দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২২ এপ্রিল) অধিদপ্তরের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২২
এপ্রিল, ২০২৪) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের
কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম
বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে
পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে
যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ
বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ
এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ
বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা
প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু'এক
জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে
কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে
আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত
থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা
প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা
আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে
অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট অ্যালার্ট
মন্তব্য করুন
গত এপ্রিল থেকে
তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাই। এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে
গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে
পারে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাপপ্রবাহকে একটি দুর্যোগ হিসেবে মনে করছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ও মৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষদের সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলায়ও সরকার কাজ করছে।’
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদনে ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকাকে তা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এ তাপপ্রবাহের ফলে সরকারি ও বেসরকারি হিসাব মিলিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে অনেক মানুষ পানিশূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরে ভারসাম্যহীনতা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। ওই দিন রাজধানীতে মোট ৬ জন মারা যান। তখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশির ভাগ সময়জুড়ে তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে তার চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি।
জাতিসংঘের হিসাবে, তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা জেলায়। এপ্রিলের শুরু থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও তা মারাত্মক তীব্রতা পায় ২১ এপ্রিল। আর সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল ২৪ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। গত এপ্রিলের তাপপ্রবাহ আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। এসময় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ এলাকা তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিতে ছিল।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্বস্তি ফিরে এসেছে রাজধানীবাসীদের মাঝে। শনিবার (১৮ মে) সকালে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়।
ঢাকার আকাশ ভোর থেকেই ছিল মেঘলা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রামপুরা বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এদিকে বৃষ্টি প্রশান্তি আনলেও অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকে ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজছেন। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
গত কয়েকদিন থেকেই দেশব্যাপি
ছিল তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই শুক্রবার (১৭ মে) সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা
মেলে। এ অবস্থায় আবহাওয়া জানিয়েছে অন্য খবর।
শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২ ও বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এরপরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
বিঘ্নিত হয়ে তীব্র গরমে আবারও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে
তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৪০
ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত
২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী শনিবার
(১৮ মে) পর্যন্ত সারা দেশেই বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরপর ৫ থেকে
৬ দিন বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা
হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা
হয়েছে, আজ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা
ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের সব বিভাগের
ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার
সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা
হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক
মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এ তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। রংপুর, রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে যশোর, কুষ্টিয়ার তাপমাত্রাও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। তবে তা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ানোর শঙ্কা নেই। আগামী শনিবার থেকে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হবে। এরপর কালবৈশাখী এবং বজ্রসহ বৃষ্টি সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগ দিয়ে শুরু হবে। সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রোববার। এ বৃষ্টি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
গত এপ্রিল থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাই। এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে পারে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।