ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া শিশু ওহি উদ্ধার

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া শিশু মালিহা ইসলাম ওহি (৯ মাস) কে পাওয়া গেছে সড়কের পাশে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। 

 

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিশু ওহির মা মরিয়ম বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

 

পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাত ১২ টার দিকে কমলনগর থানার অদূরে উপকূল ডিগ্রী কলেজ এলাকায় শিশুটিকে একটি কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে একপথচারী চিৎকার দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই এক স্বজনের মাধ্যমে খবর দিয়ে শিশুর মা মরিয়মকে ডেকে নিয়ে ওহিকে তার কোলে তুলে দেয় পুলিশ। 

 

কমলনগর থানার ওসি (তদন্ত)  আবদুল জলিল বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে থানার নিকট উপকূল কলেজের পিছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময় শিশুটি দেখতে পায়। তিনি চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে শিশুর মা থানায় একটি জিডি করে। সে সূত্রে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। 

 

ওহির মা মরিয়ম বেগম জানায়, চুরি হওয়া ওহির বড় বোন সাবিহা ইসলাম মিহি (৬) অগ্রণী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নার্সারী শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে মিহি যেমন খুশি তেমন সাজো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। এতে ওহিকে নিয়ে তার মা মরিয়মও বিদ্যালয়ে যায়।

 

মিহিকে সাজানোর জন্য চুলের ক্লিপ ও বেল্ট আনার জন্য বিদ্যালয়ের পাশেই বাজারে যান মরিয়ম। এসময় মায়া নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ওহিকে তার কাছে রেখে দেয়। মায়া সম্পর্কে মরিয়মের ফুফাতো বোন হয়। এরমধ্যেই মায়ার কোল থেকে অচেনা এক নারী ওহিকে নিয়ে যায়। বাজার থেকে ফিরে ওহির কথা জিজ্ঞেস করলে মায়া জানায় সে অন্য একজনের কোলে রয়েছে। কিছুক্ষণ পরে ওহিকে আনতে বললে জানায়, অন্য এক নারী ওহিকে কোলে নিয়েছে। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে বিদ্যালয়ের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা যাচাই করে দেখতে পায় মাথায় লাল হিজাব, মুখে মাস্ক ও কালো খয়েরি বোরকা পরিহিত এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। বাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা যাচাই করেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। 

 

এ খবরটি গণমাধ্যমে প্রতাশিত হওয়ার পর হাজার হাজার নাগরিকরা তাদের ফেসবুক পোস্টে শিশুটিকে উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করে পোস্ট দেয়। 

পরে পুলিশ, র‍্যাব এবং সিআইডি বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে।


বিদ্যালয় ক্যাম্পাস   শিশু উদ্ধার   র‍্যাব   সিআইডি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রা: ঘরমুখো মানুষের ঢল

প্রকাশ: ০৮:৪২ এএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় নৌ, সড়ক, রেলসহ আকাশপথে রীতিমতো ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। তবে যথাসময়ে টিকিট কাটতে না পারায় টিকিটের আশায় নামিদামি বাস কোম্পানির কাউন্টারগুলোয় ঘুরছেন অনেকে। কমলাপুরে রেলস্টেশনেও দেখা গেছে টিকিটপ্রত্যাশী মানুষের ভিড়। যদিও অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম অনেক আগেই শেষ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবুও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভিআইপি তদবির দেখা গেছে স্টেশনের ম্যানেজার মাস্টারের কক্ষে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ঈদের ছুটি মিলিয়ে ১৮ জুন পর্যন্ত ছুটি পাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ১৯ ২০ জুন ছুটি নিলেই ১৪-২২ জুন পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাই শেষ কর্মদিবসে দুপুরের পর থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে সড়ক, রেলপথ নৌ টার্মিনালে।

সকাল থেকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে মানুষের চাপ। রেলপথে ঈদযাত্রা শুরুর দিন গত বুধবার বেশিরভাগ ট্রেন বিলম্বে ছাড়লেও দ্বিতীয় দিনে এরকম অভিযোগ ছিল না যাত্রীদের। সর্বোচ্চ ১৫ থেকে আধাঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে অনেক ট্রেন। তবে বেশিরভাগ ট্রেন সময়মতো ছাড়ার দাবি রেল কর্মকর্তাদের। পাশাপাশি দুপুরের মধ্যেই দুটি ক্যাটল ট্রেন এসে কমলাপুরে পৌঁছায়।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে  যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা।  

সড়কপথে অনলাইনে নামিদামি বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রি অনেক আগেই শেষ। তবুও চেষ্টার খামতি নেই কারও। সোনার হরিণ টিকিট পেতে কাউন্টারে কাউন্টারে ভিড় করছেন যাত্রীরা। তবে ছোটখাটো বাস কোম্পানিগুলোতে সহজেই বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন নগরবাসী। গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়ে। গ্রিনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাসের টিকিট নেই। তবে চাহিদা এখন অনেক বেশি।

কালোবাজারে টিকিট বন্ধে রেলওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন রেল, সড়ক নৌপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় দেখা যায়, ধীরে ধীরে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। তবে কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে আগেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে সাসেক- প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা- রংপুর লেনে উন্নীতকরণ কাজের সব হাইওয়ে ওভারপাস খুলে দেওয়া হয়েছে। কারণে মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলছে গাড়ি।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১১০ কিলোমিটার অংশে ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে যানবাহন বাড়লেও মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। যানবাহনের তেমন চাপও নেই। তবে ট্রাকে ট্রাকে কোরবানির পশু আসছে। পশুবাহী ট্রাকের চালক ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো মহাসড়কে যাত্রা স্বস্তিদায়ক। তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার চাঁদাবাজির মুখে পড়েননি।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে শুরু করে বরপা এলাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কে মদনপুর-গাজীপুর এশিয়ান বাইপাস সড়কে কিলোমিটার সড়কজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী মালবাহী যানবাহনের চালক যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট এশিয়ান বাইপাস প্রধান সড়কে প্রায় ১২ স্পটে এবারের ঈদে ভোগান্তির শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


ঈদযাত্রা   মানুষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ১৭ জুন উদযাপিত হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা । দেশে এদিন প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সে উপলক্ষ্যে জোরকদমে এগোচ্ছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দু-একদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে প্রস্তুতির সব কাজ।  

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের সময়সূচি চূড়ান্ত করে ঘোষণা আসবে ঈদের আগের দিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সেই সূচি যথাসময়ে জানিয়ে দেবে।

তার আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এখনো প্রেসক্লাব ও কদম ফোয়ারার সামনে মাঠে ঢোকার মূল গেটের সাজসজ্জা এবং ভেতরে মাঠের ছোট ছোট গর্ত বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে।

মূল গেটের জন্যে ঈদ মোবারক লেখা, গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার বাম পাশে র‌্যাবের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম, ডিবি কন্ট্রোল রুম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকের বসার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। নারীদের নামাজের স্থান, মোবাইল টয়লেট, মূল গেটের ওপরের গম্বুজ- এসব রং করারও কাজ চলছে। এছাড়া, মাঠের আশপাশে চলছে রং করা, কাপড় টানানো এবং লাইট-ফ্যান যুক্ত করার কাজ।

ঈদের দিন সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


জাতীয় ঈদগাহ ময়দান   ঈদুল আজহা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের ইতিহাস: বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের বিকাশ এবং আজকে বাংলাদেশের অবস্থান সবই হলো আওয়ামী লীগের অবদান। কাজেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস শেষ পর্যন্ত এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আগামী ২৩ জুন ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ পালন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক এই সংগঠনটি। এই উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক দিন ক্ষণগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলা ইনসাইডার। আজ তুলে ধরা হলো সপ্তম পর্ব।

ইতিহাসের রূপরেখা:

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পঞ্চম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী জোটভুক্ত দলগুলো ৯৯টি আসন লাভ করে। বিএনপি পায় ১৪২টি আসন। তারপরও সরকার গঠনে বিএনপিকে জামাতের ১৮ সদস্যের সমর্থন নিতে হয়।

১৯৯১ সালের ৩১ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন বাকশাল আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, ১৪ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হয়। অন্যদিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দলের অভ্যন্তরে আবার উপদলীয় কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৯২ সালের ২১ জুন ড. কামাল হোসেন ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট 'গণতান্ত্রিক ফোরাম' গঠন করেন। এই গণতান্ত্রিক ফোরামই ১৯৯৩ সালের ২৩ আগস্ট 'গণফোরাম' নামে রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়।

১৯৯২ সালের ১৯, ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিন, ২০ সেপ্টেম্বর নতুন অর্থনৈতিক নীতিমালার আলোকে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কাউন্সিল।

১৯৯২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গোলাম আযম ও তার সহযোগীদের বিচারের লক্ষ্যে জাহানারা ইমামকে আহবায়ক করে গঠিত হয় জাতীয় সমন্বয় কমিটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ মানুষের সমাবেশে গণ-আদালতের এজলাস বসিয়ে যুদ্ধাপরাধের জন্য গোলাম আযমের ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। শেখ হাসিনা একে জনতার বিজয় বলে অভিহিত করেন। কবি সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমাম ও শেখ হাসিনা এক মঞ্চ থেকে গোলাম আযমের ফাঁসির রায় কার্যকর করার, দাবিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান। সরকার জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। 

১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ মেয়র পদে জয়লাভ করেন। কিন্তু সরকার-দলীয় পরাজিত কমিশনার প্রার্থীর ব্রাশফায়ারে ঐদিন ঢাকার লালবাগে ৬ জন আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক নিহত হয়।

মিরপুর ও মাগুরা উপনির্বাচনে বিএনপির ভোট ডাকাতি ও কারচুপির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার'র অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি উত্থাপন করে। বিরোধী দলগুলো এই দাবি সমর্থন জানায়। গড়ে ওঠে আন্দোলন।

১৯৯৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা উত্তরবঙ্গে গণ-সংযোগের জন্য ট্রেন অভিযাত্রা শুরু করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোরে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, বোমাবাজি, হামলা ও সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায় বিএনপি ক্যাডাররা। ৬ ডিসেম্বর সংসদের বিরোধী দলগুলো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামাত ও এনডিপি দলীয় সংসদ সদস্যগণ একযোগে পদত্যাগ করেন।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কর্তৃক একদলীয় ভোটারবিহীন নির্বাচন। তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে খালেদা সরকার পদত্যাগ করে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগ মোট ভোটের ৩৭.৫৩ শতাংশ ভোট ও ১৪৬টি আসন পায়। বিএনপি পায় ৩৩.৪০ শতাংশ ভোট ও ১১৬টি আসন। জাতীয় পার্টি পায় ১৫.৯৯ শতাংশ ভোট ও ৩২টি আসন এবং জামাত পায় ৮.৫৭ শতাংশ ভোট ও ৩টি আসন। বামফ্রন্ট কোনো আসন পায়নি, ভোট পায় ০.৪২ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ জনগণের রায় নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহন করে। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা দিবসে শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেন


আওয়ামী লীগ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি মাসেই দি‌ল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর চলতি মাসেই দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২১ জুন এই সফরের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে কূটনৈ‌তিক সূত্র। 

সূত্র জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। তবে এবারের সফরটি হবে দুই দিনের। সফরকালে তিনি তৃতীয়বারের মতো ভার‌তের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া নরেন্দ্র মোদির স‌ঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কর‌বেন।

এর আগে গত শনিবার (৮ জুন) নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।

রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেন।

দি‌ল্লি সফর   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক-এগারোর কুশীলব হয়েও তিনি বড় আওয়ামী লীগার!

প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০০৭ সালের ১৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৩ কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন ইস্টকোস্ট গ্রুপ এবং তৎকালীন প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। এই মামলার কারণে ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ মামলাটি ছিলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।এই মামলায় অন্য আসামীদের মধ্যে ছিলেন শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও বোন শেখ রেহানা।

কিন্তু অবাক করার বিষয় যে আজ এতদিন অতিবাহিত হলেও বহাল তবিয়তে আছেন সেই ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী। রবং এ সময় তার ব্যবসার পরিধি আরও বেড়েছে বলেই জানা যায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও এখন তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা শোনা যায়। ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরী নিজেও এখন বড় আওয়ামী লীগার বনে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার মতো একজন সৎ রাজনীতিবিদের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন তিনি কীভাবে আজ এত ক্ষমতাবান হলেন, তার ব্যবসারই বা এত স্ফীতি হলো কি করে? এক-এগারোর একজন কুশীলব হয়েও কীভাবে তিনি বড় আওয়ামী লীগার হলেন সেটি একটি রহস্যময় প্রশ্ন।  

এক-এগারো   আজম জে চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন