ইনসাইড বাংলাদেশ

৭ মার্চের স্মারক ডাকটিকিট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ০৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন তিনি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’


প্রধানমন্ত্রী   বঙ্গবন্ধুকন্যা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশে আঘাত হানার পর মোট ৪০ ঘণ্টা স্থল নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অবস্থান করেছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ের তাণ্ডবের পর এখন বেরিয়ে আসছে ক্ষত।  রেমালের আঘাতে মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০।

খুলনা বরিশাল বিভাগের ২৬৩টি স্থানে বেড়িবাঁধের ৪১ কিলোমিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের পুকুর। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক উপজেলা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল।

এবারও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল গতিবেগ জলোচ্ছ্বাসের চাপ ঢাল হয়ে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। কিন্তু হরিণ, বন্য শূকরসহ মারা গেছে সুন্দরবনের বেশ কিছু বন্য প্রাণী। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৯টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আর অসুস্থ ১৭টি হরিণকে চিকিৎসা দিয়ে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে গাছ ঘরচাপা পড়ে গতকাল ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ভোলায় তিনজন, পটুয়াখালীতে দুজন, ঝালকাঠি, কুষ্টিয়া, খাগড়াছড়ি, বাগেরহাট নোয়াখালীর হাতিয়ায় একজন করে মারা গেছেন।

এর আগে গত সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। গত তিন দিনে নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৬ বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত আটটায় সরকারিভাবে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৮টি ঘরবাড়ি। সম্পূর্ণ ঘরবাড়ির সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৩৮।

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে খুলনা, বাগেরহাট সাতক্ষীরা জেলার ১৪৩টি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পরিমাণ প্রায় ২১ কিলোমিটার। বাঁধগুলো সংস্কার করতে ২৬ কোটি টাকার মতো খরচ হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে খুলনার কয়রা পাইকগাছা উপজেলায়। ইতিমধ্যে প্রায় সব জায়গায় পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় লাখ ৩২ হাজার ৭৮৪টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বিভাগের মোট ৪৩২টি ইউনিয়ন ৩টি পৌরসভা দুর্যোগকবলিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৪ মানুষ। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে খুলনা জেলায়। জেলায় ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় লাখ ৫২ হাজার ২০০। খুলনা নগরে অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরায় হাজার ৪৬৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শ্যামনগর, আশাশুনি কালীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সাতক্ষীরা শহরেও অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে।

বাগেরহাট জেলায় অন্তত ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সেখানকার জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগে প্রাথমিক হিসাবে কৃষি খাতে ৫০৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বরিশাল জেলায় ক্ষতি হয়েছে ১১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে বিভাগের ছয় জেলায় কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১৮ হাজার ২০৯ হেক্টর জমির ফসল। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য কোটি ৮৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার শিশুদের জন্য দেড় কোটি গবাদিপশুর খাবারের জন্য দেড় কোটি টাকা আলাদাভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড়   রেমাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সোচ্চার জোরালো ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। ২৯ মেআন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায়আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস- ২০২৪পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

তিনি উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সব শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত আদর্শে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, সাহসিকতা এবং অসামান্য অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানও নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। অর্পিত দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা সততা, কর্মদক্ষতা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন।

তিনিআন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বাংলাদেশ   বিশ্ব শান্তি   রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তৃতীয় ধাপে ৯০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৯০ উপজেলার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮ টাই শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১২ টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে ১৯ উপজেলায় ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোট স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো বাগেরহাটের শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ মোংলা। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ডুমুরিয়া। বরিশালের গৌরনদী আগৈলঝাড়া। পটুয়াখালীর সদর, মির্জাগঞ্জ দুমকি। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া। ভোলার তজুমদ্দিন লালমোহন। ঝালকাঠির রাজাপুর কাঠালিয়া। বরগুনার বামনা পাথরঘাটা এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা। 

তৃতীয় ধাপের ভোট সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন করতে এইসব উপজেলায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৬১ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এছাড়া ৩০০ প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোঃ আলমগীর নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে ককঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং ওই টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমতো তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই ধাপে ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে গত ৮মে প্রথম ধাপের এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   তৃতীয় ধাপ   ভোটগ্রহণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তবুও পশ্চিমা ষড়যন্ত্র

প্রকাশ: ০৭:৪৭ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ বুধবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী অবিরাম কাজ করে চলেছে।

শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম রয়েছে এক অন্যতম সম্মানের শিখরে। এই উজ্জ্বল অংশগ্রহণের ৩৭ বছর হতে চলেছে। জাতিসংঘে ব্লু হেলমেটের প্রশংসা এখন বিশ্বব্যাপী। মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের বীরত্ব ত্যাগের ইতিহাসও বেশ সুদৃঢ়। ২০০৫ সালে কঙ্গোতে জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। পর্যন্ত মোট ১৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন। পেশাদার মনোভাব, অবদান আত্মত্যাগের ফলে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছে বাংলাদেশ। গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য বিভিন্ন সময়ে স্বীকৃতিও মিলেছে জাতিসংঘের।

শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারি মনোভাব বজায় রাখা, কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা আত্মত্যাগ করেছেন; এই দিনে (২৯ মে) তাদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হয়।

দিবসকে কেন্দ্র করে নিউইউর্ক সিটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে ড্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি জাতিসংঘের মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে অভিনন্দন বার্তা প্রদান এবং তাদের কাজের প্রয়োজনীয়তা উপযোগিতার কথা তুলে ধরে থাকেন।

ইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায় ১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত ৫৭/১২৯ প্রস্তাব অনুযায়ী দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রথম উদযাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইলি যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো) দিনকে উপজীব্য করে ২৯ মে তারিখটি স্থির করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো)- হচ্ছে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।

দেশে আজ বুধবার (২৯ মে) সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণেশান্তিরক্ষী দৌড়-২০২৪এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। এদিন সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটআত্মীয় আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হবে।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী  র‌্যাবকে নিয়ে এবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট করল জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তার পরিবারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরের দিন এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে তারা। এটাকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বাদ দেয়ার নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

মঙ্গলবার (২১ মে) ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাবিউজারস গো অন ইউএন মিশনসশিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রচার করে ডিডব্লিউ। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে বিতর্কিত সাংবাদিক তাসনিম খলিলের প্রতিষ্ঠান নেত্র নিউজ। বাংলাদেশিদের দিয়ে পরিচালিত যেসব সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের টাকা পায় তাদের মধ্যে অন্যতম এই নেত্র নিউজ। এই টাকা দেয় দেশটির ন্যাশনাল এনডাউমেনট ফর ডেমোক্রেসি- এনইডি। আর এই এনইডিকে বলা হয় আধুনিক সিআইএ।

প্রামাণ্যচিত্রে বিতর্কিত মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলীকে বলতে দেখা গেছে, ‘যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে তাদের পাঠানো উচিত না।

ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের বিষয়ে, সোমবার (২৭ মে) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, "বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু নয়, আমাদের সামরিক বাহিনী পৃথিবীর অনেকগুলো মিশনে, ৪৩টা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছে। এখনো হাজারের ওপরে শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো একটা মিশনের আপনি উদাহরণ দিয়ে বলতে পারবেন যে ওখানে আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছি বা আমাদের শৃঙ্খলা খারাপ হয়েছে? পৃথিবীতে অনেকগুলো অঞ্চলে; শুধু আফ্রিকা নয়, আফ্রিকার বাইরে আমরা এশিয়া-ইউরোপেও দায়িত্ব পালন করেছি। কখনো কি আমাদের বিরুদ্ধে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছেন?”


শান্তিরক্ষী   মিশন   বাংলাদেশ   গৌরবোজ্জ্বল   পশ্চিমা   ষড়যন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএনএ স্যাম্পল দিতে ভারত যেতে চান আনার কন্যা ডরিন

প্রকাশ: ১০:৫৩ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন জানিয়েছেন, বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে সেগুলো বাবার কি না তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এজন্য ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে কলকাতা পুলিশ ডাকলে সেখানে যাবো।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ কথা জানান।

ডরিন বলেন, ‘আমার ভারতীয় ভিসা হয়েছে। যদি কলকাতা পুলিশ ডাকে তবে ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে সেখানে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা হত্যার সঠিক বিচার চাই। আসামি যারা রয়েছে তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় এনে বিচার করা হোক।’

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘আমার বাবা জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী তাকে মোট পাঁচবার মনোনয়ন দেন। বাবার হত্যার বিচারের বিষয়টি অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য প্রতিপক্ষরা উঠে পড়ে লেগেছে।’

এদিকে এদিন সন্ধ্যায় কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এগুলো আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি তারা।

ভারতে অবস্থানরত ডিএমপির গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, উদ্ধার হওয়া মাংস নিহত এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে ওঠেন বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য।

নিখোঁজের বিষয়ে পরে একটি জিডি করেন আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরই শুরু হয় খোঁজ। গত বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে মরদেহ মেলেনি সেখানে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কলকাতায় একজন ও বাংলাদেশে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের জট খোলেনি; মেলেনি মরদেহ কিংবা তার খন্ডিতাংশও।

ডিএনএ   আনোয়ারুল আজীম আনার   মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন