পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট আজ রোববার (৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন পিটিআইয়ের ওমর আইয়ুব। ইতিমধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র অনুমোদন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি।
এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়ে ওই দল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দিয়েছেন। তাদের প্রার্থী পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব। শনিবার (২ মার্চ) শাহবাজ ও আইয়ুবের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয় দল দুটি।
এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজের পেছনে মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সমর্থন রয়েছে। তাদের সমর্থনে ভর করে তিনি খুব সহজে আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে চলেছেন। অন্যদিকে এই নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া মোটেও সহজ হবে না ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থী ওমর আইয়ুবের জন্য। কেননা প্রধানমন্ত্রী হওয়র মতো এমপির ভোট জোগাড় করতে পারবেন না তিনি।
পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দার, হানিফ আব্বাসি ও পিপিপি নেতা খুরশিদ শাহ শাহবাজের পক্ষে নথি জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া শাহবাজের মনোনয়নপত্রের পক্ষে সাতজন এমপি প্রস্তাবক এবং অন্য সাতজন তা সমর্থন করেছেন।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদ সচিবালয় প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে। এই তপশিল অনুযায়ী, আজ বেলা ১১টায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পরিষদের এমপিরা ভোট দিয়ে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ২১ দিন পর জাতীয় পরষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এর দু-একদিন পর স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পর আগামী ৯ মার্চ দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে পিপিপি ও অন্যান্য সমমনা দলের সঙ্গে জোট গঠন করে কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকার গঠন করছে পিএমএল-এন। তবে জোট গঠনের দৌড়ে তেমন সুবিধা করতে পারেনি পিটিআই।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই ইমরান খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত লোকসভা নির্বাচন নরেন্দ্র মোদি
মন্তব্য করুন
ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৭দফার ভোটগ্রহণ। রাত পোহালেই ফল ঘোষণা। রাজ্যে রাজ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, শেষ হয়েছে ৩১ মে। আগামীকাল ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার(৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে ভোটগ্রহণের এই মহা কর্মযজ্ঞে দায়িত্ব পালন করেছেন ১ কোটি ৫০ লাখ নির্বাচন কর্মী ও কর্মকর্তা। এছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্টুভাবে চলছে কি না- তা পর্যবেক্ষণে দেশজুড়ে নিয়োজিত ছিলো নির্বাচন কমিশনের ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং সেল।
অন্যদিকে, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের ৫৫টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, থাকবেন ২ হাজার ৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনা কেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
এদিকে, বুথফেরত জরিপে এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে অন্যান্য সব দলের চেয়ে বিজেপিই এগিয়ে আছে। এমনকি, অনেক জরিপে এমনটাও বলা হয়েছে যে, বিজেপি গত নির্বাচনের থেকে অনেক বেশি আসন পাবে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নির্বাচনের ফলাফল কী ভাবে দেখবেন?
বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল দেখা যাবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। কমিশনের https://results.eci.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারবেন কাউন্টিং ট্রেন্ড ও রেজাল্ট। iOS ও অ্য়ান্ড্রয়েড মোবাইলে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপে দেখা যাবে কাউন্টিং ট্রেন্ড ও ভোটের রেজাল্ট। পাশাপাশি ECI ওয়েবসাইটে 'হ্যান্ডবুক ফর রিটার্নিং অফিসারস ও কাউন্টিং এজেন্টস'-টিও উপলব্ধ। https://tinyurl.com/yknwsu7r এবং https://tinyurl.com/mr3cjwhe. পাশাপাশি, ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপটি গুগল প্লে বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ফেললেই কেল্লাফতে। সেখানেই দেখা যাবে কোন প্রার্থী কোন কেন্দ্র থেকে এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে। দিনের শেষে এই অ্যাপই জানান দেবে প্রতিটি কেন্দ্রের জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীদের নাম। সঙ্গে মিলবে প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ এবং ভোটের হারও।
মন্তব্য করুন
বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। তিনি ক্ষমতাসীন বামপন্থী দলের প্রার্থী।
মেক্সিকোর নির্বাচন কমিশন বলছে, জলবায়ুবিজ্ঞানী এবং মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র শিনবাউম ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। গণতান্ত্রিক মেক্সিকোর ইতিহাসে এটাই কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সর্বোচ্চ ভোটে জয়লাভ। শিনবাউমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শোচিত গ্যালভেজ ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আনুষ্ঠানিক ফলাফল
সোমবার (৩ জুন) ঘোষণা করা হতে পারে আশা করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে একমাত্র পুরুষ
প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মায়েনেজ এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শিনবাউম বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের ২০০ বছরের ইতিহাসে আমিই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছি।’ এ সময় শিনবাউমের সমর্থকেরা ‘প্রেসিডেন্ট’ ‘প্রেসিডেন্ট’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। সহিংসতা ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে মেক্সিকোতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোয় শিনবাউম তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শোচিত গ্যালভেজের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন।
ভোটের দিন সারা দেশে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পুয়েব্লা রাজ্যে ভোটকেন্দ্রে সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এদিন দেশটির প্রায় ১০ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন।
মেক্সিকোর এবারের নির্বাচনটি আধুনিক সময়ে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার সঙ্গে ভোটের প্রচারেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সহিংসতায় মেক্সিকোজুড়ে অন্তত ২০ জনের বেশি প্রার্থী নিহত হয়েছে। অবশ্য বেসরকারি সমীক্ষা এই সংখ্যা ৩৭ বলেছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মেক্সিকোর কংগ্রেসের উভয় কক্ষে ক্ষমতাসীন জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। যদি তাই হয় তবে বিরোধীদের সমর্থন ছাড়াই ক্ষমতাসীন জোট সংবিধান সংশোধনের সুযোগ পাবে।
মেক্সিকো প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে শনিবার (১ জুন)। কার হাতে যাচ্ছে দেশটির শাসণভার, তা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভার ৫৪৩ আসনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে। আর নির্বাচনী ফলাফলের ক্ষেত্রে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বুথফেরত জরিপ।
ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৭দফার ভোটগ্রহণ। রাত পোহালেই ফল ঘোষণা। রাজ্যে রাজ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, শেষ হয়েছে ৩১ মে। আগামীকাল ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। সোমবার(৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে ভোটগ্রহণের এই মহা কর্মযজ্ঞে দায়িত্ব পালন করেছেন ১ কোটি ৫০ লাখ নির্বাচন কর্মী ও কর্মকর্তা। এছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্টুভাবে চলছে কি না- তা পর্যবেক্ষণে দেশজুড়ে নিয়োজিত ছিলো নির্বাচন কমিশনের ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং সেল।