ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক ম্যাচে ৩১ গোল হজম, অনুভূতিতে যা জানালেন সেই গোলকিপার

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।

ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।

আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।

সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।

ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!

খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।

গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।

৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।

সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।

২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।

সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’


ফুটবল   বিশ্বকাপ   আমেরিকান সামোয়া   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে ধোনীকে আর দেখা যাবে তো?

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন অনেক আগেই। ভক্তরা তাঁর খেলা দেখতে অপেক্ষা করেন কবে শুরু হবে আইপিএল। গত শনিবার আইপিএল থেকে চেন্নাইয়ের বিদায়ের পর এখন ধোনী ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, ধোনীকে আর দেখা যাবে তো?

শনিবার (১৮ মে) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৭ রানে ম্যান হারের পর অনেকেই ভেবেই নিয়েছেন, এটাই হয়তো আইপিএলে ৪২ বছর বয়সী ধোনীর শেষ ম্যাচ। 

কিন্তু ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইপিএলে এটি ধোনির শেষ ম্যাচ না–ও হতে পারে!

বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের ৩৫ রান দরকার থাকলেও কোয়ালিফায়ার উঠার জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। ধোনি প্রথম বলে বিশাল ছক্কা মেরে বল হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনী। 

বেঙ্গালুরুর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক ম্যাচ শেষে চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ হিসেবে ধোনির ছক্কাকে টেনে নিয়ে এসে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে ধোনির ছক্কা মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। ফলে আমরা নতুন একটা বল পেয়েছি, যেটা বোলিংয়ের জন্য আগেরটার চেয়ে ভালো (শুকনা)।’ 

যাহোক, হারের পর ধোনীর কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে অনেকেই হয়তো ভারতীয় এই কিংবদন্তির এবার বিদায় নিবেন। তবে আইপিএল থেকে ধোনির বিদায়টা সম্ভবত এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূত্র বলেছে, ‘ধোনি চেন্নাইয়ের কাউকে বলেনি, তার এটাই শেষ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সে কয়েক মাস অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছে ম্যানেজমেন্টকে।’

চেন্নাই আশা করছে, তাদের ঘরের মাঠে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলবেন ধোনি। বয়স হয়ে গেলেও ফিটনেস এখনো বেশ ভালোই ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের। 

আগামী বছর আইপিএলের নিলামে দলগুলোকে পাঁচজন করে খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে, মাথিশা পাথিরানা ও রবীন্দ্র জাদেজাকে চেন্নাইয়ের ধরে রাখা মোটামুটি নিশ্চিত। পাঁচজনের মধ্যে শেষ খেলোয়াড়টি ধোনির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


ধোনী   আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। এটিকে রেখে ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে ব্রাজির ও মেক্সিকো। এবার প্রাথমিক দল ঘোষণা করলো আর্জেন্টিনাও।

কোপার আগে ইকুয়েডর ও গুয়েতালারর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাই এই দুই প্রীতি ম্যাচ ও ২১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার জন্য ২৯ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন লিওনেল স্কালোনি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই প্রীতি ম্যাচের পর প্রাথমিক দল থেকে তিন জনকে বাদ দিয়ে কোপার চূড়ান্ত দল করবে আলবিসেলেস্তরা।

সোমবার (২০ মে) আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি এই দল ঘোষণা করেন। তার দলে আছেন অভিজ্ঞ লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, নিকোলাস ওটামেন্ডিরা।

ঘোষিত দলে গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার সঙ্গী হিসেবে আছেন ফ্রাঙ্কো আরমানি জেরোমিনো রুল্লি।

রক্ষণভাগ সামলানোর দায়িত্ব পড়েছে তরুণ বার্কোর ও বেলার্ডির উপর। সাথে রয়েছে, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দির মতো অভিজ্ঞরা।

মিডফিল্ডে গুইদো রদ্রিগেজ, জিওভন্নি লো চেলসো এবং এক্সিকিয়েল প্যালাসিওস জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও বড় চমক হিসেবে ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন ১৯ বছরের তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ভ্যালেন্টিন কারবোনি।

আক্রমণভাগে অভিজ্ঞদের প্রতিই আস্থা রেখেছে আর্জেন্টাইন বস। আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সঙ্গে অভিজ্ঞ ডি মারিয়া রয়েছেন দলে। এছাড়া আলেজান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেস, লওতারো মার্টিনেজ, হুয়ান আলভারেজরা প্রতিপক্ষকে নাকানি-চুবানি খাওয়াতে পটু।

তবে আটালান্টায় দারুণ পারফরম্যান্স করা হুয়ান মুসো ও পাওলো দিবালার জায়গা হয়নি ২৯ সদস্যের দলে। 

আর্জেন্টিনার স্কোয়াড:

ফ্রাঙ্কো আরমানি, জেরোনিমো রুলি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, লিওনার্দো বালের্দি, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জের্মান পেজ্জেলা, লুকাস কুয়ার্তা, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস অ্যাকুনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, ভ্যালেন্তিন বার্কো, গিদো রদ্রিগেজ, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, এক্সিকুয়েল প্যারাসিওস, এনজো ফার্নান্দেজ, জিওভানি লো সেলসো, আনহেল ডি মারিয়া, ভ্যালেন্তিন কার্বোনি, লিওনেল মেসি, আনহেল কোরেয়া, আলেহান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেজ, লাউতারো মার্টিনেজ হুলিয়ান আলভারেজ।

তবে আটালান্টায় দারুণ পারফরম্যান্স করা হুয়ান মুসো ও পাওলো দিবালার জায়গা হয়নি ২৯ সদস্যের দলে। 


কোপা   আর্জেন্টিনা   প্রাথমিক দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল ২০২৪: কার হাতে উঠবে এবারের শিরোপা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আর রানবন্যার মধ্য দিয়ে শেষের যুদ্ধটা যেন আরও বেশি জমে উঠেছে আইপিএলের এবারের আসরে। যেখানে একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে প্লে-অফে ওঠা চার দল।

আইপিএলে এবারের আসরের প্রথম রাউন্ড ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনালসহ সব মিলিয়ে আর মাত্র ৪ ম্যাচ। এরপরই জানা যাবে ১৭তম আসরের চ্যাম্পিয়নের নাম। ইতোমধ্যেই সেরা চারের লড়াইয়ের টিকিট নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর গত শনিবার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। 

এবার সবার আগে ১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে কলকাতা। আর ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে ব্যাঙ্গালুরু। তবে আসরজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন-চারে ঘুরতে থাকা হায়দরাবাদ শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে । ফলে ফাইনালে খেলতে অন্তত দুটি সুযোগ পাচ্ছে তারা।

এদিকে টানা হার আর বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছে রাজস্থানের। গুয়াহাটিতে রাজস্থান-কলকাতার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় ম্যাচ। এতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুদল। ফলে পয়েন্ট শীর্ষে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে কলকাতা। এতে প্লে অফের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে কলকাতা-হায়দরাবাদ।

২১ মে আহমেদাবাদে হবে প্রথম কোয়ারিফায়ার। জয়ী দল সরাসরি জায়গা পাবে ফাইনালে। ২৬ মের ফাইনালে লড়তে দ্বিতীয় কোয়ারিফায়ারের জয়ী দলের অপেক্ষায় থাকতে হবে তাদের।

আর এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলবে আইপিএলের চলতি আসর দুর্দান্ত শুরু করা রাজস্থান। আহমেদাবাদে ২২ মে হবে ম্যাচটি।

রাজস্থান এবারে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল। টানা ৯ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছিল তারা। তবে হঠাৎই ছন্দপতন হয় তাদের। টানা চার হারে পয়েন্ট টেবিলের তিন নেমে গেছে সাঞ্জু সামসনের দল। আর অন্যদিকে শেষ ৬ ম্যাচ জিতে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় বেঙ্গালুরু। এ ম্যাচের জয়ী দল ও প্রথম কোয়ারিফায়ারের পরাজিত দল খেলবে দ্বিতীয় কোয়ারিফায়ারে। ২৪ মে চেন্নাইয়ে হবে এ ম্যাচ। এরপর ২৬ মে হবে চেন্নাইয়ে আইপিএলের ১৭তম আসরের ফাইনাল। 

এবার প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ার পরপরই প্রশ্ন উঠেছে কার হাতে উঠতে যাচ্ছে শিরোপা। শেষ চারে এবার যেমন রয়েছে দুইবারের শিরোপা জেতা দল কলকাতা, ঠিক তেমনই রয়েছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানও। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদেরও রয়েছে একটি শিরোপা। তবে এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১৬টি আসর ইতোমধ্যে পার হলেও তাদের ঘরে যায়নি একটি শিরোপাও। আর তাই এবার সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আইপিএলে কোহলির এবং বেঙ্গালুরু উভয়েরই শিরোপা খরা কাটুক এবার।

এ বিষয়ে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার হরভজন সিং বলেন, এবার ফাইনালে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলবে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ কথা বলেন ভারতের হয়ে ২০০৭ সালে টি-২০ ও ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।

তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে কলকাতা ও ব্যাঙ্গালুরু ফাইনাল খেলবে। সেটা হলে আবার কোহলি ও গৌতম গম্ভীর মুখোমুখি হবে। ব্যাঙ্গালুরু চ্যাম্পিয়নও হতে পারে। তবে তার জন্য ওদের খুব পরিশ্রম করতে হবে। যদি একই রকম এনার্জি নিয়ে ওরা খেলে তা হলে বিরাটদের আটকানো খুব কঠিন হবে।

কলকাতা ও ব্যাঙ্গালুরু ছাড়া প্লে অফের বাকি দু’টি দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। হায়দরাবাদ দ্বিতীয় ও রাজস্থান তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যারা জিতবে, তারা উঠবেন ফাইনালে। অবশ্য হারলেও আরো একটি সুযোগ পাবে পরাজিত দল। কিন্তু ব্যাঙ্গালুরুকে ফাইনালে উঠতে হলে দু’টি ম্যাচ জিততে হবে। তাই কোহলিদের লড়াই বেশি কঠিন।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং মনে করেন, এবার আইপিএল জিততে হলে লাগবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। সাধারণত বড় টুর্নামেন্টে ব্যবধান গড়ে দেয় বোলিং। রক্ষণাত্মক বোলিং করতে পারা দলই সাধারণত শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতে। কিন্তু এবার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারা দলের হাতেই শিরোপা দেখছেন পন্টিং। রানবন্যা দেখেই এমনটা মনে হচ্ছে সাবেক এই অজি অধিনায়কের।


আইপিএল   শিরোপা   প্লে-অফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের প্লে-অফ: কে কার প্রতিদ্বন্দ্বী?

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে নিশ্চিত হয়েছে আইপিএলের এবারের আসরের শেষ চার। যেখানে ইতোমধ্যেই কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান র‌য়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিশ্চিত হয়েছিল। আর গত শনিবার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে সেরা চারের লড়াইয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে কলকাতা। আর ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে ব্যাঙ্গালুরু। এই দুই দলের পজিশন বদলের আর কোনো সুযোগ নেই।

তবে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা রাজস্থান রয়্যালস ও ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা হায়দরাবাদের পজিশন বদল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

রাউন্ড রবিন লিগ শেষে যারা দুইয়ে থাকবে, প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা তাদের মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে জয়ী দল চলে যাবে সরাসরি ফাইনালে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু খেলবে এলিমিনেটর, তাদের প্রতিপক্ষ হবে লিগপর্ব শেষে তিনে থাকা দল। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ার হারা দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে এলিমিনেটর জয়ী দলের সঙ্গে। এখানে যারা জয় পাবে, তারা ফাইনালে মিলিত হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ী দলের সঙ্গে।

লিগপর্ব শেষে ২১ মে থেকে মাঠে গড়াবে প্লে-অফের ম্যাচ। সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। আর ২২ মে এলিমিনেটর এবং ২৪ মে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। আগামী ১৬ মে চেন্নাইয়ে এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু   ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

প্রিমিয়ার লিগের এত বেশি জনপ্রিয়তার অবশ্য ভিন্ন একটি কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে গোলের বন্যা। প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়াটা যেমন আরেক প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (এপিএল) শেষ রাউন্ডের দশটি ম্যাচই একই সময়ে শুরু হয়। মৌসুমের শেষ ম্যাচ ডে-তে দশ ম্যাচে সবমিলিয়ে গোল হয়েছে ৩৭টি। আর তাতেই হয়েছে গোলের নতুন রেকর্ড।

১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগের যাত্রার পর থেকে এবারের মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি গোল হয়েছে। সবমিলিয়ে সদ্য সমাপ্ত ইপিএল মৌসুমে ৩৮০ ম্যাচে ১২৪৬টি গোল হয়েছে। ম্যাচ প্রতি তিনটিরও বেশি গোল করেছে দলগুলো।

এর আগে সবচেয়ে গোল ছিল ১২২২টি। এবার সবচেয়ে বেশি ৯৬ গোল করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতে অনন্য কীর্তি গড়েছে পেপ গার্দিওলার দল। রানার্স আপ আর্সেনাল গোল করেছে ৯১টি।

গোল করার তালিকায় তিনে লিভারপুল। তাদের গোল সংখ্যা ৮৬টি। ৮৫ গোল নিয়ে পরের অবস্থানে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এদিকে সবচেয়ে বেশি ১০৪ গোল হজম করেছেন শেফিল্ড ইউনাইটেড।


প্রিমিয়ার লিগ   ফুটবল   ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রীড়াঙ্গন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন