ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীর পবা উপজেলার মোহনপুর এলাকায় রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কা খড়িবাহি ট্রলির দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খড়ি বোঝায় একটি ট্রলি রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগ্রামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রলিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলি দমড়ে মুচড়ে খান খান হয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে ট্রলির চালক ও হেলপার মারা যান। খড়িগুলো স্থানীয় একটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছি। আর বেলা ৪টার দিকে রাজশাহী স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়।

নিহতরা হলেন, ট্রলির ড্রাইভার মোফাজ্জাল হোসেন (৩৫) ও হেলপার হাবিবুর রহমান হাবিব (২৩)। তাদের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার ধাদাস গ্রামে।


ট্রেনের ধাক্কা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের পর আছাদ, পুলিশে অস্বস্তি: সরকার কী করবে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তার দুর্নীতির এবং বিস্ময়কর সম্পদের স্ফীতির গল্প হাটে মাঠে ঘাটে আলোচিত হচ্ছে সে সময় আরেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার নানা রকম দুর্নীতির কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়েও চলছে দেশে তোলপাড়। পুলিশ বাহিনী পুরো ঘটনাগুলোতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এবং এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। 

বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর গৌরব এবং সুনাম দীর্ঘদিনের। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি এবং দুর্বৃত্তায়নের দায়ভার পুরো পুলিশ নিতে পারে না এমন বক্তব্য দিচ্ছেন পুলিশের সব কর্মকর্তারা। পুলিশে এরকম বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি আছেন যাদের জীবন সৎ এবং দুর্নীতি তাদেরকে কখনোই স্পর্শ করেনি। পুলিশের যে সমস্ত প্রধানরা অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কারোই বেনজীরের মতো এমন বিপুল সম্পদ নেই। বরং অনেকে সততার এক অনবদ্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বেনজীরের আগে যিনি পুলিশ প্রধান ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী তার সততা এবং দুর্নীতির মুক্ত থাকা সকলের কাছে আলোচিত বিষয়। তিনি একজন অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন। এছাড়াও পুলিশের বর্তমান প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়েও পুলিশের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা গর্বিত। তিনি একজন নির্ভেজাল সৎ মানুষ। দুর্নীতি যাকে স্পর্শ করেনি। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নিজেকে সবসময় বিতর্ক থেকে মুক্ত রেখেছেন। 

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, অধিকাংশ পুলিশের কর্মকর্তারা সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। কিন্তু দু একজন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পুরো পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বেনজীর আহমেদের ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশে যারা সৎ এবং অনুকরণীয় তাদেরকে নিয়ে আলোচনা কম হয়। দুর্নীতিবাজদের নিয়ে আলোচনা হয়। 

বেনজীর আহমেদের বিষয়টি পুলিশকে যেমন বিব্রত করেছে তেমনি আছাদুজ্জামান মিয়ার বিভিন্ন সম্পদের বিবরণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েছেন। এই সব নেতিবাচক অবস্থাগুলো পুলিশের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এই বিষয়টিতে সরকারও একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রশ্ন এসেছে সরকার এখন এ সব বিষয় নিয়ে কি করবে? সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। সরকার কোনভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এবং দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে সরকার নির্মোহ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, প্রাচীন ভাবে বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের ব্যাপারে তারা যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তা সঠিক বলে তারা মনে করেছে। খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা করা হবে। কিন্তু বেনজীর আহমেদ দেশের বাইরে চলে গেছেন। ইতোমধ্যে তার কিছু সম্পত্তি জব্দ করা হলেও তার আসল এবং বিপুল সম্পত্তি দেশের বাইরে সুরক্ষিত বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে যে, আছাদুজ্জামান মিয়ার কি হবে? তার এই বিপুল সম্পত্তির ব্যাপারে কোন তদন্ত হবে কি না।

এ ব্যাপারে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এ বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, এর আগেও আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। সে সময় আছাদুজ্জামান মিয়ার এই অভিযোগ গুলো তদন্ত করে তার সততা দুর্নীতি দমন কমিশন পায়নি বলে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তখন সরকার কি করবে সেটা বুঝা যাবে  ঈদের ছুটির পরপরই।


বেনজীর আহমেদ   আছাদুজ্জামান মিয়া   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে আবার পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে আবার পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ মে সিলেটের সব কটি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে প্রবহমান পিয়াইন, সারি ও গোয়াইন নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে অতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে, জানমাল রক্ষার্থে ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


সিলেট   পর্যটনকেন্দ্র   বৃষ্টিপাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদে মানুষের ভোগান্তিহীন যাত্রা নিশ্চিতে এমপি আওলাদ হোসেনের পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মুসলিমদের জন্য বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদ মানে আনন্দ-খুশির উৎসব। সেই আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবারের পাশে থাকতে চায় সবাই। যারা দূরে থাকেন তারাও শহর-নগর ছেড়ে শেকড়ের টানে পরিবারের কাছে ছোটে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই এই বাড়ি ফেরা কিংবা পরিবারের কাছে ফেরাটা স্বস্তির সঙ্গে হয় না। ঈদপূর্ব যাত্রায় সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে চলাচল নির্বিঘ্ন থাকে না। বিশেষ করে সড়কপথে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষদের।

তবে এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সেই সাথে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরাও নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদের ছুটিতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের আসা যাওয়া ভোগান্তিহীন করতে ওয়ারী বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন।

জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গোমতি পাম্পের সামনে যাত্রীবাহী বাসগুলো লম্বা সময় এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই মূলত দক্ষিণবঙ্গের ঢাকামুখী গাড়ীগুলো লম্বা জ্যামে আটকে থাকে এবং মানুষের ভোগান্তি হয়। আর সেজন্যই এবার যেন সেরকম পরিস্থিতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন। সেই সাথে ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তি নিরসন করতে শরীয়তপুরের বাস মালিক নেতা এবং শরীয়তপুরের এমপিদের সহযোগীতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ঈদ পরবর্তী দক্ষিণবঙ্গের ঢাকামুখী মানুষের ভোগান্তি নিরসনে ওয়ারী বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতেই যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়।

ড. আওলাদ হোসেন   ঢাকা   শরিয়তপুর   বাস   ঈদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৯ জুন ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ভারত সফরে সেবার দিল্লিতে তিনি আলো ছড়িয়েছেন।  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও প্রধান দুই দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সাথে যেমন সাক্ষাৎ করেছেন, তেমনই কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সাথে তার আবেগঘন সময় কেটেছে।

ভারত সফর থেকে ফিরে আসার পর আগামী ২১ জুন আবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই প্রথম কোন দেশে দ্বিপাক্ষিক সফর।

নানা কারণেই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে। দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস এবং সন্দেহের দেওয়াল গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। দুই দেশ কিছু বিষয়ে অভিন্ন নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দুই দিনের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদির জয়জয়কার ছিল। পুরো ভারত জুড়ে তার একক ইমেজ এবং প্রাধান্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত। আর এই কারণেই নরেন্দ্র মোদি যা চাইতেন, যেভাবে চাইতেন সেভাবেই সবকিছু হতো। সে সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির একক অভিপ্রায়ে চূড়ান্ত হতো বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এখন নরেন্দ্র মোদিকে একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। জোটের সকলকে সামাল দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এবার বিরোধী জোট অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা সংসদে বিজেপিকে ছাড় দেবে না।

নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি দুর্বল সরকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দ্বিপাক্ষিক সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো সেই সেগুলো নতুন করে শুরু করার নবযাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ভারত সফরকে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন গত ১৫ বছরে অসাধারণ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অস্বস্তি। যেমন তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। বাংলাদেশ এখন তিস্তার পানি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আগ্রহ দেখাবে এটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই বিকল্প প্রস্তাবে চীনের আগ্রহ সর্বজনবিদিত। ভারতকে তাই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে তারা কী করবে? এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তিস্তা নিয়ে অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সীমান্ত হত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি স্পর্শকাতর এবং বিব্রতকর বিষয়। আর এই বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই সফরে ভারত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহায়তার একটি প্যাকেজ দিতে পারে বলে কোন কোন মহল থেকে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই সম্পর্কটি আসলে নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়ার সম্পর্ক।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশে যেমন একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তেমনি ভারতেও নতুন করে নরেন্দ্র মোদি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই দু দেশের সম্পর্ককে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু দেশের সরকারই তাদের নবযাত্রার শুরুতে প্রতিবেশীই প্রথম-এই অঙ্গিকার নিয়ে নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নেবে এই সফরের মধ্য দিয়ে এটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   নরেন্দ্র মোদি   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কবি অসীম সাহা আর নেই

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা আর নেই। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

কবি অসীম সাহার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কবি, ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক মালেক মাহমুদ। তিনি পারকিনসন (হাতকাঁপা রোগ), কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

অসীম সাহা ১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর। তার বাবা অখিল বন্ধু সাহা ছিলেন অধ্যাপক।

অসীম সাহা ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৬৭ সালে মাদারীপুর নাজিমুদ্দিন মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৯ সালে স্নাতক পাস করে তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তার স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে যায় এবং তিনি ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন অসীম সাহা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

কবি অসীম সাহা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন