রাজধানী ঢাকার বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেশি। অথচ মাঠপর্যায়ের কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক ফসল ফলাচ্ছেন; কিন্তু ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। কৃষকের শ্রম-ঘামের উৎপাদিত ফসলের লাভের পুরো অংশই নিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব পণ্য কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তার কাছে যেতে অন্তত তিন দফা হাতবদল হয়। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কৃষকের চেয়ে অনেক বেশি লাভ করেন। এ কারণেই ঢাকার সবজি বাজার আর উৎপাদন এলাকায় পণ্যের দামে বিস্তর ফারাক।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এক কেজি শিম উৎপাদন করতে খরচ হয় ৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৯ টাকা ৬৯ পয়সা, বেগুন ১০ টাকা ২৬ পয়সা এবং প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির উৎপাদন খরচ প্রায় ১০ টাকা। প্রতিটি লাউ উৎপাদনে ব্যয় হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সা। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী শিমের কেজি কিংবা একটি লাউয়ের দর কত হওয়া উচিত? যদি ধরা হয়, শিমের উৎপাদন খরচ ৭ টাকার সঙ্গে পরিবহন, রাস্তায় বিভিন্ন চাঁদা, আড়তের কমিশনসহ কেজিতে গড়ে ১০ টাকা খরচ আছে। তাহলে মূল খরচ দাঁড়ায় ১৭ টাকা। আর প্রতিটি লাউয়ের খরচ দাঁড়ায় ২৩ টাকা।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার নিউমার্কেট, শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৬০, মূলা ৩০ থেকে ৪০ এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপির প্রতিটি মিলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০, ঢ্যাঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকদিন আগেও নাটোরে সবজির বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে। মুলার কেজিও ২ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫ থেকে ৭ টাকা, শসার কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা, করলা ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, লালশাকের আঁটি এক টাকা, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি। অথচ ঢাকায় এসে ভোক্তাপর্যায়ে এসব সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে গড়ে ৫ থেকে ১০ গুণের বেশি।
অন্যদিকে গতকাল সবজির উৎপাদনস্থল বগুড়া ও নাটোরের কৃষকরা প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫ থেকে ১০, মূলার কেজি আড়াই টাকা, প্রতিটি লাউ ৫ থেকে ১০ টাকা এবং লম্বা বেগুনের কেজি ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন।
বগুড়া থেকে সবজি এনে ঢাকায় বিক্রি করেন কাদের হোসেন। কীভাবে দর বাড়ে, তার কিছুটা ধারণা দেন তিনি। তার মতে, ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে স্থানীয় আড়তে যান কৃষক। সেখান থেকে কেনেন ব্যাপারীরা। এখানে সবজির মোট কেনা দরের সঙ্গে ৫ শতাংশ আড়তদারি দিতে হয়। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্যে ১০৫ টাকা দিতে হয়। সবজি ট্রাকে তোলা বাবদ শ্রমিক খরচ প্রতি ট্রাকে ২ হাজার টাকার মতো। বগুড়া থেকে ঢাকায় আনতে ভাড়া লাগে ১৪ থেকে ১৭ হাজার টাকা। প্রতি ট্রাকে ১০ থেকে ১২ টন আনা যায়। ঢাকায় আনার পর প্রতি ১০০ টাকার সবজি বিক্রির বিপরীতে আড়তদারি দিতে হয় ৬ টাকা। এর মধ্যে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয় চাঁদা। সরকারদলীয় নেতাদের কাছ থেকে টোকেন নিয়ে চাঁদা দিতে হয়। এসব খরচ ও লাভ যোগ করে দেখা যায়, ১০০ টাকার সবজির বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
প্রায় দুই যুগ ধরে শ্যামবাজারে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করেন নুরুল ইসলাম। তার মতে, শ্যামবাজারে রাতে সবজিভর্তি কৃষকের কয়টি ট্রাক এসেছে, এ সময় ব্যাপারীরা কী পরিমাণ সবজি ট্রাকগুলোতে এসেছে এসব খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। পরিমাণে কম এলেই পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়তে থাকে। তখনই দাম বাড়াতে শুরু করে। এমনও দেখা যায়, শুরুতে যে বেগুন প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, শেষদিকে তা ৭০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজধানীর শ্যামবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, ফুটপাতে দোকান ভাড়া দৈনিক স্থানভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের লাইনম্যানদের দৈনিক চাঁদা দিতে হয় ২০ থেকে ৫০ টাকা। পুলিশের লাইন খরচ দিতে হয় ১০০ টাকা। দৈনিক একটি বাতি জ্বালালে দিতে হয় ১০০ টাকা। এর সঙ্গে নিজের মুনাফার ভাগ। এসব যোগ করলে একটা লাউ ১০০ টাকার কমে কোনোভাবেই বিক্রি করা যায় না।
খুচরা সবজি বিক্রেতা আলিম বলেন, ফুটপাতে ব্যবসা করলেও দৈনিক অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ আছে। এর ভাগ যায় পুলিশ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় নেতাদের পকেটে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত এভারেস্ট জয় করেছেন চট্টগ্রামের ছেলে বাবর আলী। বুধবার (২৯ মে) ওই দুঃসাহসী অভিযানের গল্পই বাবর শোনালেন চট্টগ্রাম নগরীর আলিয়স ফ্রঁসেজ দ্য চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদ সম্মেলনে।
চট্টগ্রামের হালদা পাড়ের সন্তান চিকিৎসক এবং পর্বতারোহী বাবর আলী ১৯ মে পৃথিবীর শীর্ষ পর্বত এভারেস্ট এবং ২১ মে চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসে আরোহণ করে উড়িয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা।
বাবর বলেন, সুস্থ শরীরে ফিরে এসেছি এটা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। চার কেজি ওজন কমেছে। এভারেস্টে অনেক মরদেহ দেখেছি। কিন্তু আমি মনোবল হারাইনি। এর মধ্যে অনেক ইকুইপমেন্ট নতুন, তারা মারা গেছে বেশিদিন হয়নি। এভারেস্ট সামিট করার ক্ষেত্রে আবহাওয়া বড় ফ্যাক্টর। বাংলাদেশের একজন আবহাওয়াবিদ আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন।
তিনি জানান, এভারেস্ট শীর্ষে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট অবস্থান করেছেন। নেমে আসার সময় এক আহত পর্বতারোহীর জন্য দেড় ঘণ্টা আটকে ছিলেন। ওই উন্মুক্ত এলাকায় শুরু হয় তুষারঝড়। সৌভাগ্যক্রমে তিনি বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান। দুই পর্বতে তার সাথী ছিলেন নেপালের গাইড বাইরে তামাং। বাবর বলেন, এভারেস্টের উচ্চতা বেশি হলেও লোৎসে আরোহণ তুলনামূলক কঠিন।
এভারেস্ট এবং লোৎসে চূড়া থেকে দেখা নিচের পৃথিবীর দৃশ্য ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান বাবর আলী। সেই চূড়া থেকে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে নেমে আসেন তিনি। বেস ক্যাম্প থেকে কাঠমান্ডু ফিরেন মাত্র ৩ দিনে। নিজের সফলতার পেছনে এই পর্বতারোহী কৃতিত্ব দেন নিজের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমকে।
মন্তব্য করুন
সাম্প্রতিক
সময়ে আলোচনার তুঙ্গে থাকা সাবেক পুলিশ
প্রধান বেনজীর আহমেদ কি দেশে আছেন?
নাকি তিনি দেশ ছেড়ে
চলে গেছেন? এটি এখন নতুন
করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ
গত কয়েকদিন ধরে বেনজীর আহমেদের
কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে
না। বেনজীর আহমেদের মুঠোফোন বন্ধ, তার সঙ্গে কেউ
যোগাযোগ করতে পারছে না।
এমনকি যারা তার ঘনিষ্ঠ
হিসেবে পরিচিত ছিলো তারাও তাকে
পাচ্ছেন না।
বেনজীর আহমেদ অবসর গ্রহণের পর গুলশানের একটি বাড়িতে থাকতেন এবং এই বাড়িতে তিনি চারটি ফ্ল্যাট কিনে বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেই বাড়িতেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর র্যাংকন আইকন টাওয়ারে বেনজীর আহমেদের খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয়, তিনি সেখানে নেয়। তাহলে বেনজীর আহমেদ কোথায় অবস্থান করছেন?
আরও পড়ুন: বিদেশে বেনজীর পরিবারের সম্পদের খোঁজে দুদক
একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, বেনজীর আহমেদ গত ৩ সপ্তাহ আগেই সস্ত্রীক দুবাই চলে গেছেন। তার এক কন্যার জামাতা দুবাইতে চাকরি করেন এবং সেখানেই তিনি অবস্থান করছে বলে একটি সূত্র দাবি করছে। অন্য একটি সূত্র বলছে, বেনজীর আহমেদের পরিবারের কেউই এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন না। তার এক কন্যা এখন লন্ডনে পড়াশোনা করছেন, বাকি দুই কন্যা দুবাইয়ে অবস্থান করছেন এবং বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রীকে নিয়ে দুবাই গেছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বেনজীর আহমেদের পরিণতি কি হবে?
এই তথ্যের পেছনে আরো যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র বলছে, যে ৩৩ টি ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে সেই ব্যাংক একাউন্টগুলোতে তেমন কোন টাকা-পয়সা নেয়। অর্থাৎ ব্যাংক একাউন্ট গুলো অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বা হবে এরকম একটি অনুমান বেনজীর আহমেদ আগেই করতে পেরেছিলেন। এবং সেই একাউন্টগুলো থেকে সব টাকা তুলে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি অবরুদ্ধ জমি বেনজীর আহমেদ বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের ধারনা, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর পরই তিনি তার দেশীয় সম্পদ গুলো গুটিয়ে, ব্যাংকের সমস্ত টাকা-পয়সা সরিয়ে তিনি বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। তবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ কোন কথা বলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বেনজীর আহমেদ কি গ্রেপ্তার হতে পারেন?
উল্লেখ্য
যে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনজীবী
খুরশীদ আলমের কাছে সাংবাদিকরা জানতে
চান, বেনজীর আহমেদের বিদেশ যাত্রার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করা হবে কিনা।
এর উত্তরে তিনি বলেন, যদি
অনুসন্ধানী দল মনে করে
বেনজীর ও তার পরিবারের
সদস্যদের বিদেশ যাওয়া অবরোধ করা দরকার তাহলে
আদালতে আবেদন করতে পারে। তবে
এধরনের আবেদন এখনো করা হয়নি।
আর
একারণেই এখন প্রশ্ন উঠেছে
বেনজীর আহমেদ হয়তো দেশে নেই।
কারণ তিনি যদি দেশে
থাকতেন তাহলে এ সমস্ত প্রতিবেদন
এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে নিশ্চয়ই তিনি কোন বক্তব্য
উপস্থাপন করতেন বা তার একান্ত
ঘনিষ্ঠ বা যাদের সঙ্গে
তিনি অবসরের পর যাদের সঙ্গে
ব্যবসা করছেন সেই ব্যবসায়িক পার্টনারদের
সাথেও যোগাযোগ করতেন। কিন্তু এসব কিছু না
করার ফলে তিনি যে
দেশ ছেড়েছেন এ ধারণাটি ক্রমশ
বদ্ধমূল হচ্ছে।
বেনজীর দেশ ছেড়েছেন সম্পদ জব্দ অবৈধ সম্পদ অর্জন
মন্তব্য করুন
এমপি আনার হত্যা মামলায় জড়িত শিমুল ভূঁইয়ার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ সাইফুল আলম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের রায়পাড়া বাবলাতলা এলাকার একটি মৎস্য হ্যাচারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সেখানে কয়েকদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় নম্বরসহ মোবাইল ফোন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। যশোর ডিবি পুলিশের দাবি, সাইফুল মেম্বার বাবলাতলার সেই হ্যাচারিতে পাঁচদিন ধরে অবস্থান করছিলেন।
যশোর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বলেন, সাইফুল আলম মেম্বার চরমপন্থি শিমুল ভুঁইয়ার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে পরিচিত। যশোরের উদয় শঙ্কর হত্যা, রাকিব হত্যা, সুব্রত হত্যা মামলায় দুটিতে চার্জশিটভুক্ত আসামি ও একটিতে পলাতক আসামি তিনি। আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান শুরু করলে সাইফুল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে যশোর শহরের রায়পাড়া বাবলাতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আদর্শ মৎস্য নার্সারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে সাইফুল আলম মেম্বার সাতক্ষীরা ও ভারত সীমান্ত এলাকায় ছিলেন। এ সময় তিনি ভারতীয় মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। এমপি আনার হত্যার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটি আমরা তদন্ত করে দেখব।
শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই শাহাদাত হোসেনসহ (টেলিফোন) দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। অপর প্রার্থী হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত-কলম)।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।
দুই প্রার্থীর অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ছেলে তাশিক মির্জা কাদের ও ভাগিনারা কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালটে সিল মারছেন।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জাও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলকে (আনারস) সমর্থন দিয়ে ভাইসহ অন্যদের বিরোধিতা করে আসছেন। প্রশাসনকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পুনরায় তফসিল ও নির্বাচন দাবি করে বলেন, প্রার্থী হয়ে আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। মেয়র কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাশিক মির্জা আমাকে ভোট দিতে দেয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন, ভোটের আগেও এখানে ভোটের পরিবেশ ছিল না, ভোটারদের কাছে যেতে পারিনি। স্বাধীনভাবে ভোটারদের কাছে কোনো মতামত প্রকাশ করতে পারিনি। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বেশ কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। আজ আনারস প্রতীক ব্যতীত অপর প্রার্থীদের প্রতীকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবদুল কাদের মির্জা ও তাশিক মির্জা কাদের।
মন্তব্য করুন
আগামী ১ জুলাই থেকে পানির দাম
১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
বানিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি
১ হাজার লিটার পানির মূল্য ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবং আবাসিক গ্রাহকদের জন্য একই পরিমাণ পানির মূল্য ১৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য আবাসিক গ্রাহকরা বর্তমানে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা এবং বানিজ্যিক গ্রাহকরা ৪২ টাকায়
একই পরিমাণ পাচ্ছেন।
বুধবার (২৯ মে) পত্রিকায় প্রকাশিত
ঢাকা ওয়াসার কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
ওয়াসা
আইন ১৯৯৬-এর ২২ ধারা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির সমন্বয়ের লক্ষ্যে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত মিটারবিহীন হোল্ডিং, গভীর নলকূপ, নির্মাণাধীন ভবন, ন্যূনতম বিলসহ সব প্রকার (পানি ও পয়ঃ) অভিকরের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
এর আগে, সবশেষ ২০২১ সালের জুলাইয়ে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছিল। ২০২২ সালেও পানির দাম বাড়াতে চেয়েছিল ঢাকা ওয়াসা।
কিন্তু হাইকোর্টের রুলের পর এতদিন পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্থগিত ছিল।
মন্তব্য করুন
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার তুঙ্গে থাকা সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ কি দেশে আছেন? নাকি তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন? এটি এখন নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে বেনজীর আহমেদের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বেনজীর আহমেদের মুঠোফোন বন্ধ, তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারছে না। এমনকি যারা তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলো তারাও তাকে পাচ্ছেন না।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই শাহাদাত হোসেনসহ (টেলিফোন) দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। অপর প্রার্থী হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত-কলম)।