বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ
সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট
শাহ মঞ্জরুল হক।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ
হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে
ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার
হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেন। বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্ট বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বি
মন্তব্য করুন
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের
সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি
করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন
আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে
৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী
এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ
মইনুল। চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার
মোস্তাফিজুর রহমান খান।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ইতালিয়ান-থাই
কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা
তুলে নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগ দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।
আপিল বিভাগ বলেছেন, তারা হাইকোর্টের রায় দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম
জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের
কাজে টাকা দেবে না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।
গত ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির
শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে
নেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির
শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।
বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ
দেন।
সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন,
দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি
করবেন।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।
এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার
চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে আপাতত বন্ধ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের
কাজ
হঠাৎ করেই শ্রমিক শূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ।
নেই কোনো নির্মাণ যজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেস ওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে
অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে।
জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার
দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে
থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই
সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।
থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল
ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে
করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আপিল বিভাগ
মন্তব্য করুন
আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে ১৩ মে ঐতিহাসিক রায় দেন হাইকোর্ট।
বুধবার(১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের ওই আদেশ ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
১৪ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
উল্লেখ্য, গত বছর ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
মন্তব্য করুন
৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আত্মসমর্পণ
করে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচজনের জামিন নামঞ্জুর করে
কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের
আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের
মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন নিপু ও মো. নাজমুল আলম বাদল, পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ
প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।
এর আগে, গত বছরের ২৬ নভেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১
এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১
নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির
৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২১-২২ অর্থবছরের
বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার সরবরাহের জন্য আমদানি করলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তির সার
বাফার গুদামে না দিয়ে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকার ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ কেজি সার
আত্মসাৎ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
পোটন ট্রেডার্সের ৫০ দিনের মধ্যে সার গুদামে পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল। সেটা না করে সার
ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেন।
নরসিংদী-২ আসন সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন দুদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ মে) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার নবম (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন।
এদিন জব্দ তালিকার সাক্ষী আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। তবে আব্দুল বাকীর জেরা শেষ হয়নি। আদালত আংশিক জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেন, বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
নাইকো দুর্নীতি মামলা খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
বিচার বিভাগের রায় ও বিচারকের পদোন্নতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও, তিনি ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলে লিখিত আবেদনে বলেছেন। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেবেন।
আলালের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে, বিচার বিভাগের রায় ও বিচারকের পদোন্নতি নিয়ে মন্তব্য করায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে তলব করেন উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ মে) সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয় তাকে।
গত ২৫ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে আলালের প্রচারিত বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুসারে বিষয়টি হাইকোর্টের এ বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। পরে এ বিষয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ভিডিও ক্লিপে আদালত অবমাননাকর মন্তব্য রয়েছে। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি (সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল) সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট বিচারপতি ও পুরো বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন।
হাইকোর্ট বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ মে) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার নবম (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন।
বিচার বিভাগের রায় ও বিচারকের পদোন্নতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও, তিনি ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলে লিখিত আবেদনে বলেছেন। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেবেন।