ইনসাইড পলিটিক্স

দেশে ফিরেছেন খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টায় তিনি ঢাকায় পৌঁছেছেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সিঙ্গাপুরের ডাক্তারদের পরামর্শক্রমে গুলশানের বাসায় ৪ থেকে ৬ মাস বেড রেস্টে থাকবেন। যেহেতু ব্রেইনে অপারেশন হয়েছে, তাই ডাক্তার আগামী ৪ মাস কোনো ধরনের জনসমাগম ও কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ থেকে বিরত থাকতে তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন   বিএনপি   সিঙ্গাপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাবেক সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের ১৩ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-প্রয়াতের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ।

১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মো. নাসিম। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম. মনসুর আলী ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন। 

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। 

মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রও ছিলেন।


রাজনীতিবিদ   নাসিম   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ আমাদের প্রধান শত্রু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) আমাদের প্রধান শত্রু। তারা দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের সুর একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে। শিগগিরই আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান হবে। আমরা সব দল (সমমনা) একত্রিত হতে পেরেছি। কিভাবে এই সরকারকে সরাতে পারি, কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। 

বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে সর্বগ্রাসী সংকট চলছে। একদিকে রাজনৈতিক সংকট আরেকদিকে অর্থনৈতিক সংকট। গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

এই সরকারের অপকীর্তি স্বল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার প্রথম সর্বনাশ করেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে। আগেও করেছিল, এবার করেছে একটু ভিন্ন কায়দায়। এখন একটু শিক্ষিত হয়েছে, ছদ্মবেশী আবরণ দিয়ে, গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, এখন কিন্তু দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরাও কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা দেখছেন, যদি আওয়ামী লীগের এরকম ফ্যাসিবাদ চলতেই থাকে তাহলে এই দেশের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

আওয়ামী লীগ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যেভাবে জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে পরিবারতন্ত্র, তার একটি উদাহরণ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিলো যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় ও নিজস্ব লোক উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা কারও পক্ষে কাজও করতে পারবেন না। উদ্দেশ্য ছিলো তৃণমূলে দলের মধ্যে নেতৃত্বের বিকেন্দ্রীকরণ করা। যা গণতন্ত্রের চর্চা, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল পর্যায়ে যেভাবে পারিবারিক কায়েম করা হচ্ছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। কিন্তু দলের এই নির্দেশ অমান্য করেই বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মন্ত্রী, এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্র কায়েম করার জন্যে। কিন্তু এর ফলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ একটি নির্দিষ্ট পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে যায়। সেখানে গণতন্ত্রের চর্চা রুদ্ধ হয়ে পড়ে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণশক্তি তৃণমূলের কর্মীরাই তখন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়, হয়রানির শিকার হয়। 

মুন্সিগঞ্জ জেলার কথাই ধরা যাক। মুন্সিগঞ্জ সদর এবং গজারিয়া নিয়ে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন। এই মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেন মো. মহিউদ্দিন। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও বটে। তার ভাই আনিসুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একই সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান। তার ছেলে ফয়সাল বিপ্লব জাতীয় সংসদ সদস্য। ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রী চৌধুরী ফারিয়া আফরিন পৌরসভার মেয়র। মো. মহিউদ্দিন চতুর্থ স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এর ফলে পুরো জেলায় একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন মো. মহিউদ্দিন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে মহিউদ্দিন পরিবার জেলা সহ দুই উপজেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলায় এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে এই মহিউদ্দিন পরিবারের খবরদারি নেই। বালু উত্তোলন থেকে শুরু করে গরুর হাট ইজারা সব কিছুই এখন মহিউদ্দিন পরিবারের দখলে। পদ্মা-মেঘনায় যে বালু দুস্যতা এর পুরো নিয়ন্ত্রণ এই মহিউদ্দিন পরিবারের হাতে। এভাবে মুন্সিগঞ্জে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এই পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদী হয় কিংবা অভিযোগ করে তাদের ওপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন।

শুধু তাই নয়, মহিউদ্দিন পুত্র ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে গত বছর অক্টোবরে সাম্প্রদায়িক উস্কানিও অভিযোগ উঠে। এছাড়া ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী দিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ঘেরাও করার অভিযোগও উঠেছিলো ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আছে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল নিজেই এক সংবাদ সন্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।

শুধু এক মহিউদ্দিন পরিবার নয়, এভাবে জেলা কমিটি সহ অন্যান্য কমিটি, স্থানীয় নির্বাচনে নিজেদের লোকদের নির্বাচিত করে এনে পরিবারতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে। আর এর ফলে উপেক্ষিতই থাকছে তৃণমূলের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

পরিবারতন্ত্র   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শৃঙ্খলা ভঙ্গ: ৪ জনকে বহিষ্কার করল কৃষক দল

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপির পেশাজীবী সংগঠন কৃষক দল। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সংগঠনটির দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি এস এম গোলাম কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন মোকা এবং সাবেক সহ-সভাপতি বাবলা আমিনকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার (১২ জুন) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।


শৃঙ্খলা   বহিষ্কার   কৃষক দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঝিনাইদহের রাজনীতিতে সাইদুল করিমের উত্থান যেভাবে

প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাইদুল করিম মিন্টু। তার পিতার নাম রুহুল কুদ্দুস। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভায়না গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার বাবা নিহত হন। বাবা রুহুল কুদ্দুস মারা যাওয়ার পর অনেক অভাব-অনটনে পড়তে হয় মিন্টুর পরিবারকে।

সম্প্রতি এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করেছে পুলিশ। ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিম ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে মাঠপর্যায়ের রাজনীতি শুরু করেন।

সাইদুল করিম ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা। ওই এলাকার প্রয়াত রুহুল কুদ্দুস আঙ্গুরা বেগম দম্পতির সন্তান। জন্ম ১৯৬৪ সালের জুন। বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ইন্দিরা সড়কের বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন। স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এবং সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।

ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি সাইদুল করিমের। ঝিনাইদহে দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। ১৯৭৮ সালে ঝিনাইদহ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ভারমুক্ত হয়ে পূর্ণ সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৮৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।

১৯৯৭ সালে ছাত্রলীগের সক্রিয় সাবেক কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে তিনি পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০১১ সালের ১৩ মার্চ ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে সাইদুল করিম মেয়র নির্বাচিত হন। আইনগত জটিলতায় নির্বাচন না হওয়ায় এরপর ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর তিনি এই পদে ছিলেন।

আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম আটক হওয়ার পর ঝিনাইদহ জেলা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, মুজিব চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের সভাপতি মিন্টু। এ ছাড়া ঝিনাইদহের অনেক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন তিনি। 

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগে তার শক্তিশালী একটি গ্রুপ রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। রাজনৈতিক বিরোধ ছিল ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতার অবস্থান একদিকে এবং সাইদুল করিম মিন্টু একাই একদিকে।

এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহের অনেক রাজনৈতিক নেতার পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন। সেই সঙ্গে এমপি আনারের মরদেহ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।


ঝিনাইদহ   সাইদুল করিম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন