টেলিভিশনে
কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর বা ছবি,
ক্রিকেট ম্যাচ বা কোন অনুষ্ঠান দেখার সময় হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয়
বা প্রমোশনাল কোন বিজ্ঞাপন যদি ভেসে
উঠে সেটাকে সবাই অ্যাড নামেই চিনে।
সাধারণত টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্যমান বা শ্রবণমান প্রদান করার জন্য তৈরি করা
হয় বিজ্ঞাপন যা প্রচারিত হয়
টেলিভিশনে।
এই বিজ্ঞাপনগুলোতে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য, সেবা, বা ইভেন্টগুলি প্রমোট বা প্রচার করতে ব্যবহার
করে। মূলত দুইটি মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারে
এই বিজ্ঞাপন। একটি হল দৃশ্যমান বিজ্ঞাপন,
যা কোন চলচ্চিত্র, সিরিজ, বা কোন স্পেশাল কার্যক্রম প্রচাকালে ব্যবহৃত হয়।
আর অন্যটি শ্রবণমান বিজ্ঞাপন,
যা কোন অনুষ্ঠান, রেডিও বা দৃশ্যমান নয় সেখানেই প্রচারিত
হয়ে থাকে।
দেখা যায়, টেলিভিশনে মাঝে মাঝে এই অ্যাড বা বিজ্ঞাপন খুব বিরক্তিকর বলে মনে হলেও, কখনো কি মনে হয়েছে আচ্ছা এই বিজ্ঞাপনের রহস্য কি?
কবেই বা শুরু হয়েছিল এই বিজ্ঞাপন? অথবা এই বুদ্ধিটা কোথা থেকে বা কীভাবে এলো? কেই-বা প্রথম শুরু করল অ্যাড বা বিজ্ঞাপন বানানো?
মূলত, টেলিভিশন বা অন্যান্য মাধ্যমে ব্যবসায়িক ও বিক্রির উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য বা সেবা সাধারণ মানুষের কাছে প্রচারের মাধ্যম হল বিজ্ঞাপন।
সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপনের শুরুটা হয়
সূচের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে
প্রায় খৃষ্টপূর্ব সাত শত বছর আগে চীনের
ইনান শহর থেকে। প্রথম বিজ্ঞাপনটি
প্রচারিত হয় ’লিউ ফ্যমিলি নিডেল’ শপ ব্রোঞ্জের প্লেটে খোদাই করে। তখনকার সময়ের বিজ্ঞাপনে বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপনের তুলনায় কোনো ভাষাগত পরিবর্তন ছিল না। বর্তমান সময়ের ভাষার সঙ্গে যথেষ্ট মিল ছিল।
পরবর্তীতে ছাপাখানার আবিষ্কারের পর যখন ১৭ শতকের দিকে পত্রিকার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করল,পত্রিকাকেই তখন বিজ্ঞাপনের প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হলো। (Bofton news letter) পত্রিকায় জমি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। এবং এটিই পত্রিকা ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপন প্রচার। ১৪৭৬-৭৭ সালের দিকে সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষায় (Caxton Press) বই বিপণনের জন্যে লন্ডনের চার্চ গুলোর দেয়ালে, ফটকে বিজ্ঞাপন দেন।
তারপর ১৮৩০ সালে বিজ্ঞাপনের নতুন এক মাধ্যম হিসেবে আবিভার্ব ঘটল বিলবোর্ড’র। ‘জারেড বেল’ নামক আমেরিকান
পেইন্টার ও ইলাস্ট্রেটর একটি ৫০ স্কয়ার ফিটের বিলবোর্ড আঁকেন যেটি ছিল প্রথম বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড। বিলবোর্ডটি ছিল একটি সার্কাসের। এরপর শুরু হলো টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের যাত্রা। টিভিতে বিজ্ঞাপনের সূচনা সর্বপ্রথম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪১ সালে, মাত্র ২০ সেকেন্ডের একটি ফুটবল ম্যাচের সময় সূচি প্রচারের মাধ্যমে। যেটি প্রচার করতে খরচ হয়েছিল ৯ ডলারের মতো।
বাংলায় বিজ্ঞাপনের আবিভার্বে দেখা যায়,
৭০৭ ডিটারজেন্ট সোপের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশে টিভিতে প্রথম বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়। বাংলা শব্দে প্রথম বিজ্ঞাপন ছাপা হয় ১৭৭৮ সালে 'ক্যালকাটা ক্রনিকল' নামক একটি ইংরেজি পত্রিকায়। একটি বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক বইয়ের প্রচারণা ছিল সেটি।
১৮৫০ সালে যখন ব্রিটিশ সরকার চায়ের চাষ শুরু করল তখন সেটিকে প্রচার করে তুলতে পোস্টার ছাপানো শুরু করে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপনের মাধ্যমেও ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বিস্তার ঘটেছে দেশের সবর্ত্র। হয়েছে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিকও।
ডিজিটালযুগে
বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে
নতুন মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। সবচেয়ে
আধুনিক মাধ্যম এই ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনকে
সবার পকেট অবধি পৌঁছে
দিয়েছে।
যদিও
১৯৯৪ সালকে ইন্টারনেট জগতে বিজ্ঞাপন প্রচারের
সূত্রপাত ধরা হয়। (hotwire.com) প্রথম (ad banner) এর মধ্যদিয়ে
বিজ্ঞাপনের সূচনা করে। বিজ্ঞাপন প্রচারে
ইতিহাসের সর্বশেষ সংযোজন হল সোশ্যাল মিডিয়া
সাইট গুলোতে বিজ্ঞাপনের বিস্তার। এখন প্রায় সব
ওয়েব সাইটেই কিছুটা জায়গা বরাদ্দ থাকে বিজ্ঞাপনের জন্য,
আপনি যখন আর্টিক্যালটি পড়ছেন
তখনও হয়তো লিখাটির আশেপাশে
বিজ্ঞাপন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুধু পত্রিকার বিজ্ঞাপন ছাড়া বিজ্ঞাপনের অন্যকোন মাধ্যম আজ আর সংরক্ষিত নেই, তবে বিজ্ঞাপনী ভাষায় দিনকে দিন পরিবর্তন এসেছে।
টেলিভিশন অ্যাড বিজ্ঞাপন ইভেন্ট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।