ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার স্মার্ট উপহারের ল্যাপটপ পেলো শেরপুরের ২৪০ নারী

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্মার্ট উপহারের ল্যাপটপ পেয়েছে শেরপুরের ২৪০ নারী। জেলার ৩টি উপজেলায় আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, ওম্যান ফিল্যান্স্যার ক্যাটাগরিতে মোট ১২ টি ব্যাচের ২৪০ জন প্রশিক্ষনার্থীর মাঝে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। 

 

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম এসব ল্যাপটপ বিতরণ করেন।

 

এসময় পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম, হার পাওয়ার প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

শেরপুর জেলার সদর, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার ৪টি করে ১২ টি ব্যাচে ২৪০ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণশেষে এসব ল্যাপটপ পায়। এতে এসব নারী স্বাবলম্বী হয়ে ওঠবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। 

 

প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ববি রানি রয় বলেন, আমরা শিক্ষিত বেকার। আমাদের চাকরি নেই। খুব কষ্টে দিন আলছে। আমরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলাম। এখন ল্যাপটপ পেলাম। আমরা এখন কিছু একটা করে খাবার পারবো। 

 

শারমিন রিমা বলেন, আমরা বেকার, কেউ আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখেননা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখেছেন। ল্যাপটপ পেলাম, এখন একটা কিছু করতে পারবো। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারবেনা। কিন্তু সবাইকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন যাতে নারীরও পিছিয়ে না থাকতে পারে।

 

এজন্য নারীদের নানাভাবে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্যভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছে। আর আজ প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাপটপ প্রদান করায় তাদেরকে স্বাবলম্বি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 


শেখ হাসিনা উপহার   ল্যাপটপ   নারী   প্রশিক্ষনার্থী   আব্দুল্লাহ আল খায়রুম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৬ দফার অনুপ্রেরণায় তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।

শুক্রবার (৭ জুন) ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, আজ ৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’। বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা একটি অনন্য মাইলফলক। ৬ দফার মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন। 

তিনি এই মহান দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, আমি তাদের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনসহ এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার তুলে ধরেন। যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেপ্তার করে। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু ৬ দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। ৬ দফার সমর্থনে জনমত সৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বাঙালির রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ করেন। জেল-জুলুম, নির্যাতন কোনো কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। 

তিন আরও বলেন, শাসকগোষ্ঠী ৬ দফা আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদদে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ জন শাহাদতবরণ করেন। আহত ও গ্রেপ্তার হন অনেকে। আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দেশ।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


বঙ্গবন্ধু   ৬ দফা   রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। 

দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

১৯৬৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ, বঞ্চনা, পরাধীনতা ও স্বৈরাচারের অবসান ঘটাতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দিনব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।


বঙ্গবন্ধু   প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা   ছয় দফা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘দফা তো একটাই, একটু ঘুরাইয়া কইলাম’

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আজ ৭ জুন। ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ছয় দফা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাঙালির ম্যাগনাকার্টা বলা হয় একে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে এই ছয় দফাকে উল্লেখ করেছেন ‘আমাদের বাঁচার দাবি’ বলে। 

বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ঘোষণার প্রেক্ষাপট

দেশ ভাগের পর থেকে অব্যাহত শোষণের কারণে বাংলার সমৃদ্ধ অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এছাড়াও অব্যাহতভাবে চলছিল সাংস্কৃতিক নিপীড়ন। তার ওপর, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় পূর্ব-পাকিস্তানকে (বাংলাদেশকে) সম্পূর্ণ অরক্ষিত রাখা হয়। এখানে ছিল না কোনো সৈন্য, না ছিল সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী। সেসময় ভারত চাইলে এক দিনেই পুরো পূর্ব-পাকিস্তান দখল করতে পারতো। ভারতের দয়ায় তখন এই ভূখণ্ডের মানুষের প্রাণ রক্ষা পায়, অথচ এই অঞ্চলটি পাকিস্তানের অংশ!

এরপরেই বাঙালি জাতি বুঝে যায় যে, এখানকার মানুষের জান-মালের কোনো দাম নাই পাকিস্তানিদের কাছে। দেড় যুগের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ হতে শুরু করে। নেতৃত্বে থাকেন দীর্ঘাকার বলিষ্ঠ পুরুষ শেখ মুজিব। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান লাহোরে বিরোধী দলের একটা সম্মেলনে ছয় দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন। কিন্তু তা গৃহীত হয় না। ফলে ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন বর্জন করেন তিনি। 

এরপর, ঢাকা ফিরে এসে, ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা পাস করান তৎকালীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলীয় সম্মেলনেও এই দাবি পেশ করা হয়। ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিল রেখে। একই সঙ্গে এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বহুমুখী কর্মসূচিও গৃহীত হয়। 

এরপর ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি’ শিরোনামে একটি পুস্তিকা বের করা হয়। অল্পদিনের মধ্যেই সারা বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় এই ছয় দফা সম্বলিত বই। মুক্তির দাবিতে গণজাগরণ শুরু হয় বাঙালি জাতির মধ্যে। কিন্তু পাকিস্তানি জান্তারা ছয় দফার জাগরণকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য কঠোর অবস্থান নেয়। অস্ত্রের ভাষার একে দমন করার হুমকি দেন জেনারেল আইয়ুব খান। 

ফলে ছয় দফার সমর্থনে, ১৯৬৬ সালের ১৩ মে, আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের জনসভা থেকে ৭ জুন হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেদিন অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে পাকিস্তানি জান্তারা। ৭ জুন, জান্তাদের ১৪৪ ধারা ও গুলিবর্ষণ উপেক্ষা করে, ছয় দফা দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মজুরসহ আপামর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে গড়ে ওঠে। জান্তাদের গুলিতে রঞ্জিত হয় রাজপথ। শহীদ হন অনেকে। ছয় দফার পক্ষে মাঠে নেমে রক্তদানের মাধ্যমে স্বাধীনতার ভিত্তি রচিত করেন বাংলার জনগণ। ৭ জুন, তাই ছয় দফা এবং বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি অনবদ্য অধ্যায়। চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার জন্য মানুষের জাগরণকে স্মরণ করে, এই দিনটিকে ছয় দফা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছয় দফা মানেই বাঙালির মুক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি।

বঙ্গবন্ধু নিজেও একাধিক স্থানে ছয় দফার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি একে অফিসিয়ালি ছয় দফা হিসেবে ঘোষণা করলেও, নিজে এই দফাকে এক দফা হিসেবেই বিশ্বাস করতেন। আর সেই এক দফাটি হলো- স্বাধীনতা অর্জন।

বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর পূর্ব-পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি এই যে ৬ দফা দিলেন, তার মূল কথাটি কী? আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, ‘আরে মিয়া বুঝলা না, দফা তো একটাই। একটু ঘুরাইয়া কইলাম।’ 

প্রতিবছরের মত এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। 

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে দলটি। এ সময় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


গণআন্দোলন   ছয় দফা   বঙ্গবন্ধু   বাংলাদেশ   শেখ মুজিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদি আরবে ঈদুল আজহা ১৬ জুন, বাংলাদেশে ১৭ জুন

প্রকাশ: ১১:০৩ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ১৬ জুন (রোববার) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইনসাইট দ্য হারামাইনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

সাধারণত, সৌদি আরবের পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন হয়ে থাকে, সে হিসেবে আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা হবে।

হিজরি সনের হিসাব অনুযায়ী, সৌদি আরবে আজ বৃহস্পতিবার একাদশ মাস জিলক্বদের ২৯তম দিন ছিল।

যেহেতু চাঁদ দেখা গেছে তাই  আগামীকাল শুক্রবার ৭ জুন  জিলহজ মাস শুরু হবে। আর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ ১৬ জুন রবিবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। আর ১৫ জুন হবে আরাফার দিন।

সৌদি আরব   ঈদুল আজহা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতো এবার সরকারি চাকরিজীবীদেরও সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিমের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি এ প্রস্তাব দেন। 

লিখিত বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সের জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তার কাঠামোর আওতায় আনতে গত বছরের ১৭ আগস্টে চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় চারটি পৃথক স্কিম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত, অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিম নিম্নআয়ের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, পেনশন সুবিধা পান এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যে স্বায়ত্ত্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ২০২৫ সালের জুলাই থেকে এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার তহবিল পরিচালন ব্যয় সরকার বহন করায় এবং বিনিয়োগ মুনাফা জমাকারীদের মধ্যে বিভাজন হওয়ায় এটি হবে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পেনশন স্কিম।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় ‘প্রত্যয়’ নামে একটি স্কিম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত এবং সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন পাবেন। এক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা এমনকি আগামী জুলাইয়ের আগে কেউ যোগদান করলে, তারাও বিদ্যমান নিয়মে পেনশন পাবেন।

এদিকে ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা (দুটির মধ্যে যেটি কম) বেতন থেকে কেটে নেবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতপর উভয় অর্থ উক্ত প্রতিষ্ঠান ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিপরীতে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের অ্যাকাউন্টে জমা দেবে। জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ও মেয়াদের ভিত্তিতে অবসরকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পেনশন ভোগ করবেন।

তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি, সর্বজনীন পেনশন কার্যকর করা হলে অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদেরও এর আওতায় নিয়ে আসা হোক। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করার ঘোষণা দিলেও এক্ষেত্রে চাঁদা কে দেবে কিংবা পেনশন সুবিধার হার কেমন হবে সেসব বিষয় উল্লেখ করেননি।

সর্বজনীন পেনশন   সরকারি চাকরিজীবী   অর্থমন্ত্রী   আবুল হাসান মাহমুদ আলী   বাজেট   অর্থবছর ২০২৪-২৫  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন