ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার রাজধানী বনশ্রীতে আগুন

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১ টা ১৫ মিনিটে ভবনটির আগুন নির্বাপণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভবনটিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নির্বাপণ হয়।


আগুন   বনশ্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফলে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এখন পর্যন্ত যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের তালিকা তুলে ধরা হলো।

ভোটগ্রহণ চলাকালে জালভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়ম হলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোট শেষ হওয়ার পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় একজনকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিন ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ২৪ উপজেলায় ভোট হয়েছে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সবাই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন।

নোয়াখালী: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপু। আনারস প্রতীকে সাইফুল আলম দিপু ৩২ হাজার ১৩২ পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

কক্সবাজার: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম। দোয়াত কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।

রাঙ্গামাটি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটির তিন উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ্তাই উপজেলায় মো. নাসির উদ্দিন, রাজস্থলী উপজেলায় উবাচ মারমা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।

জানা গেছে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাপ্তাই উপজেলায় সুইপ্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিউটি হোসেন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজস্থলী উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন কর্মকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা-লীগের নেত্রী গৌতমী খিয়াং। বিলাইছড়ি উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বংকিম তংচঙ্গ্যা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুদিপ্তা তংচঙ্গ্যা বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মাগুরা: জেলার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

প্রার্থীদের এজেন্ট ও স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ।

পিরোজপুর: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নেছারাবাদ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ আব্দুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬শত ১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫শত ২০ ভোট। অন্যদিকে, কাউখালি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাঈদ মিঞা ১১ হাজার ২শত ৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাপ প্রিচ প্রতীকের মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ৯৪ ভোট।

সুনামগঞ্জ: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাচনাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ।

জানা গেছে, রেজাউল করিম শামীম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৯ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩১ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী (আনারস প্রতীকে) ১৩ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়েছেন। ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নাসরিন সুলতানা দিপা ৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২৫ ভোট।

পাবনা: জেলার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম হাসনায়েন রাসেল ও খলিলুর রহমান। বেসরকারি ফলাফলে ৪৫ কেন্দ্রের সম্পূর্ণ গণনায় রাসেল মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম মেজবাহুর রহমান রোজ ঘোড়া মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ ভোট।

অন্যদিকে, ফরিদপুর উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির আংশিক ফলাফলে খলিলুর রহমান দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার৭৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০৭ ভোট।

কুষ্টিয়া: জেলার কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান খান। আনারস প্রতীকে ৬০ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম জিলানী নজরে মুর্শেদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।

চাঁদপুর: জেলার সদর ও ভোট হাজিগঞ্জ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আইয়ুব আলী বেপারি ও আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন। আইয়ুব আলী বেপারি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৬৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে ভোট হাজিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ: জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাঈদ। দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ঘোড়া প্রতীকে ৪০ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা: জেলার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। ঘোড়া প্রতীকে ৫০ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন।

সিলেট: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজির উদ্দিন। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২১ হাজার ৯১১ ভোট পেয়েছেন।

মেহেরপুর: জেলার গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ খা‌লেক। আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখ‌লেছুর রহমান মুকুল হে‌লিকপ্টার প্রতীকে ৩৯ হাজার ৪২২ ভোট পেয়েছেন।

নীলফামারী: জেলার জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনসার আলী মিন্টু। ঘোড়া প্রতীকে ৩৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম আজম এলিচ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১ হাজার ৪৬ ভোট পেয়েছেন।

কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই বাবলু। হেলিকপ্টার প্রতীকে ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল চারটার পর থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও পরে কিছুটা বাড়ে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

২৪টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ভোট হয় ব্যালট পেপারে। দয়েক জেলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নেই ভোট দেন ভোটাররা। ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই প্রার্থীদেরও। নিবিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ ভোটের সব ব্যবস্থা আগে থেকেই নেয় নির্বাচন কমিশন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে, প্রতিটি কেন্দ্রে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি।

এর আগে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিল বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইসি সচিবকে বদলি

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বদলি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জাহাঙগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। উল্লেখ্য যে, আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?- এই শিরোনামে গত ১৮ মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা ইনসাইডার। যেখানে জাহাংগীর আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়।


মো. জাহাংগীর আলম ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সচিব হওয়ার আগে মো. জাহাংগীর আলম জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, কমিশন সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিমকে। আর এ জন্য অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব হিসেবে পদন্নতি পেয়েছেন শফিউল আজিম। 
 
আগামী ৩০ মে থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। 

ইসি সচিব   মো. জাহাংগীর আলম   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   জননিরাপত্তা বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তারুণ্যের জয়যাত্রা: বাংলাদেশের স্মার্ট লাইভস্টোক (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বায়নের এ যুগে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। এক দেশ থেকে আরেক দেশে নানা প্রয়োজনে ছুঁটছে মানুষ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক তরুণ তরুণী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ শিক্ষা জীবন শেষে দেশে ফিরলেও খাপ খাওয়াতে না পেরে ভুগছে হতাশায়। অনেকেই আবার উচ্চশিক্ষা থেকে থেকে যাচ্ছে বিদেশে। ফলে একদিকে যেমন মেধাবী শিক্ষার্থীদের হারাচ্ছি আমরা, অন্যদিকে তারাও দেশকে দিতে পারছেন না শিক্ষার ফসল।

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আলভিন আলী শাহীন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি লা ভার্ন থেকে ম্যানেজমেন্ট এবং ফিন্যান্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি চলাকালীন সময়েই তার ভাবনায় আসে দেশে ফিরে নিজে একজন খামারি হবেন। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় গিয়ে অনেকেই নিজের শেকড় ও দেশকে ভুলে গিয়ে সেখানে থিতু হবার পরিকল্পনা করলেও নিজের লালন করা স্বপ্ন পূরণে অবিচল ছিলেন শাহীন। স্নাতক শেষ করে দেশে ফিরে এখন পুরোদস্তুর একজন সফল খামারি হয়ে উঠেছেন আলভিন আলী শাহীন। নিজের জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন “মেঘডুবি” নামের একটি স্মার্ট ও আধুনিক গরুর খামার। 

বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপকালে শাহীন বলেন, আমি দেশের বাইরে থাকতেই দেখেছি এই খাতে অনেক কিছু করার আছে। আলাদা একটা সম্ভাবনায়ময় খাত বলতে পারেন এটিকে। আমাদের দেশে একটা সময় ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ীদের মানুষ কাপড়ওয়ালা বলে ডাকত। কিন্তু আপনি দেখেন এই ইন্ডাস্ট্রিটি আজ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ আমাদের দেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়েছে। ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ খাত সেখানে দাঁড়াবে বলে আমার কাছে মনে হয়। দেশে এসে আমার বন্ধুরা আমাকে খামারি বলে ডাকে। কিন্তু আমি এটা বেশ উপভোগ করি।

আলভিন আলী শাহীন, পরিচালক, মেঘডুবি এগ্রো
আলভিন আলী শাহীন আরও জানান যে, আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের খামারে প্রায় ১১০০ পশু প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। প্রতিবছর রোজার পরপরই আমাদের কোরবানির গরু বিক্রি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি অনলাইনেও আমরা গরু বিক্রির ব্যবস্থা করি। কোরবানির সময়ে অনলাইনে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ১০ হাজার এই মূল্যের গরুর চাহিদা বেশি থাকে। আমরা আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ পর্যন্ত দামের গরু বিক্রি করে থাকি।

বিদেশে ডিগ্রি নিয়ে দেশে এসে কেন খামারি হলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আলভিন আলী শাহীন বলেন, আমাদের দেশে এখনও অনেক খামারি আছেন যারা এই খাতে লাভ-লোকসান না বুঝে ব্যবসা করতে আসেন। অথচ এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। আমাদের মতো শিক্ষিত মানুষেরা যদি কাজ এই খাত নিয়ে কাজ না করি তাহলে তো দেশ উপকৃত হবে না। আমি দেশের বাইরে পড়াশুনা করেছি বটে কিন্তু আমার কাছে দেশের চাওয়া আছে। দেশের প্রতি আমার একটা দায়িত্বরোধ আছে। আমি উচ্চ শিক্ষিত হয়েছি এবং এর ফল শুধু আমার পরিবার ভোগ করবে সেটা আমার কাছে ঠিক মনে হয়নি। দেশেরও প্রত্যাশা আছে আমার কাছে। সেজন্য আমি  বিদেশে থাকিনি। দেশে এসেছি।

শাহীনের মতো আরও অনেক তরুণের হাত ধরেই প্রাণিসম্পদ খাত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কুটির শিল্পের মতো গড়ে ওঠা এই খাতটি এখন শিল্পে রুপ নিয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এখন গরু পালন করছে। কোরবানিতে পশু বিক্রয়ের মাধ্যমে বছরের বৃহৎ অংশ জুড়ে পরিবারিক অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে গরু ও ছাগল উৎপাদনে। দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের হাজার হাজার নারী পুরুষের। কয়েক বছর আগেও কোরবানিতে পশুর চাহিদার বড় অংশ মিটতো প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত এবং মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি করে। বর্তমানে সে চিত্র আর নেই। 


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, দেশে এবার প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬টি গরু ও মহিষ, ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৮০১টি ছাগল-ভেড়া, এক হাজার ৮৫০টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী প্রস্তুত আছে। দেশের চাহিদা কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি। অর্থাৎ কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কায় থাকতে হয় না দেশের মানুষদের। অথচ কয়েক বছর আগেও চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু বর্তমান সরকারের সাহসী ও যুগোপযোগী নানা পদক্ষেপের কারণে গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। উল্লেখ্য যে, গরু-মোটাতাজাকরণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে আড়াই শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয় খামারিদের। ওই সুবিধা পেয়ে সারাদেশে অসংখ্য শিক্ষিত তরুণ গরুর খামার গড়ে তুলতে শুরু করেন, যার সুফল পাচ্ছে দেশ।

সম্প্রতি রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও পরিবহন নিশ্চিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানান, এবার কোনবানির জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। খামারিদের নানা ধরনের পরামর্শ ও কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যগত সেবা দেওয়া হয়। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ের জন্যও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নেমে পড়েছেন। কেউ যাতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ওষুধ ব্যবহার না করেন, সে বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। 

গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি খাতকে সাথে নিয়ে একযোগে প্রাণিসম্পদের বিকাশ। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন, তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে সম্ভাবনা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসায় নামছেন নতুন নতুন খামারি। এক দশকে ১৪২ শতাংশের বেশি গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে। অনেকে গৃহস্থ থেকে এখন পুরোপুরি খামারিতে পরিণত হয়েছেন। যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি সারাদেশে গরু-ছাগলের চাষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের অধিকাংশ এখন ঋণ দিচ্ছে গরু পালনে। এ খাতে বিনিয়োগ করছে ব্যাংকগুলোও। এতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গরু ও ছাগল পালন বৃদ্ধির পাশাপাশি চামড়াশিল্পেও রপ্তারি আয় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ইমরান হোসেন বলেন, দেশি গরুর চাহিদা বাড়ায় শিক্ষিত তরুণ ও প্রবাসীরা গবাদিপশুর খামারে বিনিয়োগ করছেন। গরু আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে এ খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়বে। কোরবানির হাটে ক্রেতারা দেশি গরু খোঁজেন হন্য হয়ে। তারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মোটা করা বিদেশি গরু কিনতে চান না। তাই বর্তমানে দেশী গরুর চাহিদা বাড়ায় স্বস্তিতে আছেন আমাদের দেশী গরুর খামারিরা। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ খাতে শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, যারা একদম ছোট পর্যায়ে শুরু করার চিন্তা ভাবনা করে আমরা তাদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার একটা পরিকল্পিত প্রস্তাব চিন্তা ভাবনা করছি। এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলার বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। ধরুন, একজন মানুষের দুটি গাভীর দাম ৫ লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে যদি তার নিজস্ব একটা পুঁজি থাকে এবং বাড়তি পুঁজি যদি লোনভিত্তিক হয় তাহলে তার একটা মনস্ততাত্ত্বিক সাহস বা আগ্রহ সেটা বাড়বে। এছাড়া আমাদের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। যেটা বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলছে। সেক্ষেত্রে যারা নিজেরা খামার করতে চায় তাদের জন্য ৬০:৪০ এই অনুপাতে একটা সহযোগিতা আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা অনুদান হিসেবেও দেওয়া হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এটা লোন আকারে দেওয়া হয়। সুতরাং যারা এই ব্যাপারে উৎসাহী হবে এবং আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসবে তাদের জন্য এই সুযোগগুলো আছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে নানা উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে এবং একদমেই যাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উপার্জন করার বিকল্প কোন ব্যবস্থা নাই সেক্ষেত্রে আমরা একটা সাহায্য তাদের দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে কিছু ছাগল বা বকনা বাছুর আমরা দিয়ে থাকি।

সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তরুণরা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে আজ সম্ভাবনা ছড়াচ্ছে। শাহীনদের মতো উচ্চশিক্ষিত তরুণরা একদিকে যেমন উন্নত ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে তুলছে স্মার্ট ও আধুনিক খামার, তেমনি অনেক বেকার যুবক দরকারি প্রশিক্ষণ, জ্ঞান এবং প্রয়োজনীয় ঋণ নিয়ে নিজেরাই শুরু করছে আধুনিক ও স্মার্ট খামার। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই খাত, স্মার্ট লাইভস্টোকের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।  




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে সাবেক এমপি জাফরের ভরাডুবি

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম।  তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে (চকরিয়া-পেকুয়া) আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এলাকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি আবারও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভরাডুবি হয় তার।

দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিন।

এতে দেখা যায়, দোয়াত-কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।


উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যক্তির দুর্নীতির দায় নেবে না সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। এই নিষেধাজ্ঞার পর জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

তিনি বলেছেন যে, তিনি বিজিপির মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় বা সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় তার ভাইদেরকে ব্যবসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনরকম অবৈধ কর্মতৎপরতা করেননি। এই বিষয়টি তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তবে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজিজ আহমেদের এই বিষয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে‌। সরকার আজিজ আহমেদ বা অন্য কোন দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের দায় নেবে না। 

আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক অনুষ্ঠানে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজিজ আহমেদের বিষয়টি তাদেরকে আগে থেকেই অবহিত করেছিল। সরকার বিষয়টি জানতো এবং সরকারের এ ব্যাপারে যে কোনও অবস্থান নেই তাও মার্কিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, আজিজ আহমেদের বিষয়টি ব্যক্তিগত। এটির সাথে সরকার বা রাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক নেই। সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। 

শুধুমাত্র আজিজ আহমেদ নয়, যারা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, বিদেশে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে বা দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের ব্যাপারে সরকার এখন নির্লিপ্ত থাকবে। এসব ব্যাপারে সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব করবে না বা সরকার এই সমস্ত অভিযুক্তদের কোনও দায় দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। 

সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বেনজীর আহমেদ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে তিনি জাতিসংঘে একটি পুলিশ সম্মেলনে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু সেই সমস্ত বক্তব্য কোনোটাই তার দুর্নীতিকে খাটো করে না। বরং এই সমস্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এক ধরনের কৈফত এবং স্বীকৃতি রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। 

এ রকম একটি বাস্তবতায় আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও এখন তদন্ত করছে। এই তদন্ত যেন নিরপেক্ষ এবং নির্মমভাবে হয়। সে ব্যাপারেও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দুর্নীতির ব্যাপারে একেবারেই শুন্য সহিষ্ণু নীতিতে অবস্থান করছেন। দেশে-বিদেশে যারা দুর্নীতি করবে তাদের যদি আইনানুযায়ী বিচার করা হয়, সেসব বিচারে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না এবং এটাতে সরকারেরও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আজিজ আহমেদ বা বেনজির আহমেদের মত যে সমস্ত ব্যক্তিরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, যাদের বিদেশে সম্পদ আছে এই বিষয় গুলো সরকারও তার নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করে দেখছে। এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই মনে করেন, যে অভিযোগ গুলো তোলা হয়েছে এবং যে সমস্ত অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভাবে মিথ্যা নয়। সরকার এই দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিতর্কিত হতে চায় না।

বেনজীর আহমেদ   আজিজ আহমেদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন