ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় কুয়াং নিহ প্রদেশের ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রচণ্ড পেট ব্যথায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। হাই হা ডিস্ট্রিক্টের মেডিকেল সেন্টারে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করার পর, চমকে যান চিকিৎসকরা। এরপরই চিকিৎসকরা দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, পেটের ভেতরে যে জ্যান্ত মাছ রয়েছে, এটা তাদের কল্পনাতেও আসেনি। অস্ত্রোপচার করতেই একটি ইল (বাইম মাছ) বেরিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, সেটি আবার জীবিত ছিল। পেটের ভেতরে এক ফুটের জ্যান্ত ইল দেখে চমকে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কীভাবে এত বড় ইল পেটের ভেতরে গেল তা জানতে পারেননি তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, কোনোভাবে এটি তার মলদ্বার দিয়ে শরীরে ঢুকেছে এবং তলপেটে ঘুরে বেড়িয়েছে। এটির কারণে তার অন্ত্রে একটি ছিদ্রও হয়। চিকিৎসকেরা খুব সাবধানতার সঙ্গে ইলটিকে ও অন্ত্র থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া টিস্যুগুলো বের করে আনেন।
চিকিৎসকরা জানান, এরকম ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি। সময়মতো যদি ওই ইল মাছটিকে অস্ত্রোপচার করে বের না করা হতো, তাহলে পেটের ভেতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তো। ফলে রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারতো। ইল মাছটিকে বের করা হলেও এখনো বিপদ কাটেনি রোগীর। সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
মন্তব্য করুন
ইব্রাহিম রাইসি বিশ্ব শোক প্রকাশ
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
সোমবার (২০ মে) পঞ্চম পর্বে দেশটির ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোট হচ্ছে।
নির্বাচনের এই দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরও দুজন শীর্ষ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পিযূষ গয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারা।
লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্টু ভোট নিতে সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামপন্থি দলসহ ৬টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল এবং তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ-এর মতো প্রাদেশিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এরই মধ্যে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪৯ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত।
পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহণ চলছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ আসনে। যার মধ্যে ৩টি বিজেপির বাকি সবগুলোই তৃণমূলের দখলে।
এদিকে, মমতা বাংলায় বিজেপি আসন বাড়ানোর ডাক দিয়েছে। আর আসন বাড়াতে হলে এই দফা থেকেই বিজেপির আসন বাড়াতে হবে।
এই পঞ্চম দফার ভোটে সবার বিশেষ নজর এখন উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির দিকে। সেখান থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে, লখনৌতে ভাগ্য পরীক্ষা হবে রাজনাথ সিংয়ের, আমেথিতে অভিনেত্রী মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আর জম্মু-কাশ্মীরে বারামুল্লায় ওমর আবদুল্লার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমানা ঘেষা বনগাঁ আসনে জাহাজমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ১৯ ও ২৬ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফা এবং ৭ ও ১৩ মে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট হয়। চার দফায় ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১, ৬৬.৭, ৬১ ও ৬৭.৩ শতাংশ।
লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।
লোকসভা নির্বাচন রাহুল গান্ধী রাজনাথ সিং রচনা ব্যানার্জি নরেন্দ্র মোদি
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের
বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি
আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান
থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার
খবর আসে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই
অবতরণে বাধ্য হয়েছে। রাইসির এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা
‘মোসাদ’ এর কোন হাত আছে নাকি সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
তবে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের আরোহীদের কেউই বেঁচে
নেই । এমন তথ্যই জানিয়েছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা
নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
দূর্যোগপূর্ণ বৈরি আহহাওয়ার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট রাইসি প্রকল্প উদ্বোধন
করতে গেলেন, সেখানে বাঁধ উদ্বোধন করার পর এক ভাষণে রাইসি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের
সমর্থনের উপর জোর দেন। এটাই কি রাইসির জন্য কাল হয়ে দাড়াঁল। নাকি পরিকল্পিত ভাবে রাইসির
মৃত্য নিশ্চিত করলো ষড়যন্ত্রকারিরা। এর জন্য কি তবে ইসরায়েল দায়ি এমনটাই মনে করছেন
অনেকে।
সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার।
অনেকেই মনে করছেন রাইসির এই আকস্মিক মৃত্যর পিছনে রহস্য রয়েছে।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইরান একটি সামাজিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল রাইসি এমন সময়ে
প্রেসিডেন্ট হন। এবং পারমানবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার
চাপে কঠিন সময় পার করছে। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়, তা আঞ্চলিক উত্তেজনা
আবার তুঙ্গে নিয়ে যায়। কয়েক দফা পাল্টা-পালটি ঘটনার পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ইরান
সরাসরি ইসরায়েলের উপর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন নিক্ষেপ করে। তাহলে কি সুস্পষ্ট
হচ্ছে রাইসির মৃত্যর কারণ রহস্যে ঘেরা? কিছু কারণ উল্লেখ করা যাক..
১। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কিজ কালাসি
এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করতে যাবেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে তাকে হেলিকপ্টারেই
কেন যেতে হবে।
২। যেহতেু সিমান্তবর্তি এলাকায় ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
যাবেন সেহেুত দেশটির আবহাওয়া দপ্তর কেন আগে সতর্ক করলেন না।
৩। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাধারনত আকাশপথে কোন যানবাহন চলাচল
করেনা। করলেও তা আবহাওয়া বিশ্লেষনের মাধ্যমে যাতে কোন ঝুঁকি না থাকে তা নিশ্চিত হয়ে
হেলিকপ্টার বা বিমান চলাচল করে। সেখানে এই ঝুঁকি নিয়ে কেন উদ্বোধন করতে গেলেন রাইসি।
৪। যেহেতু হেলিকপ্টার একটি সাধারন হালকা আকাশপথের চলাচলের মাধ্যম
সেহেতু একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট কেন হেলিকপ্টারেই যাবে। দেশটিতে আবহাওয়ার দূর্যোগ
চলা সর্তেও এরকম পরিস্থিতিতে কেন হেলিকপ্টারটি চালান হলো।
৫। আকাশপথের হালকা বাহন হচ্ছে হেলিকপ্টার। পাইলট বা চালক যেহেতু
দেখছে আবহাওয়া যাতায়াতের অনুকূলে সেহেতু পাইলট কেন যাত্রা শুরু করে।
৬। সাধারণত যে কোন দেশের রীতি হলো প্রেসিডেন্ট, ফরেন মিনিষ্টার
ভিন্ন ভিন্ন হেলিকপ্টারে যাতায়ত করে। তাহলে তারা সবাই একই হেলিকপ্টারে কেন উঠলো? এমনকি
হেলিকপ্টারের পাইলট কে ছিল। তাহলে কি হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিজের আয়েত্বে নিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হচ্ছে সংশয়।
৭। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হেলিকপ্টারে করে কেন সফরে গেলেন ইব্রাহিম রাইসি।
পাকিস্তানের তৎকালিন জেনারেল জিয়াউল হক বাওয়ালপুর গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের
লকহিড মার্টিনের তৈরি এম-৩১ ট্যাংকের মহড়া দেখতে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৩৩০
মাইল দক্ষিণে বাহওয়ালপুর টেস্ট ফিল্ডে যান। ট্যাংকের মহড়া দেখে ফেরার পথে বিধ্বস্ত
হয় লকহিড মার্টিনের তৈরি সি-১৩০বি বিমানটি, উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে
পড়ে ৬০-৭০ ডিগ্রি কোণে। আর এতেই মারা গেছেন জেনারেল জিয়াউল হক। একইভাবে সিআইএর কোন
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। নাকি হেলিকপ্টার
দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন
মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সিআইএ মোসাদ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবরের মধ্যে গাজা যুদ্ধের পর যুক্ত হল রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভূরাজনীতির প্রভাবশালী এ দুই কর্তা ব্যক্তির মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে কি এ মৃত্যু থেকে সবচেয়ে লাভবান হবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন ও উঠে আসছে।
রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং প্রভাব ফেলবে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ইব্রাহিম রাইসি ও হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। গেল কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ ও সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। নতুন প্রেসিডেন্ট এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে।
এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।
শুধু এ হামলা নয় কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি এ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পালিত কুকুর হিসেবে পরিচিত সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা এসব শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।
মন্তব্য করুন
চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষু শূল ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের জাঁদরেল নেতা ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি । আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি। রাজি হননি আপোষেও।
তাইতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র প্লেয়ার ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ইরান প্রেসিডেন্ট রাইসি হত্যাকাণ্ড
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সোমবার (২০ মে) পঞ্চম পর্বে দেশটির ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোট হচ্ছে। নির্বাচনের এই দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরও দুজন শীর্ষ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পিযূষ গয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারা।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। রাইসির এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত আছে নাকি সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবরের মধ্যে গাজা যুদ্ধের পর যুক্ত হল রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।