬টি হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।’
এর আগে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে গত রোববার হামলায় প্রথমবারের মতো তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনার জবাবেই এ হামলা যুক্তরাষ্ট্র চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের
এসব ক্রমাগত হামলায় ইরান ও তার সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কীভাবে জবাব দেবে তার ওপর
যুদ্ধের মাত্রা নির্ভর করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন যুদ্ধ শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়,
পুরো বিশ্বব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তা বলাই যায়।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এ হামলা ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থির করে তুলবে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত বয়লারের সঙ্গে তুলনাও করে কেউ কেউ বলছেন, যেকোনো সময় এর বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার সঙ্গে ইরানপন্থী
একটি গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। এর জবাবে ইরানের স্থাপনার হামলার
ঘোষণা আগেই গিয়ে রেখেছিল ওয়াশিংটন। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এমন হামলা আরও চালানো
হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের
গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর জের ধরে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনসহ
পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে দুই দেশে ইরানের স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের
এই হামলা চলমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলল।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই হামাসের
প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে ইরান। হামলা বন্ধে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্র
ও ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরানসমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
আর শুক্রবার হামলার পর এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি
বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা দেশটির কৌশলগত আরেকটি ভুল। এর মধ্যে শুধু উত্তেজনা
ও অস্থিতিশীলতাই বাড়বে। আর হামাস বলেছে, এই হামলা আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো।
ইরাকে হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাগদাদ।
এ হামলার মাধ্যমে ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে নিন্দা জানিয়েছে দেশটির
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে আনুষ্ঠানিক
প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ইরাকের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, হামলায় তাদের
১৬ সদস্য নিহত হয়েছেন।
শুক্রবারের হামলায় সিরিয়ায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার নিন্দা জানিয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার মাধ্যমে
আবারও প্রমাণিত হয়েছে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে
সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলবে।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মধ্যপ্রাচ্য
অঞ্চলে ‘উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য হারে’ বেড়েছে বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা
সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক নীতি বিভাগের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক অ্যালিসন ম্যাকমানুস।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক
প্রধান জোসেপ বোরেল সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা
প্রকাশ করেন, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত বয়লারের মতো, যেকোনো সময় এর বিস্ফোরণ
ঘটতে পারে।
গাজায় সংঘাত শুরুর পর লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক
ও সিরিয়ায় অবস্থান করা ইরান–সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওপর হামলা
চালিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না জড়ানোর কথা বারবার বলে আসছে তেহরান।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র বড় পরিসরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ুক, তা চান না বলে জানিয়েছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।
শুক্রবারের হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লয়েড অস্টিন বলেছেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জবাব দেওয়া শুরু করল। তবে মধ্যপ্রাচ্য
বা অন্য কোথাও সংঘাত চায় না ওয়াশিংটন।
ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার আগে শুক্রবারেই ইরানের
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছিলেন, তাঁর দেশ কোনো যুদ্ধ শুরু করতে চায় না। তবে কোনো
হামলা চালানো হলে তার ‘শক্ত জবাব’ দেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে এসব হামলা
চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের ঘাঁটিগুলো সুরক্ষিত করতে চাইছে।
৭ অক্টোবর থেকে জর্ডান, সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন
সেনাসদস্যদের ওপর ১৬০ বারের বেশি হামলা হয়েছে। জবাবে আগেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই হাজার ও সিরিয়ায় ৯০০ সেনা অবস্থান করছেন।
তবে শুক্রবারের হামলার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে
মার্কিন সেনারা কতটা সুরক্ষিত হবেন বা এ অঞ্চলে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে কি না, তা
শিগগিরই জানা যাবে বলে মনে করেন বিবিসির সংবাদদাতা টম বেটম্যান। তিনি বলেন, ইরানের
ভূখণ্ডের বাইরে দেশটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপরে হামলা যে পরিকল্পনা বাইডেন করেছেন,
তা তেহরানের মিত্রদের পিছু হটাবে, নাকি সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলবে, তা আগামী কয়েক দিনের
মধ্যেই জানা যাবে।
এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিন্তনগোষ্ঠী রয়েল
ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সামরিক বিশ্লেষক এইচ এ হেলারের মতে, যুক্তরাষ্ট্র
যদি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে চায় ও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে চায় তাহলে যেকোনো
উপায়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। কারণ, এসব সংঘাতের মূল কারণই গাজার ওপর ইসরায়েলি
আগ্রাসন।
তিনি আল–জাজিরাকে আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি
আনতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে এ সকল উত্তেজনা
কমাতে হলে গাজায় হামলা বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
যেহেতু, বরাবরের মতোই যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে তারা ইরানের সাথে যুদ্ধ চায় না, তাহলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাদের গৃহীত যেকোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
হামলা সিরিয়া ইরাক যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
রহস্যজনকভাবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বা এটার প্রভাব কেমন হতে পারে! এটাই এখন বিশ্বরাজনীতির আলোচিত বিষয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রভাবশালী এই দুই নেতার মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। আর রাইসির মৃত্যু থেকে এখন ইসরায়েলই সবচেয়ে লাভবান হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইব্রাহিম রাইসি ও হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ ও সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী।
আর এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল।
গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।
শুধু এ হামলা নয়, কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি এ তালিকায় রয়েছে সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচিতে জোরদার ভূমিকা পালন করেছেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। এ কারণে বিশ্লেষকরা বলছে, রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।
এছাড়া, রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং মধ্য এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।
ইব্রাহিম রাইসি মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতি সৌদি আরব
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
ইরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম বলছে, হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২১২ মডেলের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, হেলিকপ্টারটির বয়স কত ছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে ১৯৬০-এর দশকে এই মডেলটি কানাডিয়ান সামরিক বাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার দশক শুরু হয়েছিল। ওই সময়ের পর ইরানের কাছে কোনও সামরিক অস্ত্র বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেল। মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, থাইল্যান্ডের জাতীয় পুলিশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি- বেসরকারি অনেক সংস্থা ব্যাপকভাবে এই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে।
ফ্লাইট গ্লোবালের ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেক্টরি অনুযায়ী, ইরানের নৌ ও বিমানবাহিনীর বহরে বেল ২১২ মডেলের মোট ১০টি হেলিকপ্টার রয়েছে। তবে ইরানের সরকার এসব হেলিকপ্টারের মধ্যে কতটি পরিচালনা করে আসছে তা পরিষ্কার নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই হেলিকপ্টার যেকোনও ধরনের উদ্দেশে ব্যবহার করা যায়। মানুষ ও মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি যুদ্ধের সময় অস্ত্র সরঞ্জাম বহন এবং ব্যবহারও করা যায়।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এই হেলিকপ্টার ছয়জন যাত্রী ও দুজন ক্রুকে পরিবহন করতে পারে।
বিমান দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহকারী অলাভজনক সংস্থা ফ্লাইট সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলীয় এলাকায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়।
ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান হেলিকপ্টার যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
রহস্যজনকভাবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বা এটার প্রভাব কেমন হতে পারে! এটাই এখন বিশ্বরাজনীতির আলোচিত বিষয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রভাবশালী এই দুই নেতার মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। আর রাইসির মৃত্যু থেকে এখন ইসরায়েলই সবচেয়ে লাভবান হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।