ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রাজিল প্রেসিডেন্টকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৭:৪২ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দখলদার ইসরায়েল।  

গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি জানান, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এছাড়া ইসরায়েলকে নাৎসি বাহিনীর প্রধান এডলট হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের আরও বলেন, ইসরায়েল কোনো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না। তারা যুদ্ধ করছে গাজার নিরীহ নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে।

লুলার এমন মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রাজিলিয়ান দূতকে ডেকে পাঠায় ইসরায়েল। এরপর দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেছেন, “আমরা ভুলব না ক্ষমাও করব না। এটি একটি গুরুতর ইহুদি বিদ্বেষী হামলা। আমার এবং ইসরায়েলের মানুষের পক্ষ থেকে— প্রেসিডেন্ট লুলাকে বলুন, তিনি ইসরায়েলে অবাঞ্ছিত থাকবেন যতক্ষণ না নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিচ্ছেন।”

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে বর্বরতা চালানো দখলদার ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, “গাজায় যা হচ্ছে সেটি যুদ্ধ নয়, এটি একটি গণহত্যা। এটি সেনাদের বিরুদ্ধে সেনাদের যুদ্ধ নয়। এটি নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধ।”

“গাজাবাসীর সঙ্গে যা হচ্ছে তা ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। আসলে, ঘটেছে; যখন হিটলার ইহুদিদের হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।”

আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনে অংশ নিতে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় গেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব মন্তব্য করেন তিনি। যা হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর তার সবচেয়ে কঠোর ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্য।


ব্রাজিল   প্রেসিডেন্ট   ইসরায়েল   লুলা দা সিলভা   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মক্কায় হিটস্ট্রোকে ৬ হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

হজের সময় এই বছর মক্কার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। গরম কমাতে নেওয়া হয়েছিল নানা রকম ব্যবস্থাও। তারপরও হিটস্ট্রোকে অন্তত হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে জড়ো হওয়ার পর, এই হজযাত্রীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন খবর জানিয়েছে।

নিহত সবাই জর্ডানের নাগরিক। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতি মন্ত্রণালয় বলেছে, মৃতদের দাফন প্রক্রিয়া এবং মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তারা জেদ্দার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছেন ।

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’—লাখো কণ্ঠে মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে শনিবার পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালিত হয়।

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফাত ময়দানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হন। তাদের কণ্ঠে ছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মুসল্লি পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনা নিয়ে এবার পবিত্র হজ পালন করেছেন। তারা গতকাল সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে ট্রেনে, বাসে ও পায়ে হেঁটে রওনা হন আরাফাতের ময়দানের দিকে। তাদের কণ্ঠে ছিল একটাই রব, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক।’

হজের খুতবা দেন খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। বিশ্বের মুসলমানদের আল্লাহকে ভয় করে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মুসলমানরা জীবনে কল্যাণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মৃত্যু–পরবর্তী জীবনে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত অর্জন এবং জাহান্নামের সব ধরনের শাস্তি থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন।

আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে হাজিরা কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করেন। কেউ যান জাবালে রহমতের কাছে। আবার কেউ যান মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা শুনতে।

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজ পালন করা হয়। এ ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ। পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিকভাবে সমর্থ ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ।

সৌদির পরিসংখ্যান বিষয়ক সাধারণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর ১৮ লাখ মানুষ সারা বিশ্ব থেকে হজ পালনে অংশ নিয়েছে।


হিটস্ট্রোক   হজযাত্রী   মক্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ৫০ হাজার শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজা উপত্যকায় ৫০ হাজারের বেশি শিশুর তীব্র অপুষ্টিজনিত জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)  শনিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার।

বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, মানবিক সহায়তা প্রবেশে অব্যাহত বিধিনিষেধের কারণে গাজার বাসিন্দারা তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে ইউএনআরডব্লিউএ দলগুলো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যেও ত্রাণ নিয়ে এসব পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

এছাড়া ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার আলজাজিরাকে বলেছেন, জাতিসংঘের আবির্ভাবের পর যে কোনো যুদ্ধের চেয়ে এই যুদ্ধে বেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।

এল্ডার বলেন, ‘বুধবার গাজায় ১০ হাজার শিশুর জন্য পুষ্টি চিকিৎসা সরবরাহভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে যাওয়ার মিশন ছিল ইউনিসেফের। তাদের কাজ ছিল ত্রাণ দেয়া যা আগেই ইসরাইলি বাহিনীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া ছিল।

তিনি বলেন, ‘ জন্য ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমরা তাদের আটটি চেকপয়েন্টে  ‘‘এটি একটি ট্রাক নাকি একটি ভ্যান’’- নিয়েই তর্ক করেছি।


গাজা   জাতিসংঘ   জরুরি চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে তিস্তার পানি, শঙ্কায় নদী তীরবর্তী পরিবার

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে উত্তর সিকিমে তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে সিকিম রাজ্য সরকার নিচু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের ১ হাজার ১০০ কিউসেক পানি গতকাল শনিবার ছাড়া হয়েছে। এই গজলডোবা থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে।

গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পারের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে বন্যা দেখা দিতে পারে।

উত্তর সিকিমে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এই পর্যটকদের সিংহভাগ পশ্চিমবঙ্গের। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১০ পর্যটকসহ থাইল্যান্ডের ২ জন এবং নেপালের ৩ পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে।

সড়ক ও পাহাড়ের অংশে ধস নামায় পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। পর্যটকদের উদ্ধারে সিকিম সরকার সেনা নামিয়ে নতুন করে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর সিকিমে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিকিম সরকার ওই রাজ্যে আসা পর্যটকদের হোটেল বা যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সিকিমের পর্যটনসচিব সি এস রাও বলেন, আটকে পড়া বা হোটেলে অবস্থান করা কোনো পর্যটক যেন ঝুঁকি না নেন। তাঁদের জন্য মজুত রয়েছে প্রচুর খাবার। যদিও তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পেশক রোড এখনো বন্ধ রয়েছে। এ রাস্তার পাশে বিপজ্জনকভাবে বইছে তিস্তা নদী।


পশ্চিমবঙ্গ   তিস্তার পানি   শঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানে ছড়াচ্ছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া, সংক্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

করোনা ভাইরাসের পর ফের উদ্বেগ ছড়াচ্ছে নতুন এক ব্যাকটেরিয়া। যা এখন জাপানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মাংসখেকো এ ব্যাকটেরিয়া এতটাই মারাত্মক যে, এর সংক্রমণের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

এই ব্যাকটেরিয়ার নাম গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোককাস (জিএএস)। এর সংক্রমণে যে রোগ সৃষ্টি হচ্ছে, তার নাম স্ট্রেপ্টোককাল টক্সিক শক সিনড্রোম।

জাপানের সংক্রামক রোগ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৭ জন। গত বছর এসটিএসএসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪১ জন মানুষ। ১৯৯৯ সাল থেকে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করছে।

সংক্রমণের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে আড়াইহাজারে। এই রোগে মৃত্যুর হার ভয়ঙ্করজনকভাবে বেশি, শতকরা ৩০ শতাংশ।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই জাপানে এসটিএসসে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।

এই ব্যাকটেরিয়াটির বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। কিছু কিছু প্রজাতির মূলত শিশুদের আক্রান্ত করে। এতে আক্রান্ত শিশুর গলা ফুলে যায়, সঙ্গে ব্যথাও থাকে। তবে কিছু প্রজাতি মূলত ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী লোকজনকে আক্রমণ করে ।

এসব প্রজাতির সংক্রমণ ঘটলে প্রথমে গলা ব্যথা এবং পরে মাংসপেশীতে ব্যথা শুরু হয়। হাত-পা-মুখ ফুলে যায়, রক্তচাপ নেমে আসে এবং একপর্যায়ে মাংশপেশিতে পচন ধরে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে।

টোকিও উইম্যান্স মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কেন কিকুচি বলেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে একজন রোগীর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।

এই রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে হাত পরিষ্কার রাখা এবং শরীরের যে কোনো ক্ষতস্থান খোলা অবস্থায় না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক কেন কিকুচি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া


মাংসখেকো   ব্যাকটেরিয়া   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১০ জিলহজ: আজ হাজিরা যা করবেন

প্রকাশ: ১১:৫০ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আজ হজের তৃতীয়দিন ১০ জিলহজ। আজকের কার্যক্রম শুরু হয় মুজদালিফা থেকে। গতকাল জিলহজ আরাফাতের ময়দান থেকে ফিরে এসে মুজদালিফায় অবস্থান করেছিলেন হাজিরা। আজ সূর্য ওঠার পর জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য রওনা হন মিনার পথে।

হাজিরা আজ মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত দোয়া জিকির করেন। এরপর তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার পথে রওনা হন। সেখানে বড় জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি বা হাদির পর মাথামুণ্ডন শেষে ইহরাম ত্যাগ করেন হাজিরা। ১০ জিলহজ মোট ৫টি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে থাকেন তারা। এরমধ্যে ৩টি কাজ  সবাইকেই করতে হয়। নিম্নে সেই পাঁচটি কাজ তুলে ধরা হলো।

মিনায় গমন: হাজিরা আজ মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত দোয়া জিকির করবেন। এরপর তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার পথে রওনা হবেন। 

কঙ্কর নিক্ষেপ: মিনায় আসার পথে হাজিরা কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। কেউ মুজদালিফা থেকে আবার কেউ মিনার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। এরপর মিনায় গিয়ে বড় জামারায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। দিন শুধু এই এক জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়।

কোরবানি বা হাদি আদায়: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তামাত্তু কিরান হজ আদায়কারীরা যে উট, গরু, ছাগল, ভেড়া দুম্বা ইত্যাদি পশু বাধ্যতামূলকভাবে জবেহ করে থাকেন তাকে হাদি বলা হয়। যারা কিরান তামাত্তু হজ করছেন তাদের কেনা পশু আজ জবাই করা হবে।

চুল কাটা: কোরবানি বা হাদি শেষে চুল কেটে ইহরামের কাপড় খুলে ফেলবেন হাজিরা। এরপর থেকে ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ হারাম ছিল তার প্রায় সবই হালাল হয়ে যাবে। শুধু স্ত্রী সহবাস করা যাবে না।

তাওয়াফে জিয়ারত আদায়: হজের সর্বশেষ ফরজ বিধান হলো তাওয়াফে জিয়ারত। একে তাওয়াফে ইফাদাও বলা হয়। ১০ জিলহজ ফজরের সূর্য উদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত তাওয়াফ করা যায়। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাওয়াফ করে নেওয়াই উত্তম। তাই আজ কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ হলে কেউ কেউ মক্কায় গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত করবেন।

এরপর ১১ জিলহজ তিনটি শয়তানকে ২১টি পাথর মেরে হাজিরা তাওয়াফে জিয়ারত করবেন। তাওয়াফে জিয়ারতের মাধ্যমে হজের সবকটি ফরজকাজ সম্পন্ন হবে।


হাজি   হজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন