ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা রাজ্জাককে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পাবনা সদর উপজেলায় আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩৮) নামে চরমপন্থি দলের সাবেক এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আব্দুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ইফতার করে তারাবিহ নামাজের পর চা খাওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যায় আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ওখানকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫ থেকে ৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, আব্দুর রাজ্জাক চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছিলেন। হয়ত পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে এমনভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আত্মসমর্পণ   গুলি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রেস সচিব হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছেন নাঈমুল ইসলাম খান

প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার দেশটির রাজধানী দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের এ সফরে নবনিযুক্ত প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ আল মামুন মুর্শেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে নাঈমুল ইসলাম খানকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব প্রবীণ সাংবাদিক ইহসানুল করিমের মৃত্যুর পর থেকে পদটি শূন্য ছিল। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব   নাঈমুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তার পানি চুক্তি আরও অনিশ্চিত হল?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। আগামী রোববার নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করবে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই সরকার আগের সরকারের চেয়ে দুর্বল হবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে মনে করছেন। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছা অনিচ্ছায় সব কিছু হবে না। সব ক্ষেত্রেই তাকে জোটদের পরামর্শ শুনতে হবে। তাদেরকে খাতির যত্ন করেই নরেন্দ্র মোদিকে আগামী পাঁচ বছর দেশ চালাতে হবে। 

শুধু যে জোটের শরিকদেরকে নরেন্দ্র মোদিকে সামাল দিতে হবে এমন না, বিরোধী জোটকেও তার সামাল দিতে হবে। কারণ এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস যেমন ৯৯ আসন পেয়ে একক বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, বিরোধী দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে, তেমনি পশ্চিম বাংলায় মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। সেখানে নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে প্রায় নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু এই নির্বাচনের যে ফলাফল বিন্যাস এবং সমীকরণ তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অমীমাংসিত তিস্তার পানি চুক্তি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনের পরপর তিনি তিস্তার পানি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করবেন। এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা ছিল। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং তখনও তিনি বলেছিলেন যে, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফরে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু এখন যে রাজনৈতিক সমীকরণে ভারত দাঁড়িয়ে, সেখানে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবার সম্ভাবনা প্রায় উড়ে গেছে। 

তিস্তার পানি চুক্তির প্রধান বাধা হলেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি মনে করেন যে, তিস্তার পানি চুক্তি হলে পশ্চিমবাংলার একটা বিপুল অংশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। পানিশূন্যতায় ভুগবে এবং এই অঞ্চলের ক্ষতি হবে। এ কারণেই তিনি পানি চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। 

কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ক্ষমতার শেষ মেয়াদে এই চুক্তি চূড়ান্ত করার পরও মমতা ব্যানার্জির বাধার কারণে তা শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। এরপর নরেন্দ্র মোদি এবং নরেন্দ্র মোদির দুই মেয়াদেও তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে দেনদরবার হয়েছে কিন্তু মমতা ব্যানার্জি তার অনড় অবস্থান থেকে সরে আসেননি। যে কারণে নরেন্দ্র মোদিও এই বিষয়ে কিছু করতে পারেননি। যদিও তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বহুমাত্রিক ব্যবস্থা করেছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিঃসন্দেহে একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে একটি রাজনৈতিক অস্বস্তি রয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করে যে, ভারত তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করছে না। আর এই কারণেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য তিস্তার পানি চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। 

ধারণা করা হয়েছিল যে, এ বারের নির্বাচনে মোদি পশ্চিমবাংলায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন এবং ৪০০ আসনের স্বপ্ন দেখা বিজেপি ভারতে একটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এবং এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলে শেষ পর্যন্ত তিস্তার পানি চুক্তি হবে। কিন্তু তিস্তার পানি চুক্তির একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল যে, শুধুমাত্র কেন্দ্র চাইলেই হবে না, এখানে পশ্চিমবাংলার অনুমোদন লাগবে। কিন্তু পশ্চিমবাংলার নিয়ন্ত্রণ মমতা ব্যানার্জির হাতে। আর এ বারের নির্বাচনের পর মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবাংলায় আরও শক্তিশালী হলেন। কিজেপির সাথে এখন তার সম্পর্ক আরও বৈরী। এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদি কী পারবেন তিস্তা পানি চুক্তি সম্পন্ন করতে নাকি তিস্তা পানি চুক্তি অনিশ্চিত হয়ে গেল?


তিস্তার পানি চুক্তি   ভারত   নরেন্দ্র মোদি   মমতা ব্যানার্জি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফিরিয়ে আনতে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকের হাতে থাকা টাকা উদ্ধার করতেই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

কালো টাকা সাদা করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন আসছে, কালো টাকা নিয়ে। কালো টাকা নিয়ে আমি শুনি, কালো টাকা সাদা করলে আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। ঘটনা কিন্তু এটা না, এটা শুধু কালো টাকা নয়। জিনিসের দাম বেড়েছে, এখন এক কাঠা জমি যার আছে সেই কোটিপতি। কিন্তু সরকারি যে হিসেব, সেই হিসেবে কেউ জমি বিক্রি করে না। বেশি দামে বিক্রি করে, এতে কিছু টাকা উদ্বৃত্ত হয়। এই টাকাটা তারা নিজেদের কাছেই রাখে। এবার আমরা চেয়েছি এমন ব্যবস্থা করতে যাতে করে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তারা যেন সেটা আসল পথে নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, আমি বলি মাছ ধরতে গেলে তো আদার দিতে হয়, দিতে হয় না? আদার ছাড়া তো মাছ আসবে না। সেই রকম একটা ব্যবস্থা, এমনটা আগেও হয়েছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক আমলেই শুরু হয়েছিল, আর পরেও প্রত্যেক সরকারই করেছে। সেই সুযোগটা আমরাও দিয়েছি। এটা নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলছে। তারপরেও মানুষের প্রয়োজনীয় যেসব পণ্য সে সবের টেক্স কমিয়ে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সীমিতভাবে এগোতে চায় সরকার। সেভাবেই বাজেট করা হয়েছে। বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মতো, উন্নত দেশেও এর চেয়ে বেশি থাকে।

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন অর্থবছরের এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার, দেশীয় শিল্প ও সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করবে।


কালো টাকা   সাদা টাকা   বাজেট   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ১৭ জুন

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৭ জুন (সোমবার)। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বৈঠক শেষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এই ঘোষণা দেয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। 

বৈঠক শেষে জানানো হয়, শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসাবে শনিবার থেকে জিলহজ মাস গণনা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ১৬ জুন দেশটিতে ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

১০ জিলহজ আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কুরবানি করেন মুসলমানরা। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। দেশে কুরবানির ঈদ হিসেবে পরিচিত এই উৎসবের মূল আহ্বান ত্যাগের। প্রতিবছর এই মাসে সৌদি আরবের পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজ পালন করে থাকেন বিশ্বের লাখ লাখ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

ঈদুল আজহা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ফৌজদারি মামলায় পড়ে যাওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

শুক্রবার (০৭ জুন) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ মামলায় পড়ে গেছেন বেনজীর। এখন ফৌজদারি মামলা চলছে। এটা (বেনজীরের কালো টাকা) কীভাবে সাদা হবে?

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়টিকে কতটুকু নৈতিক বলে মনে করেন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এ সুযোগটা দিয়ে থাকি। নানা কারণে অপ্রদর্শিত কিছু অর্থ থাকতে পারে। অসচেতনতা বা নানা কারণে রিটার্নে দেখানো হয়নি বা রিটার্ন দেওয়ার সময় এ তথ্যগুলো কোনো কারণে বাদ পড়ে গেছে। এছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে-যেমন জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে কিছু টাকা আমাদের অপ্রদর্শিত থেকে যায়। এজন্য সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে দাবি এসেছিল সুযোগ দেওয়ার।

তিনি বলেন, অনেক সময় ব্যবসায়ীরাও কিছু অপ্রদর্শিত অর্থ দেখাতে চান। আবার ব্যক্তি পর্যায়েও দেখাতে চান, নতুন কর দাতারা দেখাতে চান। কিন্তু এই অপ্রদর্শিত অর্থের জবাব তারা দিতে পারছেন না। সেজন্য আমরা ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে সেটা বৈধ করার সুযোগ করে দিয়েছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেব বিষয়টি এমন নয়। কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম,শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মে. মাহবুব হোসেন, অর্থসচিব খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।


বেনজীর   এনবিআর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন