সিলেটের
জৈন্তাপুরে পিকআপের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী
নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত
পৌনে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল
সড়কের জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর
আহত হয়েছেন।
নিহতরা
হলেন উপজেলার মোকামবাড়ী এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে শিহাব উদ্দিন
(২২) ও জৈন্তাপুর উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলীর
ছেলে ফয়সাল রেজা (১৯)।
আহতরা
হলেন মোকামবাড়ী এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে পাবেল (১৯)
ও মোকামপুঞ্জি এলাকার খট খাঁশিয়ার ছেলে
আর্মি খাশিয়া (১৭)।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার
দিকে নলজুরীগামী পিকআপটি বেপোরয়া গতিতে জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুলের সামনে পরপর দুইটি মোটরসাইকেলকে
ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা
আহতদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর ফয়ছল রেজাকে
গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, দুই মোটরসাইকেলে আরোহী ৬ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলে একজন ও সিলেট নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পতি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। এবার পুলিশের এই সাবেক মহাপরিদর্শক ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিদেশে কোন সম্পদ আছে কি না, সেই খোঁজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের পক্ষ থেকে বেনজীর আহমেদের বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ কার্যকর করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।
এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে আগামী ৬ জুন এবং ৯ জুন তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল সংস্থাটির অনুসন্ধান দল। মঙ্গলবার (২৮ মে) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় কমিশন।
দুদক কমিশনার জহিরুল হক জানান, ‘কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, তার বক্তব্য জানতে হয়। আইনও সেটা বলে।’
এর আগে দুদক বিভিন্ন সংস্থাকে বেনজীরের ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বেনজীর পরিবারের ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পেয়েছে দুদক। আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রাথমিকভাবে বেনজীর ও তার পরিবারের অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতেই বিএফআইইউকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দুদক থেকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাঁদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে কমিটি করে দুদক।
বিএফআইইউর একটি সূত্রের দাবি, সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানের বিষয়টি আগেই টের পেয়ে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ফলে যে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলোতে তেমন কোনো অর্থ নেই।
দুদকের অনুসন্ধান ও সম্পদ জব্দের বিষয়ে বেনজীর আহমেদের মুঠোফোনে গতকাল যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। গত সোমবার এই প্রতিবেদক যান রাজধানীর গুলশানের র্যানকন আইকন টাওয়ারে, যেখানে বেনজীর পরিবারের চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যদিও বেনজীর পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশে চলে যাওয়া ঠেকাতে দুদক আদালতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে দুদকের কারও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি অনুসন্ধানকারী দল মনে করে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশে যাওয়া রোধ করা দরকার, তাহলে আদালতে আবেদন করতে পারে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজামণ্ডপের দানবাক্স লুটের চেষ্টা হয়েছে। এ সময় একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের এ ঘটনায় পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, লুঙ্গি ও আকাশি শার্ট পরা এবং গলায় গামছা পরা এক ব্যক্তি মণ্ডপের সামনে যান। সেখানে গিয়ে প্রথমে দানবাক্স হাতে নিয়ে আছাড় দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর এতে লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে বাক্সটি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। তখন তাকে ধরে ফেলেন মন্দিরের লোকজন। জিজ্ঞাসাবাদে নাম-পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিয়ে অসংলগ্ন কথা বললে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুলিশের জেরায় তাকে পাগল বলে ধারণা করা হয়। এরপর লুটেরাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনা জানতে চকবাজার থানার ওসি কাজী সাইদুজ্জামান শাহীনকে কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস দিলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিরণ্ময় বাড়ৈর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ বিষয়ে কিছু জানেন না। পুলিশের চকবাজার জোনের এডিসি শফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনিও বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত দেব সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক ব্যক্তি মন্দিরে ঢুকে দানবাক্স ছুড়ে ফেলে লাথি মারতে থাকে। এ সময় তাকে মন্দিরের নিরাপত্তাকর্মীরা ধরে চকবাজার থানা পুলিশের কাছে দেয়। পুলিশ পরে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাগল বলে ছেড়ে দেয়।
এদিকে রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ উদ্যাপন পরষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা।
ঘটনা শুনে পুলিশ কমিশনার মন্দিরে হামলাকারীকে ছেড়ে দেওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
মন্তব্য করুন
ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশে আঘাত হানার পর মোট ৪০ ঘণ্টা স্থল নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অবস্থান করেছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ের তাণ্ডবের পর এখন বেরিয়ে আসছে ক্ষত। রেমালের আঘাতে মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২৬৩টি স্থানে বেড়িবাঁধের ৪১ কিলোমিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের ও পুকুর। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক উপজেলা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল।
এবারও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল গতিবেগ ও জলোচ্ছ্বাসের চাপ ঢাল হয়ে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। কিন্তু হরিণ, বন্য শূকরসহ মারা গেছে সুন্দরবনের বেশ কিছু বন্য প্রাণী। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৯টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আর অসুস্থ ১৭টি হরিণকে চিকিৎসা দিয়ে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে গাছ ও ঘরচাপা পড়ে গতকাল ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ভোলায় তিনজন, পটুয়াখালীতে দুজন, ঝালকাঠি, কুষ্টিয়া, খাগড়াছড়ি, বাগেরহাট ও নোয়াখালীর হাতিয়ায় একজন করে মারা গেছেন।
এর আগে গত সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। গত তিন দিনে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৬ বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আটটায় সরকারিভাবে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৮টি ঘরবাড়ি। সম্পূর্ণ ঘরবাড়ির সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৩৮।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ১৪৩টি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পরিমাণ প্রায় ২১ কিলোমিটার। বাঁধগুলো সংস্কার করতে ২৬ কোটি টাকার মতো খরচ হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে খুলনার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায়। ইতিমধ্যে প্রায় সব জায়গায় পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৪টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বিভাগের মোট ৪৩২টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভা দুর্যোগকবলিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৪ মানুষ। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে খুলনা জেলায়। এ জেলায় ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০। খুলনা নগরে অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরায় ১ হাজার ৪৬৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সাতক্ষীরা শহরেও অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে।
বাগেরহাট জেলায় অন্তত ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সেখানকার জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগে প্রাথমিক হিসাবে কৃষি খাতে ৫০৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বরিশাল জেলায় ক্ষতি হয়েছে ১১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে বিভাগের ছয় জেলায় কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১৮ হাজার ২০৯ হেক্টর জমির ফসল। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও শিশুদের জন্য দেড় কোটি ও গবাদিপশুর খাবারের জন্য দেড় কোটি টাকা আলাদাভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সোচ্চার ও জোরালো ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস- ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
তিনি এ উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সব শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, সাহসিকতা এবং অসামান্য অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানও নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। অর্পিত দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা সততা, কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন।
তিনি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রাষ্ট্রপতি
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয়
ধাপে ৮৭ উপজেলার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮ টাই শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ।
বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের
নির্বাচনে ১১২ টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে ১৯ উপজেলায়
ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
করা হয়েছে।
ভোট স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো বাগেরহাটের শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া। বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া। পটুয়াখালীর সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া। ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন। ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া। বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা।
তৃতীয় ধাপের ভোট সুষ্টু ভাবে
সম্পন্ন করতে এইসব উপজেলায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৬১ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার
ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এছাড়া ৩০০ প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার (ইসি)
মোঃ আলমগীর নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে ককঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি
দিয়েছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং ওই টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমতো তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই
ধাপে ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭
জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন।
এর আগে গত ৮মে প্রথম ধাপের এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন তৃতীয় ধাপ ভোটগ্রহণ
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পতি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। এবার পুলিশের এই সাবেক মহাপরিদর্শক ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিদেশে কোন সম্পদ আছে কি না, সেই খোঁজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের পক্ষ থেকে বেনজীর আহমেদের বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সোচ্চার ও জোরালো ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।