রমজানের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হয়েছে লোডশেডিং। এমনকি
ইফতার ও তারাবির সময় হচ্ছে লোডশেডিং। তবে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
গরম যত বাড়ছে, লোডশেডিংও তত বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদার পুরোটা বিদ্যুৎ
উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া চলছে সেচ মৌসুম। এ কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে।
রমজানে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ইফতার ও তারাবির সময় তাই তেলভিত্তিক কেন্দ্র চালানো হচ্ছে।
তার পরও এই দুই সময়ে লোডশেডিং হচ্ছে।
এছাড়াও রোজার প্রথম দিনে রাজধানীর অনেক এলাকায় গ্যাস সংকটের খবর
পাওয়া গেছে। অনেক এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকে গ্যাস থাকছে না বা
থাকলেও চাপ একেবারেই কম। ফলে অনেককেই ইফতার কিনে খেতে হচ্ছে। দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের
মধ্যে একটি বন্ধ থাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। চলতি মাসের শেষে এলএনজি টার্মিনালটি
ফের চালু হবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দেশের
বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী ট্রান্সমিশন ও জ্বালানির সীমাবদ্ধতা। জ্বালানি
সীমাবদ্ধতার কারণে বেশি দামে ফার্নেস অয়েলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানো হচ্ছে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ গ্যাসের প্রয়োজন, তা পাওয়া যাচ্ছে না।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের মঙ্গলবারের বিদ্যুৎ উৎপাদন
ও সরবরাহের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রমজানের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ চাহিদার সময়
(ইফতার ও তারাবি নামাজ) ১২৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। এদিন প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিকেল ৫টায় শুরু হয় সর্বোচ্চ চাহিদার
সময়। গতকাল বিকেল ৫টায় ৭৪ মেগাওয়াট, ৬টায় ৯০ মেগাওয়াট, ৭টায় ১২৬ মেগাওয়াট, ৮টায় ৯০
মেগাওয়াট, ৯টায় ৬২ মেগাওয়াট, ১০টায় ৬০ মেগাওয়াট, ১১ টায় ৯৮ মেগাওয়াট এবং রাত ১২টায়
১০১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
গত ছয় দিনের লোডশেডিংয়ের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দিন দিন
লোডশেডিং বাড়ছে। গত ৭ মার্চ দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছিল ৮৩ মেগাওয়াট, ৮ মার্চ ৯৩ মেগাওয়াট,
৯ মার্চ ৯৬ মেগাওয়াট, ১০ মার্চ ৮০ মেগাওয়াট, ১১ মার্চ ১৪৯ মেগাওয়াট এবং ১২ মার্চ ৯০
মেগাওয়াট।
রাজধানীর চেয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। কোনো কোনো এলাকায়
দিনে-রাতে মিলিয়ে ৯ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। নেত্রকোনার বিরিশিরির বাসিন্দা মাকসুদা
মেঘনা এই প্রতিবেদককে জানান, প্রতিদিনই দুপুরের পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঁচ থেকে
ছয়বার লোডশেডিং হয়। প্রতিবার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ থাকে না। পিডিবির এক কর্মকর্তা
জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহে রাজধানী ঢাকা প্রাধান্যের শীর্ষে থাকে সবসময়। তাই ঢাকার বাইরে
লোডশেডিং বেশি হয়।
পিডিবি সূত্র জানায়, এবার রমজানে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ধরা
হয়েছে ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের এ
চাহিদা থাকবে। এ সময় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ধরা হয়েছে
ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট। কিন্তু মঙ্গলবার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র
৮৮২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
লোডশেডিংয়ের সঙ্গে গ্যাস সংকটেও নাকাল গ্রাহকরা। রাজধানীর ফার্মগেট,
তেজকুনি পাড়া, ভুতের গলি, রামপুরা, খিলগাঁও, গোড়ান, মগবাজার, মালিবাগ, পুরান ঢাকার
নারিন্দা, ওয়ারী, ধুপখোলা, মিরপুর এলাকায় রমজানের প্রথমদিন বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সংকট
ছিল। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, দুপুরের পর থেকে গ্যাসের চাপ একেবারেই থাকে না।
তাই ইফতার ঘরে তৈরি না করে বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। অনেক এলাকায় সকালেও চুলা জ্বলছে
না। চাপ কম থাকায় সিএনজি স্টেশনগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, একটি
এলএনজি টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এটি চালু
হতে পারে। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। সে সময় বিদ্যুৎ খাতে ১১০ থেকে ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস
দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতেও সরবরাহ বাড়বে।
পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে
সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয়। বলা হচ্ছে, ২৫ মার্চ
এটি চালু হবে। টার্মিনালটি চালু হলে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। এর আগ পর্যন্ত গ্যাসের সংকট
থাকবেই।
মঙ্গলবার পেট্রোবাংলার গ্যাসের উৎপাদন ও সরবরাহ চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এদিন দেশে গ্যাসের উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২৩৯ মিলিয়ন ঘনফুট। আর এলএনজি সরবরাহ হয়েছে ৬১৩ মিলিয়ন ঘনফুট। সব মিলিয়ে মোট গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে বিদ্যুতে ২ হাজার ৩১৬ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ৮৮২ মিলিয়ন ঘনফুট, যা অর্ধেকেরও কম। সার উৎপাদনে ৩২৯ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ১৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ছাড়া শিল্প-কারখানা ও বাসা-বাড়ি মিলিয়ে বাকি ১ হাজার ৫০৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
মন্তব্য করুন
ড. আওলাদ হোসেন ঢাকা শরিয়তপুর বাস ঈদযাত্রা
মন্তব্য করুন
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৯ জুন ভারত সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ভারত সফরে সেবার দিল্লিতে তিনি আলো ছড়িয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও প্রধান দুই দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সাথে যেমন সাক্ষাৎ করেছেন, তেমনই কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সাথে তার আবেগঘন সময় কেটেছে।
ভারত সফর থেকে ফিরে আসার পর আগামী ২১ জুন আবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই প্রথম কোন দেশে দ্বিপাক্ষিক সফর।
নানা কারণেই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে। দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস এবং সন্দেহের দেওয়াল গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। দুই দেশ কিছু বিষয়ে অভিন্ন নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দুই দিনের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে গত এক দশকে নরেন্দ্র মোদির জয়জয়কার ছিল। পুরো ভারত জুড়ে তার একক ইমেজ এবং প্রাধান্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত। আর এই কারণেই নরেন্দ্র মোদি যা চাইতেন, যেভাবে চাইতেন সেভাবেই সবকিছু হতো। সে সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির একক অভিপ্রায়ে চূড়ান্ত হতো বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এখন নরেন্দ্র মোদিকে একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। জোটের সকলকে সামাল দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এবার বিরোধী জোট অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা সংসদে বিজেপিকে ছাড় দেবে না।
নরেন্দ্র মোদির সরকার একটি দুর্বল সরকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের দ্বিপাক্ষিক সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো সেই সেগুলো নতুন করে শুরু করার নবযাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ভারত সফরকে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন গত ১৫ বছরে অসাধারণ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অস্বস্তি। যেমন তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। বাংলাদেশ এখন তিস্তার পানি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আগ্রহ দেখাবে এটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই বিকল্প প্রস্তাবে চীনের আগ্রহ সর্বজনবিদিত। ভারতকে তাই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে তারা কী করবে? এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তিস্তা নিয়ে অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
সীমান্ত হত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি স্পর্শকাতর এবং বিব্রতকর বিষয়। আর এই বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চলমান অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই সফরে ভারত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহায়তার একটি প্যাকেজ দিতে পারে বলে কোন কোন মহল থেকে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই সম্পর্কটি আসলে নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়ার সম্পর্ক।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশে যেমন একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তেমনি ভারতেও নতুন করে নরেন্দ্র মোদি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই দু দেশের সম্পর্ককে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু দেশের সরকারই তাদের নবযাত্রার শুরুতে প্রতিবেশীই প্রথম-এই অঙ্গিকার নিয়ে নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নেবে এই সফরের মধ্য দিয়ে এটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদি ভারত বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। স্থানীয়রা ২০২২ সালের জুন মাসে হয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বৃষ্টিপাত ছাড়াই ভোর ৫টা থেকে বৃদ্ধি পেতে থাকে পাহাড়ি ঢলের পানি। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে দুপুরে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শহরের কাঁচাবাজারে হাঁটুর উপরে পানি। পশ্চিমবাজার, মধ্যবাজারে বন্যার পানি উঠছে।
বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শহরে ঢুকছে পানি। হুট করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শহরবাসী। নদীর পাড়ের বাসিন্দারা ঘরে থাকার মতো অবস্থা না থাকায় ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন। অনেকে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসত ঘরে পানি উঠে গেছে। ছাতকেও বিপদসীমার ১৫৫ সে.মি উপর দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুরে বিপদসীমার ২ সে.মি বা ০.৭৯ ফুট উপর দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশংকা করছে প্রশাসনও।
অপরদিকে পাহাড়ি ঢল নেমে আগে থেকেই প্লাবিত ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, তাহিরপুরের দেড় শতাধিক গ্রাম। নতুন করে পানি বাড়ায় বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, দিরাই সহ জেলার প্রায় সবকয়টি উপজেলাতে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে,
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রীর জন্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
বর্জ্য অপসারণে ৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্তূপ হয়ে আছে পশু কোরবানির বর্জ্য। এদিকে দক্ষিণেও একই রকম পরিস্থিতি। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কোরবানির বর্জ্য। এতে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ ও নানা রোগ জীবাণু।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে অনেককে। পরপর দুই দিন কোরবানির ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। যদিও দুই সিটি কর্পোরেশন কথা দিয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে সব ধরনের বর্জ্য।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬ ঘণ্টার ঘোষণা যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে মিরপুরসহ আরও কিছু এলাকায়। মূলরাস্তা পেরিয়ে অলিগলির মধ্যে ঢুকলেই চোখে পড়ছে কোরবানির বর্জ্যের স্তূপ। যেখান থেকে বের হতে শুরু করেছে দুর্গন্ধ। কোরবানির পর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য নিতে আসেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে এখনও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকায় পড়ে আছে সোমবারের কোরবানির বর্জ্য। বিশেষ করে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা, নাজিরা বাজার, দক্ষিণ কমলাপুর, খিলগাঁও, মেরাদিয়া, নন্দী পাড়ার অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়লার স্তূপ। নাগরিকরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেললেও এখনও তা অপসারণ করা হয়নি।
যদিও, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি ইতোমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছেন তারা। বাকিটুকুও আজকের মধ্যে অপসারণ করবেন তারা। নির্ধারিত সময়ের আগেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য অপসারণ
মন্তব্য করুন