নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৮
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে সরকার। আগামীকাল থেকেই এই অবস্থান নেওয়া হতে পারে। এ লক্ষ্যে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল বৃহস্পতিবার কেউ যদি বিক্ষোভ করতে চায় তাহলে নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যে করতে হবে। প্রধান সড়ক অবরোধের মাধ্যমে জনজীবন বাধাগ্রস্ত করে কোনো আন্দোলন করতে দেওয়া হবে না। এমন আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বিক্ষোভের কারণে জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধান সড়কে কোনো প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না। তবে কঠোর অবস্থানে গেলেও তা যেন শান্তিপূর্ণ হয়, কোনোভাবেই সহিংস না হয়ে ওঠে এ ব্যাপারেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে আজ রাতের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব যোগাযোগ করেছেন। বলা হয়েছে, তাঁদের শিক্ষার্থীদের যেন থামানো হয়। শিক্ষাথীরা যেন সড়ক অবরোধ করে কোনো বিক্ষোভ না করতে পারে। কোনো প্রতিবাদ করতে হলে তা যেন ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
উল্লেখ্য, গত দু‘দিনে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ দেশজুড়ে মহাসড়কগুলো অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে পুরো দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সংসদের প্রধানমন্ত্রী কোনো কোটাই থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর থেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনকারীরা। তাদের সংগঠক বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে রাতে আলোচনা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলা হয়েছে। তবে এজন্য সকাল ১০ টায় সবাইকে সমাবেশে আসতে বলা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন