ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ, লড়বেন শাহবাজ-ওমর

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ০৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট আজ রোববার (৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন পিটিআইয়ের ওমর আইয়ুব। ইতিমধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র অনুমোদন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি।

এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়ে ওই দল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দিয়েছেন। তাদের প্রার্থী পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব। শনিবার (২ মার্চ) শাহবাজ ও আইয়ুবের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয় দল দুটি।

এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজের পেছনে মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সমর্থন রয়েছে। তাদের সমর্থনে ভর করে তিনি খুব সহজে আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে চলেছেন। অন্যদিকে এই নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া মোটেও সহজ হবে না ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থী ওমর আইয়ুবের জন্য। কেননা প্রধানমন্ত্রী হওয়র মতো এমপির ভোট জোগাড় করতে পারবেন না তিনি।

পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দার, হানিফ আব্বাসি ও পিপিপি নেতা খুরশিদ শাহ শাহবাজের পক্ষে নথি জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া শাহবাজের মনোনয়নপত্রের পক্ষে সাতজন এমপি প্রস্তাবক এবং অন্য সাতজন তা সমর্থন করেছেন।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদ সচিবালয় প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে। এই তপশিল অনুযায়ী, আজ বেলা ১১টায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পরিষদের এমপিরা ভোট দিয়ে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ২১ দিন পর জাতীয় পরষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এর দু-একদিন পর স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পর আগামী ৯ মার্চ দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাকিস্তানের এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে পিপিপি ও অন্যান্য সমমনা দলের সঙ্গে জোট গঠন করে কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকার গঠন করছে পিএমএল-এন। তবে জোট গঠনের দৌড়ে তেমন সুবিধা করতে পারেনি পিটিআই।


পাকিস্তান   নির্বাচন   শাহবাজ-ওমর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খালাস পেলেও মুক্তি পাবেন না ইমরান

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান অবশেষে সাইফার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া একই মামলা থেকে পিটিআইর ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশীকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

সাইফার মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রায়ের সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইমরান খানের বোন এবং শাহ মাহমুদ কুরেশির স্ত্রী ও কন্যারাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

তবে, এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ইমরান খানকে। আরও কিছু মামলার সাজা খাটছেন তিনি। 

গত জানুয়ারিতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইমরান খান এবং তার দলের নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটি সাইফার মামলা নামে পরিচিত। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে ইমরান খান ও কোরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলা করা হয়।

২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

এদিকে, সম্প্রতি ইমরান খানকে আরও দুই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত তাকে দাঙ্গা সংক্রান্ত দুই মামলায় খালাস দিয়েছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গত বছরের ৯ মে পাকিস্তানে ব্যাপক দাঙ্গা হয়েছিল। ওই দাঙ্গা সংক্রান্ত দুটি মামালায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের এই নেতা। জেলা ও দায়রা আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে না পারায় ইমরান খানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ মে দাঙ্গা সংক্রান্ত আরও দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরান খান। মামলা দুটি ইসলামাবাদের খান্না থানায় দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর খালাসের আদেশ দেন বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সাহিব বিলাল।

এ ছাড়া গত ২০ মে সহিংসতার দুটি মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন ইমরান খান ও তার দলের নেতারা।

গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়। ইমরান খানের সমর্থকেরা পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছিল। ওই সহিংস ঘটনার জেরে ইমরান খান ও তার দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার পিটিআই নেতাকর্মীকে।

২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। গত বছরের আগস্ট থেকে জেলখানায় রয়েছেন তিনি। মোট চারটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তবে, এর মধ্যে দুই মামলার কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। 

ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রি, সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের অপরাধসহ একাধিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এদিকে, আইন বর্হিভূতভাবে বিয়ে করার অপরাধে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও জেলখানায় রয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী   পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ   পিটিআই   ইমরান খান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: কতটা বাস্তবসম্মত বুথফেরত জরিপের ফল?

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে শনিবার (১ জুন)। কার হাতে যাচ্ছে দেশটির শাসণভার, তা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভার ৫৪৩ আসনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে। আর নির্বাচনী ফলাফলের ক্ষেত্রে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বুথফেরত জরিপ। 

ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্রের সামনেই ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে জরিপ চালানো হয়। এটাকেই বলা হয় বুথফেরত জরিপ। নির্বাচন চলার সময়ে ভারতে বুথফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ নিষিদ্ধ। পুরো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা যায়। তবে ভারতের বিগত বছরগুলোতে নির্বাচনের পর জরিপের যেসব ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, তা কিছু ক্ষেত্রে মিলে গেলেও, বাস্তবের সঙ্গে সবসময় তার মিল পাওয়া যায়নি। 

যদি বুথফেরত জরিপের কথাই বিশ্বাস করতে হয় তবে নরেন্দ্র মোদিই পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। 

২০১৯ সালের বুথফেরত জরিপের ফলাফল

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছিল সেবার।

গত নির্বাচনে ইন্ডিয়া টুডে-এক্সিসের বুথফেরত জরিপে দেখা গিয়েছিল, এনডিএ জোট ৩৩৯ থেকে ৩৬৫টি আসনে জিততে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৩৫০ আসন, নিউজ এইটিন-ইপসোস ৩৩৬, টাইমস নাউ-ভিএমআর ৩০৬, ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ৩০০, সুদর্শন নিউজ ৩০৫ আসনে বিজেপির জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এনডিএ জোট পেয়েছিল ৩৫২টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩০৩ আসনে।

গত নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আবারও পরাজয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছিলও তাই।

গত নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া টুডে-এক্সিসের বুথফেরত জরিপে দেখা গিয়েছিল, ইউপিএ জোট ৭৭ থেকে ১০৮টি আসন পেতে পারে। এ ছাড়া  নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৯৫ আসনে, নিউজ এইটিন-ইপসোস ৮২, টাইমস নাউ ভিএমআর ১৩২, ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ১২০, সুদর্শন নিউজ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ইউপিএ ১২৪ আসন পাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯১টি আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস ৫২ আসনে জিতেছিল।

২০১৪ সালের বুথফেরত জরিপের ফলাফল

২০১৪ সালের বেশির ভাগ বুথফেরত জরিপে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু এনডিএ যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে, সেই পূর্বাভাস ছিল না।

ওই বছর ইন্ডিয়া টুডে-সিসেরোর জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, এনডিএ জোট ২৭২ আসন পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৩৪০ আসন, সিএনএন-আইবিএন-সিএসডিএস ২৮০, টাইমস নাউ-ওআরজি ২৪৯, এবিপি নিউজ-নিয়েলসেন ২৭৪, এনডিটিভি-হানসা রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছিল এনডিএ ২৭৯ আসন পাবে। প্রকৃতপক্ষে এনডিএ জোট ওই নির্বাচনে জিতেছিল ৩৩৬ আসনে। এর মধ্যে ২৮২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি।

২০১৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বিপুলসংখ্যক আসন হারানোর পূর্বাভাসও দিতে পারেনি কোনো বুথফেরত জরিপ।

সেই নির্বাচনে ইন্ডিয়া টুডে-সিসেরোর জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, ইউপিএ জোট ১১৫ আসন পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ১০১ আসন, সিএনএন-আইবিএন-সিএসডিএস ৯৭, টাইমস নাউ-ওআরজি ১৪৮, এবিপি নিউজ-নিয়েলসেন ৯৭, এনডিটিভি-হানসা রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ১০৩ আসন ইউপিএ পেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ইউপিএ জোট ওই নির্বাচনে জিতেছিল মাত্র ৬০টি আসনে। এর মধ্যে ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।

২০০৯ সালের বুথফেরত জরিপের ফলাফল

২০০৯ সালে বুথ ফেরত জরিপগুলো আবারও ব্যর্থ হয়েছিল। সে সময় কংগ্রেস নেতৃধানী ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) ২৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল যা কোন জরিপের তথ্যের সঙ্গে মেলেনি। সে সময় কোন বুথ ফেরত জরিপের ভবিষ্যতবাণীর সঙ্গে বাস্তবের ফলাফলে মিল পাওয়া যায়নি।

২০০৪ সালের বুথফেরত জরিপের ফলাফল

২০০৪ সালের ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার গড়তে না পারাটাও বুথ ফেরত জরিপকে ভুল প্রমাণ করেছে। সে সময় ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’-এর প্রচারের হাওয়ায় বাজপেয়ীর ফিরে আসা নিশ্চিত বলেই ভেবেছিলেন সমীক্ষাকারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল বাস্তবের ফলাফল একেবারেই ভিন্ন।

ওই বছর সব জরিপে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত সব সমীক্ষা মিথ্যা প্রমাণিত হয় চূড়ান্ত ফলাফলে। এতে দেশটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে লোকসভায় জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস।

১৯৯৮ সালের বুথফেরত জরিপের ফলাফল

তবে ১৯৯৮ সালেই শুধু এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। সে সময় বাস্তব ফলাফলের সঙ্গে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলের অনেকটা মিল ছিল। ১৯৯৮ সালে ভারতের শীর্ষ নির্বাচনী জরিপ ইন্ডিয়া ট্যুডে, সিএসডিএস, ডিআরএস, আউটলুক-এসি নিয়েলসেন এবং ফ্রন্টলাইন সিএমএস-এর জরিপ অনুযায়ী, এনডিএর আসন ২১৪ থেকে ২৪৯ হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ২৫২ আসনে জয়ী হয়েছিল এনডিএ। গত কয়েক বছরের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল থেকে এটা পরিস্কার যে, বুথ ফেরত জরিপ অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক ফলাফলের আভাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে মাথা ন্যাড়া করেন এএপি নেতা

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো ভূমিধস জয়ের পথে রয়েছেন বলেই আশা করা হচ্ছে। বুথফেরত জরিপ বলছে, এনডিএ শরিকদের নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদিই।

তবে বুথফেরত সমীক্ষার সঙ্গে একমত নন আম আদমি পার্টির (আপ) শীর্ষ নেতা সোমনাথ ভারতী। মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি তার মাথা মুড়িয়ে ফেলবেন বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমনটি বলেন। 

এরই মধ্যে যে কয়টি বুথফেরত জরিপ বেরিয়েছে তার সবকটিতেই দেখানো হয়েছে বিজেপি ন্যূনতম ৩০০ আসন পাচ্ছেই। কোন কোন সংস্থা দাবি করেছে, বিজেপি ৩৫০ আসনও পেয়ে যাবে। এদিকে ভারতের রাজনৈতিক গবেষণা সংস্থা টুডেজ চাণক্যর দাবি, এনডিএ চার শ পার করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এর মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৩৩৫টি আসন। তবে এসব কিছুই মানতে চাইছে না ইন্ডিয়া জোটের নয়াদিল্লি আসনের প্রার্থী আপ বিধায়ক সোমনাথ ভারতী। 

এক্সে দেওয়া পোস্টে সোমনাথ বলেন, ‘মঙ্গলবার সব এক্সিট পোল ভুল প্রমাণিত হবে। তৃতীয়বারের জন্য যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে আমি আমার মাথা ন্যাড়া করে ফেলব।’ একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, দিল্লিতে সাতটি আসনই পাবে ইন্ডিয়া জোট। 

বিশ্লেষকদের মতে, বুথফেরত জরিপে সবসময় সঠিক ফলাফল অনুমান করতে পারে না।  বুথফেরত জরিপ থেকে জনমতের একটা আভাস অবশ্যই পাওয়া যায়। তা থেকে ভোটের ফলাফলের ট্রেন্ড মোটামুটি ভাবে আন্দাজ করা সম্ভব। তবে এ প্রক্রিয়ায় অনেক সময়ে ত্রুটি থেকে যায়।

ভারত   লোকসভা নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাত পোহালেই লোকসভার ফল ঘোষণা, ভোট গণনার প্রস্তুতি শুরু

প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৭দফার ভোটগ্রহণ। রাত পোহালেই ফল ঘোষণা। রাজ্যে রাজ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, শেষ হয়েছে ৩১ মে। আগামীকাল ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার(৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে ভোটগ্রহণের এই মহা কর্মযজ্ঞে দায়িত্ব পালন করেছেন ১ কোটি ৫০ লাখ নির্বাচন কর্মী ও কর্মকর্তা। এছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্টুভাবে চলছে কি না- তা পর্যবেক্ষণে দেশজুড়ে নিয়োজিত ছিলো নির্বাচন কমিশনের ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং সেল।

অন্যদিকে, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের ৫৫টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, থাকবেন ২ হাজার ৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর।   

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনা কেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

এদিকে, বুথফেরত জরিপে এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে অন্যান্য সব দলের চেয়ে বিজেপিই এগিয়ে আছে। এমনকি, অনেক জরিপে এমনটাও বলা হয়েছে যে, বিজেপি গত নির্বাচনের থেকে অনেক বেশি আসন পাবে। 

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নির্বাচনের ফলাফল কী ভাবে দেখবেন?

বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল দেখা যাবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। কমিশনের https://results.eci.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারবেন কাউন্টিং ট্রেন্ড ও রেজাল্ট। iOS ও অ্য়ান্ড্রয়েড মোবাইলে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপে দেখা যাবে কাউন্টিং ট্রেন্ড ও ভোটের রেজাল্ট। পাশাপাশি ECI ওয়েবসাইটে 'হ্যান্ডবুক ফর রিটার্নিং অফিসারস ও কাউন্টিং এজেন্টস'-টিও উপলব্ধ। https://tinyurl.com/yknwsu7r এবং https://tinyurl.com/mr3cjwhe. পাশাপাশি, ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপটি গুগল প্লে বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ফেললেই কেল্লাফতে। সেখানেই দেখা যাবে কোন প্রার্থী কোন কেন্দ্র থেকে এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে। দিনের শেষে এই অ্যাপই জানান দেবে প্রতিটি কেন্দ্রের জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীদের নাম। সঙ্গে মিলবে প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ এবং ভোটের হারও।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন বামপন্থী শিনবাউম

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। তিনি ক্ষমতাসীন বামপন্থী দলের প্রার্থী। মেক্সিকোর পুরুষ নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতিতে, শেনবাউমের বিজয় এক বড় ধাক্কা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ছয় বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকবেন বিজয়ী প্রার্থী। 

মেক্সিকোর নির্বাচন কমিশন বলছে, জলবায়ুবিজ্ঞানী এবং মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র শিনবাউম ৫৮ দশমিক শতাংশ থেকে ৬০ দশমিক শতাংশ ভোট পেয়েছেন। গণতান্ত্রিক মেক্সিকোর ইতিহাসে এটাই কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সর্বোচ্চ ভোটে জয়লাভ। শিনবাউমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শোচিত গ্যালভেজ ২৬ দশমিক শতাংশ থেকে ২৮ দশমিক শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আনুষ্ঠানিক ফলাফল সোমবার (৩ জুন) ঘোষণা করা হতে পারে আশা করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে একমাত্র পুরুষ প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মায়েনেজ এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শিনবাউম বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের ২০০ বছরের ইতিহাসে আমিই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছি। সময় শিনবাউমের সমর্থকেরাপ্রেসিডেন্ট’ ‘প্রেসিডেন্টবলে চিৎকার করতে থাকেন। সহিংসতা প্রাণহানির মধ্য দিয়ে মেক্সিকোতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোয় শিনবাউম তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শোচিত গ্যালভেজের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন।

ভোটের দিন সারা দেশে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পুয়েব্লা রাজ্যে ভোটকেন্দ্রে সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এদিন দেশটির প্রায় ১০ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন।

মেক্সিকোর এবারের নির্বাচনটি আধুনিক সময়ে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার সঙ্গে ভোটের প্রচারেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সহিংসতায় মেক্সিকোজুড়ে অন্তত ২০ জনের বেশি প্রার্থী নিহত হয়েছে। অবশ্য বেসরকারি সমীক্ষা এই সংখ্যা ৩৭ বলেছে।

নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মেক্সিকোর কংগ্রেসের উভয় কক্ষে ক্ষমতাসীন জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। যদি তাই হয় তবে বিরোধীদের সমর্থন ছাড়াই ক্ষমতাসীন জোট সংবিধান সংশোধনের সুযোগ পাবে।


মেক্সিকো   প্রেসিডেন্ট   ক্লদিয়া শিনবাউম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন