ইনসাইড এডুকেশন

বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে শিবির ও হিযবুত তাহরীর

প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷

শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা তিনটার পর বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলা হয়। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।

মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী৷

এমন প্রেক্ষাপটে বেলা তিনটার পর ওই পাঁচ ছাত্র বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তানভীর মাহমুদ। তিনি দাবি করেন, তারা পাঁচজন কোনো ছাত্রসংগঠনের পদধারী নন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তাদের নামে এখনো আদালতে মামলা চলমান এবং সবাই জামিনে আছেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মৌলবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করি৷ এই মানববন্ধন করার পর আমাদের চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং জবাবদিহি চাওয়া হয়। বিভিন্ন হলের কক্ষে কক্ষে রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়। এমনকি মানববন্ধনকে একটি অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।’

তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাঁকে বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে হয়৷ আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় থাকায় অনেককেই কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়৷ যে কারোরই পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই বা পরিচয় থাকলে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়; পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে।’  তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের মতো গুটিকয়েক ছেলের বিরুদ্ধে কারা এবং কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে, তা একটু ভেবে দেখার সময় হয়েছে৷ মিথ্যাচার করে আমাদের দোষী করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী।’

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন আরেক বুয়েট ছাত্র আশিক আলম৷ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কিছু ঘটনা এবং আমাদের ওপর একের পর এক আক্রমণ প্রমাণ করে দেয় যে ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসে এখন প্রকাশ্যেই হিযবুত তাহরীর তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে৷ এই নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের স্বার্থ হাসিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি আবেগ নিয়ে৷ বুয়েটে আবরার ফাহাদ ভাইয়ের সঙ্গে খুব খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই৷ কিন্তু হিযবুত তাহরীর ও শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আবেগকে পুঁজি করে প্রকাশ্যেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলবেন, তাঁকেই ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও ভয়ে ও হুমকিতে আসতে পারছেন না৷ আরও ২০-২৫ জন এখানে আসতে চাইলেও তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷’

ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের দমিয়ে রেখে অন্ধকার রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আশিক৷ তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই৷ সবাই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মতাদর্শে বিশ্বাস করুক। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনাকে আমরা কখনোই বুয়েটে ঠাঁই পেতে দেব না।’

বুধবার মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে আশিক আলমের ভাষ্য, ‘আমরা শুনেছি, সেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি এসেছিলেন। তিনি আসতেই পারেন। তিনি তো কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাননি৷’


বুয়েট   শিবির   হিযবুত তাহরীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে ‍শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থবিরতা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের স্থবিরতা নেমে  এসেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  এদিকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ কয়েকদফা পিছানো হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

১. এইচএসসির ৮ পরীক্ষা স্থগিত:  এবারের এইচএসসি পরীক্ষাদের দুর্ভাগ্যই বটে। ৩০ জুন প্রথম পরীক্ষার দিন, বৃষ্টিতে ভিজে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়েছিল। এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় চলমান এইচএসসির আগামী সপ্তাহের আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট হওয়ার তারিখ ছিল। এ নিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

নতুন করে চারটি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার আগে এসব পরীক্ষার বিষয়ে তপন কুমার সরকার জানান, আগামী ১১ আগস্টের পর এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ জানানো হয়নি।

২. মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও কলেজ বন্ধ: দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এম খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

৩. প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ:  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৪. দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ: ২০১৮ সালের পর  এবারের দ্বিতীয় দফায় কোটা সংস্কার আন্দোলন মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই শুরু করেছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংসতায় পর্যবসিত হয়। ফলে আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিবেশের প্রেক্ষাপটে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের  সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে ক্লাস ছেড়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন আন্দোলনে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা ‘প্রত্যয়’ স্কিম থেকে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন ও প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। এতে করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর কবে নাগাদ এই আন্দোলন শেষ হবে তার সঠিক নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না শিক্ষকরা। ফলে সেমিস্টার জটে পড়তে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন এবং অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংস রূপের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপনী কার্যক্রম দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা বিশিষ্টজনদের।  

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন, তাতে কোটাসংক্রান্ত জটিলতার অনেকটাই অবসান হয়েছে। আপিল বিভাগ কোটা নিয়ে সরকারের ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্রের মাধ্যমে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছিল। সম্প্রতি রায়ে আপিল বিভাগ ৯৩ শতাংশ সরকারি চাকরি মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটাভিত্তিক করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে আদালত এটাও বলেছেন যে এই কোটা কমানো-বাড়ানো বা বাতিল করার এখতিয়ার সরকারের।

আপিল বিভাগের রায়ে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ আসন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। আদালতের এই নির্দেশনার ভিত্তিতে সরকার ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আন্দোলন পরবর্তী সংঘাতের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সরকার। ইতিমধ্যে কারফিউ শিথিল করে সীমিত পরিসরে অফিস আদালত খুলে দিয়েছে সরকার। দৈনন্দিন জীবনযাপন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় নি। তবে আগামী মাসে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


কোটা   সংস্কার   আন্দোলন   প্রভাব   শিক্ষা   ব্যবস্থা   স্থবিরতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় চলমান এইচএসসির আগামী সপ্তাহের আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই আগস্ট হওয়ার তারিখ ছিল। নিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে তথ্য জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি জানান, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন করে চারটি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার আগে এসব পরীক্ষার বিষয়ে তপন কুমার সরকার জানান, আগামী ১১ আগস্টের পর এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ জানানো হয়নি।

এর আগে, কোটা সংস্কার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের, পরে ২১, ২৩ ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।


এইচএসসি   পরীক্ষা   স্থগিত   ঢাকা   শিক্ষা   বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

‘স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে’

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের এইচএসসি সমমানের চারদিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া এসব পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।' আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।


এইচএসসি   পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকাল স্থগিত

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব পরীক্ষা ২৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিল।

একই কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণিকার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যালয় কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে একই কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।


জাতীয়   বিশ্ববিদ্যালয়   অধীন   পরীক্ষা   অনির্দিষ্টকাল   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

আরও তিন দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে আরও তিন দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আন্তশিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।


এ ছাড়া সব বোর্ডের অধীনে ২৮ জুলাই ও পরবর্তী পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


এইচএসসি   পরীক্ষা   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন