ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ০১:৩৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের পর অস্থিতিশীল হয়ে পরেছে পাকিস্তানের রাজনীতি। ক্ষমতা দখলে চলছে ভাঙা-গড়ার খেলা। নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটি আজ দেশজুড়ে বিক্ষোভ ঘোষণা করেছে। 

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশস্থলের নাম ঘোষণা করেছে পিটিআই। তবে দলটিকে ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন। 

ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশ শহরজুড়ে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। পিটিআই দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ঘোষণায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যেকোনো সময় এফ৯ পার্কের কাছে ট্রাফিক বাড়ানো হতে পারে। এ এলাকায় জনগণকে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জরুরি এবং যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে কাউন্টার টেররিজম বিভাগের স্পেশাল ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সেখানে টহল অব্যাহত রেখেছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, জেলাজুড়ে টহল বাড়ানো হয়েছে এবং চেকপয়েন্টে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার জিও নিউজ জানায়, আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই। গত বছরের ৯ মের পর আবার এ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে সরব হতে যাচ্ছে দলটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শনিবার দেশজুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। ফলে আজ তাদের রাজপথে নামার কথা রয়েছে। এমনকি দলটি বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মসূচির জায়গাও ঘোষণা দিয়েছে।


পিটিআই   পাকিস্তান   নির্বাচন   রাজনীতি   ১৪৪ ধারা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্যপরীক্ষা আজ

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দেখতে দেখতে শেষ হতে চলল ভোটের তোড়জোড়। আজ সপ্তম তথা শেষ দফায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আর শেষ দফায় ভাগ্য পরীক্ষায় নামেছেন বাঘা বাঘা সব নেতারা। বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এবারের হেভিওয়েট প্রার্থী যারা-

আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভাগ্য নির্ধারণ করবেন বারাণসীর মানুষ। শনিবার ভোট হতে চলা ৫৭ আসনের মধ্যে তারকা কেন্দ্র বলতে গেলে বারাণসীই। তবে একাধিক রাজ্যে বেশ কয়েকটি আসনও নজরে রয়েছে।

পাটনা সাহিব কেন্দ্রের দিকে অনেকেরই নজর থাকবে। সেখানে বিজেপির প্রার্থী দলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও মুখপাত্র রবিশংকর প্রসাদ। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারের ছেলে আনশুল অভিজিৎ।

অন্যদিকে নজর রয়েছে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি লোকসভা আসনের দিকেও। সেখানে আমজনতার নজর ঘুরেছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে বিজেপি প্রার্থী করায়। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে 'সেয়ানে সেয়ানে' যুদ্ধ। কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন বিক্রমাদিত্য সিং। বিক্রমাদিত্য কঙ্গনার সমবয়সী হলেও হিমাচলের ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংহের ছেলে। বিক্রমাদিত্যের মা প্রতিভা সিং বর্তমানে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের সভাপতির পদে রয়েছে। 

অন্যদিকে শনিবার হামিরপুর আসনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জন্মস্থান ময়ূরভঞ্জ। আজ সেখানেও চলছে ভোট। 

রাজ্যের হাইভোল্টেজ লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার। এই কেন্দ্র থেকেই লড়াই করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর থাকবে ডায়মন্ড হারবারের উপর। সপ্তম দফার ভোটে রাজ্যের যে ক'টি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল দমদম লোকসভা কেন্দ্র। এখানে তৃণমূল ভরসা রেখেছে প্রবীণ সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়ের উপরই। তার বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিপক্ষ বিচক্ষণ বাম রাজনীতিক বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তৃতীয় প্রার্থীয় বিজেপির শীলভদ্র দত্ত। নজরে থাকবে বাংলার অন্য আসনগুলিও।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   লোকসভা   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের চেষ্টা চলছে'

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আদালতে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের চেষ্টা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফৌজদারি মামলায় বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করেছেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতের জুরি বোর্ড। আগামী ১১ জুলাই বিচারক এই মামলার আনুষ্ঠানিক রায় ঘোষণা করবেন।

১২ সদস্যের জুরি বোর্ড ফৌজদারি মামলায় ৩৪টি অভিযোগের সব কটিতেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। কেননা, ট্রাম্প প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ব্যবসায়িক নথিপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে এই ঘুষের তথ্য গোপন করেন তিনি। এই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়।

এখন আদালতে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা যদি ট্রাম্পের কথা বলি... যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বৈধ ও অবৈধ- সম্ভাব্য সব উপায়ে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে, এটা স্পষ্ট।’

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এক্স বার্তায় বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একজন সম্মানিত মানুষ হিসেবে চিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সবসময় আমেরিকাকে প্রথম করতে চেয়েছেন। বিশ্বজুড়ে বেশ সম্মান কুড়িয়েছেন। সেই সম্মান শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে জনগণকে রায় জানাতে দিন। লড়াই চালিয়ে যান, প্রেসিডেন্ট।’

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমের বলেন, প্রথম ও সর্বাগ্রে, আমরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি। যদিও এখনও সাজা হওয়া বাকি এবং আপিল করা যেতে পারে।

ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাঁর প্রতি আমাদের সংহতি ও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আশা করছি, আপিলে ট্রাম্প জয় পাবেন।

জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োরহিমাশা হায়াশি বলেন, আমরা অন্য দেশের বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে চাই। তবে বিষয়টি (ট্রাম্পের মামলা) ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং তথ্য সংগ্রহ করা চালিয়ে যাব।


আদালত   ডোনাল্ড ট্রাম্প   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। আজ ১ জুন থেকে বাংলাদেশসহ ১৪ সোর্সকান্ট্রির কোনো কর্মী ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া। এতে টিকেটের অভাবে কপাল পুড়েছে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের। তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশিদের প্রতারিত হওয়ারও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, আপাতত শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ায় গত কয়েক দিনে মালয়েশিয়ায় গেছেন হাজার হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি।  

শুক্রবার শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য উপচে পড়া ভিড় ছিল ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে। কিন্তু ভিসা পেয়ে, কয়েক লাখ টাকা খরচ করেও মালয়েশিয়া যেতে পারেনি প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি। শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইট আয়োজন করেও এ বিশালসংখ্যক ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীকে পাঠানো যায়নি। ঋণ করে টাকা দিয়ে নিঃস্ব এসব কর্মী হাহাকার করেছে বিমানবন্দরে। 

বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে নানা প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করা হয়। এরপর মালয়েশিয়া থেকে পাওয়া চাহিদাপত্রের বিপরীতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। গত মার্চে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত আর শ্রমিক নেওয়া হবে না। আর অনুমোদন ও ভিসা পাওয়াদের ৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে। 

সর্বশেষ মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা থেকে গতকাল (৩১ মে) রাত ১২টার আগে পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদেরই কর্মী হিসেবে গ্রহণ করা হবে। রাত ১২টার পর ছেড়ে যাওয়া আর কোনো ফ্লাইটকে অনুমোদন দেওয়া হবে না। রাত ১২টা পর্যন্ত মালয়েশিয়া যেতে পেরেছে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ১০২ জন। সে হিসেবে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি ৩০ হাজার ৮৪৪ জন ভিসা ও অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি কর্মী। 

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শেষ দিনে মালয়েশিয়া যেতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেছে হাজারো শ্রমিক। অনেকেই চার-পাঁচ দিন ধরে বিমানবন্দরে অবস্থান করছে। এজেন্সিগুলো আশ্বাস দিলেও মিলছে না ফ্লাইটের টিকিট। 

নাটোর থেকে আসা হাবিবুর রহমান নামে এক মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বলেন, ‘পাঁচ দিন থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছি। কিন্তু বিমানের কোনো টিকিট পাচ্ছি না। এজেন্সি থেকে বলছে তারা চেষ্টা করছে, টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। টিকিটের মূল্য ৪০ হাজার টাকা হলেও তারা প্রথমে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। তখন বলেছিল টিকিটের দাম বেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার এজেন্সি থেকে বলা হয়, একটা টিকিট পাওয়া গেছে। এজন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। এলাকা থেকে ঋণ করে এনে সেই অতিরিক্ত টাকা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো টিকিট পাইনি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় এক ইলেকট্রিক কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছি। ভিসাও এসেছে ২০ দিন আগে। এর পর থেকে টিকিটের জন্য এজেন্সিকে তাড়া দিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত তারা আমার কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে। জমি, গরু ও বউয়ের গয়না বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছি। সর্বশেষ টিকিটের জন্য অতিরিক্ত টাকা ঋণ করে আনতে হয়েছে। এখন যদি আমি যেতে না পারি তাহলে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ 

মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা রুবেল হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘এজেন্সিকে টাকা দিয়ে বিপদে পড়েছি। ভিসা এসেছে প্রায় এক মাস আগে। এর পর থেকে টিকিটের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা টিকিটের জন্য বারবার ঘোরাচ্ছে। এখন তারা বলছে এক সপ্তাহ পর আবার মালয়েশিয়ার বিমান চালু হবে। তখন টিকিট দিতে পারবে।’ 

মাদারীপুর থেকে আসা আকবর আলী নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আট-দশ দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু কোনো টিকিট পাইনি। টিকিটের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। টাকার অভাবে গতরাতে বিমানবন্দরেই ঘুমিয়েছি। আমার কাছে আর মাত্র ৪০ হাজার টাকা আছে। এখন টিকিটের জন্য এজেন্সি দেড় লাখ টাকা চাইছে। এত টাকা আমি কোথায় পাব? সময়মতো টিকিট না পাওয়ায় এখন আর মালয়েশিয়া যেতে পারব কি না জানি না।’ 

রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু হওয়ার পর থেকে বিমানের টিকিট নিয়ে চলছিল হরিলুট। সর্বশেষ মার্চে মালয়েশিয়ায় ৩১ মে’র মধ্যে ঢোকার ঘোষণা আসার পর থেকে ছাড়িয়ে যায় সব সীমা। ২০ হাজার টাকার টিকিটে ১ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়। শেষে আর পাওয়াও যায়নি। 

সর্বশেষ এক সপ্তাহ চেষ্টা করেও কোনো বিমানেরই টিকিট পাওয়া যায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে শেষ দিনে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এক মাস আগে থেকে এ ব্যবস্থা থাকলে এতসংখ্যক কর্মীকে হতভাগ্য হয়ে ফিরতে হতো না। অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না কর্মী বা এজেন্সিকে। জানা যায়, বাংলাদেশের অন্যতম আগ্রহের মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ২০০৯ সালে প্রথম দফায় বন্ধ হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের শেষে চালু হয় শ্রমবাজার। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আবার বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সেই শ্রমবাজার আবার চালু হয় ২০২২ সালে। এখন আবার কর্মী নেওয়া স্থগিত করল দেশটি। 

শ্রমবাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়া সরকার নতুন কোটা বরাদ্দ করে বাংলাদেশসহ সব সোর্স কান্ট্রি থেকে আবার কর্মী নেওয়া শুরু করবে ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে।


মালয়েশিয়া   শ্রমবাজার   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরাকে আট আইএস সদস্যের মৃত্যুদন্ড কার্যকর

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে একসঙ্গে আট আইএস সদস্যের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এনিয়ে গত এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশটিতে একসঙ্গে একাধিক মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিচার মন্ত্রণলায়ের একটি দলের তত্ত্বাবধানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাসিরিয়াহ শহরের আল-হাট কারাগারের একটি নিরাপত্তা সূত্র হতে জানা যায়, সন্ত্রাসবাদের দায়ে আটজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর সদস্য।

এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, এমন আটজনের মরদেহ পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি সূত্র

নাসিরিয়াহতে আল-হাট একটি কুখ্যাত কারাগার। ইরাকিরা বিশ্বাস করেন, যারা এই কারাগারে যান, তারা কখনো জীবিত বের হন না।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরাকে ‘সন্ত্রাসবাদের’ দায়ে শতাধিক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন সেখানকার আদালত।


আইএস   সন্ত্রাস   মৃত্যুদন্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাবে যা যা থাকছে

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বান। তিনি বলেছেন, এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় এসেছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বাইডেন এ আহ্বান জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিন পর্যায়ের নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সুযোগ রয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। 

হামাসের উদ্দেশ্যে বাইডেন বলেন, হামাস সবসময় বলে থাকে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এখন হামাসের সামনে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে, তারা আসলেই এটা চায় কিনা।

কিন্তু ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাবে কী আছে? আসুন জেনে নেই-

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের তুলে নেওয়া হবে।

যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং আহত জিম্মিরা থাকবেন। এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি থাকা কয়েক শ মানুষকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি অভস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।

গাজার সব এলাকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘরে ফিরতে সুযোগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানো হবে। গাজায় প্রতিদিন মানবিক সহায়তাবাহী ৬০০ ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজাবাসীর জন্য হাজারো সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা করবে।

ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্ততায় শান্তি আলোচনা চলমান থাকবে। যদি আলোচনা সফল হয়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। 

দ্বিতীয় পর্যায়ে বাদবাকি জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। তাদের মধ্যে জিম্মি পুরুষ সেনারাও থাকবেন। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকেও সরিয়ে নেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’  উন্নীত করা হবে।

তৃতীয় পর্যায়ে জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরণের একটি ‘পুনর্গঠন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গাজা উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করা হবে।


গাজা   যুদ্ধ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন