ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার তেল ভারত ঘুরে যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার নাখোদকা বন্দরের কাছে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার এগিয়ে চলেছে গন্তব্যের উদ্দেশে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি তেল কেনা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জেরে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই রাশিয়ার তেল যাচ্ছে। তবে সরাসরি রাশিয়া থেকে তেল কিনছে না দেশটি। রাশিয়া থেকে কেনা অপরিশোধিত তেল শোধন করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করছে ভারত। এই তেল আনা হচ্ছে ‘ছায়া ট্যাংকার’ বহর ব্যবহার করে।

২৪ ফেব্রুয়ারি দুই বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশের একটি হয়ে উঠেছে ভারত। জানা গেছে, শুধু গত বছরই রাশিয়ার কাছ থেকে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের অপরিশোধিত তেল কিনেছে ভারত। এরপর দেশে এনে পরিশোধন করার পর ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের তেল যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে নয়াদিল্লি।

ফিনল্যান্ডভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্স অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) তথ্য বলছে, যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে ভারত যে পরিমাণ তেল কিনত, যুদ্ধ শুরুর পর দেশটি থেকে ভারতের তেল কেনা ১৩ গুণ বেড়েছে।
সিআরইএর বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে রাশিয়ার তেল পরিশোধন করে করে ভারত যে জ্বালানি পণ্য তৈরি করেছে, তার বড় ক্রেতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে ১৩০ কোটি ডলারের জ্বালানি পণ্য আমদানি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলোর যে জোট রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল, সেসব দেশেরও রাশিয়ার তেল থেকে তৈরি জ্বালানি পণ্য আমদানি বেড়েছে। সিআরইএর হিসাবে, ২০২৩ সালে জোটে থাকা অন্য দেশগুলোও ৯১০ কোটি ডলার মূল্যের এসব জ্বালানি পণ্য আমদানি করেছে। আগের বছরের চেয়ে যা ছিল ৪৪ শতাংশ বেশি।

রাশিয়ার তেল কেনার উপর পশ্চিমারা যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার আওয়তায় পড়ে না ভারত। তবে জাহাজ চলাচলের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকলেও ভারত রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানির ক্ষেত্রে তথাকথিত ছায়া ট্যাংকার বহর ব্যবহার করেছে। কার কাছে তেল–বাণিজ্য হচ্ছে ও কীভাবে তেল পাঠানো হচ্ছে, সেটা গোপন রাখতে এই ছায়া ট্যাংকার বহর তৈরি করেছে রাশিয়া।

চলতি মাসের শুরুতে গ্রিসের গিথিও বন্দরে রাশিয়ার ছায়া ট্যাংকার বহরের দুটি ট্যাংকার দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি ট্যাংকার ছিল অনেক বড় ও অন্যটি তুলনামূলক ছোট। তেলবাহী ট্যাংকার দুটি গ্রিসের বন্দরে নোঙর করা ছিল। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এসব ট্যাংকারে থাকা তেল অন্য ট্যাংকারে স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল গ্রিসের ওই বন্দরকে।

জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান পোল স্টার গ্লোবাল। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গ্রিসের বন্দরে নোঙর করে রাখা ওই দুটি ট্যাংকার এক সপ্তাহ আগে রাশিয়া থেকে তেল নিয়ে রওনা করে। ট্যাংকার দুটির মধ্যে একটি ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এই ট্যাংকারের নামে এর আগে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। অন্য ট্যাংকারটিও যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক একটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।

পোল স্টার গ্লোবালের ডেভিড তান্নেনবাউম সিএনএনকে বলেন, মাঝেমধ্যে আইনসিদ্ধ উপায়েই তেল এক ট্যাংকার থেকে অন্য ট্যাংকারে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রে অবৈধ একটি কৌশল অবলম্বন করা হয়। কারণ, এটা একধরনের খেলা। এ খেলা হয় যাতে এসব তেল কোথা থেকে এসেছে আর কারাই–বা কিনেছে, এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ একটা ধন্দের মধ্যে পড়ে যায়।

বিশ্লেষকরা বলছে, প্রতি সপ্তাহে গ্রিসের বন্দরে এমন ডজন ডজন ট্যাংকারে তেল স্থানান্তরের ঘটনা ঘটছে। গ্রিসের বন্দরে ট্যাংকার বদল হওয়ার পর সেই তেলবাহী ট্যাংকার সুয়েজ খাল হয়ে এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে সাহায্য করছে সন্দেহভাজন এমন ট্যাংকার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ মাসের শুরুতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়ার কথিত এই ‘ছায়া বহর’ অচল করার লক্ষ্যে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আরও কিছু পশ্চিমা দেশ একজোট হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ মূল্যসীমা বেঁধে দেয়। জোটের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ব্যারেল ৬০ মার্কিন ডলারের বেশি দামে রাশিয়ার তেল কেনা যাবে না। এর চেয়ে বেশি দামে রাশিয়া যাতে তেল বিক্রি করতে না পারে, তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখার জন্য জোটভুক্ত দেশগুলো তাদের দেশীয় কোম্পানি ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়।

বেলজিয়ামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কেপলারের অপরিশোধিত তেলবিষয়ক গবেষণা শাখার প্রধান ভিক্টোরা কাতোনা সিএনএনকে বলেন, রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়ার কারণেই মূলত ছায়া বহর তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। সরবরাহব্যবস্থা দীর্ঘ করতে এক ট্যাংকার থেকে আরেক ট্যাংকারে তেল স্থানান্তরও করা হচ্ছে। কারণ, এটা করলে রাশিয়ার প্রতি ব্যারেল তেলের প্রকৃত মূল্য কত সেটি নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে ওঠে।

তবে ভারত ও রাশিয়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে তেল–বাণিজ্য করেছে সরাসরি ও প্রকাশ্যে। উইন্ডওয়ার্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছর তেল নিয়ে সরাসরি রাশিয়া থেকে ভারতে গেছে ৫৮৮টি ট্যাংকার। এদিকে পোল স্টার গ্লোবালের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর রাশিয়া থেকে তেল নিয়ে গ্রিসের উপকূলে ট্যাংকার বদল করার দুই শতাধিক ঘটনা শনাক্ত করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এসব ট্যাংকারের গন্তব্য ছিল ভারত। এদিকে উইন্ডওয়ার্ড জানাচ্ছে, গত বছর ছায়া বহর ব্যবহার করে ১ হাজার ৮০০ ট্যাংকারে অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে রাশিয়া।

এতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের আয় বেড়েছে। ২০২৩ সালের সর্বশেষ রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করেছিল রাশিয়া।


রাশিয়া   ভারত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-হ্যারিসের যেসব অর্জন তুলে ধরলেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।  

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।  

এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:

১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া

২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি 

৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি

৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড 

৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া 

৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ

৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ

১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা 

১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া 

১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা 

১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি

১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস।  আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক।  যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন   ভাইস প্রেসিডেন্ট   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন বারাক ওবামার

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি রাখেন। তার সেই দক্ষতা রয়েছে।’

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির শতাধিক শক্তিশালী নেতা কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেন। 

বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করেন ওবামা। কিন্তু সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি। 

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে ডেমোক্রেটিক দলের অধিকাংশ নেতার সমর্থন পেয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কমলাকে আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী মাসে দলের সম্মেলন রয়েছে। এই সম্মেলনে কে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে। 

শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে ওবামা বলেন, কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তারা অধিক উত্তেজিত নয়। তবে কমলার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তারা (বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা) সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। 


বারাক ওবামা   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাপপ্রবাহ মহামারির চেহারা নিতে চলেছে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।

সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।

গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য় মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।

গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে।

এই তাপপ্রবাহের জন্য় খাদ্য-সুরক্ষা ব্য়বস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা যেন আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য় শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে।

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে।

পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে এদিন জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


তাপপ্রবাহ   জাতিসংঘ   আন্তোনিও গুতেরেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান, জামিয়াত উলেমা ই ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশজুড়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তানের সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করার হবে বলে ঘোষণা করেছেন।

এই দুই ইস্যুকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে থেকেই বিক্ষোভ করছিল জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলো। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।

এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার।

এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে পাঞ্জাব প্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়েছে। জনগণকে সরকারের এই আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে প্রাদেশিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, সেই সঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং পিটিআইয়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে এসব দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে গেছে।


বিক্ষোভ   পাকিস্তান   ইসলামাবাদ   পাঞ্জাব   ১৪৪ ধারাl জারি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যার অভিযোগও। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণের সুযোগ দেওয়ারও সমালোচনা করেছে গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আমেরিকান কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সুযোগের নিন্দা করে হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

মূলত নেতানিয়াহু গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার সেই ভাষণের সময় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটের প্রায় অর্ধেক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং অপরাধের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছিলেন।

পরে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিশ্বের সামনে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে এবং গাজায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ ঢেকে দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পরিবর্তে নেতানিয়াহুকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল এবং তাকে আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) এর কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘নেতানিয়াহুর বক্তৃতা তার সামরিক, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংকটের গভীরতাই প্রতিফলিত করেছে।’

হামাস নেতানিয়াহুকে রাফাহ এবং নুসেইরাতের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ উপেক্ষা করার পাশাপাশি অনেক বন্দিকে মুক্ত করার মতো মিথ্যা বিজয়ের দাবি করার বিষয়েও অভিযুক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, নেতানিয়াহু গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাথে দেখা করেন। এছাড়া ইসরায়েলে ফেরার আগে শুক্রবার ফ্লোরিডায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করার কথাও রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় চলমান আগ্রাসনে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই বর্বর আগ্রাসনে আহত হয়েছেন।


যুদ্ধাপরাধী   গ্রেপ্তার   হামাস   ইসরায়েল. প্রধানমন্ত্রী   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন