ইনসাইড বাংলাদেশ

স্ত্রীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান (৫৬) ও তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের (৪৮) মারা গেছেন। নজমুল আহসান ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তা। তবে, তাদের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নাহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান সৈয়দ নজমুল আহসান। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি মুন্সী সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর-২ অফিসার্স কমপ্লেক্সে বাসায় স্বামী-স্ত্রী উভয় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন নজমুল আহসানকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে অসুস্থ স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান।

তিনি জানান, সৈয়দ নজমুল আহসান পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক ছিলেন। এ দম্পতির দুই মেয়ে একজনের বয়স ১২, আরেক জনের বয়স ১৫। তাদের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


পরিবেশ   ঢাকা অঞ্চল   কর্মকর্তা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএনএ স্যাম্পল দিতে ভারত যেতে চান আনার কন্যা ডরিন

প্রকাশ: ১০:৫৩ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন জানিয়েছেন, বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে সেগুলো বাবার কি না তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এজন্য ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে কলকাতা পুলিশ ডাকলে সেখানে যাবো।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ কথা জানান।

ডরিন বলেন, ‘আমার ভারতীয় ভিসা হয়েছে। যদি কলকাতা পুলিশ ডাকে তবে ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে সেখানে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা হত্যার সঠিক বিচার চাই। আসামি যারা রয়েছে তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় এনে বিচার করা হোক।’

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘আমার বাবা জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী তাকে মোট পাঁচবার মনোনয়ন দেন। বাবার হত্যার বিচারের বিষয়টি অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য প্রতিপক্ষরা উঠে পড়ে লেগেছে।’

এদিকে এদিন সন্ধ্যায় কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এগুলো আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি তারা।

ভারতে অবস্থানরত ডিএমপির গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, উদ্ধার হওয়া মাংস নিহত এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে ওঠেন বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য।

নিখোঁজের বিষয়ে পরে একটি জিডি করেন আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরই শুরু হয় খোঁজ। গত বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে মরদেহ মেলেনি সেখানে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কলকাতায় একজন ও বাংলাদেশে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের জট খোলেনি; মেলেনি মরদেহ কিংবা তার খন্ডিতাংশও।

ডিএনএ   আনোয়ারুল আজীম আনার   মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ নির্দেশনা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসনগুলো দিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে-

প্রথমত, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের ব্যাপারে নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। কে কোন পদে ছিল, কে কার আত্মীয় বা কার কী পরিচয় ইত্যাদি দেখা হবে না। সরাসরি তার অপকর্মের ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে এবং এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে আবার তার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দ্বিতীয়ত, দুর্নীতি দমন কমিশনে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে না এবং কোন রকমের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। কোন এমপি বা সরকারের কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি যেন কারও জন্য তদবির না করেন তা নিশ্চিত করা হবে৷

তৃতীয়ত, প্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে যারা থাকেন তারা কী ধরনের জীবনযাপন করছেন, তাদের আয়ের উৎস কী, তাদের সম্পদের ফিরিস্তি কী- ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং তা জানাতে হবে। 

চতুর্থত, সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থাকাকালীন অবস্থায় বাৎসরিকভাবে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এই বিষয়টি নিয়ে দুই বছর আগেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এখন সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনাটি নতুনভাবে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

পঞ্চমত, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তার কার্যবিধি এবং কার্যকলাপ গভীর মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। কারণ বেনজীর আহমেদ ঘটনার মাধ্যমে একটা বিষয় উন্মোচিত হয়েছে যে তার বেপরোয়া দুর্নীতি একদিনে সংগঠিত হয়নি। অথচ একজন সরকারি কর্মকর্তা কী করছেন না করছেন সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রয়েছে। আর এই সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলে সরকারের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন। আর যার দায়দায়িত্ব এসে পড়ছে সরকারের উপর।

এ কারণেই যখন একজনকে শীর্ষ পদে রাখা হবে তখন জন্য তার সম্পর্কে নিরবিচ্ছিন্ন এবং নিবিড়ভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। বিশেষ করে এরকম একটি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম করছেন কি না, সে সম্পর্কেও নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যাতে হঠাৎ করে ভবিষ্যতে তার ফুলে ফেঁপে ওঠার গল্প প্রচারিত না হয়। আর এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে অর্থ পাচার, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতিবাজ   প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নড়াইল জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুম, সম্পাদক খোকন

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাউছুল আজম (ভিপি) মাসুমকে সভাপতি ও খোকন সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে নড়াইল জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ মঙ্গলবার নড়াইল জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল যৌথভাবে কমিটি ঘোষণা করেন। 

কমিটিকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

নড়াইল   নড়াইল জেলা যুবলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবনে এমন ঠান্ডা মাথার খুন দেখিনি: ডিবি হারুন

প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে কলকাতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছে এই প্রতিনিধি দল। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিবি হারুন জানান, কলকাতার যে আলিশান বাড়িতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে মনে হয় এখনো ঘাতকদের অট্টহাসি শুনতে পাচ্ছি। চাকরিজীবনে অনেক খুনের তদন্ত করেছি। কিন্তু এমন ঠান্ডা মাথার খুন দেখিনি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে পশ্চিবমঙ্গের কলকাতায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে গত রোববার কলকাতায় যান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দল। প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান। তারা সেখানে মোট ৮দিন অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

আজ দুপুরে ডিবি প্রধান বলেন, এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার খুব কঠিন হবে বলে আমি মনে করি না। তিন আসামি বাংলাদেশে, একজন এখানে আছে। চারজনের বক্তব্য, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য পারিপার্শ্বিক তথ্য মিলেছে। ডিজিটাল তথ্য, পারিপার্শ্বিক এভিডেন্স নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা এখনো হতাশ নই। কাজ করছি, আশা করছি তার দেহাংশ উদ্ধার সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, কলকাতার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তারা আজও সার্চ করছেন। আমরাও কিছু অনুরোধ করেছি। সঞ্জীবা গার্ডেন্সের দিকে কাঠের পুলটার পাশে যে হাতিশালা লেক আছে, সেখানে সার্চ করতে বলেছি। পাশাপাশি সংসদ সদস্য আনার যে ফ্ল্যাটে ছিলেন সেখানেও সার্চ করতে বলেছি। কারণ, ওই বাসায় তিনটা কমোড আছে। সেখানে ফ্ল্যাশ করার পর জমা পানি যেন সুয়ারেজ লাইনে জমে, সেটাও ভাঙতে বলেছি। সঙ্গে লেকও সার্চ করতে বলেছি।

হারুন আরও বলেন, এমপি আনার হত্যার গুরুত্বপূর্ণ ঘাতক আমাদের কাছে আছে। সঙ্গে যে মেয়েটা ছিল সেও আমাদের কাছে আছে। তারা আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেই তথ্যগুলো নিয়ে আমরা কিন্তু কলকাতা এসেছি। আমরা কিন্তু সেখানে সিআইডির সদর দপ্তর সফর করেছি। তাদের হাতে গ্রেপ্তার আসামি জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

হারুন দাবি করে বলেন, আমরা প্রায় সব তথ্যের মিল পেয়েছি। ডিজিটাল এভিডেন্সও আছে। ওই মেয়েটা তো সেখানে ছিল। একটা জীবন্ত মানুষ সেখানে গেছেন। ছবি-সিসিটিভি ফুটেজ তো আছে। সবাই বের হলেন কিন্তু এমপি আনার বের হলেন না। সেটারও তো প্রমাণ আছে। তাছাড়া তারা তো সন্দেহজনক ব্যাগ নিয়েও বের হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ, তাদের(কলকাতার সিআইডি) তদন্ত, আসামিদের বিগত সময়ের অপরাধের আমলনামা; সবকিছু আমলে নিয়ে তারা তদন্ত করবেন। বের করবেন আনার হত্যার রহস্য। তারপর কোর্টে প্রেরণ করা হলে লজিক্যাল ও বিচারিক স্পিরিট কাজে লাগিয়ে মূল রহস্য বের করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।

এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে ঢাকা ও কলকাতায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তাররা হলেন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ও সিলাস্তি রহমান। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ জিহাদ হাওলাদার নামে একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার দুই মাস আগে মুম্বাইয়ের অবৈধ অভিবাসী জিহাদকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়।

ডিবি হারুন   আনোয়ারুল আজীম আনার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জনপ্রতিনিধিদের আয়ের উৎস অনুসন্ধান করা হবে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডের পর জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো খোঁজ খবরের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একাধিক সংস্থা জনপ্রতিনিধিরা কি করেন, তাদের আয়ের উৎস কি, তারা কোথায় চলাফেরা করেন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় তথ্য সংগ্রহ নতুন করে শুরু করেছে। কারণ আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি একটি অন্ধকার জগৎ উন্মোচন করে দিয়েছে বলে একাধিক সরকারি সংস্থা মনে করছে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই এই ঘটনাটি জনপ্রতিনিধিদের সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করেছে। আর এ কারণেই জনপ্রতিনিধিদের কার্যকলাপ এখন নিবিড় অণুবীক্ষণের নিচে আনা হবে বলে সরকারি সূত্র বলছে।

এবার উপজেলা নির্বাচনেও দেখা গেছে, কোটিপতির ছড়াছড়ি। তারা এই বিত্ত কিভাবে বানিয়েছেন, তাদের বৃত্তের উৎস কি- সে সম্পর্কে যেমন খোঁজখবর নেওয়া হবে, তেমনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর তারা কি ধরনের ব্যবসা করছেন এবং অনৈতিক কোন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কিনা সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান শুরু হচ্ছে। ধাপে ধাপে এই অনুসন্ধানগুলো চলছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একজন জনপ্রতিনিধি কাদের সঙ্গে মেশেন, কোন ধরনের লোকদের সাথে চলাফেরা করেন, কোথায় যান ইত্যাদি বিষয়গুলো এখন খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। 

কারও কারও বক্তব্য হল যে, এটি ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হত আগে। কিন্তু আনারের ঘটনায় দেখা গেছে যে, এমপিদের বিষয় এই ধরনের তথ্য না থাকার কারণে এখন তদন্ত দেরি হচ্ছে। তিনবারের এমপি আনার একটা অন্ধকার জগতে ছিলেন। শুধুমাত্র চোরাচালান নয়, অন্যান্য আরও বিভিন্ন রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আর কোন জনপ্রতিনিধি তিনি সংসদ সদস্য হন বা উপজেলা চেয়ারম্যান হোন না কেন এই ধরনের  কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আছেন কি না সে সম্পর্কে এখনই খোঁজ খবর নেওয়া দরকার। 

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির হত্যাকাণ্ডের পর সাধারণ মানুষ মনে করছে যে, রাজনীতি একটি লাভজনক পেশা। এখানে গেলেই বিপুল বিত্তের মালিক হওয়া যায়। তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে- এই ধারণাটি পাল্টে দেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এখন মন্ত্রী, এমপিদের আয়ের উৎস এবং তাদের অর্থ বিত্ত কিভাবে তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে খোঁজ খরব নিতে শুরু করেছেন। আর সামনের দিনগুলোতে জনপ্রতিনিধিরা নজরদারিতে থাকবেন।

সরকারের একটি সূত্র বলছে, দুই ভাবে নজরদারির বিষয়টি করা হচ্ছে। প্রথমত, নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্থা জনপ্রতিনিধিদের খোঁজ খবর নেবেন। আর দ্বিতীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে স্বপ্রণোদ্দিত হয়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একদিকে যেমন জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে অন্যদিকে তারা কি কি ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছেন সেই কর্মকাণ্ড সরকারের জন্য নেতিবাচক কি না সে সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব হবে।

জনপ্রতিনিধি   গোয়েন্দা সংস্থা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন